পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে অর্থ উপদেষ্টার নেতিবাচক বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ। পাশাপাশি আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পে স্কেল নিয়ে গেজেট বাস্তবায়নের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি। একইসাথে আগামী ১ জানুয়ারি নবম পে স্কেল কার্যকরের দাবি কর্মচারী নেতাদের।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সমাবেশ থেকে এ দাবি জানায় সংগঠনের নেতারা। এ সময় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১:৪-এর ভিত্তিতে ১২টি গ্রেডে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল ৩৫ হাজার ও সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় ৯ম পে স্কেল ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে গেজেট জারি করতে হবে এবং ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে ৯ম পে-স্কেল কার্যকর করতে হবে। একই সাথে ২০১৫ সালে পে স্কেলের গেজেটে হরণকৃত ৩টি টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পূণর্বহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনঃবহাল এবং সকল স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে গ্রাচ্যুইটির পাশাপাশি পেনশন প্রবর্তনসহ বিদ্যমান গ্রাচুয়িটি বা আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশের স্থানে ১০০% নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক মো মাহমুদুল হাসান বলেন, আগামী ১৫ই ডিসেম্বরের মধ্যে পে কমিশনের সুপারিশ প্রদান ও ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে গেজেট প্রকাশসহ ১লা জানুয়ারি ২০২৬ থেকে নবম পে স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া বর্তমান সরকার পে স্কেল বাস্তবায়ন করবে না বলে অর্থ উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে ৫ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মহাসমাবেশসহ ঢাকায় টানা অবস্থান কর্মসূচির মতো কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঐক্য পরিষদের মুখ্য সমন্বয়ক মো. ওয়ারেছ আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন লুৎফর রহমান, খায়ের আহমেদ মজুমদার, এমএ হান্নান,সেলিম মিয়া, আবু নাসির খান, বেলাল হোসেন জিয়াউল হক, রফিকুল আলম, আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।