
ম্যাচের আগে উইকেট নিয়ে বেশ কথা হয়েছে। মিরপুরের উইকেট কি বোলারদের দিকেই ঝুঁকবে নাকি ব্যাটাররাও কিছু সুবিধা পাবেন- তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে অনেক। শেষ পর্যন্ত মিরপুরের উইকেট বোলারদের দিকেই হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আর সেই সহায়তার সুফল দুহাতে আদায় করে নিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। নিয়ন্ত্রিত বোলিংকে পাকিস্তানকে ১১০ রানেই থামিয়ে দিয়েছেন তারা।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠান লিটন দাস। ৯ ম্যাচ পর টসভাগ্য পক্ষে এসেছে তার। আর টস জিতে তার নেওয়া সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেছেন বোলাররা। দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার সাইম আইয়ুবকে (৬) মোস্তাফিজের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান তাসকিন। পাকিস্তানের ছন্দপতনের শুরু সেখানেই। পাওয়ার প্লে'র মধ্যে ৪ উইকেট খুইয়ে ৪১ রান তুলতে সমর্থ হয় সফরকারীরা।
তাসকিন-তানজিমদের দাপুটে বোলিংয়ে পাকিস্তানের প্রথম ৬ ব্যাটারের মধ্যে পাঁচজনই ফিরেছেন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগে। এর মধ্যে দুই অঙ্ক ছোঁয়া একমাত্র ব্যাটার ওপেনার ফখর জামান করেছেন দলীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান। অবশ্য ইনিংসের প্রথম ওভারে মাত্র ৪ রানেই জীবন পেয়েছিলেন তিনি। শেখ মেহেদীর বলে তিনি ক্যাচ তুলে দিলেও তা হাতে জমাতে পারেননি তাসকিন।
শেষ পর্যন্ত খুশদিল শাহর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে সাজঘরে যান তিনি।
পরের ব্যাটারদের মধ্যে ৩ ছক্কায় ২২ রানের ইনিংস খেলে পাকিস্তানের সংগ্রহকে কোনো মতে একশ পার করান আব্বাস আফ্রিদি।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে নজরকাড়া বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ। ৪ ওভার বল করে স্রেফ ৬ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেছেন এই বাঁহাতি পেসার। তবে ২২ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট গেছে তাসকিনের ঝুলিতেও। একটি করে উইকেট পেয়েছেন তানজিম সাকিব ও শেখ মেহেদী।