Image description

বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামের মিরসরাই স্টেডিয়ামে আয়োজিত বিএনপির সমাবেশ থেকে একাধিক মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বেলা আড়াইটা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যায় শেষ হওয়া এই সমাবেশে ব্যাপক জনসমাগমের সুযোগ নিয়ে সংঘবদ্ধ একটি চোর চক্র এই কাজ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভা থেকে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মানুষের সমাগম ঘটে মিরসরাই স্টেডিয়ামে। মানুষের ভিড়ের সুযোগে এই চুরির ঘটনা ঘটে।

মোবাইল চুরি হয়েছে জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মাসুকুল আলম সোহান, কাটাছরা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আলম মেম্বার, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শওকত আকবর সোহাগ, উপজেলা ওলমা দলের যুগ্ম সম্পাদক এইচএম খায়ের উদ্দিন মাসুক, মঘাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য রেজাউল করিমসহ একাধিক ব্যক্তির মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া কয়েকজনের মানিব্যাগ চুরির অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এইচএম খায়ের উদ্দিন মাসুক বলেন, ‘মিছিল নিয়ে মাঠে প্রবেশের পর দেখি আমার মোবাইল চুরি হয়ে গেছে। পরে শহরে বাসায় চলে আসি। ডকুমেন্টস নিয়ে থানায় জিডি করব।’

উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাসুকুল আলম সোহান তার ফেসবুকে লিখেন, ‘আমার মোবাইল চুরি হয়ে গেছে। হোয়াটসাপ কিংবা ম্যাসেঞ্জারে কারো সঙ্গে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন করবেন না। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন।’

সমাবেশে আসা বিএনপি সমর্থক এক প্রবাসী বলেন, ‘মোবাইল চুরির হয়েছে আফসোস নেই। কিন্তু মোবাইলে আমার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস রয়েছে। ডকুমেন্টসের জন্য টেনশন হচ্ছে।’

উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘সমাবেশে অনেক মানুষের ভিড় হওয়ার সুযোগ সংঘবদ্ধ চোর চক্র বিএনপি নেতা-কর্মীদের মোবাইল চুরি করেছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।’

এ বিষয়ে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, মোবাইল চুরির ঘটনায় থানায় জিডি করলে আমরা এটা নিয়ে কাজ করবে। এর আগে অনেকের চুরি যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।