|
জসিম উদ্দিন
|
|
অবক্ষয় বাড়িয়ে তুলছে আত্মহনন
25 Sep, 2014
সমাজে বহুগুণ বেড়ে গেছে ভোগের প্রবণতা। সামান্য পাওয়ার লোভে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ছে মানুষ। আধুনিকতা ও প্রগতির নামে মানবিক মূল্যবোধে ধস নেমেছে। একজনের সাধ-আহলাদ, কামনা-বাসনা চরিতার্থের আগুনে পুড়ছে অন্যজন। হতাশা-বঞ্চনা থেকে মুক্তির উপায় না পেয়ে বেছে নিচ্ছে অনেকে আত্মহননের পথ। ২০১৩ সালে বাংলাদেশে ১০ হাজার ১২৬ জন আত্মহত্যা করেছে। এদের বেশির ভাগের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। আত্মহত্যাকারীদের ৬০ ভাগ নারী। ২০১২ সালে বাংলাদেশে আত্মহত্যাকারী ১০ হাজার ১৬৭ জনের মধ্যে নারী ৫ হাজার ৭৭৩ জন ও পুরুষ ৪ হাজার ৩৯৪ জন। ২০১১ সালে বাংলাদেশে আত্মহত্যা করে সাড়ে নয় হাজারের বেশি মানুষ। আত্মহত্যার কারণ নিয়ে আমাদের দেশে কোনো গবেষণা চোখে পড়ে না। প্রকাশিত খবর থেকে এটা বোঝা সহজ যে, একটু বাড়তি ভোগ বা লালসা চরিতার্থ করার হীন চেষ্টা অন্যের জীবনে টেনে আনছে চরম হতাশা ও বিষাদ।
সম্প্রতি রাজধানীতে একই পরিবারের দুই ভাইবোন আত্মহত্যা করে। একই ফ্যাটের দুই রুমে আলাদাভবে একই সময়ে তারা গলায় ফাঁস নেয়। মেয়েটি কলেজ ছাড়িয়েছে, ছেলেটি স্কুলে পড়ে। জয়শ্রীর স্বামী তাদের রেখে বেশ কয়েক বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। নতুন স্ত্রী এবং সে ঘরে আসা তার সন্তান নিয়ে স্বামী সুখী জীবন যাপন করছেন। নতুন নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর ছবি ফেসবুক ওয়ালে নিত্য পেস্ট করেন। ঠিক এই সময় জয়শ্রী দু’টি সন্তান নিয়ে কঠিন জীবনসংগ্রামে। ঘুরে বেড়ানোর মতো বিলাসিতা করার সাধ ও সাধ্য কোনোটাই নেই তার।
সন্তানের পড়াশোনার উচ্চ ব্যয় বহন করা জয়শ্রীর জন্য কঠিন। প্রথম দিকে স্বামী খোঁজখবর নিতেন। কিছু অর্থকড়িও দিতেন। সময় গড়িয়ে যাওয়ার সাথে সাথে নিজের সন্তানসন্ততির প্রতি স্বামীর টানও ফ্যাকাশে হয়ে যায়। এই অবস্থায় জয়শ্রীর সংসারে অভাব-অনটন দেখা দেয়া স্বাভাবিক। এক দিকে ব্যয়নির্বাহে বিধবা মায়ের দুর্দশা, অন্য দিকে বাবার সুখী জীবন পুরনো সংসারের দুই সন্তানকে চরমভাবে হতাশ করে। বাবার এ স্বার্থপরতা তাদেরকে অস্বাভাবিক জীবনের দিকে ঠেলে দেয়। সংবাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়Ñ দুই ভাইবোন ধুমপান করত। বাসার পাশের দোকানদার জানান, প্রতিদিন দামি সিগারেট পান করত তারা। বাবার দায়িত্বহীনতা ও অবহেলা তাদের জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা এনে দেয়। তারা স্বাভাবিক জীবন থেকে সরে যায়। নিভৃতচারী হয়ে যাওয়ায় আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা তাদের ব্যাপারে কিছুই জানত না। স্কুলের সহপাঠীদের কাছ থেকেও আলাদা হয়ে যায় তারা। স¤পূর্ণ গুটিয়ে এনে নিজেদের ফ্যাটে আবদ্ধ হয় তাদের জীবন।
