Image description

বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবারের (২৭ ফেব্রুয়ারি) পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। আজ দুপুরের দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক এম জে এইচ মঞ্জু নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান।

শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত হওয়ার পরে প্রশ্নে উঠেছে হঠাৎই আন্দোলন স্থগিত হওয়ার কারণ নিয়ে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, নিজেদের মধ্যে বিভক্তির কারণে তাদের আন্দোলন স্থগিত হয়েছে।

বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী নাফসিন মেহনাজ বলেন, আমাদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল সিন্ডিকেট নিজেদের স্বার্থের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে আাঁতাতে মিলিত হয়েছে। তারাই এখন এসে প্রাইভেটের শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা করছে। আমার কাছে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ আছে। সময় অনুযায়ী সেগুলো সামনে নিয়ে আসব।

পরবর্তীতে আন্দোলন চালিয়ে নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমার একার ইচ্ছে দিয়ে কিছু হবে না। যদি পরবর্তী কোনো কর্মসূচি দিতে হয়, তাহলে প্রাইভেটের সব শিক্ষার্থীকে এক হয়ে সেটা ঘোষণা করতে হবে। আমি চাই, প্রাইভেটের শিক্ষার্থীরা আর কোনো লেজুড়ভিত্তিক রাজনীতির সাথে যুক্ত হবে না। সবাই যদি সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে নতুন করে নতুন ধারায় সেটা শুরু করতে হবে। অবশ্যই সেটা স্বতন্ত্র হতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গতকালের সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের সংখ্যা উল্লেখ করে এই শিক্ষার্থী সমন্বয়ক বলেন, আমার কাছে নির্দিষ্ট সংখ্যার বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। তবে সংখ্যাটা ১৫ থেকে ২০ জনের মতো হবে। এই তালিকায় আমিও রয়েছি। গতকাল আমিও প্রচণ্ড আহত হয়েছিলাম। কিন্তু কিছু মানুষ আমাকে নিয়ে ভিন্ন উদ্দেশ্যে ভুল তথ্য ছড়ায়। আমাদের একজন শিক্ষার্থী এখনো আহত হয়ে হাসপাতালে আছে।

তিনি আরো বলেন, আন্দোলনে শুধু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছেন, বিষয়টি সেরকম নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে আমাদের কাছে তথ্য এসেছে। তবে যারা হামলা করেছে, তাদের মধ্যে ছাত্রলীগের কর্মী বাহিনীও রয়েছেন। আমাদের কাছে তাদের তথ্য প্রমাণ আছে। শীঘ্রই সেটা প্রমাণসহ সবার সামনে তুলে ধরা হবে।