শিবির নিধনের লক্ষ্যে গুলি, গ্রেনেড, গ্যাস বোমের ব্যবহার উদ্বোধন!
নজরুল ইসলাম টিপু
আওয়ামীলীগ বিগত নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে ক্ষমতার শেষাবধি মধ্য গগনে জ্বলজ্বল করে থাকতে চেয়েছিল। চার বছরের শেষ দিকে যখন তাদের অবস্থান ভূতলে আছড়ে পড়ল, তখন তারা হিসেবে কষতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল, তাদের কর্মকাণ্ডের কোন জিনিষটি উপরে আছে! দাম্ভিক পালোয়ান, চিকন আলীর মুড়ো প্যাঁচে যখন মাটিতে আছড়ে পড়ে। তখন পালোয়ান ভাবতে থাকে কুস্তিগিরির পদক-পদবী তো গেলই, তিনি যে একদা নামকরা কুস্তিগির ছিলেন দর্শক সেটাও ভুলে যায় কিনা! পালোয়ান গা ঝাড়া মেরে লাফিয়ে উঠে বলেন, মাটিতে পড়েছি তো কি হয়েছে! পা দুটো তো উপরে ছিল! বর্তমান আওয়ামী সরকারের দুর্গতি দাম্ভিক পালোয়ানের ছেয়ে কোন অংশে কম নয়! বস্তুত আওয়ামীলীগ দলবল সহ আছড়ে পড়লেও, মুখের চাপার জোড়ে উপরে থাকার প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছে। দুর্গতি হল, তারা চিল্লায়ে নিজেদের যতই উপরে রাখার চেষ্টা করছে, দর্শকেরা ততোধিক আগ্রহ নিয়ে অবলোকন করে যাচ্ছে মাটিতে পড়া অঙ্গের কি দশা হচ্ছে!
৩১শে ডিসেম্বর ১২ তারিখে বাম মোর্চার জ্বালানী মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচীর মিছিলে, পুলিশের বেপরোয়া লাটি পেটায় বহু মানুষ আহত হয়েছে। বিনা উস্কানিতে পুলিশ তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। নতুন বছর ২০১৩ সালের শুরুতে পুলিশের দমন প্রস্তুতিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়। বিগত নভেম্বর ২০১২ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে, শিবিরের মিছিল প্রতিরোধে প্রয়োজনে গুলি চালানো হবে। নূতন বছর ২০১৩ সালের শুরুতে বিগত ২ ও ৩ তারিখে ইসলামী ছাত্রশিবির কারাবন্দী নেতাদের মুক্তির দাবীতে মিছিল বের করে। অতর্কিতে পুলিশ মিছিলের আগে ও পিছনে হামলা করে বসে। এবার লাটি পেটা নয়, বিসমিল্লাতেই টিয়ার শেল, গুলি, গ্রেনেড, গ্যাস ব্যোম ব্যবহার হয়! ফলে মিছিলের সামনে সারির নেতারা ও পিছনের সারির কর্মীরা জখম হয়। সাংবাদিকেরা পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করে জানতে পারেন যে, ছাত্র শিবিরের ছেলেরা গাড়ি ভাঙ্গার নিয়তে রাস্তায় নেমেছিল তাই সামরিক স্টাইলে পুলিশ হামলা করেছে! শিবিরের ছেলেরা কোন গাড়ির উপর হামলা করেছে এমন কোন নজির দেখাতে না পারলেও; শিবিরের অদৃশ্য নিয়তের উপর নির্ভর করেই পুলিশ গুলি, গ্রেনেড, গ্যাস বোমা ব্যবহার করেছে!
দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে পুলিশ বাহিনী জাতির কাছে বদ্ধপরিকর। সামাজিক অপরাধ মোকাবেলায় পুলিশের ধারনা ও যোগ্যতা তুলনামূলক ভাবে অন্যান্য বাহিনীর চেয়ে বেশী। সেজন্য স্বাধীনভাবে পুলিশের কাজ পুলিশকে করতে দেওয়া উচিত। পুলিশের দায়িত্বের মাঝে রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধি ঢুকিয়ে দিলে তা বুমেরাং হতে বাধ্য। সামরিক স্টাইলে পুলিশের কাছে বোমা সরবরাহ করা কতটুকু যুক্তি সঙ্গত হয়েছে, কারো বোধগম্য নয়! সাধারণ মানুষ কিভাবে নিশ্চিত হবে কোন বোমায় গ্যাস আছে, কোন বোমায় আওয়াজ আছে আর কোন বোমায় ধাতব বস্তু আছে! প্রথম দিনের গ্রেনেড চার্জেই সরকারের নানা সমালোচনা শুরু হয়েছে। শিবিরের মিছিল থেকেই শিবিরের কর্মী ধরতে পুলিশ ব্যর্থ হয়। সেখানে মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে গ্রেনেড চার্জ করে, গুলি মেরে, গ্যাস ব্যোম ছুঁড়ে শিবির আটক করা হয়। তাহলে বাতাসে মিশ্রিত গ্যাস ও ধুয়া জনসাধারণ কে শাস্তি দেবার জন্য লোকালয়ে রেখে যাওয়া কতটুকু আইন সঙ্গত! আধাসামরিক বাহিনীর কাজ সরকার পুলিশের হাতে ন্যস্ত করে এই বাহিনীকে আরো বেপরোয়া করে দেবার পথ প্রশস্ত করে দিল! ২০১২ সালের শেষ দিনে বাম মোর্চার মিছিলে লাটি পেটা করা হল আর ২০১৩ সালের শুরুর দিনে শিবিরের মিছিল থামাতে গুলি, গ্রেনেড ব্যবহার হল! জাতি নিশ্চিত ধরে নিতে পারে এখন থেকে রাস্তার গণ্ডগোল থামাতে পুলিশ লাটি পেটার মত শারীরিক কষ্টকর, কিছুটা যু্ঁকিপূর্ন কাজ পরিহার করে শুরুতেই গুলি, গ্রেনেড, গ্যাস দিয়ে জবাব দিবে! মানুষের ধর্ম হল কম কষ্টে, কম সময়ে লক্ষ্যে পৌঁছানো। সুতরাং মিছিল মিটিং পণ্ড করার জন্য যে আধুনিক বিদ্যা সরকার পুলিশের হাতে তুলে দিল, তার পরিণাম বর্তমান সরকার এবং পুরো জাতি হাড়ে হাড়ে টের পেতে বেশী দিন অপেক্ষা করতে হবেনা।
বর্তমান সরকারের খাতায় সবচেয়ে ক্ষতিকর ও প্রতিক্রিয়াশীল দলের নাম ছাত্র শিবির। তাদের অপরাধ তারা তাদের বন্ধী নেতাদের মুক্তি দাবী করে! সেসব বন্ধী নেতা সরকারের হাল আমলের খাতায় যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি চায় তারাও একপ্রকার যুদ্ধাপরাধী। তাই এসব ছাত্রদের রাস্তায় নামার কোন অধিকার নাই! তারা সুবিচার পেতে পারেনা, আইনের সুবিধা তাদের জন্য সীমিত, বিনা বিচারে জেলে থাকার উপযুক্ত, এমনকি তাদের জন্য যারা আইনি লড়াই চালাতে ইচ্ছুক তারাও একপ্রকার অপরাধী! এসব ব্যক্তিদের অপরাধের মাত্রা এমন গুরুতর যে, ফাঁসির আসামী, রাষ্ট্রীয় ক্রিমিনাল, পুরষ্কার ঘোষিত সন্ত্রাসী, ১১ নারীকে ধর্ষণের পর নির্মম হত্যাকারী ‘রসু খাঁ’ পর্যন্ত নাগরিক সুবিধা, বিচারকি সুবিধা পেতে পারেন, তবে শিবির-জামায়াত সেটা পেতে পারে না! বর্তমানে আওয়ামী শাসনের আমলে রাষ্ট্রীয় নাগরিক সুবিধা না পাওয়া এবং চরম নির্যাতনের মুখোমুখি হবার জন্য শিবির করার অপরাধই যথেষ্ট! বিশ্বজিত শ্রী রামের দোহাই দিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের পা ধরেছিলেন, তারপরও সে মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নেবার সুযোগ পায়নি কেননা ছাত্রলীগ নেতাদের বিশ্বাস ছিল দেশের অনেক হিন্দু ছেলেরাও এখন শিবিরকে পছন্দ করে!
পত্রিকায় ছবি প্রকাশিত হয়েছে, মিছিলে গ্রেনেড মেরে রাস্তা থেকে মানুষ ধরে তার মানি ব্যাগ পুলিশ অফিসার নিজের পকেটে চালান করে দিচ্ছেন। দিনে দুপুরে প্রচুর ক্যামেরার সামনে এই নির্লজ্জ জাতি বিনাশী কাজ করতে যে পুলিশ অফিসারের কর্তব্য বোধে আঘাত প্রাপ্ত হয়নি। তার পক্ষে এসব গ্যাস বোম, গ্রেনেড সামান্য টাকার বিনিময়ে খোলা বাজারে বিক্রি করবে না, এই নিশ্চয়তা দেবে কে! এই সরকার চলে গেলে নূতন সরকার আসবে, তখন এসব পুলিশ তাদের পুরানো ঐতিহ্য নিয়ে স্ব-পদে বহাল থাকবে। আজকে যারা ক্ষমতায় দম্ভে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় পুলিশের হাতকে কদাকার করে তুলেছেন। কোন সন্দেহ নাই যে, তখন তারাই এসব কর্মকাণ্ডের নির্মম শিকারে পরিণত হবেন। সে ধরনের ঘটনার বহু নজীর দেশে আছে, কলেরব বাড়ায় ভয়ে উদাহরণের দিকে গেলাম না। তবে তারা যদি ভেবে থাকেন তাদের রাজনীতির জীবন এখানেই শেষ জনগণের কাছে আর কোনদিন ভোটের জন্য দ্বারস্থ হতে হবে না। তাহলে ভিন্ন কথা কিন্তু এমন কোন লক্ষণ সেসব নেতা-নেত্রীদের চরিত্রে, কথা-বার্তায় কিংবা আচরণে বুঝা যাচ্ছেনা। তাদের বাগাড়ম্বরে এই কথাই প্রকাশ হয় যে, জনগণ অতীতে বর্তমান শাসকের মত কোন সু-শাসক পায়নি! এমনকি শায়েস্তা খানের জামানায় যে টাকায় আটমন চাউল পাওয়া যেত, সেই সুনামকেও ফেল মারতে সক্ষম হয়েছে আওয়ামী শাসক দল! এই ধরনের হাস্যকর, চটকদার, পুরাপুরি মিথ্যার চাদরে আবৃত কথা তারা জনগণকে বুঝাতে পুলিশি শাসনের ব্যবস্থা দৃঢ় করেছে।
প্রায় সকল দিকে ব্যর্থ আওয়ামীলীগ সরকার বলে যাচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে রায় তারা কার্যকর করবেই। এটা তাদের নির্বাচনী ওয়াদা, এটা বাস্তবায়ন করার জন্য জনগণ তাদের বিপুল ভোট দিয়েছে। কথা হল জনগণ তাদেরকে ভোট দিয়ে পুরো নির্বাচনী ওয়াদা পূরণ করার জন্য, শুধুমাত্র একটি খণ্ডিত দাবীর জন্য নয়! যুদ্ধাপরাধের বিচার করবে এটার জন্য ওয়াদা করতে হবে কেন? সকল প্রকার অন্যায়ের বিপরীতে সুবিচার প্রতিষ্ঠা করতেই হবে এটা একটা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব! তাহলে সে দায়িত্ব পালনের ওয়াদা কেন? সরকারের কি সৎ সাহস হবে কি মিশরের মত গণভোট দিয়ে জনমত যাচাইয়ে? তামাশার রাজনীতি করতে গিয়ে, আওয়ামী সরকার পুরো দেশের সংহতিতে দুইভাগে বিভক্ত করে ফেলেছে। একদিকে নিজের দলের মানুষদের চরম অন্যায় বাড়াবাড়িকে প্রশ্রয় দিচ্ছে অন্য দিকে শিবির জামায়াত রাস্তায় দেখলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। সন্দেহের বসে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে দিনের পর দিন জেলে ঢুকিয়ে রাখা হচ্ছে। বর্তমানের এই শাসনের সাথে তুলনা করা যায় একমাত্র ১৯৭৩ সালের বীভৎস শাসনের সাথে! তখন তাদের অপশাসনে অতিষ্ঠ হয়ে মানুষ শহরে ছেড়ে গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিল। গ্রামের মানুষ পাহাড়ে লুকিয়েছিল। নুন আর খুনের দর একই কাতারে নেমে এসেছিল। অবশেষে অতিষ্ঠ মানুষ মারমুখো হয়ে উঠেছিল। ছাত্র ইউনিয়ন নেত্রী মতিয়া চৌধুরী শেখ মুজিবুর রহমানের শরীরের চামড়া দিয়ে ঢুগঢুগি বানাবার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিল। ১ মার্চ ১৯৭৪ সালে হাসানুল হক ইনুর দল প্রতিবাদ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে স্মারক দিতে গেলে আওয়ামী পুলিশ মারণাস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সর্বমোট ৫০ জন কর্মীর লাশ রাস্তায় ফেলে, ইনু সাহেবেরা প্রাণ বাঁচিয়েছিল। আজকের পুলিশ বাহিনীকে সেই ৭৩ এর কায়দায় আবারো প্রশিক্ষিত করে তোলা হচ্ছে।
বর্তমান সরকারের অবস্থা ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচির মত। তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতিতে নির্বাচনে গেলে তাদের ফলাফল বর্তমান বিএনপির চেয়েও খারাপ হবে। প্রতিটি ক্ষমতাশীল সরকার স্বচ্ছ নির্বাচনকে বরাবরই ভয় পেয়েছে। বর্তমান সরকারের কাছে নির্বাচন ভীতি চরম আকার ধারণ করেছে। তারা পরিছন্ন নির্বাচনের মুখোমুখি হতে চায়না, তাই তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি বাতিল করেছে। উপায়হীন সরকারের বিশ্ববাসীর চোখে ধুলো দিতে তাদের সামনে বিকল্প মাত্র দুটো পথ খোলা আছে। সরকার সে দুটোর কোন একটা দিয়ে তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চায়। প্রথমত, তাদের মত করে একটি ভজঘট নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। এরশাদ বিরোধী দলে বসার জন্য অনেক আগে থেকেই বুকিং দিয়ে রেখেছে। জামায়াত যদি সেই নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়, তাহলে সরকারের পোয়াবারো। এক্ষেত্রে সরকার জামায়াতকে কিছুটা ছাড় দিতে রাজি আছে। জামায়াত বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচনে গেলে, যুদ্ধাপরাধের মত গুরুতর ইস্যু পর্যন্ত হালকা হয়ে যেতে পারে! এর ফলে বিএনপিকে জোড় পায়ে কিক মারার সুযোগ এসে যাবে। জামায়াতের জন্য এই বিকল্পে হ্যাঁ বলা আর আত্মহত্যা করা একই সমান। ফলে দ্বিতীয় পথই একমাত্র সমাধান।
দ্বিতীয় পথ হল, জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে ক্ষমতাকে দীর্ঘমেয়াদে নিয়ে যাওয়া! আর জরুরী অবস্থা ঘোষণার জন্য দরকার দেশের একটি জরুরী পরিস্থিতি! জরুরী পরিস্থিতি তো এমনি তৈরি হয়না, তাই সরকারই বিরোধী দলকে খুঁচিয়ে সেই পরিস্থিতি তৈরির জন্য উছিলা সন্ধানে ব্যস্ত। সরকার শতভাগ নিশ্চিত এই পরিস্থিতি বিএনপির পক্ষে তৈরি করা সম্ভব নয়। দলের নেত্রীকে বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ, হুইপকে রাস্তায় দৌড়ায়ে পিটানোর মাধ্যমে সরকার বুঝে গেছে, এরা কতটুকু করতে পারে। বিকল্প রইল শুধুমাত্র জামায়াত। সরকার আন্তরিকতার সহিত কামনা করে যে, ছাত্র শিবির জোরালো প্রতিবাদ করার জন্য রাস্তায় নেমে আসুক এবং পুলিশের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ুক। পুলিশ যাতে তা প্রতিহত করতে পারে তার জন্য নির্যাতন মূলক অত্যাধুনিক অস্ত্র জোগাড় করা হয়েছে। যা পুলিশ ইতিমধ্যে ব্যবহার শুরু করেছে। কিছু পত্রিকা পুলিশকে উস্কে দিচ্ছে। শিবিরের শান্তিপূর্ণ মিছিল হলে তারপর দিন পত্রিকার শিরোনামে প্রশ্ন করা হয়; পুলিশ কোথায় ছিল? জামায়াত শিবিরের নেতাদেরকে বিনা দোষে গ্রেফতার করা হচ্ছে। মিছিল করতে নামলেই পুলিশি নির্যাতন কপালে জুঠছে। ছাত্রী সংস্থার নারীদের বিনা অপরাধে হাজত বাস করানো হচ্ছে। জামায়াত শিবির অপরাধে আবাল, বৃদ্ধ, বালক, বনিতা, শিশু, কিশোর, নারী, মহিলা কেউ পুলিশি নির্যাতন থেকে বাদ যাচ্ছেনা। সরকার ইচ্ছে করেই পরিস্থিতিকে উসকিয়ে দিচ্ছে। তারা খোঁচা দিয়ে ছাত্র শিবিরকে চরম পন্থা গ্রহণের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী সরকার মনে প্রাণে প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় এটা এখন শয়তানও বিশ্বাস করেনা। তারপরও চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের মামলার আসামীদের টোপ বানিয়ে সরকার শিবিরের পক্ষ থেকে একটি গোলযোগের অপেক্ষায় অধির আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে! কিছু সংবাদ পত্র হাতে কলম নিয়ে বসে আছে সেই মাহেদ্রক্ষণের অপেক্ষায়। ছাত্রশিবির টোপ গিলে একটি ঘটনা ঘটিয়ে বসুক, যাতে সরকার নিরাপত্তা রক্ষায় অজুহাত দেখিয়ে জরুরী অবস্থা জারি করতে পারে। নিজেরা ক্ষমতায় নাই বা থাকল, তবে বিএনপির ক্ষমতায় বসার স্বপ্ন তো ধূলিসাৎ হবে! ততদিনে নিজেরা নিজেদের মত করে ক্ষমতা ছাড়, গদি ছাড় এবং দেশ ছাড়ার সুযোগটি নিয়ে ফেলতে পারবে। ২০০৪ সালে জেএমবি এক সাথে সারা দেশের ৫০০ স্থানে বোমা ফাটিয়েছিল, তখন জরুরী অবস্থা আসেনি। তবে বর্তমানে ছাত্র শিবির যদি জেএমবির মত এক সাথে দেশের ৫০০ টি স্থানে নয় মাত্র ৫০ টি স্থানেই যদি বোমা ফাটায় তাহলে দেশে জরুরী অবস্থা জারি শতভাগ নিশ্চিত! সুতরাং সাধু সাবধান..........
লেখকঃ আমিরাত প্রবাসী
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন