
কম্বোডিয়ার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে পুরসাত থেকে কোহ কং পর্যন্ত প্রদেশগুলোর সীমান্তে '১৭টি এলাকা দখলের পরিকল্পনা করছে' থাইল্যান্ড। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিতর্কিত সীমান্তে নতুন করে সংঘর্ষের পর কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত আসিয়ান এবং বিশ্বনেতাদের কাছে চিঠি লিখে এ অভিযোগ করেছেন।
কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'প্রধানমন্ত্রী সামডেচ থিপাদেই হুন মানেত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও আসিয়ানের বর্তমান সভাপতি আনোয়ার ইব্রাহিম এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে. ট্রাম্প, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের সভাপতি আনালেনা বেয়ারবকসহ অন্যান্য বিশ্বনেতাদের কাছে চিঠি দিয়েছেন।'
হুন মানেত বলেন, 'এই চিঠির লক্ষ্য হলো, কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তে সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রতি এই বিশ্বনেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা, যা আমাদের দুই দেশ এবং বৃহত্তর অঞ্চলের মধ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য বিপজ্জনক।'
কম্বোডিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ১২ আগস্ট থেকে থাই বাহিনী সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া এবং ব্যারিকেড নির্মাণ শুরু করে। সেই সঙ্গে আলটিমেটাম জারি করে এবং কম্বোডিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত বান্তে মিনচে প্রদেশের চৌক চে এবং প্রে চান গ্রাম থেকে কম্বোডিয়ান বেসামরিক নাগরিকদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে। এতে সংঘাতের ক্ষেত্র আরও বিস্তৃত হয়।
খেমার টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, সীমান্তে বসবাসরত ২৫টি কম্বোডিয়ান পরিবারের তাদের বাড়িঘর এবং জমিজমা অবরুদ্ধ করা হয়েছে। থাই সামরিক মুখপাত্র সম্প্রতি খুব নিকট ভবিষ্যতে আরও উচ্ছেদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এর ফলে শত শত পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। থাই সামরিক বাহিনী এখন পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত পুরসাত থেকে কোহ কং পর্যন্ত প্রদেশের আরও ১৭টি স্থানে অঞ্চল দখল করার জন্য বাহিনী মোতায়েনের ইচ্ছা পোষণ করছে।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, থাই সামরিক বাহিনীর একতরফা পদক্ষেপগুলো নিজেদের আঁকা মানচিত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি - যা পারস্পরিক সম্মত ১৯০৪ সালের কনভেনশন এবং ১৯০৭ সালের ফ্রান্স ও সিয়ামের মধ্যে চুক্তিতে প্রতিষ্ঠিত সীমানার বিপরীত।