‘আজ স্যর এক ঘণ্টা আগে যেতে বলেছেন’, সহপাঠীর ফোনে এমন খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৭টার আগে বাড়ি বেরিয়ে পড়েছিল নবম শ্রেণির ছাত্রী। কিন্তু গৃহশিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে দেখে, দুই সহপাঠী ছাড়া আর কেউ আসেনি। শিক্ষকও নেই! অভিযোগ, পরিকল্পনা করে সহপাঠীকে ডেকে গৃহশিক্ষকের বাড়িতেই ধর্ষণ করে দুই ছাত্র।
ঘটনাস্থল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের সিউড়ি। পুলিশ বলছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় সিউড়ি থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগকারীর বক্তব্য অনুযায়ী, তার মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী। বাড়ির অনতিদূরে এক গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে যায়। সেখানে আরও কয়েক জন ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করে।
শিক্ষক রাত ৮টা থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়ান। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার আগে তার মেয়ে বই-খাতা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। সে বলে যায়, ‘স্যর, আজ আগে পড়তে ডেকেছেন।’
রাতে গৃহশিক্ষকের বাড়ি থেকে ফিরে কান্নায় ভেঙে পড়ে ১৪ বছরের মেয়েটি। বাবা-মাকে জানায়, দুই সহপাঠী তাকে মিথ্যা কথা বলে ডেকে নিয়ে গৃহশিক্ষকের বাড়িতেই ধর্ষণ করেছে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের আটক করে পুলিশ। শনিবার তাদের সিউড়ির জ়ুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে হাজির করা হয়।
পুলিশ এবং আদালত সূত্রে খবর, ধর্ষণে অভিযুক্ত দুই কিশোরের বিরুদ্ধে পকসো আইনে ৪ এবং ৬ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, ভুক্তভোগীকে দুই সহপাঠী জানিয়েছিল, শুক্রবার ৭টার দিকে গৃহশিক্ষক তাঁর বাড়ি যেতে বলেছেন। কিন্তু গৃহশিক্ষক নিজেই বাড়িতে ছিলেন না।
ছেলেমেয়েদের পড়ানোর জন্য বাড়ির একটি ঘর বরাদ্দ রেখেছেন তিনি। ছাত্রী এবং দুই ছাত্র সেই ঘরে গিয়ে বসে। অভিযোগ, ঘরে আর কেউ না থাকার সুযোগে দুই ছাত্র মিলে ধর্ষণ করে সহপাঠীকে।
অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। সোমবার তার জবানবন্দি নেওয়া হবে। খবর: আনন্দবাজার।