|
ড. সা'দত হুসাইন
|
|
রাস্তায় এত গর্ত কেন?
12 Sep, 2014
এক বিদেশি পথিক চলেছে শহরের পাকা রাস্তা ধরে। পথিক আসলে পর্যটক। সব কিছুতেই অতিমাত্রায় কৌতূহল, আশপাশের লোকজনের কথা খুব সহজেই বিশ্বাস করে। কিছুক্ষণের মধ্যে পথিক বুঝতে পেরেছে, এ শহরটা একটু অদ্ভুত গোছের। এখানে হেঁটে গেলে গাড়ির থেকে আগে পৌঁছা যায়। কত দূর যাওয়ার পর তার চোখে পড়ল রাস্তার বেশকিছু অংশ চাষাবাদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। কাদাপানিতে মিশে জমিটা চাষের বেশ উপযোগী হয়ে গেছে। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক লোক তাকে জানাল যে এখানে কদিন পরেই বীজ বোনা হবে। তখন কিছুদিন গাড়ি পাশের দুই লেন দিয়ে চলবে। এটা এক ধরনের পরীক্ষামূলক কর্মসূচি। যেহেতু এ দেশে চাষের জমির অভাব রয়েছে, তাই রাস্তাকে কিছুদিনের জন্য বীজতলা হিসেবে ব্যবহার করা গেলে জমির বাড়তি ব্যবহার হয়। সে জন্যই এ ব্যবস্থা। পথিক আবার সামনে চলে। এবার সে দেখতে পায়, রাস্তার মধ্যে ছোট ছোট ডোবার মতো জায়গায় শিশু-কিশোররা হইচই করে মাছ ধরছে। মাছের আকার যেমন ছোট্ট, পরিমাণও তেমনি খুব কম। শিশু-কিশোরদের আনন্দটাই সবচেয়ে বেশি। শহরের এক রাস্তায় এত কিছুর আয়োজন দেখে পর্যটক খুবই কৌতূহলী হয়ে ওঠে। এবার সে ভালোভাবে জানতে চেষ্টা করে, আসলে ব্যাপারটা কী?
যেহেতু তার মনে কৌতূহল জেগেছে, তাই পুরো ব্যাপারটি জানতে সে চেষ্টার ত্রুটি করেনি। ফলত স্বল্প সময়ের মধ্যে বিষয়টি সম্পর্কে সে সুস্পষ্ট ধারণা পেয়ে গেল। সে বুঝতে পারল, সংরক্ষণ ও মেরামতের অভাবে রাস্তার এমন বেহাল হয়েছে। যে অংশকে সে চাষের জমি মনে করেছিল, সে অংশে আসলে রাস্তা, পুরোপুরি ভেঙে নিচের মাটি ওপরে উঠে এসেছে। বিটুমিনের স্তর হারিয়ে গেছে। বৃষ্টিতে ভিজে এবং গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে সে মাটি কাদায় পরিণত হয়েছে। অবশেষে এই অবিশ্বাস্য করুণ অবস্থা। ডোবার মতো স্থানটিতে আসলে রাস্তা ভেঙে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে ভরে গিয়ে তা ডোবার রূপ নিয়েছে। এর পানির সঙ্গে নর্দমার পানি এবং সংলগ্ন নিচু জমির পানি মিশে যাওয়ায় সেখানে ছোট ছোট মাছ চলাফেরা করছে। বাচ্চারা সে মাছ এবং কুঁচে ধরায় ব্যস্ত। এ দৃশ্য সারা দেশের ছোট-বড় প্রায় সব রাস্তায়ই দেখা যায়।
রাস্তায় এত গর্ত কেন?
রাস্তাঘাটের এ অবস্থায় গাড়ির চালক, যাত্রী, পথচারী- সবাই বিপর্যস্ত, বিরক্ত, বিক্ষুব্ধ। এমনিতেই যানজটে রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বেকার সময় কাটাতে হয়, অস্বস্তিতে মন-প্রাণ বিদ্রোহী হয়ে ওঠে; তারপর রাস্তাজুড়ে এরূপ খানাখন্দ, ডোবা-গর্ত, কাদা-পানি জীবনকে ভয়াবহ ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেয়। যখন দেখা যায়, রাস্তার পাশে হেঁটে যাওয়া লোকজন আপনার গাড়ি পেছনে ফেলে তাদের গন্তব্যস্থানের দিকে ছুটে যাচ্ছে, তখন গাড়িতে বসে হতাশ হওয়া ছাড়া আর কিছুই করা যায় না। এ অবস্থায় কত হাজার লোকের যে অফিসে পৌঁছতে বিলম্ব হয়, কত হাজার লোকের পূর্বনির্ধারিত সাক্ষাৎকার, কর্মসূচি নষ্ট হয়, কত লক্ষ-কোটি কর্মঘণ্টা যে রাস্তায় হারিয়ে যায়, তার কোনো কূলকিনারা খুঁজে পাওয়া যায় না। মহানগরীর কোনো একজন বাসিন্দাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় যে তার জীবনে সবচেয়ে বিরক্তিকর ব্যাপার কী? তাহলে প্রায় সবাই একবাক্যে উত্তর দেবে যে মহানগরীর এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যন্ত্রচালিত বাহনে যাতায়াত করা। এরূপ কষ্ট ও অনিশ্চয়তার কারণে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে যাওয়া, সামাজিকতা রক্ষা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আমাদের জীবনযাত্রা তথা সংস্কৃতির ওপর বড় রকমের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
