সাপ্তাহিকী
|
রাইস উদ্দিন
|
|
জাতীর এই গ্রহনকালে কে শুনাবে আশার বানী
16 Mar, 2013
সময়ের এই বাঁকে নিষ্ঠার সাথে আদর্শের অনুসরণ ও বাস্তবায়ন নেই কোথাও। যার যে আদর্শ সে আদর্শের সাথে চলছে প্রতারণা প্রতিনিয়ত। ব্যক্তি পরিবার সমাজ জীবনে নেই নিয়ম শৃংখলা। রাষ্টযন্ত্র এখন বিকল অনিয়ম ও দূনীতীর যাতাকলে ।
সবর্ত্রই যেন অনিয়ম আর নিয়ম ভাংগার নিয়ম এর প্রতিযোগিতা চলছে। এমনি ভাবে সমাজ জিবনে শুরু হয়েছে ভাঙ্গনের, কেউ বলতে পারবেনা এভাঙ্গন কোথায় গিয়ে গড়াবে। সমাজ রাষ্ট্র এখন ঠকবাজ আর ধুরন্ধরদের হাতে। সরকারী দল আর বিরুধী দল বলুন ক্ষমতার বাইরের এবং ভিতরের লোক গুলোর চরিত্র জীবনবোধ রুচিবোধ আর আশা অাকাংখ্যা এতটা সাযুজ্যপূর্ণ যে সাধারন মানুষের বুঝেতে অসুবিধে হয়না এরা একজন অন্যজন থেকে আলাদা বৈশিষ্টমন্ডিত নয় বরং একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ।
আদর্শ হল অনুশরন ও অনুকরনের যোগ্য বিশেষ কিছুনিতীমালা .যার বাস্তবায়নে মানুষের সাবিক কল্যান সাধিত হয়। আর্দশেরই আর এক নাম মতবাদ।আদর্শই জাতির প্রান।আদর্শচ্যুত জাতি জীবন মৃত।জাতিয় আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতিও শক্তির বহিপ্রকাশ হয়।জাতি হয়ে উঠে জীবন্ত ও প্রাণবন্ত।কোন জাতী যখন আত্মবিসৃত হয় তখন সে জাতী তার স্বাতন্ত্রতা ও স্বকীয়তা হারায় ।আদর্শ যত মহান এবং উন্নতই হোক না কেন আদর্শের সঠিক বাস্তবায়ন যদি না হয় তাহলে তার শ্রেষ্ঠত্ব যেমন প্রমানিত হয়না তেমন উপকারিতাও লক্ষ্যকরা যায়না
বস্তুত উন্নত আদশের কথা মূখে উচ্চারণ করলে আর ভ্রান্ত নীতি বা আদর্শের অনুসরন করলে তাতে বিঘোষিত আদর্শের প্রতি উদাসিনতাই প্রদর্শন করা হয়। এর পরিনতি হয় ভয়াভহ।
বিশ্বে মতবাদএর জন্ম হয়েছে মানুষের কল্যাণের মানষে। যারা যে আদর্শের ধারক তারা যদি নিজের আদর্শ মননে লালন করতঃ এবং সে অনুযায়ী চরিত্র গঠন করত তবূও কিছুটা হলেও সমাজ জীবনে স্বস্তি আসত! কিন্তু প্রত্যেক আদর্শবাদী মূখে সুন্দর সুন্দর আদর্শের বুলি আওরায় বাস্তবে তার উল্টটা করে। এজন্য প্রথম কাজ হলো"এই মুহুর্তে রাজনীতিবিদ ও শুধূ আলেম সমাজের দিকে আশাকরে বসে থাকলে চলবেনা।দুনীতি আর সুবিধাবাদ গ্রাস করেছে সমাজকে।আমরা অনিয়ম আর নীতিহীন আদর্শ আনুসরন করে মানুষীক অসুস্থতায় ভুগছি ।ভাল মন্দের বোধশক্তি হারিয়ে ফেলেছি।সমাজের ভাল মানুষ গুলো বড় অসহায়।নিরপত্তা আর সম্মান হানির ভয়ে সত্যকে চেপে যায় অতি সংকোচে প্রতিনিয়ত।হৃদয়ে হয় রক্তক্ষরন দহন যন্ত্রনায় নিরবে করে অশ্রুবিসর্জন।এমতবস্থায় এগিয়ে আসতে হবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সচেতন সকল নাগরিকদের। পরিবর্তনের আকাংখ্যা নিয়ে কাজ করতে হবে নির্ভয়ে।
ঐক্যবদ্ধ শক্তিই পারে সামাজিক শক্তির উথ্থনে সহায়ক ভুমিকা রাখতে।
যে কাজগুলো করতে হবে।
এক.একাধীক সমাজবিপ্লবের ধারা অব্যহত রাখা
দুই.সামাজীক শক্তির উথ্থান এর মাধ্যমে ইসলামের সনাতনী পরিশীলিত পরিচ্ছন্ন মূল্যবোধ প্রতিটি হদয়ে প্রতিথ করে দিতে হবে।
তিন. একটি সঠিক আকীদাসম্পন্ন ইসলামী দলকে স্বকিয়তা নিয়ে রাজনিতীর ময়দানে টিকে থাকতে হবে।
