ব্লগ হচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন-লাইন সাময়িকীতে নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ের উপর মনের ভাব প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত জানার একটি পথ। ১৯৯৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর, জর্ন বার্গার (Jorn Barger) নামের একজন আমেরিকান, প্রথম ‘ওয়েবলগ’ পরিভাষাটির উদ্ভাবন করেন। পরে এটিকে সংক্ষিপ্ত আকারে ‘ব্লগ’ হিসাবে রূপ দেন পিটার মেরহোজ (Peter Merholz)। বর্তমান প্রজন্মের বিরাট একটা অংশ ব্লগের সাথে জড়িত। একজন ব্লগার হতে হলে কম্পিউটার চালানো জানতে হবে। কম্পিউটারের সাথে ইন্টারনেট সংযোগও আবশ্যিক। আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা খুব মজবুত না হওয়ার কারণে জনসংখ্যার ক্ষুদ্র একটা অংশ ব্লগের সাথে সম্পৃক্ত। ফলে আমাদের আইন প্রতিমন্ত্রী আপত্তিকর কিছু লেখার জবাবে ব্লগারদের মান বাঁচাতে গিয়ে ব্লগের লেখা ক’জন পড়ে বলে মন্তব্য করলেও, তাঁরাই আবার উচ্চকিত কন্ঠে প্রচার করছেন ব্লগারদের দাবি সার্বজনিনতা পেয়েছে।
ব্লগ এবং ব্লগারদের নিয়ে আমাদের দেশে মহা হৈ-হুল্লোড় চলছে। ব্লগারদের আহবানে নানা বয়সের বহু মানুষ রঙ্গিন ফেষ্টুন ও ব্যানার হাতে, গালে ও বুকে আলপনা এঁকে এবং বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত করে রেখেছিল শাহ্বাগ চত্তর। সেখানে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে গগন বিদারী শব্দ উত্থিত হচ্ছিল। একই সাথে বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে তরুণ ব্লগারদের চিত্রিত করা হচ্ছিল নিষ্কলুষ এবং পক্ষপাত দোষে দুষ্ট নয় এমন স্বচ্ছ ও পবিত্র চেতনার অধিকারী হিসাবে। তাদের ব্যাপারে একটা আবহ সৃষ্টি করে বলা হচ্ছিল, তারা এতটাই অবুঝ যে, সহজ-সরল ও নির্মল চিন্তা-চেতনার বাইরে তাদের মনোজগতে অন্য কিছু নেই। অথচ আমরা জানি অধিকাংশ তরুণ স্কুলের সীমানা অতিক্রম করার পর কোনো না কোনো আদর্শ দ্বারা প্রভাবিত হয়। ব্লগারদের ক্ষেত্রেও এর কোনো ব্যতিক্রম ঘটেনি। তাদের চলমান আন্দোলনের দিকে দৃষ্টি দিলে তা স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে। তরুণ ব্লগারদের আদর্শিক পরিচয় উন্মোচিত হয় যখন তারা দুর্ভাগ্যজনকভাবে অন্যান্য দাবির সাথে ইসলামকেও প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলে।
ব্লগাররা নাটকের আর একটা দৃশ্যের অবতারনা করে সরকারের উপর হুকুম জারি করে। আশ্চর্যজনকভাবে সুবোধ বালকের মত সরকার প্রধান এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীগণ হুকুম পালনে রাজী হয়ে গেল। সরকারের হাবভাব দেখে মনে হতে লাগল শাহ্বাগ চত্তর পরাশক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে সরকারের ঘাড়ের উপর চেপে বসেছে। প্রথম দিকে মানুষের মনে সন্দেহ না থাকলেও, পরে গবেষণা শুরু হয়ে গেল ব্লগারদের পরিচয় নিয়ে। আবিস্কার হল এরা সরকারের মদদ প্রাপ্ত একটি বিশেষ আদর্শের ধ্বজাধারী একদল তরুণ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শাহ্বাগ থেকে জারিকৃত কিছু কিছু অধ্যাদেশ সরকার নিজ গরজে এবং সাগ্রহে মেনে নিচ্ছিল। এটা যে সরকারের একটা পাতানো খেলা তা নিয়ে জনমনে আর কোনো সন্দেহ রইল না। শাহ্বাগীদের উপরোক্ত ক্রিয়াকলাপের কারণে জনগণের মনে প্রশ্ন শুরু হল কে শক্তিশালী, শাহ্বাগে আন্দোলকারী কিছু তরুণ, নাকি সরকার? পাতানো খেলা ছিল বলেই শাহ্বাগ মঞ্চের নায়ক নির্ভীকভাবে উত্তর দিতে পেরেছিল, তারাই শক্তিশালী। পাতানো খেলা না হলে, ঐ উত্তরের জন্য তাকে যে কি মূল্য দিতে হতো তা আল্লাহ্ই ভালো জানেন।
