ইসলামে হাত দিলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে । যারা ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছে, আমরাও তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছি । আওয়াজ উঠেছে, ইসলামী দল বাতিল করতে হবে । কিন্তু হিন্দুর দল থাকবে, খ্রিস্টানদের দল থাকবে—মুসলমানের দেশে মুসলমানের দল থাকবে না—কেমন সব আজব কথা ! যারা ধর্মকর্ম মানে না, তারা তাদের মতো থাকুন । যাদের আল্লাহ আছে, রাসুল আছে তাদের কেন এত গালাগাল ।
আগামী নির্বাচন হবে নাস্তিকদের পক্ষে বিপক্ষের শক্তির মধ্যে । এ বাংলার মাটিতে নাস্তিকদের ঠাঁই হবে না ।
যতকাল আল্লাহর দুনিয়ায় শান্তির ধর্ম ইসলাম থাকবে ততকাল ইসলামী রাজনীতি এবং ইসলামী আন্দোলন থাকবে, কেউ বন্ধ করতে পারবে না ।
শাহবাগ সরকার সমর্থিত নষ্ট তরুন ও নাস্তিকদের চত্বর । শাহবাগে তারা নাচ গান ও অপকর্ম করছে ।
এ ধরনের বক্তব্য বিবৃতি বর্তমানে দেশের পত্রিকা গুলিতে গুরুত্ব সহকারে আসছে । স্বাভাবিক ভাবে মনে হতে পারে নিশ্চয় ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিয়ে কেউ না কেউ এই পরিবেশটা তৈরী করেছে নতুবা এ ধরনের কথা ওঠবে কেন ? সত্য না দূরভীসন্ধি থেকে অভিযোগটা ওঠে এসেছে তা গুরুত্বের দাবী রাখে । যে ভাবে হউক না কেন অভিযোগের তীরটি ব্লগারদের দিকে ।
অভিযোগকারীরা বলছেন কতিপয় ব্লগার তাদের ব্লগে রাসুল (সাঃ) এবং ইসলামকে নিয়ে কটু্ক্তিকর অবমাননা সূচক লিখনী লিখেছেন । জবাবে অভিযুক্ত ব্লগাররা বলছেন ওনারা এ ধরনের কোন লিখা লিখেননি । অভিযুক্ত ব্লগাররা ব্যক্তিজীবন ও ব্লগার এ্যাক্টিভিষ্ট এসোসিয়েশনে এ ধরনের কোন অভিমত প্রকাশ করেননি বলার পরও অভিযোগ উত্তাপনকারীরা মানতে নারাজ । শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের নেতৃত্ব চট্রগ্রাম সমাবেশের ঘোষণা দিলে হেফাজতে ইসলাম ঐদিন চট্রগ্রামে হরতাল এবং সর্বাত্মক প্রতিরোধের ঘোষণা করেন । উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকার ১৪৪ ধারা জারী করেন । এর প্রেক্ষিতে শাহবাগের গণজাগরণ নেতৃত্ব সহিংসতার আশংকায় সমাবেশ স্থগিত করেন । শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের নেতৃত্ব তাদের চট্রগ্রামের সমাবেশ স্থগিত করার প্রেক্ষিতে হেফাজতে ইসলামও তাদের হরতাল প্রত্যাহার করেন ।
শাহবাগের গনজাগরণ মঞ্চ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন তাদের সম্পর্কে ওলামা মাশায়েকদের জামাত শিবির ভুল ধারনা দিয়েছেন । আর এই ভুল ধারনাকে পরিস্কার করার জন্য চট্রগ্রামের সর্বস্তরের ওলামা মাশায়েকদের সাথে আলোচনার প্রস্তাব দেন । আলোচনার প্রস্তাবে হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে বলা হয় নাস্তিকদের সাথে কিসের আলোচনা । যারা রাসুল (সাঃ)কে সম্মান করে না, অবমাননা করে, অসম্মান করে । তাদের সাথে রাসুল (সাঃ)কে পছন্দ করে এমন লোকের আলোচনা হতে পারে না । আমরা এই নাস্তিকদের যেখানে পাব সেখানেই প্রতিরোধ করব ।
হেফাজতে ইসলামের এই বক্তব্য ইসলাম সম্মত কিনা জানি না, তবে সাধারন বিবেচনায় আলোচনা নাকচ করে প্রতিরোধের ঘোষণা সভ্য সুন্দর বিবেকের সমাজ তৈরীর ক্ষেত্রে অন্তরায় । হেফাজতে ইসলামের বক্তব্যে জোর-জুলুমের রাজনীতির গুরুত্ব পেয়েছে যা ইসলাম সম্মত নয় বলে অনেকে মনে করেন । উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নাগরিক সমাজে প্রশ্ন ওঠেছে এতদিন ইসলাম সম্পর্কে যা জেনেছি তা হচ্ছে-ইসলাম পরমত সহিঞ্চু, ইসলাম আলোচনা, যুক্তিতর্ককে প্রাধান্য দেয়, নাস্তিককে আস্তিকে পরিনত করার দায়িত্ব ইসলামী জ্ঞানের দিশারীদের । কিন্তু হেফাজতে ইসলামের ইসলামী জ্ঞানের দিশারী বিজ্ঞ ওলামা মাশায়েকরা কথিত নাস্তিকদের সাথে বসতেই নারাজ এবং প্রতিরোধের হুংকার । এই প্রতিরোধের হুংকার কেন ? নাস্তিকদের সাথে বসলে হুজুরদের আস্তিকতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে,না থলের বিড়াল বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে !
ব্লগারদের দাবীর সাথে দ্বিমত পোষন বা বিরোধী অবস্থানে জামাত শিবির থাকবে এটাই স্বাভাবিক । কিন্তু এ ক্ষেত্রে রহস্যজনক ভাবে জামাত শিবির সরাসরি না এসে ওলামা মাশায়েক, হেফাজতে ইসলাম এ ধরনের ব্যানারে ব্লগারদের দাবীর প্রতি সমর্থন বা বিরোধীতা নয় বরং ওল্টো ব্লগারদের ওপর নাস্তিক মুরতাদ জাতিয় অভিযোগ তুলে ব্লগারদের প্রতিরোধে জিহাদ ঘোষণা করেছেন ।
মজার বিষয় হচ্ছে, ব্লগাররা ঘোষনা দিয়ে বলেছেন ওনারা যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দাবী করছেন এবং ওনারা ব্যক্তিজীবন ও গণজাগরণের ব্যানারে নাস্তিক্যবাদ অথবা ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়ার মত কোন কথাই বলছেন না অথচ নাস্তিক মুরতাদ জাতিয় অভিযোগ তুলে ব্লগারদের প্রতিরোধে ধর্ম ভীরু নাগরিকদের উস্কে দিচ্ছে হেফাজতে ইসলাম ও ওলামা মাশায়েক ব্যানারে মূলতঃ জামাত শিবির চক্র । হেফাজতে ইসলাম থেকে যাদের নাস্তিক বলা হচ্ছে, এই কথিত নাস্তিকরা বলছেন ওনারা নাস্তিক নয় ওনারা আস্তিক । তাহলে এই নাস্তিকতার বায়ুবীয় অভিযোগটি রহস্যজনক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত নয় কি ?
অন্যদিকে সস্তা রাজনীতিতে ভোটের বস্তা নিজেদের অনুকূলে রাখতে রাজনীতিবিদরা ধর্ম ভীরু মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন । নিজেরা ধর্ম কর্মের চর্চা না করলেও রাষ্ট্রীয় পরিসরে ধর্মের জন্য রীতিমত জেহাদী বক্তব্যে রাজনীতির মাঠ কাঁপাচ্ছেন । ভোটের রাজনীতির কূশীলবদের এহেন অদূরদর্শী, হটকারী ও নীতি আদর্শ বিবর্জিত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত সমূহ দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতাকে ব্যাহত করছে পদে পদে ।
একদিকে ইসলাম দরদীদের রণ হুংকার, অন্যদিকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অসহায় আর্তনাদ, আত্মচিৎকারে প্রকম্পিত হচ্ছে আকাশ-বাতাস, ক্রমশঃ ভয়ংকর ও ভারী হয়ে ওঠেছে পরিবেশ, নিজেদের চীর চেনা জানা মানুষজন ও পরিবেশ অপরিচিত ঠেকছে ।
নোয়াখালীর রামগঞ্জে সাম্প্রদায়িক উম্মাদনায় ক্ষতিগ্রস্ত জনৈক সংখ্যালঘু দুঃখ, কষ্ট ও ক্ষোভের সাথে উচ্চারণ করলেন- ভাবতে কষ্ট হচ্ছে, ৭১ এ আমরা, ৯২ তে আমরা আবার ২০১৩ তে আমরাই আক্রমনের শিকার ।
চোখের সামনেই হুংকার দিয়ে লন্ড ভন্ড ও আগুনে পুঁড়িয়ে মারার মহোৎসবে লিপ্ত হলো কিছু ধর্মান্ধ মানুষ । দাউ দাউ করে জ্বলছে তো জ্বলছেই, আগুন নিভানোর মানুষ- মানবতা কোথায় ! মন্দির মন্ডপ বাড়ি ঘরের আগুন জ্বলতে জ্বলতে ছাই হয়ে নিভে গেলেও আমার মন মন্দিরের আগুন নিভছে না । ছাই ছাপা আগুনের মত ডুকরে ডুকরে কেঁদে ওঠে, অবুঝ শিশুর মত হেঁচকি টানে মনটা শুধু যে কেঁদেই ক্ষান্ত হয় তা না, মাঝে মাঝে প্রতিশোধ নিতে ইচ্ছে হয় আমার ঠাকুর প্রতিমা গুঁড়িয়ে উল্লাস প্রকাশকারীদের মসজিদে ডুকে তছনছ করতে । আমার ঠাকুর প্রতিমা নিয়ে ঐ বিভৎস্য মানুষরা ঠাট্রা করে বলে কৈ তোদের প্রতিমাগুলি তো নিজেদের রক্ষা করতে পারেনি ! দেখতে ইচ্ছে করে আমিও তছনছ করি ওর মসজিদ, দেখি ওদের মসজিদ নিজেকে তছনছ করা থেকে আমাকে ঠেকাতে পারে কি !
আমার না হয় প্রতিশোধ স্পীহা জেগেছে । কিন্তু আমাদের হিন্দু পাড়ার মানুষদের অন্যায় অপরাধ কি ছিল ? আমরা কেউ জানি না, কেন হামলে পড়ল ধর্মীয় রাজনীতির মানুষ গুলো । আমরা সংখ্যালঘু-এটা কি আমাদের অপরাধ ! আমরা ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধে সক্রীয় ছিলাম-এটা কি আমাদের অপরাধ ! আমরা মুখ বুঝে সহ্য করি-এটাই কি ওদের আক্রমনকে উৎসাহিত করে !
সেই দিনকার ভয়ংকর তান্ডবে ভয় পেয়েছিল আমার অবুঝ শিশু সন্তাটি । কিন্তু একটু ভয় পেলেও এখন কাটিয়ে ওঠেছে সে । শুধু কাটিয়ে ওঠেছে বললে ভুল হবে । কেমন জানি সে উপভোগ করছে, আনন্দ করছে, দৌঁড়া দৌঁড়ি হৈ হুল্লর করে ছুটছে, টিভি ও সংবাদ পত্রের ক্যামেরা, হুন্ডা- মাইক্রো বাসের পিছনে পাড়ার অন্য ছোট শিশুদের দলের সাথে । হিন্দু পাড়া ও মুসলিম পাড়ার শিশুরা দল বেঁধে ছুটছে দেখতে আসা টিভি পত্রিকা সাংবাদিকের পিছনে, মানবধিকার কর্মীদের পিছনে, প্রগতিশীল রাজনীতিবিদের টিমের পিছনে, সুশীল বুদ্ধিজীবি প্রতিনিধি দলের পিছনে ।
আমার শিশু সন্তানটি সদলবলে হৈ চৈ করে ছুটোছুটি আনন্দ চিৎকার আমার স্মৃতিকেও নাড়া দেয়, দগ্ধ করে, রক্ত ক্ষরণ করে হৃদয়ে । আমার শৈশবে আমিও সফিক সাদেক ও আকবরদের সাথে এরকমই শৈশব কাটিয়েছি । কৈ ? তখনতো ঘূনাক্ষরেও বুঝতে পারিনি, কল্পণাও করতে পারিনি । ওদের সন্তানরাই শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর আমারই সামনে ঠাকুর প্রতিমা ভেঙ্গে চুরে লন্ড ভন্ড করে আগুন ধরিয়ে দিবে ঠাকুর ঘর ও বসত ঘরে ।
এই সেই দিনও তো সফিক সাদেক সহ বাজার থেকে ফেরার পথে বাজারে জিনিস পত্রের বাড়তি দাম, এই মৌসুমে ধানের ফলন, শরীর-স্বাস্থ্য, ঔষধ পত্রের গল্প সল্প করতে করতে বাড়ি ফিরেছি । এর মধ্যে এমন কি হল, সব ক্ষোভ-রোশের কারন হতে হল আমাদের গুটিকয়েক হিন্দু বাড়ি ও হিন্দু মন্দির ।
আমার বড় ছেলে গোবিন্দ স্কুলে না যাওয়াতে মোকলেছ মাষ্টার গোবিন্দের খবর নিতে এসেছিল । স্যারকে দেখে গোবিন্দ আদাপ দিয়ে ঠাই দাঁড়িয়ে ফ্যাল ফ্যাল করে অতঃপর গুমড়িয়ে গুমড়িয়ে কাঁদতে থাকল, স্যারও বোধহয় চোখের পানি ধরে রাখতে পারেন নি । আমি মোকলেছ মাষ্টারের কাছাকাছি আসতে দেখে স্যার নিজেকে সংবরণ করে রুমাল দিয়ে চোখ মুছলেন এবং আমাকে বলল ওকে স্কুলে পাঠাবা । জানোয়ারের দলতো বই খাতা সব পুঁড়িয়ে দিয়েছে, ওরা মানুষ না, ওরা উন্মাদ । যাহোক, হেড স্যার গোবিন্দের খবর নিতে আমাকে পাঠিয়েছেন । হেড স্যার বলেছেন আজ থেকে গোবিন্দের থাকা খাওয়া সহ সব খরচ স্কুল বহন করবে । গোবিন্দ আমাদের স্কুলের স্কলার স্টুডেন্ট, ও স্কুলের সম্পদ, ওর রেজাল্টে স্কুলের মর্যাদা বাড়বে ।
গোবিন্দের মা কথা ও আচরণে স্যারকে বসতে দিতে না পারার সংকোচ প্রকাশ করে বললেন, ছেলেটা আমার বোকা ধরনের হোষ্টেলে মুসলমান সহপাঠি বন্ধুদের কি বলতে কি বলে যদি নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, এতে স্কুল আক্রান্ত হয়ে স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হবে । স্যার, তার চাইতে ওকে ওর মামার গ্যারেজের কাজ শিখতে পাঠাবো ভাবছি । এতে নিরাপদ থাকবে জীবনটা বাঁচবে এবং ভবিষ্যতের জন্য দু-চার টাকা জমাতেও পারবে ।
স্যার গোবিন্দের মাকে বলল বুঝছি আপনার মনের অবস্থা ছেলের বেঁচে থাকা ও নিরাপত্তা নিয়ে আপনি চিন্তিত । তবে আপনি একা নন, মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের ধর্ম বর্ণ জাতি গোষ্ঠী নির্বিশেষে কম বেশী সবাই চিন্তিত । এখনতো এদেশে পাকহানাদারা দেশ শাসন করছে না । এখনও কেন পাকস্থানিদের মত সাম্প্রদয়িক মানুষিকতা নির্ভর রাজনৈতিক চর্চা করবে মু্ক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ।
আর আমরা যদি সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে মোকাবেলা না করে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করি । এতে অশুভ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী উৎসাহিত হয়ে সাম্প্রদায়িকতার বিষ বাষ্প ছড়িয়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করবে সারা দেশে । যার ছোবল থেকে মুক্তি আপনার সন্তানসহ উদ্বিগ্ন শত কোটি বাংলা মায়ের সন্তানদের কারোরই মিলবে না । এরা দেশটা বর্তমান পাকিস্থানের মতই মৃত্যুকূপে পরিণত করবে, জঙ্গীবাদের হায়েনাদের অভয়ারণ্যে পরিণত করবে ।
যারা জঙ্গীবাদ ও সাম্প্রদায়িক হায়েনা নির্ভর সমাজ চায়, এদেশের মাটি ও মানুষ এদের বিভ্রান্তি মূলক প্ররোচণায় সাময়িক বিভ্রান্তিতে পড়লেও স্থায়ী ভাবে কখনই মেনে নেয়নি, নিবেও না । মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ রুখে দাঁড়াবেই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, তার ভিতরের অন্তর্নিহিত চেতনা ও সম্ভাবনাকে ধারন করে ।
এই সাম্প্রদায়িক জঙ্গী শক্তির বিরুদ্ধে আজ প্রতিরোধের সংকল্প দানা বাঁধছে শহর বন্দর গ্রামে গঞ্জে সর্বত্র । প্রতিরোধের শপথ নিয়েছে তারুণ্যের শক্তি শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ । প্রতিরোধে ঐক্যবদ্য হচ্ছে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ফোরাম সহ সকল মুক্তিকামী মানুষ । প্রতিরোধে এগিয়ে এসেছে সুশীল সমাজের বিজ্ঞ জনেরা । এই প্রতিরোধ মুক্তিযুদ্ধের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করবেই করবে ।
লেখকঃ জাপান প্রবাসী
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন