সাপ্তাহিকী
|
এস এম মুকুল
|
|
পোল্ট্রি শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে হবে
29 Dec, 2012
ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তের দাঁড়িয়ে আমাদের পোল্ট্রি শিল্প। দেশীয় পুঁজি এবং দেশয়ি উদ্যোগে তিলে তিলে গড়ে উঠা এই শিল্পটি দেশের পুষ্টি চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে বিরাট ভুমিকা রেখেছে। পোল্ট্রি ব্যাপকভিত্তিক কর্মসংস্থানমুখি একটি সমৃদ্ধ শিল্প। বিশেষত আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে এই শিল্প নতুন বিপ্লবের পথ দেখিয়েছে। শুধুমাত্র সরকারের অপেক্ষায় বসে না থেকে এবং শুধুমাত্র চাকরি নির্ভরশীল না হয়ে আমাদের যুব সমাজ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুঁজি নিয়ে সমৃদ্ধ অর্থকরী শিল্পে পরিণত করেছে পোল্ট্রি শিল্পকে। ব্যাপারটিকে হাল্কা করে দেখার মোটেই অবকাশ নেই। পোল্ট্রি শিল্পের কল্যাণে আমাদের দেশের যুব ও যুব মহিলারা নিজেদেরকে সফল ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। নিজেদের সক্ষমতার সীমারেখায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুঁজি বিনিয়োগের মাধ্যমে পোল্ট্রি শিল্পের মতো এমন ব্যাপকভিত্তিক সফলতা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, পুষ্টি চাহিদা পূরণের নজির আর কোনো শিল্পে লক্ষ্য করা যায়নি। সবচেয়ে বড় কথা- পোল্ট্রি এমন একটি শিল্প যে শিল্পটি শুধুমাত্র মহানগর কেন্দ্রীক নয়, এই শিল্পটি জেলা, উপজেলা এমনকি গ্রাম পর্যায়ে বিস্তৃতি লাভ করেছে। এই শিল্পকে কেন্দ্র করে পরিচালনা, পরিচর্যা, বাজারজাতকরণ এবং খাদ্য উৎপাদন কার্যক্রমের সুবাদে আরো ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারে ব্যবসা এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। পোল্ট্রির মাধ্যমে আমরা ডিম এবং মাংস দুটি খাদ্য থেকেই প্রোটিন চাহিদা পূরণ করছি।
সম্ভাবনাময় ব্যাপক কর্মসংস্থানমুখি এই শিল্পকে কেন্দ্র করে অনেক ষড়যন্ত্র, গুজব, আতঙ্ক ছড়ানো হয়েছে, এখনো হচ্ছে। আমাদের জাতীয় স্বার্থে এসব গুজব, আতঙ্ক এবং ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়া পোল্ট্রি শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে হবে। ত্রিমুখী সমস্যায় চরম দুর্দিনে নেমেছে পোল্ট্রি ব্যবসা। তাঁর ফল ভোগ করছে সাধারণ জনগণ। দেশজুড়ে বার্ড ফ্লু’র প্রকোপ বৃদ্ধি, বাচ্চা ও খাবারের দাম বাড়ার কারণে বন্ধ হচ্ছে অনেক পোল্ট্রি খামার। গত ৬/৭ বছর আগে ডিমের হালি ছিলো ১২ থেকে ১৬ টাকা। তখন পোল্ট্রি’র মুরগীর দাম ছিলো ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। অবহেলা আর ষড়যন্ত্রে শিকারে পরিণত হওয়ার ফলে বর্তমানে ৪০ টাকা হালি ডিম এবং ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি মুরগী খেতে হচ্ছে। এই সামর্থ্য বাংলাদেশের কত ভাগ মানুষের আছে তা সহজেই অনুমেয়। এখন পরিণতি কি বলছেÑ আমরা বোধ হয় আর ডিম খেতে পারবোনা! মুরগীর মাংস খেতে পারবে কি ১৬ কোটি বাঙালি? যদি এই আশঙ্কাই সত্যি হয়, তাহলে আগামী প্রজন্ম বেড়ে উঠবে পুষ্টিহীন আর মেধাহীন প্রজন্ম হিসেবে!? কাজেই প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে, দেশীয় পুঁজিতে গড়ে উঠা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলোকে রক্ষা করতে এবং কোটি মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হলে পোল্ট্রি শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার কোনো বিকল্প নেই।
