Image description

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনের যে আচরণবিধি আছে এই আচরণবিধি তারা নিজেরা প্রয়োগ করার মতো, বাস্তবায়ন করার মতো সক্ষমতা তাদের আছে কিনা এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে প্রশ্ন আছে। আমরা যারা প্রচারণা করছি, ব্যানার লাগাচ্ছি কিংবা পোস্টার করছি—এগুলো ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। কোনো ধরনের একশন নেওয়া হচ্ছে না। মাঠ প্রশাসন, জনপ্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন মূলত এখনো পেশিশক্তি যেদিকে সেদিকে হেলে থাকে।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে তিনি এসব কথা বলেন।

সারোয়ার তুষার বলেন, ‘একটা চাঁদাবাজির মামলা নেওয়ার আগেও পুলিশ বারবার খোঁজ নেয় তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে কি না। আমাদের এই হচ্ছে অভিজ্ঞতা। বিভিন্ন হেভিওয়েট প্রার্থীর পিএস কে থানার ওসি স্যার ডাকেন।

আমাদের চোখের সামনে এগুলো। এইরকম বাস্তবতায় শুধু বলব প্রধান উপদেষ্টা বলেন এবং এভাবে ওয়ান ফাইন মর্নিং হয়ে যাবে সুষ্ঠু নির্বাচন, এটা মনে করি না।’

তুষার বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অনেকগুলো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আছে। যেমন—২০ দিন আগে আপনি রিপোর্ট দিলেন যে ৬৭ শতাংশ ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।

এখন ২০ দিন পরে আমি স্বাভাবিকভাবে জানতে চাইব এটা কতটুকু কমিয়ে এনেছেন? কমিয়ে আনার জন্য কী কী করেছেন? দৃশ্যমান তৎপরতাগুলো কী কী?’  

তুষার আরো বলেন, ‘ধরে নিলাম নির্বাচনের দিন সব ঠিকঠাক থাকবে। কিন্তু এই পরিবেশটা যদি থাকে তাহলে এটার ইমপ্যাক্ট ভোটার টার্নআউটে পড়বে। যদি বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেন তাহলে জনগণের মধ্যে আস্থাটা আসবে যে, আমরা নির্ভয়ে একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে ভোট প্রদান করতে পারব। যেটা এই নির্বাচনের জন্য খুব জরুরি।’