Image description

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আগামী ১৭ নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য রয়েছে। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সারা দেশে সম্ভাব্য নাশকতার পরিকল্পনা নস্যাৎ করতে সরকার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে জনগণকে অভয় দিয়ে জানানো হয়েছে, রাজধানীতে কোনো নিরাপত্তাঝুঁকি নেই এবং নগরবাসীর সুরক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১৪ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার বিজিবির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংক্ষিপ্ত বার্তায় এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

এদিকে গত ১০ নভেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা উল্লেখযোগ্য হারে জোরদার করা হয়েছে। নিয়মিত বাহিনী পুলিশ এবং এলিট ফোর্স র‍্যাবের পাশাপাশি রাস্তায় রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজনদের তল্লাশি অব্যাহত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাবাহিনীর টহল ও নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী আমার দেশকে বলেন, রাজধানীবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর ডিএমপি। নগরবাসীর নিরাপত্তায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব ধরনের অপতৎপরতা মোকাবিলা করা হবে।

তিনি নগরবাসীকে অভয় দিয়ে বলেন, ‘ডিএমপি আপনাদের সঙ্গে আছে। আপনারা হতাশ হবেন না। তাৎক্ষণিক কোনো নাশকতাকারীকে দেখলে পুলিশকে জানান। তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করতে পারেন।’

এদিকে হাসিনার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে যেকোনো নাশকতাকে নস্যাৎ করতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সরকারি কার্যালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপাসনালয় এবং গণপরিবহনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। প্রতিটি থানায় অতিরিক্ত টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং রাস্তায় চেকপোস্টের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সন্দেহজনক মোটরসাইকেল থামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অপরিচিত ব্যক্তি ও যানবাহনের নিরাপত্তা যাচাই ছাড়াই তাদের আবেদনে কোনো সাড়া না দেওয়ার জন্য নগরবাসীর প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া অচেনা ব্যক্তিকেও আশ্রয় না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে নগরবাসীর প্রতি। যানবাহন, মেস বা গেস্ট হাউস ভাড়ার আগে যাচাই করার কথাও বলা হয়েছে।

জরুরি নিরাপত্তা প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও বহুবিধ বাহিনীর সমন্বয়ে রাস্তায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।