Image description

আন্তর্জাতিক বাজারে শুক্রবার স্বর্ণের দাম সামান্য কমেছে। গত দিনের তুলনায় এ হার কমলেও ধাতুটির দাম সপ্তাহজুড়ে উল্লেখযোগ্য উত্থানের পথে রয়েছে। দুর্বল ডলার ও মার্কিন সুদহার হ্রাসের সম্ভাবনা যাচাই করতে বিনিয়োগকারীদের অপেক্ষার প্রভাব বাজারজুড়ে স্পষ্ট। ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক কড়াকড়ি মন্তব্য সত্ত্বেও ব্যবসায়ীরা ডিসেম্বরেই সুদহার কমার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছেন। খবর রয়টার্সের।

লন্ডন সময় সকাল ৬টা ৩৮ মিনিটে স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্স ৪,১৮৩.৩১ ডলারে দাঁড়ায়। ফলে উত্থানে কিছু ভাটা পড়ে। কিন্তু সপ্তাহিক হিসাবে এখন পর্যন্ত স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

ডিসেম্বর ডেলিভারির জন্য মার্কিন ফিউচার গোল্ডের দাম শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স ৪,১৮৫ দশমিক ৯০ ডলারে লেনদেন হচ্ছিল।

ডলার সূচক টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো পতনের দিকে, যা অন্যান্য মুদ্রাধারীদের জন্য স্বর্ণ কেনা আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

গোল্ডসিলভার সেন্ট্রালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রায়ান ল্যান বলেন, এই সপ্তাহে স্বর্ণবাজার ভালো করছে মূলত ডলারের দুর্বলতা এবং জল্পনামূলক বিনিয়োগ প্রবাহের কারণে। বাজারে অনেকে মনে করছেন, ফেড শিগগিরই সুদহার কমানোর দিকে যেতে পারে।

এদিকে দেশের বাজারে শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) স্বর্ণ ভরিতে ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকায় বিক্রি হবে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) স্বর্ণ ভরিতে ৫ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাজুস জানায়, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম এখন ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৪ হাজার ৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।