Image description

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পথচলায় নতুন ইতিহাস হলো আজ। প্রথমবারের মতো কোনো ইউরোপীয় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে লাল–সবুজরা। ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে আজারবাইজানের বিপক্ষে প্রথমার্ধে ১ ১ সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। ম্যাচের শুরু থেকেই বেশ শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে চোখে চোখ রেখে লড়াই করে মেয়েরা।

শুরুতেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে বাংলাদেশ। প্রত্যাশার বিপরীতে আজারবাইজানের রক্ষণকে একের পর এক চাপে রাখেন ঋতুপর্ণা চাকমা ও মনিকা চাকমারা। ম্যাচের শুরু থেকে দুই দলই সুযোগ তৈরি করলেও গোল আসছিল না। অবশেষে ২০ মিনিটে এগিয়ে যায় আজারবাইজান। বক্সের বাঁ দিক থেকে মানিয়া ইসরার দুর্দান্ত ক্রসে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন অধিনায়ক জাফারজাদা সেভিনজ।

গোল উদযাপনও ছিল আবেগঘন। ডাগআউট থেকে তাকে দেওয়া হয় একটি সাদা টি শার্ট, যেখানে লেখা ছিল ‘মমস নেভার ডাই, ইউ আর অলওয়েজ ইন মাই হার্ট’ অর্থাৎ ‘মায়েরা কখনো মারা যান না, তুমি সবসময় আমার মনে আছো।’ চোখে জল নিয়ে গোল উদযাপন করেন তিনি। নিঃসন্দেহে এই গোলটি তিনি উৎসর্গ করেছেন তার প্রয়াত মা’কে।

৩৩ মিনিটে সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। বাঁ প্রান্ত থেকে বল নিয়ে গতিতে এগিয়ে এসে ঋতুপর্ণা মনিকার উদ্দেশ্যে সুন্দর পাস বাড়ান। একেবারে সামনে ছিলেন আজারবাইজানের গোলরক্ষক শরিফা আয়তাজ। কিন্তু মনিকার শট তিনি শরীর দিয়ে ঠেকিয়ে দেন।

তবে পরের মিনিটেই কর্নার থেকে গোল পেয়ে যায় বাংলাদেশ। স্বপ্না রানীর নেওয়া কর্নার শট গোলরক্ষক ফিস্ট করে দূরে পাঠাতে চাইলেও তা ফের বাউন্স হয়ে আসে দলের মাঝমাঠের খেলোয়াড় মারিয়া মান্ডার কাছে। তিনি দারুণ এক শটে বল জালে জড়ালে স্টেডিয়ামজুড়ে আনন্দের ঢেউ বয়ে যায়।

গোল হজমের পর আক্রমণ বাড়ায় আজারবাইজান, তবে বাংলাদেশের রক্ষণ দেয়াল ভেদ করে আর গোল পায়নি তারা।