Image description

কক্সবাজার- ৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে আলোচনায় এখন চৌধুরী পরিবার। এ আলোচনা প্রার্থী হিসেবে নয় পারিবারিক হিসেবে। এ পরিবারের বড় ভাই শাহজাহান চৌধুরী জেলা বিএনপির সভাপতি আর ছোটো অ্যাডভোকেট শাহজালাল চৌধুরী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির। এই দুই ভাইকে নিয়ে সাধারণ মানুষে প্রশ্ন কে কার হয়ে ভোট করবেন?

পর্যনগরীর এ আসনে প্রতিবারের মতো ধানের শীষ প্রতীকে এবারো মনোনয়ন পেয়েছেন শাহজাহান চৌধুরী। দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আমির অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমেদ আনোয়ারী। দলের মনোনয়ন আনোয়ারী পেলেও আলোচনার মূলে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহজালাল চৌধুরী। কারণ তার আপন বড় ভাই শাহজাহান চৌধুরী বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন। তাই সবার নজর শাহজালাল চৌধুরীর দিকে। অনেকের ধারণা ধারণা ছিলো, শাহজালাল চৌধুরী ভাইয়ের পক্ষে ভোট করবেন। গেলো দেড় বছরে শাহজালাল চৌধুরী বিভিন্ন কর্মসূচিতে তার বক্তব্যে নিজের অবস্থান ভাইয়ের পক্ষেই ইঙ্গিত করেছিলেন।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই ইঙ্গিত রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তিনি সংগঠনকেই মূল পরিচয় ধরেছেন। সংগঠনের প্রার্থীর পক্ষেই মাঠে নেমেছেন। গতকাল শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে জনসম্মুখে হাত উঁচিয়ে সমর্থন প্রদর্শন করে আনোয়ারীর পক্ষে নির্বাচনি মাঠে নেমেছেন একই আসনে বিএনপি প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী।

শনিবার উখিয়ায় জামায়াত আয়োজিত ছাত্র-তরুণ সম্মেলনে নিজে উপস্থিত থেকে তার অবস্থান পরিস্কার করেছেন।আনোয়ারীকে প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। মানে, আপন ভাইয়ের প্রতিপক্ষ প্রার্থীর পক্ষে ভোট করবেন তিনি।

এই ঘোষণার মধ্যদিয়ে আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে- ভোটের দৌঁড়ে শাহজালাল চৌধুরীকে নিজের কাছে পাচ্ছেন নূর আহমেদ আনোয়ারী। ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান। তিনিও কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বাসিন্দা। তিনিও অ্যাডভোকেট শাহজালাল চৌধুরীর দলের প্রতি বিশ্বস্ততাকে দেখছেন ইতিবাচক দৃষ্টিতে।

এই সম্মেলনেই দলের প্রার্থীর পক্ষে থাকার স্পষ্ট ঘোষণা দেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম শাহজালাল চৌধুরী।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে উখিয়া-টেকনাফে সংসদ সদস্য হবেন মাওলানা নূর আহমেদ আনোয়ারী। ওই সময় তিনি মাওলানা আনোয়ারীকে সামনে এনে হাত তুলে ধরে জনগণকে পরিচয় করিয়ে দেন। সে সময় সমাবেশস্থলে তৈরি হয় এক আবেগঘন মুহূর্ত।