১৮ ডিসেম্বর ২০১২ বুধবার, বাম ঘরানার রাজনীতিকদের আহবানে ডাকা হরতাল সরকারের সক্রিয় সমর্থনে পালিত হয়েছিল। ফলে পুলিশের প্রহরায় বাদ্য যন্ত্রের ঝংকার, শিল্পীদের সুরের মুর্ছনা এবং পিকেটারদের মুহুর্মুহু করতালি রাজপথ মাতিয়ে রেখেছিল। অথচ মাসখানেক পর ১৬ জানুয়ারী, ২০১৩ তারিখে তেল-গ্যাস ও খনিজ সম্পদ রক্ষা কমিটির (বাম দল) ডাকা আরেকটি হরতালে পিপার স্প্রে, জল কামান সহ আরো কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করার কারণে অনেকে আহত হয়েছিল। একই গোষ্ঠীর ডাকা দুটি হরতালে সরকারের ভূমিকা দুই রকম কেন, তা সবার নিকট পরিস্কার। কাজেই তথাকথিত তরুন প্রজন্মের জাগরণকে সরকার কেন সব রকম সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে তা বুঝার জন্য বেশি বুদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে কি?
বিপত্তি ঘটেছিল থাবা বাবা ওরফে রাজীব আহ্মেদ নামের একজন ব্লগারের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ইসলামের মৌলিক বিষয়ের উপর কটাক্ষ ও আঘাত করে সে তার ব্লগকে সচল রাখতো। তার সাথে আরো কিছু ব্লগার একই কাজে লিপ্ত ছিল। সে কারণে ২০১১ সালে উচ্চ আদালত ব্লগারদের কারো কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশও দিয়েছিল। তাকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের শহিদ বানানো হল এবং তদন্ত ছাড়াই হত্যার দায় চাপানো হল জামায়াত-শিবিরের উপরে। যা ছিল যতো দোষ নন্দঘোষের মতো করে সহজ সরলীকরণ।
শাহ্বাগের মূল আয়োজকদের মধ্যে রাজীব আহ্মেদও ছিল একজন। প্রথমে ‘ইনকিলাব’ এবং পরে ‘আমার দেশ’ দৈনিকের মাধ্যমে ব্লগের কুৎসিত কথাগুলি প্রকাশিত হলে, তৌহিদি জনতা রাজীব সহ অন্যান্য ব্লগারদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠে। মান বাঁচানোর জন্য তারা কুরআন সহ অন্যান্য ধর্ম গ্রন্থ থেকে মঞ্চে পাঠ শুরু করে। তড়িঘড়ি করে মুছে ফেলা হয় অনেক কিছু রজীবের ব্লগ থেকে। প্রচার চালানো হল তার মৃত্যুর পর কেউ তার ব্লগে ধর্ম বিরোধী লেখা ঢুঁকিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তার আগেই অনেক তথ্য চলে গিয়েছিল প্রতিপক্ষের কাছে।
ইনকিলাবের সম্পাদক রক্ষা পেলেও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহ্মুদুর রহ্মান গ্যাঁড়াকলে আটকে গিয়েছিলেন। তিনি অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। মামলাও করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর অপরাধ, রাজীব ব্লগে লিখলে লিখেছে, সেটা ‘আমার দেশে’ ছাপানোর অনুমতি কেন দিয়েছিলেন? আমাদের আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের কথা অনুযায়ী, “নতুন প্রজন্ম ছাড়া ব্লগের লেখা ক’জন পড়ে। সর্বোচ্চ ২০-৩০ লাখ মানুষ পড়ে হয়তো। কিন্তু পত্রিকায় যেভাবে রাজীবের লেখাগুলো প্রকাশ করা হয়েছে, সেটি কোনো মানুষের কাজ হতে পারে না।” (আমার দেশ – ২৮/০২/২০১৩)। আইন প্রতিমন্ত্রীর মত করে একইভাবে বলা যেতে পারে, আমার দেশ পড়ে ক’জন। সর্বোচ্চ ৩-৪ লাখ মানুষ। তাহলে কোন সংখ্যাটি বড় ৩-৪ লাখ নাকি ২০-৩০ লাখ?
দৃশ্যত রাজিব ছাড়াও শাহ্বাগ আন্দোলনের প্রথম সারির নেতাদের অনেকেই বিভিন্ন কারণে বিতর্কিত হয়ে পড়েছে। কারণগুলির মধ্যে রয়েছে ধর্মের অবমাননা, সরকারের অনুকুলে দাবি পেশ এবং নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী না হয়েও তার ব্যবহার। যেহেতু তারা সরকারের মদদপুষ্ট এবং সুবিধাবাদী বাম ঘরানার আদর্শের অনুসারী, সেহেতু সরকারের এবং বাম ঘরানার বশংবদ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়া, যেগুলি বাংলাদেশের প্রচার মাধ্যমের ৯৫ ভাগেরও বেশি জায়গা দখল করে আছে, তারা কৌশলে শাহ্বাগীদের অবৈধ কর্মকাণ্ডকে সহজ সরলীকরণের মাধ্যমে বৈধ হিসাবে ঘোষণা করা শুরু করল। একইভাবে নতুন প্রজন্মের তরুণদের গ্রহণযোগ্য একটা অংশ শিবির তথা ইসলামের অনুসারী হওয়াতে এবং সরকার ও তার দোসরদের অপকীর্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম মুখর থাকাতে, তাদেরকে অত্যাচার করার পর নির্বিচারে গুলি চালানোকে বৈধতা দেয়ার জন্য চতুরতার সাথে তাদের গায়ে সন্ত্রাসের তকমা লাগানোর জন্য সহজ সমীকরণ দাঁড় করল।
জাতীয় পতাকা, শহিদ মিনার, মন্দির ও অমুসলিমদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয়ার জন্য জামায়াত-শিবিরের উপর দোষ চাপানো হচ্ছে। এখানেও সহজ সরলীকরণ করা হয়েছে একইভাবে। অথচ পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি উল্লিখিত অপকীর্তিগুলির সাথে আওয়ামীলীগ সমর্থকদের জড়িয়ে থাকার কথা।
বর্তমানে ‘শাহ্বাগ চত্তর’ ভ্রাম্যমান মঞ্চে পরিণত হয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত। সরকার যখন চরম পন্থীদের সহচর, তখন তাদেরকে দমন করার জন্য অন্য একটি শক্তির আবির্ভাব ঘটা অস্বাভাবিক নয়। এখানেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। ‘হেফাজতে ইসলাম’ নামের একটি সংগঠন তথাকথিত গণজাগরনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। সরকার যেহেতু শাহ্বাগীদের সহযোগী, তাই সরকারের প্রতি তাকিয়ে না থেকে, প্রজন্ম চত্তরের হটকারীদের মোকাবিলা করার জন্য হেফাজতে ইসলামের কর্মীগণ বদ্ধপরিকর। মূলতঃ তারা সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছে।
শাহ্বাগীদের জন্ম হয়েছে কৃত্রিম এক পরিবেশে। তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে ভূমিষ্ট হয়ে এবং দুধ-কলা খেয়ে নাদুস-নুদুস শরীর নিয়ে হাঁটিহাঁটি পা-পা করে চলতে গিয়েও হোঁচট খাচ্ছে। তাই ১৫ মার্চ, ২০১৩ ইং তারিখে আশুলিয়ায় লক্ষ লক্ষ মানুষের চলাচল বন্ধ করে দিয়ে কয়েক স্তর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে সরকার তাদেরকে একটু হাঁটাহাঁটির সুযোগ করে দিয়েছিল। সরকারের পায়ের তলায় মাটি ফিরে আনতে এবং স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার সুযোগ করে দেয়াতে তরুণদের প্রতি সরকার যৎসামান্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার অধিকার আছে বৈকি। তাই সরকার তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতার স্বীকৃতি স্বরূপ সুবিধাটুকু করে দিয়েছিল। কিন্তু সমস্যা হল সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, নির্লজ্জ দলীয়করণ, বিপন্ন গণতন্ত্র ও প্রশাসনিক নানান ব্যর্থতা ঢাকার জন্য যে এ ভণ্ডামি, তা সবার নিকট পরিস্কারভাবে উন্মোচিত হয়েছে।
অতীতের ইতিহাস ঘাঁটাঘাঁটি করলে দেখা যাবে, যত গণজাগরণ হয়েছে সেগুলি ছিল ক্ষমতাবানদের বিরুদ্ধে। আমাদের দেশের নতুন প্রজন্মের জাগরণের চিত্র এবং চরিত্র সম্পূর্ণ উলটো। আর এটাই যদি হয় আমাদের নতুন প্রজন্মের চিন্তা-চেতনার ফল, তাহলে বলতেই হবে এ জাতির ভাগ্যে আরো মসিবত অপেক্ষা করছে।
বিচার ব্যবস্থার কোনো ত্রুটি থাকলে, রায় আশানুরূপ না হলে, তার দোষ বর্তায় সরকারের অথবা বিচারকের উপর। কিন্তু প্রজন্ম চত্তর থেকে তাদের ব্যাপারে কিছুই বলা হচ্ছেনা। কারণ সরকার তাদেরকে জামাই আদরে রেখেছে এবং বিচার বিভাগও বর্তমান সরকারের আজ্ঞাবহ একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়াতে তাদের অবৈধ কাজগুলি সমর্থন করছে। ফলে তারা সরকার এবং বিচারকদের বিরুদ্ধে বলবেই বা কেন? বরং তাদের কর্মকাণ্ডের কোনো কোনো অংশের সমালোচনা করার কারণে, মাহ্মুদুর রহ্মান, ড. পিয়াস করীম, অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও বঙ্গবীর আব্দুল কাদেরকে বাক্যবানে জর্জরিত করে নতুন খেতাবে ভূষিত করা হয়েছে।
পিঠের চামড়া তুলে নেয়া, একটা জ্যান্ত মানুষকে ধরে নাস্তা করার, জ্বালো জ্বালো বলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার, কোনো পত্রিকার সম্পাদককে তুলে নিয়ে আসার হুংকার এবং ভিন্ন মতের মানুষদেরকে নির্মূল করার সহিংস স্লোগানগুলি অধিকাংশ সংবাদ মাধ্যম ও তথাকথিত সুশীল ব্যক্তিবর্গ অহিংসের মোড়কে উপস্থাপন করছে চাতুর্যতার সাথে। যা দেখে বিহবল হওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই। অহিংসতার ব্যানারে সহিংসতাকেও সরলীকরণ করা হয়েছে অনুরূভাবে।
তথাকথিত প্রজন্ম চত্তর থেকে ফাঁসি চাই, ফাঁসি দিতে হবে, ফাঁসি ছাড়া ঘরে ফিরবোনা এবং আদালতের রায় না মানার ইঙ্গিত বহনকারী স্লোগানগুলি দ্বারা আদালত অবমাননা হয়না। ঐগুলি নাকি দাবি আদায়ের জন্য প্রতীকী শব্দ। অন্যদিকে বিরোধী দলের দাবি আদায়ের শব্দ বা বাক্য প্রতীকী নয়, তা হয় বাস্তব। ফলে হুকুমদাতা হিসাবে জেলের ভাত খেতে হয় এবং বর্ণনাতীত অত্যাচার ভোগ করতে হয় বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দকে। এখানেও সহজ সরলীকরণের বাস্তব উদাহরণ স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়।
সব শেষে সরকার আসল খেলা শুরু করেছে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের (9/11) পর জর্জ ডব্লিউ বুশের ‘সন্ত্রাস দমনের পক্ষে, উত্তরঃ হাঁ অথবা না’ তত্ত্বের প্রয়োগ শুরু করেছে আওয়ামী সরকার। বিরোধী শিবিরে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলা হচ্ছে, আপনারা কি যুদ্ধাপরাধের বিপক্ষে? এক কথায় উত্তর হতে হবে, হাঁ অথবা না। কৌশলে এমন একটা ইস্যু বেছে নেয়া হয়েছে যে, খোদ জামায়াতে ইসলামীও নৈতিক কারণে উত্তরে হাঁ বলবে। কিন্তু জামায়াত যুদ্ধাপরাধের নয়, তাদের নেতৃবৃন্দের উপর অন্যায়ভাবে দোষ চাপানোর এবং পক্ষপাত মূলক বিচারের বিরোধিতা করছে। এখানেও সহজ সরলীকরণের মাধ্যমে জামায়াতকে বেকায়দায় ফেলা হয়েছে। বড় বিরোধী দল বিএনপি যদি সহজ সরলীকরণের সহজ ফরমূলা বুঝতে না পারে এবং তারা দোদুল্যমান অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারে তাহলে ভবিষ্যতে তাদেরকে আরো চড়া মূল্য দিতে হতে পারে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন