
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৮ জুলাই উত্তরা বিএনএস সেন্টারে স্নাইপারের গুলিতে গুরুতর আহত হন টঙ্গীর তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী গাজী মো. জুনাইদুর রহমান। তিনবার অস্ত্রোপচারের পর তার পেট থেকে গুলি বের করা সম্ভব হয়। তবে ততদিনে তার ডান হাতের রগ ছিঁড়ে তিনটি আঙুল অকেজো হয়ে পড়ায় এখনো থেরাপি নিতে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত কাতড়াতে হচ্ছে অসহনীয় যন্ত্রণায়। এই যন্ত্রণা উপেক্ষা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির ডাকা জাতীয় সমাবেশে অংশ নিয়েছেন তিনি।
শনিবার (১৯ জুলাই) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশে অংশগহণ করে বক্তব্য রাখেন গাজী মো. জুনাইদুর রহমান। সমাবেশে জুনাইদুর রহমানের উপস্থিতি অনেকের দৃষ্টি কেড়েছে। আন্দোলনের সময় তাকে কেন্দ্র করে যে প্রতিবাদ-প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল, তা এখনো অনেকের মনে তাজা।
সমাবেশে জুনাইদুর রহমান বলেন, সংস্কারের নামে ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন এখনও চালু রয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের শত শত শহীদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশে পা রাখতে পেরেছি। যারা নির্বিচারে হাজার হাজার মানুষকে শহীদ করেছে, তারা কোনোভাবে একটি রাজনৈতিক দল হতে পারে না। একটা সন্ত্রাসী দল দেশের রাজনীতিতে বিরাজ করুক, আমরা তা চাই না। আমরা চাই, জুলাইসহ সকল গণহত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার হোক।
তিনি বলেন, সংস্কারের নামে ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন এখনও চালু রয়েছে। ফ্যাসিবাদের শিকড় যতোই গভীরে থাকুক, তার মূলোৎপাটন না করা অব্দি আমাদের লড়াই চলমান থাকবে। আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই, যেখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে। কোনো পক্ষপাতিত্ব থাকবে না, সকল দলের সমান সুযোগ ও অংশগ্রহণ থাকবে। আর এভাবেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।
প্রসঙ্গত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বড় পরিসরে জাতীয় সমাবেশ করছে জামায়াতে ইসলামি। দুপুর ২টায় কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সমাবেশস্থলে পৌঁছালে দলীয় নেতাকর্মীরা স্লোগানে তাকে স্বাগত জানান।