হবিগঞ্জের রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রে ১১ নম্বর অনুসন্ধান কূপের মূল খনন কাজ শুরু হয়েছে। এখানে প্রায় ২৯.৪৯ বিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস মজুত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
সম্প্রতি পেট্রোবাংলার অধীন সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড আনুষ্ঠানিকভাবে কূপটির খনন কাজ শুরু করে। রশিদপুর স্ট্রাকচারে উৎপাদন বাড়ানো ও নতুন সম্ভাবনা যাচাইয়ের অংশ হিসেবে কূপটি প্রায় ২ হাজার ৯০০ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন করা হবে। নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ২০২৬ সালের মার্চে খনন কাজ শেষ হওয়ার কথা। খনন সফল হলে রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রের মজুদে সম্ভাব্যভাবে আরও ২৯.৪৯ বিসিএফ (বিলিয়ন কিউবিক ফুট) গ্যাস যুক্ত হতে পারে।
কূপ খনন প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) মো. আবুল মনসুর চৌধুরী বলেন, “চায়নার একটি কোম্পানি খনন কাজ করছে। তারা আগামী বছরের ২৭ মার্চ খনন শেষ করে সাইট ত্যাগ করবে। এখানে ২৯.৪৯ বিসিএফ গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পুরোপুরি নিশ্চিত ফলাফল জানা যাবে ফেব্রুয়ারিতে। এর পরই উৎপাদন শুরু ও সময়সূচি নির্ধারণ হবে।”
জানা গেছে, ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল দেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে রশিদপুরে দৈনিক ৩ হাজার ৭৫০ ব্যারেল ক্ষমতাসম্পন্ন কনডেনসেট ফ্র্যাকশনেশন প্ল্যান্ট স্থাপিত হয়। ওই সময় দৈনিক ৩ হাজার ৭৫০ ব্যারেল ও ৪০০ ব্যারেল ক্ষমতাসম্পন্ন কনডেনসেট ফ্র্যাকশনেশন প্ল্যান্ট এবং প্রতিদিন ৩০০ ব্যারেল ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যাটালাইটিক রিফরমিং ইউনিট স্থাপন করা হয়। কনডেনসেট থেকে উৎপাদন করা হচ্ছে পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও এলপিজি।