Image description

নতুন বাংলাদেশ গড়তে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরেকটা লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

গতকাল শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জাতীয় সমাবেশে তিনি বলেন, অনেকের প্রশ্নÑআগামীর বাংলাদেশটা কেমন হবে? আমি বলি, আরেকটা লড়াই হবে। একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইনশাল্লাহ। এই দুর্নীতির মূলোৎপাটনের জন্য যা করা দরকার, আমরা তরুণ এবং যৌবনের শক্তিকে একত্রিত করে সে লড়াইয়েও ইনশাল্লাহ বিজয় লাভ করব।

সব গণহত্যার বিচারের দৃশ্যমান প্রক্রিয়া শুরু না করা পর্যন্ত পুরোনো ব্যবস্থাপত্রে বাংলাদেশ আর চলবে না বলেও ঘোষণা দেন জামায়াত আমির।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সাত দফা দাবিতে এই জাতীয় সমাবেশের ডাক দেয় জামায়াত। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলটির ইতিহাসে এটিই ছিল প্রথম এবং সবচেয়ে বড় জমায়েত। এতে বিএনপি ও সমমনা কয়েকটি দল, এবি পার্টি এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ছাড়া ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রায় সব রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় সংগঠন এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন। সমাবেশমঞ্চও ছিল এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় আকারের ও অত্যাধুনিক।

এতে রাজধানীসহ সারা দেশ থেকে জামায়াতের অন্তত ১০ লাখ নেতাকর্মী অংশ নেন। দুপুর ২টা থেকে সমাবেশের মূল বক্তব্যপর্ব শুরু হলেও ফজরের পর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হন। সকাল ৯টার দিকেই সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীতে ভরে যায়। ১০টা থেকে সেখানে সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নেতাদের উপস্থিতির কারণে তা ২০ মিনিট আগেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। দুপুর ১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত এই পর্ব চলে। পরে বিরতি দিয়ে দুপুর ২টায় বক্তব্যপর্ব শুরু হয়।

সভাপতির বক্তব্য দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে দুই দফা পড়ে যান জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে সংক্ষিপ্তভাবে বক্তব্য শেষ করেন তিনি। এ সময় জামায়াত আমির বলেন, জামায়াতে ইসলামী যে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়বে, তার প্রথম প্রমাণ হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী যদি জনগণের সমর্থন এবং আল্লাহর মেহেরবানিতে সরকার গঠন করে, মানুষের সেবা করার সুযোগ পায়, তাহলে মালিক হবে না, সেবক হবে ইনশাল্লাহ।

তিনি বলেন, আমি ঘোষণা দিচ্ছি, লক্ষ জনতাকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে যারা আগামীতে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হবেন, যদি সরকার গঠন করেন, তাহলে কোনো এমপি-মন্ত্রী সরকার থেকে প্লট গ্রহণ করবেন না। কোনো এমপি এবং মন্ত্রী ট্যাক্সবিহীন গাড়িতে চড়বেন না। কোনো এমপি-মন্ত্রী নিজের হাতে টাকা চালাচালি করবেন না। কোনো এমপি-মন্ত্রী যদি তার নির্দিষ্ট কাজের জন্য বরাদ্দ পেয়ে থাকেন, কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের কাছে তার প্রতিবেদন তুলে ধরতে বাধ্য হবেন।

জামায়াত আমির বলেন, চাঁদা আমরা নেব না, দুর্নীতি আমরা করব না। চাঁদা আমরা নিতে দেব না, দুর্নীতি আমরা সহ্য করব নাÑএই বাংলাদেশটাই আমরা দেখতে চাই। যুবকদের আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাইÑবন্ধুগণ, তোমাদের সঙ্গে আমরা আছি। আমি আজ জামায়াতের আমির হিসেবে এখানে কথা বলতে আসিনি। আমি এসেছি বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের একজন হয়ে কথা বলতে। আমি শিশুদের বন্ধু, আমি যুবকদের ভাই, আমি বয়স্কদের সহযোদ্ধা। তাদের মুক্তির জন্যই দায়িত্ব নিয়ে আমি এখানে দাঁড়িয়েছিলাম। আল্লাহর ইচ্ছাÑশরীর আমাকে সাময়িকভাবে সাহায্য করেনি। এটাও আল্লাহর ইচ্ছাÑএখন আমাকে কথা বলার সুযোগ দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কোনো শ্রেণির মুক্তির জন্য আমাদের এ লড়াই নয়। রাস্তার পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ঘাম ঝরানো রিকশাচালক, মাঠের কৃষকÑআমি তাদের হয়ে এখানে কথা বলতে এসেছি। আমি কোনো অভিজাত শ্রেণির হয়ে এখানে কথা বলতে আসিনি। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি, আজীবন রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেছি, জেলের পরোয়া করিনি। আমার আফসোস, চব্বিশে জাতিকে মুক্তি দিতে গিয়ে যারা জীবন দিয়ে শহীদ হলো, আমি তাদের একজন হতে পারলাম না। আপনাদের কাছে দোয়া চাই, ইনসাফের ভিত্তিতে একটি দেশ গড়ে তোলার জন্য আগামীতে যে লড়াই হবে, আমাকে যেন আল্লাহ সে লড়াইয়ে শহীদ হিসেবে কবুল করেন।