জয়শ্রী জামানের মেয়ে ১৯ বছরের চিরশ্রী জামান ‘ও’ লেভেল সম্পন্ন করেছে। ছেলে মোহাম্মদ বিন আলীমের বয়স ১৫ বছর। সে ছিল নবম শ্রেণীর ছাত্র। ঘটনার দিন তারা গলা জড়িয়ে মাকে বিদায় জানায়। মা হয়তো ভেবে ছিলেন সন্তানদের বাড়তি আহলাদ এটি। সেই আহলাদ যে জীবনের শেষ আহলাদ তিনি বুঝতে পারেননি। আলীমের স্কুলের খাতার একটি পাতায় এ পরিণতির রহস্য উন্মোচনের ইঙ্গিত রয়েছে। সেখানে সুইডিশ ব্যান্ডদল ‘হিপোক্রেসি’র একটি ইংরেজি গানের কথা লেখা ছিল। গানটির শিরোনাম ‘দ্য ডিপারচার’। এর বাংলা করলে হয় ‘ছেড়ে যাও’। গানটির শেষ কয়টি লাইনÑ ‘...আমি পরপারের দিকে অপলক তাকিয়ে ছিলাম। আমি যা দেখেছি তা কোনো মানুষ আগে দেখেনি। এবং আমি নিজেকে কেটে উন্মুক্ত রেখেছি, মনে হয় তারা আমার আত্মাকে খোঁজে।’ জীবন থেকে সে আগেই সরে গিয়েছিল এ গানের কলি তার আভাস দিচ্ছে।
মা সকালে কিংবা দুপুরে বের হয়ে যেতেন কর্মস্থলে। রাতে ফিরতেন তরিতরকারি নিয়ে। রান্নাবান্না সময়মতো করতে পারতেন না বলে সবাইকে ফাস্টফুড খেতে হতো অনেক সময়। এই চরম ব্যস্ততার মধ্যে তিনি খেয়াল করতে পারেননি সন্তানদের চরম মানসিক পরিবর্তন। মায়ের চাকরি থেকে পাওয়া বেতন সংসারের জন্য যথেষ্ট না হলেও দামি ব্রান্ডের সিগারেটের সংস্থান করেছে তারা। টানাটানির সংসারে সাধারণত এমনটি হওয়ার কথা নয়। পুলিশ সন্দেহ করেছে, এ দুই ভাইবোন হতাশা থেকে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। বাবা যদি দায়িত্বশীল থাকতে পারতেন; নতুন সংসারের মায়ায় হাবুডুবু খাওয়ার পাশাপাশি যদি কিছুটা সময় আগের সন্তানদের দিতেন; অভাব-অনটন ঘোচানোর জন্য যদি কিছু অর্থকড়ির ব্যবস্থা হতো, তাহলে তারা এভাবে হতাশায় নিপতিত হতো না। একজন মানুষের এভাবে নিজের জীবন নিয়ে স্বার্থপরভাবে মেতে ওঠা অন্যের মনে তৈরি করে বিশাল বঞ্চনা। তাতে বঞ্চিতরা নিজেদের হনন করতেও পিছপা হয় না।
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বখাটেদের অত্যাচার সইতে না পেরে ৬ সেপ্টেম্বর বিষপানে আত্মহত্যা করেছে নবম শ্রেণীর ছাত্রী উম্মে কুলসুম। বাসায় ঢুকে উপর্যুপরি দুইবার মেয়েটির শ্লীলতাহানি ঘটায় ওই নরপশু। মানমর্যাদা রক্ষা করতে না পেরে অপমানে, ক্ষোভে বিষপান করে সে অত্মহত্যা করে। স্থানীয় বখাটে মাদকব্যবসায়ী শিমুল চন্দ্র স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে রীতিমতো ইভটিজিং করত। ‘ইভটিজিং’ শব্দটি এখানে সম্ভবত যথার্থ হবে না। অপরাধের ধরন ও গভীরতা এ শব্দটি দিয়ে প্রকাশ সম্ভব নয়। সাধারণত শব্দটি দ্বারা বাক্যবাণ ও অশালীন অঙ্গভঙ্গি বোঝায়; কিন্তু বিষয়টা যখন পাশবিক আচরণে ধাবিত হয় সেটা ইভটিজিংয়ের চেয়ে আরো ভয়ানক কিছুÑ যেমনটি উম্মে কুলসুমের জীবনে ঘটেছে।
মা-বাবা দু’জনই দিনের বেলায় কর্মক্ষেত্রে থাকেন। বৃদ্ধ নানী বাসায় থাকলেও গুণ্ডাপাণ্ডাদের রুখে দেয়ার মতো শক্তিসামর্থ্য রাখেন না। ঘটনার দিন শিমুল বাসায় ঢুকে তার ওপর অত্যাচার চালায়। দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে, এভাবে ফ্রি স্টাইলে বাসাবাড়িতে ঢুকে গুণ্ডারা অত্যাচার চালাচ্ছে, কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না। এক দিন দুই দিন নয়, রীতিমতো এ ঘটনা ঘটেই চলছে। মেয়েটি বিষয়টি নিয়ে নিশ্চই ভেবেছে, এ দানবের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। রাস্তায় যখন খারাপ আচরণের শিকার হয়েছে, মেয়েটির পক্ষ থেকে নানা জায়গায় অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিকার হয়নি, বরং বখাটেরা তাকে বাসায় এসে নির্যাতন করেছে। বেশ কিছু দিন এ অপমান মেয়েটি সহ্য করেছে। সমাজ ও রাষ্ট্র্রের কাছ থেকে সে কোনো প্রতিকার পায়নি। বখাটেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে তাকে আত্মহননের পথ বেছে নিতে হতো না। সমাজের নিয়ন্ত্রণ চলে যাচ্ছে দুষ্কৃতকারীদের হাতে।
একই এলাকায় বসবাসকারী নারায়ণগঞ্জের চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছাত্রী সিমা বানু সিমি ২০০১ সালের ২৩ ডিসেম্বর আত্মহত্যা করে বখাটেদের অত্যাচার সইতে না পেরে। ২০১০ সালে ওই এলাকায় একই কারণে আত্মহত্যা করে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ইলোরা। এই করুণ পরিণতিগুলো কাউকে মানবিক করে গড়ে তুলতে পারেনি; বরং বখাটে সন্ত্রাসী বদমায়েশরা থেকেছে লাগামহীন। সামাজিক কাঠামো এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শক্তি হারিয়েছে। পুলিশের রয়েছে এদের সাথে বিশেষ সম্পর্ক। সরকারও এদেরই পৃষ্ঠপোষকতা করছে। না হলে একই এলাকায় একই ধরনের নির্যাতনের ঘটনার কিভাবে পুনরাবৃত্তি ঘটে।
উদ্ধত কামনা-বাসনার বল্গাহীন মেলামেশা আত্মহত্যার অন্যতম কারণ। বিশেষ করে তরুণীরা এর অন্যতম শিকার। তন্ময় আর মিম দু’জনের বয়স ১৬। তারা মগবাজার প্রভাতী বিদ্যানিকেতনে দশম শ্রেণীতে পড়ত। প্রথমে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। ‘বন্ধুত্বের’ এ সংস্কৃতি ব্যাপকভাবে প্রচলিত হয়ে পড়েছে। তরুণ-তরুণীরা প্রথমে বন্ধুত্বের নামে একে অপরের সাথে ভাইবোনের মতো একধরনের অবাস্তব সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে সেটা ভাইবোনের মতো আচরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এ সম্পর্ক তখন গড়ায় ভালোবাসায়। দিন দিন গভীর হয় তাদের প্রণয়। এরপর ঘরবেঁধে সারা জীবন একসাথে থাকার স্বপ্ন যোগ হয়; কিন্তু সে স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়ায় দুই পরিবার। এই ঘটনা ঘটা সম্ভব হতো নাÑ যদি সময়মতো অভিভাবকেরা সতর্ক হতেন।
মেয়ের পরিবার মেয়েটির অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে; কিন্তু ছেলেটি তা মেনে নিতে পারে না। মিমকে ছাড়া সে বাঁচবে না। তাই একদিন বিকেলে দু’জনে বাসা থেকে বের হয়ে পড়ে। সারা রাত এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরি করে। একসাথে বাঁচতে না পারলেও একসাথে মরার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। রাতে ঘোরাঘুরি শেষে ভোরে হাতিরঝিল ব্রিজের ওপর থেকে ঝাঁপ দেয় তারা। প্রথমে তন্ময়, পরে মিম। তন্ম্য় ডুবে মারা যায়। মিমকে পানি থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। বেঁচে যাওয়া মিম জানায়, সে আত্মহত্যায় রাজি ছিল না। সে তন্ময়কে বাস্তবতা মেনে নিতে অনুরোধ করেছিল; কিন্তু তন্ময় তাকে বোঝায়, একসাথে বাঁচতে না পারলে তাদের মরে যাওয়াই উচিত। শেষে রাজি হয় মিম।
যৌতুকের কারণে স্বামী ও স্বামীর পরিবারের অত্যাচার, পারিবারিক কলহ, ধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপ, প্রেমে প্রতারণা এসবই মূলত একটা সময় পর্যন্ত নারীদের আত্মহত্যার প্রধান কারণ ছিল আমাদের দেশে। কখনো কখনো পরীক্ষায় ফেল, নিজের অমতে জোর করে বিয়ে দেয়া, পরকীয়া, স্ক্যান্ডাল, প্রিয় দলের পরাজয় প্রভৃতি কারণে তরুণ-তরুণীদের আত্মহত্যার খবর বের হতো। সময়ের ব্যবধান এবং প্রযুক্তির বিকাশের কারণে আত্মহত্যার কারণের পরিধি যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে কিশোর-কিশোরীদের আত্মহননের প্রবণতা। ইভটিজিংয়ের কারণে আত্মহত্যা বলতে একসময় তেমন কিছু ছিল না। তেমনি ছিল না স্টার জলসা দেখতে না দেয়া, ঈদে পাখি ড্রেস না পাওয়া, ইউটিউব, ফেসবুক তথা ইন্টারেনেটে শারীরিক সম্পর্ক বা নগ্ন ভিডিও প্রকাশের কারণে কোনো আত্মহত্যার ঘটনা। বিভিন্ন কারণে অল্প বয়সের ছেলেমেয়েদের আত্মহত্যার ঘটনা আগেও ঘটত। এই প্রবণতা বর্তমানে উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে এবং এর সাথে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন বহুমাত্রিক কারণ।
সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর একটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন জব্দের পর পরীক্ষা করে দেখা গেছে, বেশির ভাগ মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও। মোবাইল, ইন্টারনেট এবং প্রযুক্তিগত সামগ্রীর সহজলভ্যতার কারণে এসবের বাইপ্রডাক্ট তথা পর্নোগ্রাফি এখন তরুণ-তরুণীদের হাতের মুঠোয়। ফলে ধীরে ধীরে শিথিল তচ্ছে যৌন নৈতিকতার বাঁধন। উঠে যাচ্ছে হায়া বা শরম-লজ্জাবোধ। ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে অবাধ মেলামেশার পরিবেশ। বিয়েবহির্ভূত যৌনতা বিষয়ে ধর্মীয়, পারিবারিক ও সামাজিক সংস্কার ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে যাচ্ছে। তরুণ-তরুণীদের ভালোবাসা-ভালোলাগা দ্রুত শারীরিক সম্পর্কের পর্যায়ে গড়াচ্ছে আজকাল। অবাধ মেলামেশা থেকে সৃষ্ট নানামুখী জটিলতার কারণে সংঘটিত হচ্ছে নানা ধরনের অপরাধ এবং অনেক সময় তা গড়াচ্ছে আত্মহত্যা পর্যন্ত।
প্রযুক্তির কারণে জীবনের সব মুহূর্ত মানুষ এখন ধারণ করে রাখছে। অনেক সময় প্রেমিকার অজ্ঞাতসারে গোপন মেলামেশার দৃশ্য ধারণ করে বা ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে তা প্রকাশ করে দিচ্ছে ইন্টারনেটে। গোপন প্রেম বা নগ্ন ভিডিও প্রকাশের পর বিশেষ করে মেয়েরা অসহায় হয়ে পড়ে। সামজিক ব্যবস্থা এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, সব দোষ মেয়েদের ঘাড়ে চাপে। এর সাথে সাথে তার ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। বিয়ে ভেঙে যাওয়া এবং বিয়ে না হওয়ার সম্ভাবনার সাথে সাথে মেয়েটি পুরো পরিবারের জন্য বোঝা হয়ে যাচ্ছে। বাকি পরিবারের সদস্যদের জন্য বিরাট লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সে। প্রকৃত বিচারে এ ধরনের অপরাধের জন্য মেয়েটির হয়তো কোনো দোষই নেই। উপায়ান্তর না দেখে শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতির শিকার ভুক্তভোগী নারী আত্মহত্যা করে। এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য নারীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার বিষয়টি প্রাধান্য দেয়া দরকার। অভিযুক্ত অপরাধীদের উপযুক্ত বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। পাশাপাশি সামাজিক ব্যবস্থাপনায় নারীদের প্রতি মনোভাব পরিবর্তন করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। (নয়া দিগন্ত )
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন