প্রথমে তারকাদের স্লাটশেমিং, সাইবার বুলিং হতো। এরপর সেটি রাজনৈতিক নেত্রীদের হতো। এখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রতিনিধিদের হয়৷ (কোনোটিই জাস্টিফাই করছি না)
ছাত্র সংসদ নির্বাচনকালীন সময়ে প্রতিটি প্যানেলের নারী প্রতিদ্বন্দ্বীদের স্লাটশেমিং হয়েছে। নির্বাচনের পর বিজয়ীদের সাইবার বুলিং কয়েক মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আরও বাড়বে৷ যে সব ছাত্রী প্রতিনিধির কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই তারাও বাদ যাচ্ছে না৷
সাইবার বুলিং হলে কিছু লোক বলে "আমাদের দেশ এমন, মেনে নিতে"। এরা সর্বোচ্চ লেভেলের ফ্যাসিস্ট। এই কথার মধ্য দিয়ে তারা সাইবার বুলিং কে স্বীকৃতি দেয় এবং নরমালাইজ করে তোলে। এদের মতে 'স্লাটশেমিং মেনে নিলেই দক্ষ, পরিপক্ব। আর মেনে না নিলে আমাদের যোগ্যতা নাই'৷
এর থেকে নিকৃষ্ট তারা যারা এগুলো নিয়ে বললে বলে "এই তো, ভিক্টিম সাজতে চলে আসছে"। আমি ভিক্টিম। আমি বলবো না? সাইবার বুলিং এর শিকার হচ্ছি বললে এরা বলবে ''ভিক্টিম সাজতেসি'৷ আর প্রতিবাদ করলে বলবে 'বেয়াদব'। এই নিকৃষ্ট জানোয়াররা চায় আমরা চুপ থাকি। তাহলে তারা আরও ভালো স্লাটশেমিং করতে পারবে।
তারকারা একটা ক্যাম্পেইন করেছে৷ তারা দিনে কতবার স্লাটশেমিং এর শিকার হয়। আমরা ছাত্রী প্রতিনিধিরা এই ক্যাম্পেইন করলে অনেক তারকা হেরে যাবে৷ এমন একটা দিন নেই যেদিন স্লাট শেমিং এর শিকার হই না।
বাংলাদেশে প্রতিদিন অগণিত নারী দিনে স্লাটশেমিং এর শিকার হয়। এত নারীর চোখের পানি, অন্তরের ব্যথার প্রতিদিন যেন আল্লাহ দেয়। আমরা আর হেদায়েত কামনা করি না। আমরা এখন বলি, "আল্লাহ আপনাদের উপর গজব ফেলুক। আপনারা যা শুরু করেছেন"। যে দলের, যে মতাদর্শের মানুষ আসল আইডি বা বট আইডি কিংবা পেজ দিয়ে স্লাটশেমিং, সাইবার বুলিং করে তাদের উপর গজব পড়ুক। এইগুলো কখনো বাক স্বাধীনতা হতে পারে না।
এই স্লাটশেমিং আবার শুধু ছেলেরা করে না। মেয়েরাও খুব চমৎকার ভাবে করে।
একদল হনুমান এসে বলবে "জাকসুর এজিএস মেঘলা ভিক্টিম সাজতে আসছে। এই ঘিলু নিয়ে ছাত্রী প্রতিনিধি হয়েছে। সে সমালোচনা আর সাইবার বুলিং এর তফাত বুঝে না। "
হনুমানদের বলবো "আপনারা এই জায়গায় নিজের ঘরের মহিলার চেহারা বসায়ে দেখেন এইগুলা বাকস্বাধীনতার নামে সমালোচনা নাকি স্লাটশেমিং"।
এই হনুমানদের উচিত চিড়িয়াখানায় যাওয়া। মানুষজন টিকিট কেটে আপনার কোমর দোলানো নাচ দেখতে যাবে। আপনারা সমাজে থাকার যোগ্য না।
যারা গতকাল ডাকসুর সাদিক কায়েমের মামলা নিয়ে ব্যাঙ্গ করেছেন তারা একবার নারী প্রতিনিধিদের জিজ্ঞেস করেন তার করা মামলা সঠিক না ভুল। "স্লাটশেমিং কখনো বাকস্বাধীনতা হতে পারে না"।
আমি মন থেকে চাই এই জানোয়ারদের কখনো সন্তান না হোক। এদের ছেলে হলে বাপ-মায়ের মতো সাইবার বুলিং স্লাটশেমিং করবে।
আর যে কুলাঙ্গাররা নারীদের স্লাটশেমিং করে তারা কন্যা সন্তানের পিতামাতা হওয়ার যোগ্য না। অধিকার নাই৷
বি.দ্র. কমেন্টবক্স বন্ধ রাখি। কিন্তু ইনবক্স তো বন্ধ রাখা যায় না। এইগুলা আমার স্লাটশেমিং এর ২০%। বাকি ৮০% এর স্ক্রিনশটও নেই নি৷ এখন আর মেসেঞ্জারই চেক করি না।