Image description

১৮ জুলাইকে ‘গণঅভ্যুত্থানের বাঁকবদলের দিন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ‘নাছির উদ্দীন নাছির’। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা রাজপথে না নামলে ইতিহাস আজ ভিন্ন হতে পারতো।

ঢাবির হামলার পর হতাশা, পরে নতুন আশার সূচনা

নাছির বলেন, ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারকীয় হামলার পর ছাত্রদের হল থেকে বের করে দেয়া হয়, বন্ধ করে দেয়া হয় খাবার, পানি ও বিদ্যুৎ। এতে আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে তখনই অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করেন। কিন্তু ১৮ জুলাই, সবকিছু বদলে দেয়।

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আত্মত্যাগ

তিনি লেখেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেভাবে নিজেদের সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো আন্দোলনে, তা ছিলো নজিরবিহীন। পুলিশের গুলিতে তারা শহীদ হয়েছে, আহত হয়েছে, তবু পিছু হটেনি। তাদের দৃঢ়তা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন সাহস ও আশার সঞ্চার করে।

নাছির বলেন, রামপুরা, বসুন্ধরা, বাড্ডাসহ রাজধানীর প্রধান এলাকাগুলোতে এ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভই শেখ হাসিনার সরকারকে কাঁপিয়ে দেয়। তাদের চরম আত্মত্যাগ এবং সাহসিকতা ঢাকার মধ্যবিত্ত ও উচ্চ-মধ্যবিত্তদেরও রাস্তায় নামিয়ে আনে। সে মুহূর্ত থেকেই আন্দোলন হয়ে ওঠে সর্বজনীন।

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ভূমিকা

নাছির উদ্দীন নাছির আরও বলেন, ঢাকার চারদিকের প্রবেশপথ — শনিরআখড়া, যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুর, উত্তরা — যেখানে যৌথবাহিনী ব্যারিকেড তৈরি করেছিলো, সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মাদ্রাসার ছাত্ররা। র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি মিলে তাদের ঠেকাতে পারেনি।

গণঅভ্যুত্থানের বাঁক বদলে দিয়েছিলো ১৮ জুলাই

ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক মনে করেন, ১৮ জুলাই ছিল মোড় ঘোরানোর দিন। যদি সে সময়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা রাজপথে না নামতেন, তাহলে হয়তো আমরা আজও বিজয়ের গল্প লিখতে পারতাম না।

তিনি লেখেন, তাদের অবদান কোনওদিন ইতিহাস ভুলবে না। তারা শুধু ছাত্র নয়, তারা হয়ে উঠেছিলো জাতির বিবেক ও প্রতিরোধের প্রতীক।