Image description

বাসে আগুন দিয়ে পালানোর সময় জনতার ধাওয়া খেয়ে তুরাগ নদে ঝাঁপ দিয়ে মারা যাওয়া তরুণকে পাঁচ হাজার টাকার প্রলোভন দেখানো হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল রাত ১০টার দিকে চিড়িয়াখানা এলাকায় বেড়িবাঁধ সড়কে থেমে থাকা একটি বাসে আগুন দিয়ে পালানোর সময় এই ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া তরুণের নাম আব্দুল্লাহ আল সায়াদ (১৮)। তিনি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এই ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা বন্ধু 'ও' লেভেলের শিক্ষার্থী রুদ্র মোহাম্মদ আমির সানিকে (১৮) আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয় লোকজন। এই ঘটনায় তৃতীয় আরেকজন তরুণ যুক্ত ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) দারুসসালাম জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার এমদাদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তাদেরকে বাসে আগুন দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়।

তিনি বলেন, 'গ্রেপ্তার রুদ্র মোহাম্মদ আমির সানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, স্থানীয় একজন আওয়ামী লীগ নেতা তাদেরকে পাঁচ হাজার টাকার প্রলোভন দেখান। তাদেরকে ঢাকা ১৪ নির্বাচনী এলাকায় যেকোনো একটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার জন্য ভাড়া করা হয়।'

এই ঘটনায় আমির সানির নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুর বেড়িবাঁধে থেমে থাকা কিরণমালা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এ সময় স্থানীয় জনতা তাদের ধাওয়া দিয়ে রুদ্রকে আটক করে। তবে আবদুল্লাহ আল সায়াদ ধাওয়া খেয়ে বেড়িবাঁধ থেকে তুরাগ নদে ঝাঁপ দেন। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আবদুল্লাহ আল সায়াদের মরদেহের ময়নাতদন্ত শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে সম্পন্ন হয়েছে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, পরিবারের সদস্যরা আজ (শুক্রবার) মরদেহ নিয়ে গেছেন। তাদের বাড়ি ঢাকার উত্তরা এলাকায় বলে জানা গেছে।