Image description

রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনের মৃত্যু হয়েছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার শরীরের তিনটি স্থানে রক্তনালি কেটে যাওয়ায় ব্যাপক রক্তক্ষরণ ঘটে, যা তার মৃত্যুর মূল কারণ বলে জানিয়েছে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দল।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১০টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের মর্গে তাওসিফের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্তে নেতৃত্ব দেন বিভাগটির প্রধান সহযোগী অধ্যাপক কফিল উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন প্রভাষক শারমিন সোবহান কাবেরী।

অধ্যাপক কফিল উদ্দিন বলেন, তাওসিফের ডান উরু, ডান পা ও বাঁ বাহুতে ধারালো ও চোখা অস্ত্রের আঘাত ছিল। এসব স্থানে গুরুত্বপূর্ণ রক্তনালি কেটে যাওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় এবং শরীরের ভেতরেও রক্তক্ষরণ দেখা গেছে। তাদের ধারণা, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণই তার মৃত্যুর কারণ।

পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে তাওসিফের গলায় কালশিরা দাগের উল্লেখ ছিল। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানান, নরম কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধের ফলে এমন দাগ হতে পারে। যদিও এটিকে মৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবে দেখা যায়নি। তার মতে, ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও শ্বাসরোধ— দুটি ঘটনাই একই সময়ে ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

একই সময়ে হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন তাওসিফের মা তাসমিন নাহার লুসী (৪৪)। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মো. লিমন মিয়া (৩৫) নামে একজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ

এর আগে বিচারক আব্দুর রহমানের স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেন লিমন মিয়া। এতে গত ৬ নভেম্বর জালালাবাদ থানায় জিডি করেন বিচারক আব্দুর রহমানের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসি। জিডির ৭ দিনের মাথায় বাসায় ঢুকে ছেলেকে হত্যার এমন ঘটনা ঘটল।