তথ্য উপাত্তে জানা যায়, বিকাশমান পোল্ট্রি শিল্পের যাত্রা শুরু হয় ৯০ এর দশকে। তারও আগে ১৯৬৪ সালে ৩০ একর জমির উপরে গাজীপুরে ব্যক্তি উদ্যোগে পোল্ট্রি শিল্পের গোড়াপত্তন হয়। তবে ১৯৯৫-৯৬ সালে দেশী ও সোনালী জাতের মুরগীর বাইরে উন্নত জাতের লেয়ার ও ব্রয়লার মুরগীর চাষে খামারিরা ব্যাপক সফলতা অর্জন করে। এরফলে দেশের জনগণ আয়-উপার্জনের সামঞ্জস্যতায় ডিম ও মুরগীর মাংস খেতে পারে। গ্রামে-গঞ্জে গেলে এখন দেখা যাবে যেসব পরিবার বছরে দুই ঈদ ছাড়া মাংসের স্বাদ পেত না, পোল্ট্রির কল্যাণে তারা সহসাই ডিম ও মাংসের স্বাদ নিতে পারছে। মেহমানকে আপ্যায়ন করতে পারছে। পুরণ হচ্ছে আমিষ ও পুষ্টি চাহিদা। গ্রামীণ পর্যায়ে এই শিল্পের কল্যাণে যুব নারী ও যুবকেরা নিজেদের জীবনমানের উন্নয়ন, নিজের স্বকর্মসংস্থান এবং অপরের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনে বিরাট ভুমিকা রেখেছে। তথ্য থেকে জানা যায়, ১৯৭২-৭৩ সালে জিডিপিতে প্রাণীসম্পদ খাতের অবদান ছিলো প্রায় ৪ শতাংশ। বর্তমানে জিডিপিতে পোল্ট্রি ও প্রাণীসম্পদের অবদান ক্রমশ হ্রাস পেতে পেতে আড়াই শতাংশে নেমে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, পোল্ট্রি শিল্পের সমস্যা শীঘ্র সমাধান না হলে দেশে ব্যাপক মাংস ঘাটতি দেখা দিবে। পোল্ট্রি ব্যবসা বন্ধ হলে নিম্নবিত্ত জনগণ আর মাংস খেতে পারবেনা।
পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশ ও সফলতার পেছনে রয়েছে বেসরকারি পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি মানের উদ্যোক্তাদের নীরব বিপ্লব। চাকরির বাজারের উপর নির্ভরশীল না হয়ে দেশের যুব ও যুব মহিলারা স্বল্প মেয়াদি প্রশিক্ষণ আর সীমিত পুঁজি নিয়ে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন এই শিল্পকে। বহু বাধঁ-বিপত্তি, সীমাবদ্ধতার মধ্য থেকেও জিইয়ে রেখেছেন এই শিল্পের সম্ভাবনাকে। বার্ড ফ্লু আতঙ্কে এই শিল্পটি বেশ কয়েকবার ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে। পুঁজি সর্বস্ব হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছে অসংখ্য উদ্যোক্তা। কর্মসংস্থান হারিয়েছে লাখো মানুষ।
উদ্যোক্তা সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সাল পর্যন্ত দেশীয় চাহিদা পূরণ করেও বিদেশে রপ্তানি হয়েছে পোল্ট্রি পণ্য। ২০০৭ সালের মার্চ মাসে প্রথম বার্ড ফ্লু দেখা দেয়ার ফলে দুই বছরে এই শিল্প খাতের উদ্যোক্তাদের ক্ষতি হয় ৪১৫০ কোটি টাকা। পরবতী ২ বছর এই অবস্থার কিছুটা স্বাভাবিক গতি আসলেও ২০১১ সাল থেকে আবারো মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ে পোল্ট্রি শিল্প। প্রায় ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি এই আরো শিল্প বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করেছে পোল্ট্রি শিল্প। অর্থমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেনÑ পোল্ট্রি একটি আদর্শ শিল্প। এরচেয়ে ভালো শিল্প পাওয়া মুশকিল। তিনি বলেছেনÑ পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশ সম্ভব হলে আরো ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে। জানা গেছে, পোল্ট্রি শিল্পে ছোট বড় খামার রয়েছে প্রায় এক লাখ। প্রতি মাসে মুরগীর বাচ্চার চাহিদা প্রায় ৬০ লাখ। সেখানে উৎপাদন হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ লাখ। বেসরকারিভাবে এ শিল্পে বিনিয়োগের পরিমাণ রয়েছে ৮ হাজার কোটি টাকা।
তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা যায়, ১৯৯৬-৯৭ সালে থাইল্যান্ডের একটি প্রতিষ্ঠান পোল্ট্রি শিল্পখাতে বাংলাদেশে প্রথম বিনিয়োগ করে। এর ধারাবাহিকতায় সাতটি বিদেশী প্রতিষ্ঠান খামার ও ফিড মিলে ব্যবসা করছে। সাতটি প্রতিষ্ঠানের পাঁচটিই ভারতের বাকি দুটি থাইল্যান্ড এবং চীনা। জানাগেছে, আরো ৮টি বিদেশী প্রতিষ্ঠান পোল্ট্রি শিল্পখাতে বিনিয়োগ করতে আসছে। উদ্যোক্তাদের অভিমত, আগের সাতটি প্রতিষ্ঠান এই শিল্পের ৩৫ থেকে ৪০ ভাগ দখল করে রেখেছে। বাকি ৮টি প্রতিষ্ঠান আসলে এই শিল্পের ৭৫ থেকে ৮০ ভাগ চলে যাবে বিদেশী প্রতিষ্ঠানের দখলে। আর তখন মুখ থুবড়ে পড়বে দেশীয় শিল্প উদ্যোগগুলো। বিদেশী কোম্পানিগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়া দেশীয় খামাড়গুলোকে কিনে নিয়ে লঅভজনক ব্যবসা করছে। এটা কিকরে সম্ভব। তাহলে আগে খতিয়ে দেখতে হবে এই শিল্পে দেশীয় বিনিয়োগ অনিশ্চিত করার পেছনে বিদেশী কোম্পানীগুলোর কোনো হাত আছে কিনা।
২০২১ সালের মধ্যে বছরে ১২০০ কোটি ডিম ও ১০০ কোটি ব্রয়লার উৎপাদন সম্ভব
বার্ড ফ্লু’র কারণে পোল্ট্রি শিল্পে গত কয়েক বছরে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। বন্ধ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার পোল্ট্রি খামার। কর্মসংস্থান হারিয়ে নিস্ব হয়েছে প্রায় ২০ লাখ মানুষ। তারপরও বসে নেই খামারীরা। বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদের তথ্য মতে, ডিম ও মুরগির মাংস রপ্তানি করে বছরে ১২ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে এখাতের সাথে সংশ্লিষ্টরা। ১ লাখ ১২ হাজার পোল্ট্রি খামারে দৈনিক ১ কোটি ৪০ লাখ ডিম ও ১ হাজার ২০০ টন মাংস উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। পোল্ট্রি শিল্পের সংগঠন জাতীয় পরিষদের মতে, খামারিদের সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ, পোল্ট্রি শিল্পের জন্য বীমা প্রথা চালু এবং পোল্ট্রি নীতিমালা বাস্তবায়ন করা হলে এ খাত থেকে ডিম ও মাংস রপ্তানি করে বছরে ১২ হাজার কোটি আয় করা সম্ভব। পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়ন সম্ভব হলে ২০২১ সালের মধ্যে দেশে প্রতি বছর ১২০০ কোটি ডিম এবং ১০০ কোটিরও বেশি ব্রয়লার উৎপাদন করা সম্ভব। এই পদক্ষেপ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে এই সেক্টরে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে। এছাড়াও পোল্ট্রি লিটার থেকে বছরে প্রায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়। বিপিআই-এর গবেষণা তথ্যে বলা হয়েছে, ২০২১ সাল নাগাদ পোল্ট্রি শিল্পে বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়ারে ৬০ হাজার কোটি টাকা। এ সময়ের মধ্যে ছোট-বড় ও মাঝারি আকারের পোল্ট্রি খামারের সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৩ লাখ। তখন দেশের বৃহত্তর খাত হিসেবে পোল্ট্রি শিল্প আত্ম-প্রকাশ করবে। বলা হচ্ছে ২০২১ সালের মধ্যে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে এই শিল্পে। পোল্ট্রি খামার জেলা, উপজেলা থেকে ছড়িয়ে ইউনিয়ন থেকে গ্রাম পর্যায়ে চলে যাবে। পোল্ট্রি শিল্পে এখন বার্ষিক লেনদেনের পরিমান ৩০ হাজার ৪২ কোটি টাকা। ২০১৫ সালে এই লেনদেনের পরিমাণ হবে ৩৭ হাজার ১৬১ কোটি টাকা। ২০২১ সালে এর পরিমাণ আরো বেড়ে দাঁড়াবে ৪৭ হাজার ৫০২ কোটি টাকা। ৫ বছর আগে বাংলাদেশে পোল্ট্রি খামারের সংক্যা ছিলো প্রায় দেড় লক্ষ। তখন এই শিল্পে জড়িত ছিলো প্রায় ৬০ লাখ লোকের জীবিকা। এই শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের অভিমত, দেশের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ উৎপাদন পরিকল্পনা নিয়ে সরকার পৃষ্টপোষকতা দিয়ে অগ্রসর হলেÑ কর্মসংস্থান সৃষ্টি, পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য আনবে পোল্ট্রি শিল্প।
এই শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে প্রায় ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান, প্রায় ১ লাখ প্রাণী চিকিৎসক, পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞ, নিউট্রিশনিস্ট সরাসরি নিয়োজিত রয়েছেন। লক্ষাধিক দেশীয় খামারে হাজার হাজার কোটি টাকার বিণিয়োগ এখন অস্তিত্বের সঙ্কটে। এখন পরিকল্পনায় দূরদর্শীতার অভাবে সামান্যতম ভুল করলে বিপুল ও অপূরণীয় ক্ষতি হবে বাংলাদেশের। লাভবান হবে বিদেশী ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ বিদেশী ব্যবসার ক্ষেত্রে যেসব শর্ত-সুবিধা দিয়ে থাকে দেশীয় উদ্যোক্তারা তারচেয়ে বেশি সুবিধা প্রাপ্তির অধিকার রাখে। সম-সুবিধা পেলেও মেধা আর প্রচেষ্টার জোড়ে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। জাতীয় স্বার্থে এই শিল্প রক্ষায় সরকারকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবসম্মত ও সূদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। দেশীয় বেকারত্ব নিরসনের স্বার্থে দেশীয় খামারিদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রণোদনা সহায়তা দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং খামার পুণঃরায় চালু করতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে। পোল্ট্রি শিল্পকে বীমার আওতায় আনতে হবে। পোল্ট্রি শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহ সহজ ও শুল্কমুক্ত করতে হবে। ডিম আমদানী যাতে না করতে হয় সেজন্য দেশীয় পোল্ট্রি উদ্যোক্তাদের সরকারি পৃষ্টপোষকতা স্থায়ী সমাধানের পথ খুলে দিবে। দেশের জনগণের খাদ্য তালিকায় ডিম ও মুরগীর মাংসের নিশ্চয়তা প্রদান সরবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার। উদ্যোক্তাদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে সরকার সমাধানের উদ্যোগ নিবে এটাই জনগণের প্রত্যাশা।
এস এম মুকুল, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন