Image description
সলটুর হাতে ‘আলাদিনের চেরাগ’

সুজিব রঞ্জন দাশ সলটু। এক সময় নিজ গ্রামে বাবার মুদির দোকানের পাশে লুঙ্গি সেলাই করে সংসার খরচে সহায়তা করতেন। কিন্তু সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুম আবদুস সামাদ আজাদের আশীর্বাদে ‘ভাগ্যের পালে হাওয়া’ লাগে। সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হুদা মুকুট ও তার ছোট ভাই খায়রুল হুদা চপলের ঠিকাদারি ব্যবসার অংশীদার হয়ে আলোচনায় আসেন। এরপর শেখ সেলিমের ছেলে শেখ ফাহিমের সান্নিধ্যে সলটুর হাতে চলে আসে ‘আলাদিনের চেরাগ’। পাঁচ বছরের মধ্যে সলটু কয়েকশ কোটি টাকার মালিক বনে যান। ফটোসেশন করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও। দেশে-বিদেশে অঢেল সম্পদের পরিমাণ বাড়তে থাকে। কানাডার টরেন্টোতে কিনেছেন ৪টি বাড়ি। যার দাম প্রায় শতকোটি টাকা। আছে দুবাইতে ফ্ল্যাট। টরেন্টোতে এখন প্রতিদিন জুয়া খেলেন কোটি কোটি টাকার। যুগান্তরের নিজস্ব অনুসন্ধানে উঠে এসেছে সলটুর উত্থানের এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।

উল্লেখ্য, আরব্য উপন্যাসের আলাদিনের চেরাগ (প্রদীপ) সবার কাছেই অতিপরিচিত। জাদুকরী সেই চেরাগে ঘষা দিলেই দৈত্য বেরিয়ে এসে পূরণ করে মানুষের ইচ্ছা। আলোচ্য সময়ে অস্বাভাবিক হারে সম্পদ বাড়ার গতি দেখে সলটুর উত্থানকে এই চেরাগের সঙ্গে তুলনা করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

সলটুর ঘনিষ্ঠ একজন ব্যবসায়ী এই প্রতিবেদককে জানান, সলটুর অঢেল সম্পদের মালিক হওয়ার নেপথ্যে ছিলেন শেখ ফাহিম। তিনি এফবিসিসিআই’র সভাপতির (২০১৯-২০২১) দায়িত্ব পালন সময় থেকে কানাডায় বিভিন্ন সময়ে মোটা অঙ্কের টাকা পাচার শুরু করেন। ফাহিমের হস্তক্ষেপেই সুনামগঞ্জের মল্লিকপুরের গ্যাস পাম্প (সিএনজি ফিলিং স্টেশন) চালু করেন সলটু। তার মেয়ে সিনথিয়ার নামে গ্যাস পাম্পটি দেওয়া হলেও সুনামগঞ্জের নুরুল হুদা মুকুটকে এই পাম্পে পার্টনার রাখা হয়। এই গ্যাস পাম্প থেকে প্রতিদিন সিলিন্ডারে গ্যাস ভরে দেশের বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে বিক্রি করা হতো। দিনের বেশির ভাগ সময় গ্যাস পাম্পের মিটার লক করে অবৈধভাবে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানিতে কর্মরত কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে গ্যাস চুরির এই ব্যবসা পরিচালিত হয়েছে কমপক্ষে পাঁচ বছর। ৫ আগস্টের পর এই গ্যাস পাম্প বন্ধ করে দেওয়া হয়। সম্প্রতি এটি খুলে দিয়েছেন সিলেটের জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানির কর্মকর্তারা।

অস্বাভাবিক সম্পদের কয়েকটির বিবরণ : কানাডায় সরেজমিন ঘুরে এবং সলটুর সম্পদের সংশ্লিষ্ট নথিপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, টরেন্টোর স্কারবোরো এলাকার পিত অ্যাভিনিউতে বাড়ি কেনার জন্য প্রথম উদ্যোগ নেন স্ত্রী শেলি দাসের নামে ২০১৯ সালে। স্কারবোরোর ১০৬-১০৭নং প্লটে বাড়িটি ওন্টারিওর ৬৬নং ল্যান্ড রেজিস্ট্রি অফিসে শেলি দাসের নামে রেজিস্ট্রি করা হয়। দুই দফায় ১২ লাখ ৩৪ হাজার ৭৮৮ ডলারের মধ্যে ২০১৯ সালের ২০ জুন ৭ লাখ ১শ ডলার এবং একই বছরের ২৩ জুলাই ৫ লাখ ৩৪ হাজার ৬৮৮ ডলার পরিশোধ করা হয়। ‘টেলর লয়েড আলেকজান্ডার ও ডোনা রোজ’ শেলি দাসের নামে একই বছরের ২৩ জুলাই রেজিস্ট্রি করে দেন। দলিল নং এটি ৫১৯২৫৫৯, এটি ৫১৬৫৩০৭ ও এটি ৫১৬৫৩০৮। বাড়িটি কেনার ক্ষেত্রে ‘ইকুইটি ক্রেডিট ইউনিয়ন ইনক’ নামে একটি কোম্পানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ এই ডলার বিক্রেতা ওই দম্পতির ‘টরেন্টো ডমিনিয়ন ব্যাংক’ অ্যাকাউন্টে জমা দেন। কোম্পানির মাধ্যমে এই টাকা বাংলাদেশ থেকে কানাডায় পাচারের কৌশল নেওয়া হয়।

অনুসন্ধানে প্রাপ্ত নথিপত্রে দেখা গেছে, দ্বিতীয় বাড়িটি কেনেন টরেন্টোর স্কারবোরো এলাকার ১৩৮নং মেবোর্নে। ১৭ লাখ ৫৫ হাজার ডলারে সুজিব রঞ্জন সলটুর নামে এই বাড়িটি রেজিস্ট্রি করা হয়। মেবোর্নের ১০৭-১০৮নং প্লটের বাড়িটি কিনতে সুজিব রঞ্জন দাস সলটু ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর বাড়ির মালিক মরেন্ট জুডিথ ইয়াসুদা ও ইসামুকে প্রথমে ১ (১০ লাখ ডলার) মিলিয়ন ৫ হাজার ডলার দিয়ে বায়না করেন। ‘কানাডা ইনক’ নামে একটি কোম্পানির মাধ্যমে এই ডলার পরিশোধ দেখানো হয়। চলতি বছর (২০২৫) ২৫ ফেব্রুয়ারিতে ওই বাড়ির জন্য দ্বিতীয় দফায় ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার পরিশোধ করা হয়। এই ১৭ লাখ ৫৫ হাজার ডলার পরিশোধ করতে ‘কুবার মর্গেজ ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন’ নামে আরেকটি কোম্পানির নাম উল্লেখ করতে দেখা যায়।

সরেজমিন জানা যায়, টরেন্টোর স্কারবোরো শহরের মেবোর্ন অ্যাভিনিউ ও পিট অ্যাভিনিউ পাশাপাশি এলাকা। এই পার্শ্ববর্তী পিত অ্যাভিনিউতে ৫০ নম্বর হোল্ডিং এবং ৫২ নম্বর (১০৬-১০৭-১০৮নং প্লট) দুটি ডুপ্লেক্স বাড়ি। বাড়ি দুটি ভাড়া দেওয়া হয়েছে। আর মেবোর্নের ১৩৮নং হোল্ডিংয়ের ১৯০নং প্লটের ট্রিপলেক্স বাড়িটি কেনা হয় ১৩ লাখ ২৫ হাজার ডলারে। বর্তমানে এই বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন সলটু। তার স্ত্রী শেলি দাস সন্তানদের নিয়ে আগে থেকেই ওই শহরে বসবাস করলেও ৫ আগস্টের পর কানাডায় পালিয়ে সেখানেই অবস্থান করছেন সলটু।

নথিপত্রে দেখা যায়, এই বাড়িটি স্বামী-স্ত্রী দুজনের নামে বায়নাপত্র করা হয় ২০২১ সালের ২৩ এপ্রিল। ওইদিন বাড়িটির মালিক রবার্ট স্ট্যানশন ব্যারিকে রয়্যাল ব্যাংক অব কানাডায় এক মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়। এ বছর (২০২৫) ৩০ মে ৩ লাখ ২৫ হাজার ডলার পরিশোধ করে বাড়িটি রেজিস্ট্রি করে নেওয়া হয়। দলিল নং এটি ৬৮২৭৮৯০। সবগুলো বাড়ির রেজিস্ট্রি করা হয় ওন্টারিওর ৬৬ ল্যান্ড রেজিস্ট্রি অফিসে।

জানা যায়, সলটুর শ্বশুরবাড়ি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নে। তার শ্বশুর দীনেশ চন্দ্র তালুকদার ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন।

টরেন্টোতে আরও একাধিক অ্যাপার্টমেন্ট থাকার কথা বলেছেন কানাডায় বসবাসরত একাধিক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী। তবে ওই অ্যাপার্টমেন্টের ঠিকানা পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিলেট থেকে কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী কার্যত নিষিদ্ধ ‘আওয়ামী লীগ’ নেতা প্রতিবেদককে বলেন, ‘সল্টুর মতো শত শত লুটেরার কারণে আজ দলের এই অবস্থা। একজন সাধারণ টোকাই থেকে যদি সলটুরা শত শত কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচার করার সুযোগ পায় তাহলে বড় দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদরা কী পরিমাণ টাকা পাচার করেছে তার নমুনা বোঝা যায়। দেশ থেকে শত শত নেতাকর্মী আজ দেশান্তরি এসব কুলাঙ্গারের কারণে। আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করে এসব সলটু ও শেখ ফাহিমের লুটেরা কী পরিমাণ টাকা দেশের বাইরে পাচার করেছে এটা একটি নমুনা। ১৫ বছরের ক্ষমতার প্রভাবে এরা টাকার কুমিরে পরিণত হয়েছেন। অথচ দলে এদের কোনো ভূমিকাই ছিল না। বছরের পর বছর দলের প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়ে এখন গা-ঢাকা দিয়ে আছে।’

সল্টুর ঘনিষ্ঠ পরিচিত কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী আরেকজন বলেন, ‘শেখ সেলিমের ছেলে শেখ ফজলে ফাহিমের ক্যাশিয়ার ছিলেন সুবির রঞ্জন দাস সলটু। ফাহিমের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় দলীয় সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও ফটোসেশন করার সুযোগ পেয়েছে সলটু। এ সময় তিনি প্রতিবেদকের হোয়াটসঅ্যাপে বেশ কিছু ছবি পাঠান। সলটুর সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ সেলিমের ছেলে শেখ ফাহিম, দরবেশখ্যাত সালমান এফ রহমানসহ শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সলটুর ছবি দেখা যায়। এসব ছবি সলটু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করে ক্ষমতার জানান দিয়েছে।

২০১৭ সালে হাওড়ের ফসল তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন যে মামলা করেছে, তাতে সলটু ও তার বন্ধু জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি খায়রুল হুদা চপল ছিল অন্যতম আসামি। অথচ মূল এই দুই আসামির নাম তালিকা থেকে প্রত্যাহার করা হয়। এর নেপথ্যে ছিলেন ফজলে ফাহিম। হাওড়ে ওই সময় এত বড় বিপর্যয়ের পর দায়ের হওয়া এই মামলার মূল দুই আসামিকে (চপল-সলটু) বাদ দিয়ে চার্জশিট করায় প্রশ্নবিদ্ধ হয় দুদকের তদন্ত। সলটুর বন্ধু খায়রুল হুদা চপলও এ রকম শত শত কোটি টাকা এনে টরেন্টোতে বিলাসী জীবনযাপন করছেন। তিনিও এখানে একাধিক বাড়ি কিনেছেন।

নাটকীয় উত্থান : অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, সুজিব রঞ্জন দাস সলটুর উত্থানের নেপথ্য কাহিনি রীতিমতো চমকে যাওয়ার মতো। ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদের নির্বাচনি প্রচারণার সময় প্রকাশ্যে মরহুম আবদুস সামাদ আজাদের জুতা পরিষ্কার করতে দেখা গেছে সলটুকে। ওই সময় সামাদ আজাদ সলটুকে ইঙ্গিত করে তার বলয়ের নেতা নুরুল হুদা মুকুটকে বলে দিয়েছিলেন ছেলেটাকে কাজে লাগাও। ব্যস। তখন সুনামগঞ্জ থেকে জগন্নাথপুরগামী ছয়হারা ব্রিজের কাজ চলছিল। সড়ক ও জনপথের এই কাজটি পেয়েছিলেন নুরুল হুদা মুকুট। নেতার কথায় মাটি আর বালু সরবরাহের সাব-ঠিকাদারি দিয়ে সহযোগিতা করেন মুকুট। এভাবেই মুকুটের ছোট ভাই খায়রুল হুদা চপলের সঙ্গে সলটুর গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। এরপর থেকে সলটু-চপলকে মানিকজোড় হিসাবে আখ্যায়িত করতেন স্থানীয়রা। ক্যাডার পলিটিক্সের বদৌলতে এই মানিকজোড় হয়ে ওঠেন সুনামগঞ্জে ‘দুর্ধর্ষ’ এক নাম। আওয়ামী আমলের পুরো সময়ে এরা সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে নির্বিঘ্নে টেন্ডারবাজি করেছেন। শেখ সেলিমের ছেলে শেখ ফজলে ফাহিম এফবিসিআিই’র (২০১৯-২০২১) মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তার অলিখিত ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পেয়ে যান। শেখ ফাহিম গোপালগঞ্জের কোটায় তাকে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিআিই’র পরিচালকও করা হয়।

এদিকে দেশের সুনামগঞ্জে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সলটুর বাড়ি ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও গ্রামে। তার পিতার নাম মনি দাস। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সওজের দুই নির্বাহী প্রকৌশলী টেন্ডার ছাড়া কোটি কোটি টাকার জরুরি কাজ দিয়ে সহযোগিতা করেন। ২০১৭ সালে হাওড়ের ফসল তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দুদকের মামলা দায়েরের পর সিলেট থেকে ঢাকায় এসে আবাসিক হোটেল ব্যবসা শুরু করেন সলটু ও চপল। গুলশান ২-এর ইউনিমার্টের বিপরীতে ত্রিস্টার মানের ‘বেঙ্গল ব্লুভেরি’ নামে আবাসিক হোটেল ব্যবসা শুরু করেন। এখান থেকেই পরিচয় হয় শেখ সেলিমপুত্র ফজলে ফাহিমের সঙ্গে। ক্ষমতাধর শেখ পরিবারের এই সদস্যকে নিয়ে তারা দুজন গড়ে তোলেন এলপিজি কোম্পানি ‘ইউরো গ্যাস’। এই কোম্পনির শেয়ার কেলেঙ্কারির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা লুটপাট করা হয়।

শেখ ফাহিমের সঙ্গে সলটুর সম্পর্কের গভীরতা বোঝাতে গিয়ে সুনামগঞ্জের একজন ব্যবসায়ী যুগান্তরকে বলেন, করোনার সময় সলটুর বাবা মনি দাস মারা যান। তার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ছাতকের ভাতগাঁও গ্রামে ৩টি হেলিকপ্টার নিয়ে উপস্থিত হন ফজলে ফাহিমসহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। সেই হেলিকপ্টার নিরাপদে অবতরণের জন্য ৫০ লাখ টাকা খরচ করে হেলিপ্যাড বানায় এই সলটু। এফবিসিআই’র পরিচালক নির্বাচনের দায়িত্ব ছিল সলটুর হাতে। এ সময় শেখ ফাহিমের হয়ে পরিচালক করতে এক থেকে দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত নগদ গ্রহণ করেছেন এই সলটু। সিলেটের উত্তর বাগবাড়ির দাম কয়েক কোটি টাকা। ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জমিসহ আছে একাধিক ফ্ল্যাট। কানাডায় পালিয়ে যাওয়ার পর তার দামি একাধিক গাড়ি গোপন করে রাখা হয়েছে।

শেখ ফাহিম পলাতক থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। সুজিব রঞ্জন দাস সলটুর মোবাইলে ফোন দেওয়ার পর পরিচয় পেয়ে লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন। সংশ্লিষ্ট অভিযোগের বিষয়ে খুদে বার্তা পাঠিয়ে তার বক্তব্য চাওয়া হলে, তিনি কোনো উত্তর দেননি।