Image description

নড়াইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ জুলাই) সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের গন্ধর্ব্যখালী গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত অন্যান্যদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সাইদুর রহমান মোল্লা এবং একই ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুর রউফ মোল্লার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গত শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর রহমান মোল্লার সমর্থক জিল্লুর রহমানকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করে। এরই জেরে শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। 

আহতদের মধ্যে উভয়পক্ষের আলমগীর শেখ (৪২), রহমান সরদার (৫৫), এসকেন সরদার(৫৫), মহাসিন সরদার (৫৭), মাহিম (১৯), লিমন সরদার (২৫), শরিফুল মোল্যা (৪৫), রোস্তম সরদার (৫৫), কেসমত মোল্যা (২৭), শফিক মোল্যা (৩৫), রেহাব মোড়ল (২২), সাদ্দাম সিকদার (৩২), নূর ইসলাম (৪০) ও সৌরভ সিকদার (১৫) নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

সংঘর্ষে আহত লিমন সরদার অভিযোগ করে বলেন, যুবদলের একটি মিছিলে যাওয়ায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের সাইদ মোল্যার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। সাইদ মোল্যা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা।

তবে চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সাইদুর রহমান মোল্লা গ্রুপের সমর্থক ইউপি সদস্য জাফর শেখ বলেন, গ্রাম্য কোন্দলের জের ধরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

জানতে চাইলে এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

তিনি আরো বলেন, আমরা পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এনেছি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখনো কোনওও লিখিত অভিযোগ পাইনি, পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।