হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট–মাধবপুর) আসনে সাংবাদিক ওয়ালী উল্লাহ নোমানকে সমর্থন দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও জেলা আমির মাওলানা মুখলিছুর রহমান। এ জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, ‘আমার হুজুর সত্যিই খালিদ বিন ওয়ালিদের উদাহরণ তৈরি করলেন।’ তিনি তার সরাসরি শিক্ষক ছিলেন বলেও জানিয়েছেন সাংবাদিক নোমান।
আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে ওয়ালী উল্লাহ নোমান লিখেছেন, ‘মাওলানা মোখলেসুর রহমান। জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির। দীর্ঘদিন তিনি এই দলের সাথে যুক্ত। রাজনৈতিক জীবনে শ্রম, ঘাম ঝরিয়েছেন হবিগঞ্জের মাটিতে। সংগঠনকে গড়ে তুলেছেন তিলে তিলে। তিনি আমার সরাসরি শিক্ষক। শায়েস্তাগঞ্জ আলীয়া মাদ্রাসায় ফাজিল পড়েছি। তখন তিনি আমার সরাসরি শিক্ষক ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে নির্দ্বিধায় ও নিঃসঙ্কোচে মেনে নিয়ে যে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন, তা বাংলাদেশের প্রচলিত রাজনীতিতে বিরল ঘটনা। হুজুরের ছাত্র হিসাবে আমি নিজেও বিব্রত ছিলাম। আমাকে যখন জামাাতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শীর্ষ পর্যায় থেকে এই আসনে নির্বাচনের জন্য বলা হয়েছিল, তখন-ই বলেছিলাম এখন যিনি মাঠে কাজ করছেন তিনি আমার সরাসরি শিক্ষক। আমার শিক্ষক মনে সামান্যতম আহত হলে এটা আমার জীবনে কল্যাণকর নাও হতে পারে। কিন্তু বলা হয়েছিল সেটা কেন্দ্র বুঝবে।’
ওয়ালী উল্লাহ নোমান বলেন, ‘গতকাল যখন আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়, তখন হুজুর নিজে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে আমি আবেগে আপ্লুত ছিলাম। হুজুর যখন বললেন, আমার ছাত্রকে আজ এখানে মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। এতে আমি গর্বিত। হুজুরের এই কথায় আমার দায়িত্ব আরো বেড়ে গেছে। হুজুর আমার ওপর যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখে এই কথা বলেছেন সেটা পালনের তৌফিক যেন আল্লাহ আমাকে দেন।’
তিনি বলেন, ‘হুজুর আমার ওপর যে আস্তা রেখেছেন সেটা যেন আমি সত্য, ইনসাফ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য কাজে লাগাতে পারি এই দোয়া চাই সকলের নিকট। এই অনুষ্ঠানে বসেই মনে মনে ভাবছিলাম, হুজুর সত্যিই খালিদ বিন ওয়ালিদের উদাহরণ রাখলেন। খালিদ বিন ওয়ালিদ যুদ্ধের ময়দানে নেতৃত্বে রয়েছেন।’
এমন অবস্থায় সেনা নেতৃত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত জানাতে একটু বিলম্ব কয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা। তিনি উল্টো বলেছিরেন, বিলম্ব হলো কেন! আমির উল মোমেনিন যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, সেটা দ্রুত আমাকে জানানো উচিত ছিল। এই বলে তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর করে যুদ্ধের ময়দান ত্যাগ করেননি। যুদ্ধ ঠিকই চালিয়ে গেছেন। আমার হুজুরও গতকাল বলেছেন, তিনি সর্বোচ্চ সময় দিয়ে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন।’
ওয়ালী উল্লাহ নোমান আরও বলেন, ‘আমিও কথা দিতে চাই, হুজুরকে সামনে রেখেই আমি পেছনে থেকে কাজ করতে চাই। হুজুর আমার সামনে থাকবেন। আমি পেছনে থাকবো হুজুরের। হুজুর যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সেই নির্দেশনা অনুযায়ী বাকী দিন গুলো নির্বাচনী কাজে ব্যায় করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘দোয়া করি হুজুরকে আল্লাহ হায়াতে তাইয়েবা দান করুন। হুজুরের ছাত্র হিসাবে আমিও যেন সত্য, ন্যায় ও ইনসাফের পথে থাকতে পারি, সে চেষ্টা চালিয়ে যাবো। মানুষের কল্যাণে জীবনে বাকি দিন গুলো উৎসর্গ করতে চাই।’