Image description
 

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন-জামায়াত ক্ষমতায় গেলে প্রথমে দুর্নীতি বন্ধ করা হবে। সকল ধর্মের মানুষ এবং নারীরা সবচেয়ে নিরাপদে থাকবে। ডাকসুসহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পর শিবির তা দেখিয়ে দিচ্ছে। নৌকা, লাঙ্গল, ধানের শীষ সব দেখা শেষ। এবার দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিয়ে জামায়াতকে একবার পরীক্ষা করে দেখেন।

 

বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার জিরো পয়েন্টে এক পথ-সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

এসময় তিনি আরো বলেন, জামায়াতের দুজন মন্ত্রী তা প্রমাণ করে গেছেন। যারা লক্ষ কোটি টাকার প্রচার করেছে; তারাই নেতাকর্মী ও জনগণকে রেখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। জামায়াতের কোনো নেতা মৃত্যুর ভয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যায়নি। জামায়াতের ৫ জন কেন্দ্রীয় নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ৬ জনকে জেলে বন্দী করে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আর কোনো দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের এভাবে হত্যা করা হয়নি।

 

আজহার বলেন, যখন এ হত্যাযজ্ঞের আয়োজন চলছিল ;তখন জামায়াত নেতা মীর কসেম আলী দেশের বাহিরে ছিলেন। তার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী বিষয়টি জানিয়ে ওনাকে দেশে আসাতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি দেশকে ভালোবেসে বীরের বেশে ফিরে এসেছিলেন। মামলার মুখোমুখি হয়েছিলেন। কারণ তিনি অপরাধী ছিলেন না। আমাদের বলা হয় স্বাধীনতা বিরোধী। যদিও আমরা স্বাধীনতার পক্ষে ছিলাম। আমরা ছিলাম ভারত বিরোধী। জামায়াত কখনও চায়নি ভারত এদেশকে শোষণ করুক। এজন্য জুডিশিয়াল কালিংয়ের মাধ্যমে জামায়াত নেতাদের হত্যা করা হয়েছিল। যারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়; তারা কখনো দেশপ্রেমিক হতে পারে না।

 

তিনি বলেন, যারা জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে ছেয়েছিল। তারা কোথায়? জামায়াত এদেশের মাটি ও মানুষের দল। এদেশের মানুষের সঙ্গেই আছে।

 

এখন তরুণ ও যুবকরা জেগেছে। তারা দেশকে মুক্ত করেছে। যারা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু তা বাস্তবায়নে গণভোট চায়না। তারা দেশকে আবার পেছনে নিয়ে যেতে চেষ্টা করছে। যত তাড়াতাড়ি গণভোট হবে, তত দ্রুত নির্বাচনের বাধা কেটে যাবে। কোনো কারণে নির্বাচন পিছিয়ে গেলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের বিরোধীতাকারীরাই দায়ী থাকবে।

 

স্থানীয় উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর গাজী সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী জেলা জামায়াতের আমীর মুফতি আবদুল হান্নান।

 

উক্ত পথসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন দলটির কেন্দ্রীয় মজলিসে সূরা সদস্য ও ফেনী-২ সংসদীয় আসনে দাঁড়িপাল্লার মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূইয়া, ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ফেনী-৩ সংসদীয় আসন জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ডা.ফখরুদ্দিন মানিক প্রমূখ।

 

এরপর দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি জামায়াতের সাবেক কেন্দ্রীয় আমীর মরহুম মকবুল আহমেদের কবর জিয়ারত এবং তার মায়ের নামে সেখানে একটি মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

 

একইদিন বিকালে ফেনী শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে ফাঁসির মঞ্চ থেকে জনতার কাতারে আসা এ মজলুম নেতার।