Image description
 

২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হাজারো মানুষের উপর গণহত্যা চালিয়েও ক্ষান্ত হয়নি পলাতক ফ্যাসিস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন স্থানে তার নির্দেশে সাম্প্রতিক ব্যাপক অরাজকতা, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জনমনে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।

 

কিন্তু এমন পরিাস্থতিতেও আতঙ্কিত না হয়ে মানতে হবে কিছু সাধারণ নির্দেশনা। এ ধরনের ঘটনায় আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ককটেল বিস্ফোরণের সময় শুধু শারীরিক নয়, মানসিক আঘাতও গুরুতর হতে পারে। আতঙ্ক, শ্রবণশক্তি ক্ষতি, শ্বাসকষ্ট ও পোড়া ক্ষতের ঝুঁকি থাকে।

 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের জরুরি বিভাগ জানায়, বিস্ফোরণের শব্দ শোনা মাত্রই মানুষকে শান্ত থেকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যেতে হবে। ধোঁয়া বা আগুন থেকে রক্ষা পেতে নাক-মুখ কাপড় বা রুমাল দিয়ে ঢেকে রাখা জরুরি। সম্ভব হলে শক্ত দেয়াল, গাছ বা গাড়ির আড়ালে আশ্রয় নেওয়া উচিত।

 

চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা,

* রক্তপাত হলে পরিষ্কার কাপড় বা ব্যান্ডেজ দিয়ে চাপ দিতে হবে,
* দগ্ধ হলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে,
* চোখে ধোঁয়া বা রাসায়নিক ঢুকলে সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

কোনো অবস্থাতেই তেল, বরফ বা টুথপেস্ট পোড়া স্থানে ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া মাথা ঘোরা, কান বাজা বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে।

পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, বিস্ফোরণস্থলে কোনো সন্দেহজনক বস্তু পাওয়া গেলে তা স্পর্শ না করে সঙ্গে সঙ্গে *৯৯৯ নম্বরে ফোন* করতে হবে। একই সঙ্গে জনসাধারণকে সংঘর্ষপ্রবণ এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, হঠাৎ বিস্ফোরণজনিত ভয় বা ট্রমা অনেকের মধ্যে মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তি বা প্রত্যক্ষদর্শীদের পরামর্শক বা কাউন্সেলরের সঙ্গে কথা বলা উচিত।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অজানা ব্যাগ, বোতল বা ধাতব বস্তু স্পর্শ না করা, শিশু ও বয়স্কদের নিরাপদ স্থানে রাখা, এবং ভিড় এড়িয়ে চলা ককটেল বিস্ফোরণজনিত ঝুঁকি অনেকাংশে কমাতে পারে।