জামায়াত আমির বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করে পল্টন গণহত্যা, শাপলা গণহত্যা, সারা দেশের গণহত্যা, পিলখানার গণহত্যা, চব্বিশের গণহত্যা যারা করেছে, তাদের সবার বিচার বাংলাদেশের মাটিতে নিশ্চিত করতে হবে। এদের বিচারের দৃশ্যমান প্রক্রিয়া শুরু না করা পর্যন্ত পুরোনো ব্যবস্থাপত্রে বাংলাদেশ আর চলবে না। এতগুলো মানুষ এমনি এমনি জীবন দেয়নি। জীবন দিয়েছে জাতির মুক্তির জন্য। পুরোনো সবকিছুই যদি টিকে থাকে, তাহলে কেন তারা জীবন দিয়েছিল?

যারা বস্তাপচা ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশকে আবার ভরতে চান, তাদের আমরা বলি, জুলাইয়ে যুদ্ধ করে যারা জীবন দিয়েছে, যদি শক্তি থাকে আগে তাদের জীবনটা ফিরিয়ে দিন। আপনারা পারবেন না। যেহেতু পারবেন না, সেই নতুন ব্যবস্থায় নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে ইনশাল্লাহ। শিশু-কিশোর, যুবক, মা-বোন, ছাত্র, কৃষক-জনতা, ব্যবসায়ী সবাইকে যে দেশ যে সংবিধান যে রাষ্ট্র নিরাপত্তা দিতে পারবে, সেই নতুন বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই।

তিনি বলেন, আবু সাঈদরা যদি বুক পেতে না দাঁড়াত, এ জাতির মুক্তির জন্য যদি বুকে গুলি লুফে না নিত, হয়তোবা আজকের এই বাংলাদেশটা আমরা দেখতাম না। ইতোমধ্যে হয়তো অনেক জীবন ফ্যাসিবাদীদের হাতে চলে যেত। চব্বিশে জীবনবাজি রেখে যদি লড়াইটা না হতো, তাহলে আজ যারা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলছেন, তারা তখন কোথায় থাকতেন?

অতএব আসুন, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে আল্লাহর এই নিয়ামত পাওয়া গেছে, তাদের যেন অবজ্ঞা এবং অবহেলা না করি। শিশু বলে যেন তাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য না করি। অহংকার করে অন্য দলকে যেন তুচ্ছতাচ্ছিল্য না করি। অরাজনৈতিক ভাষায় আমরা যেন কথা না বলি। যদি এগুলো আমরা পরিহার না করতে পারি, তাহলে যারা পারবেন না, বুঝতে হবে ফ্যাসিবাদের রোগ নতুন করে বাসা বেঁধেছে।

আমরা আশা করব আমরা এগুলো করব না। কেউ এগুলো করবে না। রাজনৈতিক শিষ্টাচার রক্ষা করে জাতীয় ঐক্যের বীজতলাটা সবাই মিলে একসঙ্গে তৈরি করব ইনশাল্লাহ। তিনি বলেন, যারা এখানে কথা বলেছেন, আমার মনের কথাই বলেছেন।

অসুস্থতা প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, আমাকে দ্রুত শেষ করতে বলছেন। আমি বলি, আমার মউত আল্লাহর নির্ধারিত। হায়াত যা দিয়েছেন, তার এক সেকেন্ড আগেও আমি যাব না। অতএব আল্লাহর কাছে তওফিক চাই। আল্লাহ যতক্ষণ হায়াত দিয়েছেন ততক্ষণ মানুষের জন্য লড়াই করব ইনশাল্লাহ। কোনো অবস্থায় বন্ধ হবে না।

তিনি বলেন, আমি তো এখানে বসেছিলাম, চারদিকে দৃষ্টি বোলাচ্ছিলাম, সবার কী কষ্ট হচ্ছে। এই কষ্ট আল্লাহর জন্য। ইনশাল্লাহ তাদের দুনিয়া ও আখেরাতে জাঝাহ দেবেন। এই ত্যাগের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়ে যাব। আসুন সেই নতুন বাংলাদেশের জন্য কাজ করি। নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার স্লোগান দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন তিনি।

এর আগে বক্তব্যের শুরুতে জুলাই আন্দোলনসহ সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। এ ছাড়া সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশে আসার পথে দুজন এবং সমাবেশস্থলে একজনসহ তিন নেতাকর্মীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও মাগফিরাত কামনা করেন জামায়াত আমির।

সমাবেশে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সম্প্রতি কারামুক্ত এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, দলের যেসব নেতাকে অন্যায়ভাবে ফাঁসিতে এবং বিনা চিকিৎসায় হত্যা করা হয়েছে, এর সঙ্গে জড়িতদের বিচার করতে হবে। তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী পূর্ণাঙ্গ একটি ইসলামী আন্দোলন। একমাত্র জামায়াতই আল্লাহর আইন ও মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারে।

সমাবেশে অন্য বক্তারা আগামী নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের আয়োজন এবং জুলাই গণহত্যাসহ সব গণহত্যার বিচার, মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত এবং ইসলামী ও দেশপ্রেমিক দলগুলোর ঐক্যের পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখেন।

এ সময় শহীদ পরিবার এবং আহত জুলাইযোদ্ধাদের পুনর্বাসন এবং আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের বিচার নিশ্চিতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কঠোর দাবি জানান। বিচার ও সংস্কার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলেও ঘোষণা দেন বক্তারা।

সমাবেশে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমদ আবদুল কাদের, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, বাংলদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা ইউছুফ আশরাফ, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, শিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, এনসিপি উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ড. হামিদুর রহমান আযাদ, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুসা বিন ইজহার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব ড. গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, খেলাফত আন্দোলনের আরেক অংশের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, জাগপার সহসভাপতি প্রকৌশলী রাশেদ প্রধান, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. ফয়জুল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি

সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সমাবেশের মূল প্যান্ডেলে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। কয়েকদিন আগে থেকেই মূল প্যান্ডেলস্থল কর্ডন করে রাখে জামায়াতের নিজস্ব টিম। কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির পক্ষ থেকে অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতাকর্মীদের নিয়ে বিশাল স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করা হয়। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্বে ছিলেন।

রাজধানীতে যানজট

এদিন রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট লক্ষ করা যায়। বিশেষ করে রাজধানীর প্রবেশপথগুলোয় তুলনামূলক ট্রাফিক জ্যাম ছিল বেশি। বেশি দূরের জেলাগুলোর নেতাকর্মী ও সমর্থকরা শনিবার ভোর হওয়ার আগেই রাজধানীতে প্রবেশ করলেও আশপাশের জেলাগুলোর বাসিন্দারা সকাল ৭টার পর থেকে প্রবেশ করতে শুরু করেন। একসঙ্গে অনেক গাড়ির চাপ তৈরি হওয়ায় গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী এলাকায় যানজট দেখা যায়। তবে সমাবেশের আগেই যানজটের বিষয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে নগরবাসীর কাছে আগাম দুঃখ প্রকাশ করা হয়।

বিভিন্ন পয়েন্টে ফ্রি খাবার ও পানি

সমাবেশে আসা মানুষ ও পথচারীদের জন্য পানি ও অন্যান্য খাবারের ব্যবস্থা করে জামায়াতে ইসলামী। তীব্র গরমের মধ্যে অনেকে এ খাবার এবং পানি পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

সরেজমিন দেখা যায়, গতকাল শনিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে ফার্মগেট বাসস্ট্যান্ডে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচে খোলা পিকআপে করে খাবার পানির বোতল, পাউরুটি, চানাচুর, কলা, ডিম, হাতে বানানো রুটি, মুড়িসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্যসামগ্রী মানুষের মাঝে বিতরণ করেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা।

জানা গেছে, রাজধানীর অন্তত ৩০টি পয়েন্টে এভাবে পানি এবং খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।