চার.ইসলামের মৌলিক ভিত্তি গুলো সমাজের ভি্ত্তিমূলে গেঁথে দিতে হবে।এই লক্ষ্যে বাস্তব কর্মসুচী নিতেহবে।
মানুষ অপূর্ণতা নিয়ে জন্ম নেয় এবং অপূর্ণতা নিয়েই পৃথিবী থেকে বিদায় নেয় বটে, আর এটাই নিয়তী। একজন মানুষ চায় নিরবচ্ছিন্ন আনন্দ , চায় শান্তি সূখ,তৃপ্তি। আল্লাহ সূখ ও দুঃখকে মানুষের চীর সাথী করে দিয়েছেন যাতে উপলুব্ধি করা যায়-এবং এই পৃথিবী নামক কর্মশালায় সূখশান্তি এবং তৃপ্ত হওয়ার দূর্বার আকাংখ্যা নিয়ে কর্মখেত্রে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কর্মদ্দোম ও একাগ্রতার সাথে তৎপরতা চালায়, পরিবারকে যদিও সূখ-শান্তির স্থায়ী নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান বলা হয় এই পৃথিবী মুলতঃপৃথিবী স্থায়ী সূখের যায়গা নয়। এপৃথিবী নামক কর্মশালায় কর্মরত মানূষ গুলোর জীবন প্রবাহে কখনো নেমে আসে বেথাবেদনার প্লাবন কখনো সূখ স্বাচ্ছন্দের প্রবল বন্যা । আনন্দ বেদনায় মানুষ চায় একজন নির্ভরযোগ্য বন্ধু একজন স্বাথী বা সহচারীনী,কারন মানুষের সূক্ষ অনুভুতিতে এগুলি প্রভাবিত করে বলেই মানুষ সুখের জন্য হন্যে হয়ে ছুটে বেড়ায় দেশ থেকে দেশান্তরে।নিয়তী তাকে আলেয়ার আলোর পিছনে দাবড়াতে থাকে মরিচিকার ধুকায় মানুষের সুক্ষ অনুভুতি গুলো বিকল হতে থাকে ,আজ শান্তি প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসবেন কারা ? রাজনীতিবিদগণ না আলেম সমাজ ? রাজনীতিবিদ সম্পর্কে সাম্যকধারনা পুর্বেই দিয়েছি।
এবার আসুন আলেম সমাজদের কথায়।বাংলাদেশে ইসলামের হাজারও রুপ লক্ষ্যকরা যায় এর কারনও আলেম সমাজ,তারা তাদের মধ্যে ছোটখাট বিষয় নিয়ে হাজারও দল উপদলে বিভক্ত।
১,মাজহাব পন্থী
২, সুফিবাদী
৩.মাজার পন্থী
৪.পীড় পন্থী ও
৫.তাবলীগ জামায়াত পস্থী ইত্যাদী।
এই আলেমমগন তাদের মতকরে ইসলামকে মানুষর সামনে পেশ করেছে।আবিস্কার করেছেন 'মিলাদুন্নবী সবেবরাত ওরস বিশ্ব ইস্তেমা, যেমনটি বুদ্ধিজীবিগন আমদানী করেছেন বিশ্ব ভালবাসা দিবস পান্তা ভাত ইলিশ খাওয়ার দিবস ইত্যাদী। প্রথিতযসা আলেমগনও কুরানের ব্যাক্ষা করতে গিয়ে বাইবেল সহ অন্যধর্মগ্রন্থের উদাহরণ দিতে গিয়ে ইসলামের মৌলিকতা হারিয়ে ফেলেছেন।অতএব সঠিক অাকিদায় সকল আলেমেদের একত্রিত করতে হবে।গড়ে তুলতে হবে একটি সামাজিক আন্দলন যে আন্দলনই আমাদের আশার আলো দেখাবে ।এজন্য প্রয়োজন তারেক বিন মুসার মত সালাহউদ্দিন আয়ুবীর মত সেনা নাযকের তাহলেই আবার ফিরে পাব আমাদের হারানো ঐতিহ্য আবার আজান হবে স্পনসহ গুটা দুনিয়ায় ।একটা সুনালী ভোর নামবে বিশ্ব জোড়া । আল্লাহ ও তারঁ রাসুলের জয়কার ধ্বনি উচ্চারিত হবে সমগ্র দুনিয়ায় এই প্রত্যাশায় আমরা সকলে।প্রত্যাশা পূরণ হবে তখন যখন আমরা শুধূ
জাতীয় ঐক্য ও নিজেদের স্বতন্ত্র একটা বোধ ষৃষ্টি করতেপারবো। আর এটা আসে কেবল মাত্র এবং একমাত্র ঐশ্বরিক বিধানের কঠোর অনুশীলনে মধ্য দিয়ে। মানুষ যখন আল্লাহকে তার জীবনের নিয়ন্তা জানবে, বিশ্বাস করবে তখনই সে একটি কেণ্দ্রকে নিজের নিয়ন্ত্রের জন্য নিজেকে সোপার্দ করে দেবে। তখনই যে ঐক্যবোধের উন্মেষ ঘটবে, তা ই হবে সত্যিকার স্বাতন্ত্রবোধ। এবং এই স্বাতন্ত্রবোধই সামাজিক শক্তির উথ্থানে ভুমিকা রাখবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন