Image description
 

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে আলোচিত মা-মেয়ে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পরকীয়ার জেরেই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

 

শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন, শিবালয় থানার ওসি কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, ঘাতক সুজন আদালতে ১৬৪ জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামের সাঈদ শেখের ছেলে বিদেশ ফেরত সুজনের সঙ্গে জাফরগঞ্জ ভাঙ্গাবাড়ি গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক শেখের স্ত্রী স্মৃতি বেগমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে অন্যত্র বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সুজন। বিয়ে না করলে স্মৃতি সুজনের বাড়িতে চলে আসার হুমকি দেন। এতে স্মৃতিকে হত্যার পরিকল্পনা করেন সুজন। 

২৪ অক্টোবর রাতে তিনি কৌশলে স্মৃতিকে যমুনা নদীর পাড়ে স্থানীয় জামাল মিয়ার পেয়ারা বাগানে ডেকে আনেন। দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে প্রথমে শ্বাসরোধ করে স্মৃতিকে হত্যার পর বস্তায় লাশ ভরে যমুনা নদীতে ফেলে দেন। এরপর তার ওড়না প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তিন বছর বয়সি মেয়ে মরিয়মকে হত্যা করে যমুনা নদীতে ফেলে দেন। শিশুটির লাশ পাওয়া গেলেও স্মৃতির লাশের সন্ধান এখনো মেলেনি।   

তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, প্রেম ভেঙে যাওয়ার প্রতিশোধ ও সামাজিক মান-অপমানের ভয়ে সুজন একসঙ্গে মা-মেয়েকে হত্যা করেছে।