Image description
 

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে বিএনপি ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থী কাজী সালাহউদ্দিনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দাবিতে এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও দমননীতির প্রতিবাদে সীতাকুণ্ডে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করেছে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনসমূহ।

 

বুধবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এ মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দু’পাশে হাজারো মশালের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন এলাকা।

 

উপজেলার সলিমপুর, ভাটিয়ারী, সোনাইছড়ি, বারৈয়াঢালা, কুমিরা, বাড়বকুণ্ড, মুরাদপুরসহ প্রতিটি ইউনিয়নে নেতাকর্মীরা মশাল মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভা ও সমাবেশ করেন।

পথসভায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. কমল কদর বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী যুবলীগের সন্ত্রাসীরা বারৈয়াঢালা ইউনিয়নে মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়কে নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল, কিন্তু যুবদলের সাহসী নেতাকর্মীরা তা নস্যাৎ করে দেয়।

বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই সীতাকুণ্ড বিএনপির একটি শক্ত ঘাঁটি। চট্টগ্রামের জনপ্রিয় নেতা লায়ন আসলাম চৌধুরী নেতৃত্বে সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক লাগাতার অবরোধ করে ২০১৩ ও ২০১৪ সালের ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল, যা ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের ভিত্তি তৈরি করে।

বক্তারা বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ত্যাগী নেতা অধ্যাপক লায়ন আসলাম চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, আসলাম চৌধুরী আন্দোলনের রাজপথে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে সরকারের রোষানলে পড়ে প্রায় ৯ বছর কারাবন্দি ছিলেন। অথচ এই ত্যাগী নেতাকে মনোনয়ন না দেওয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা চরম ক্ষুব্ধ।

বক্তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী কাজী সালাউদ্দিনের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে, চট্টগ্রামের জনপ্রিয় মজলুম জননেতা অধ্যাপক আসলাম চৌধুরীর প্রতি সুবিচার করুন, ত্যাগের মূল্যায়ন দিন।

উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল আলম জহুর বলেন, সীতাকুণ্ডের মানুষ বিএনপির ত্যাগী নেতা আসলাম চৌধুরীর পাশেই আছে। কাজী সালাহউদ্দিনের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে আসলাম চৌধুরীর মতো ত্যাগী নেতাকে সুযোগ দেওয়া উচিত।

উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ফজলুল করিম চৌধুরী বলেন, সীতাকুণ্ডের আকাশে ধোঁয়া নয়, জ্বলছিল আশার আলো। তৃণমূলের মতামত নিশ্চয়ই তারেক রহমান মূল্যায়ন করবেন।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ডা. কমল কদর, জহুরুল আলম জহুর, জাহাঙ্গীর (সাবেক সভাপতি, সলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপি), খ. ম. নাজিম উদ্দিন (সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপি), মোহাম্মদ ইসমাইল (সহসভাপতি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদল), ফজলুল করিম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান হিরু, হেলাল উদ্দিন, রোকন উদ্দিন মেম্বার, আলাউদ্দিন মনি, নুরুদ্দিন, আবু সালেহ, মান্নানসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মো. মোরসালিন বলেন, সলিমপুর, সোনাইছড়ি ও বারৈয়াঢালা ইউনিয়নে শত শত নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।