জাওয়াদ নির্ঝর
এতিমের টাকা লুটপাটের কথিত অভিযোগ,জেল জীবন, সংগ্রামী এক জীবনের প্রতি পরতে পরতে আপোষহীন থেকেছেন তিনি। শেখ হাসিনার সাথে আপোষ করলে তাকে হয়তো জেলে যেতে হতো না, উন্নত চিকিতসার জন্য বিদেশ যেতে পারতেন। লন্ডনে ছেলে-নাতনীদের সাথে বাকি জীবন পার করে দিতে পারতেন। তিনি তা করেননি। ছেড়ে যাননি বাংলাদেশের মানুষকে।
তিনি বলেছিলেন, আমি যেমন থাকি, যেখানেই থাকি, যতক্ষণ বেঁচে থাকবো দেশবাসীকে ছেড়ে কোথাও যাবো না। -চাইলেই সহজে লীগের সাথে সমঝোতা করতে পারতেন। তিনি তা করেননি। তার এমন বক্তব্য, আপোষ না করার মনোভাবই হয়তো তাকে আরো বেশি জনপ্রিয় করে তুলেছে।
০৫ আগষ্ট পরবর্তী সময়েও তিনি কখনো একটা বারও বলেননি, প্রতিশোধের কথা। অথচ গত ১৭ বছরে ওনার চেয়ে কেউ ভুক্তভোগী নন। অথচ তিনি একবার মুখ দিয়ে প্রতিশোধের কথা বললে কি হইতো,সেটা লেখা লাগে না।
দেশের এই সংকটকালীন সময়েও একজন খালেদা জিয়া হয়ে উঠেছেন অভিভাবক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। এটার পিছনে দীর্ঘদিনের জেল,মানুষিক চাপ দায়ী। দল মত নির্বিশেষে ওনার একটা আলাদা গ্রহণযোগ্যতা আছে।
দেশের এই অস্থির সময়ে ওনার থাকাটা জরুরী। সুস্থতা কামনা। দোয়া ও ভালোবাসা আপোষহীন খালেদা জিয়ার জন্য। যিনি পরিবার পরিজন সব কিছুর উর্ধে গিয়ে এদেশের মানুষের কথা ভেবেছেন। দেশের মানুষের পাশে থেকেছেন। যার কাছে সবার আগে বাংলাদেশ, এদেশের মানুষ।
হয়তো জীবনে শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত তিনি দেশেই থাকবেন, দেশের মানুষের সাথেই থাকবেন। দেশের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত থাকবেন আজীবন। ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপার্সন.... সেসব পরিচয় ছাপিয়ে দেশের মানুষের এক অসম্ভব ভালোবাসার আবেগে ডুবে থাকবেন তিনি।
লেখক: সাংবাদিক
