জামালপুরের মাদারগঞ্জের ঝিনাই নদীতে পানিতে ডুবে নিখোঁজ পাঁচ শিশুর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। রোববার (২ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে সিধুলী ইউনিয়নের চর ভাটিয়ানি আমতলী এলাকার ঝিনাই নদী থেকে সর্বশেষ বৈশাখী আক্তার (৮) নামে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মৃত বৈশাখী আক্তার চর ভাটিয়ানি কাইজের বাড়ী এলাকার আবুল হোসেনে মেয়ে। বিষয়টি মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ পাঁচ শিশুর মধ্যে চারজনের মরদেহ উদ্ধার হলেও নিখোঁজ ছিল বৈশাখী আক্তার। রোববার সকালে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় পাঁচশ মিটার দক্ষিণে নিখোঁজ বৈশাখীর মরদেহ ভেসে উঠে। পরে স্থানীয়রা মরদেহটি উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।
এর আগে, শুক্রবার বিকেলে ঝিনাই নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় পাঁচ শিশু। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল থেকে সিধুলী ইউনিয়নের চর ভাটিয়ানি আমতলী এলাকার দুদু মিয়ার মেয়ে পলি আক্তার (১২) ও ছেলে আবু হোসেন (৮), সরিষাবাড়ি উপজেলার বাউসি এলাকার নুর ইসলামের মেয়ে সাইবা আক্তারের (৯) মরদেহ উদ্ধার করে। এদের মধ্যে শিশু পলি আক্তার ও আবু হোসেন ভাইবোন। পরদিন শনিবার দুপুরে ওই এলাকার আজাদ মিয়ার মেয়ে কুলসুম আক্তারের (৮) মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিখোঁজ বৈশাখীর সন্ধান করতে না পেরে অভিযান স্থাগিত করে ফায়ার সার্ভিস।আজ রোববার সকালে নিখোঁজ বৈশাখীর মরদেহ ভেসে ওঠে।
সিধুলি ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য ওয়াহেদ আলী নান্টু ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুক্রবার ও শনিবার দুই দিন ৪ জনের মরদেহ পাওয়া যায়। একজন নিখোঁজ ছিল। আজ সকালে যেখানে মারা গেছে তার দক্ষিণ দিকে শিশুটির লাশ ভেসে ওঠে।
মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকালে বৈশাখী আক্তার নামে আরেক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। ঝিনাই নদীতে পাঁচ শিশু নিখোঁজের ঘটনায় সর্বশেষ শিশুর মরদেহও উদ্বার হয়েছে।