‘বিএনপি এখন একটি দেউলিয়া সংগঠনে পরিণত হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
পাশাপাশি, কেউ যদি ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করে, জনগণ নব্য ও পুরাতন ফ্যাসিবাদীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
বুধবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বাউফল পৌরশহরে মিছিল শেষে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব ক্ষমতায় গেলে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের সকল মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণার প্রতিবাদ করে ড. শফিকুল বলেন, বিএনপি এখন একটি দেউলিয়া সংগঠনে পরিণত হয়েছে। নিজেদের শক্তিতে দাঁড়ানোর পরিবর্তে তারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের পায়ের উপর ভর করে টিকে থাকতে চায়। জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে তাদের এই লজ্জাজনক অবস্থার জবাব দেবে।
ড. মাসুদ আরও বলেন, গণহত্যাকারীদের সঙ্গে আপস করলে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।
এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে জমায়াত নেতা বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি কখনোই বাইরের কারও নির্দেশে চলতে পারে না। কেউ কেউ বলেন, তাদের নেতা চাইলে ৫ আগস্টের পর রাষ্ট্রক্ষমতা নিতে পারতেন— অথচ তিনি এখনো দেশে আসাকে নিরাপদ মনে করেন না। উলটো নিজের দলের কাছে বুলেটপ্রুফ গাড়ির নিরাপত্তা চান।
ড. মাসুদ প্রশ্ন রেখে বলেন, যিনি নিজের নিরাপত্তা দিতে পারেন না, তিনি জনগণকে কীভাবে নিরাপত্তা দেবেন?
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ১৮ কোটি মানুষের নিরাপত্তা দিতে একমাত্র জামায়াতে ইসলামী প্রয়োজন হলে গুলির মুখে দাঁড়াবে। আমাদের নেতারা হাসিমুখে ফাঁসির মঞ্চে গেছেন, কিন্তু কখনোই দেশি-বিদেশি আধিপত্যবাদের কাছে নতি স্বীকার করেননি। ভবিষ্যতেও ভয়-ভীতি, রক্তচক্ষু কিংবা কেন্দ্র দখলের হুমকিতে আমরা পিছু হটব না।
ড. মাসুদ আরও বলেন, আমরা আবু সাঈদ, মুগ্ধ, নিজামী ও মুজাহিদের উত্তরসূরি হিসেবে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিয়ে ভোটারদের সম্মান রক্ষা করব। আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষা, চাঁদাবাজমুক্ত বাউফল গঠন, বেকার তরুণদের কর্মসংস্থান, বগা সেতু নির্মাণ এবং নদীভাঙন রোধে চলমান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে জনগণ এবার দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেবে।
এ সময় বাউফল উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. ইসহাক মিয়া, নায়েবে আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান আবদুদ দাইয়ান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি রিদওয়ানুল্লাহ মাস্টার, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. লিমন হোসেনসহ সহস্রাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।