গত দু-আড়াই দশকে দেশে সম্পদের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। আশির দশকের শেষ দিকের বা নব্বইয়ের দশকের প্রথম দিকের বাজেট দেখলে অবিশ্বাস্য মনে হয় যে বাংলাদেশের বাজেট এত ক্ষুদ্রাকৃতির ছিল। অনেক ছোট ছোট প্রকল্পের সমাহারে রচিত হতো তখনকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) এবং পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। যমুনা সেতু প্রকল্প ছিল সে সময়ের সবচেয়ে বড় প্রকল্প, যার পরিমাণ ছিল তিন হাজার কোটি টাকার মতো, যাকে তখন চোখ ধাঁধানো অঙ্ক বলে মনে করা হতো। কয়েক বছর ধরে বৃহদাকার মেগা প্রকল্প গ্রহণের প্রতি আমাদের প্রবণতা বেড়েছে। হাজার কোটি টাকার প্রকল্পকে আমরা এখন মামুলি ব্যাপার মনে করি। অবকাঠামো খাতেই বেশির ভাগ বড় প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাজস্ব এবং উন্নয়ন বাজেটে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থার পেছনে অর্থাভাব বড় কারণ হবে বলে মনে হয় না। এর পেছনে অন্য কোনো সমস্যা, বিশেষ করে ব্যবস্থাপনার সংকট কাজ করছে বলে মনে হয়। আজ থেকে বছর তিনেক আগে, যত দূর মনে পড়ে, কোনো এক ঈদের আগে দেখা যায়, সড়ক-মহাসড়কগুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সমস্যা এত প্রকট হয়েছিল যে সড়ক মেরামতের দাবিতে নাগরিকসমাজ রাস্তায় নেমে এসেছিল। অবস্থা বেগতিক দেখে তৎকালীন (সাবেক) যোগাযোগমন্ত্রী রাস্তায় রাস্তায় দৌড়াদৌড়ি শুরু করেছিলেন। সেই ব্যর্থতা এবং পদ্মা সেতুর জটিলতা মাথায় নিয়ে প্রথমে তিনি যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং অবশেষে মন্ত্রিত্ব হারিয়েছিলেন।
সে সময় যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পার্লামেন্টে বলা হয়েছিল যে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পর্যাপ্ত টাকা বরাদ্দ না থাকায় এবং অপ্রতুল বরাদ্দ যথাসময়ে ছাড় না করার কারণে রাস্তাঘাট মেরামত করা সম্ভব হয়নি বা হচ্ছে না। মেরামতের জন্য তারা অতিরিক্ত বরাদ্দ দাবি করছিল। অর্থমন্ত্রী অবশ্য এ যুক্তির বিরোধিতা করে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের যুক্তি বা অতিরিক্ত বরাদ্দের দাবির পেছনের কারণ আমারও বোধগম্য হয়নি। রাজস্ব বাজেটে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে সড়ক সংরক্ষণ ও মেরামত খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ না থাকলেও বছরের প্রথম কয়েক মাস কাজ চালিয়ে যাওয়ার মতো কিছু টাকা বরাদ্দ থাকে। সে বরাদ্দ থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ছাড় করতে অন্য কোনো মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হয় না। বরাদ্দকৃত অর্থ শেষ না হলে বা শেষ হওয়ার উপক্রম না হলে অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়া যায় না এবং চাওয়ার যৌক্তিকতা থাকে না। উন্নয়ন বাজেট থেকে অনুমোদিত কোনো সড়ক সংস্কার প্রকল্পের বিপরীতে অর্থ খরচ করার ব্যাপারে প্রথম দু-তিন কিস্তির টাকা মন্ত্রণালয় সরাসরি ছাড় করতে পারে। অতএব অর্থ ছাড়ের সমস্যা অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওপর চাপানো যায় না। একটি খোঁড়া যুক্তি উপস্থাপন করে সড়ক মেরামতের কাজ ফেলে রাখা জনগণের ভোগান্তির প্রতি উদাসীন থাকার নামান্তর।
বর্তমান যোগাযোগমন্ত্রী দৌড়ঝাঁপ করছেন। প্রথমে সবাই আশাবাদী হয়েছিল যে এবার কিছু হবে। তাঁর আন্তরিকতার প্রতি কেউ সন্দেহ পোষণ করেনি। আমি নিজেও বিভিন্ন লেখায় আশা প্রকাশ করেছিলাম, তিনি কিছু করে ছাড়বেন। তাঁর সততা, সৎ উদ্দেশ্য এবং কঠোর পরিশ্রম সম্পর্কে এখনো সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তোলে না। তবে দুই বছর পর দেখা যাচ্ছে, তিনি বেশি দূর এগোতে পারেননি। কোথায় যেন বারবার হোঁচট খাচ্ছেন। ফলে আমরা যেন দুই বছর আগে যে জায়গায় ছিলাম, আজও সে জায়গায়ই ঠায় দাঁড়িয়ে আছি। ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন প্রকল্প সর্বশেষ ঘোষণামতে আগামী ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। এটি সম্ভব হবে না। ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন প্রকল্পের অবস্থাও সন্তোষজনক নয়। কবে শেষ হবে সে সম্পর্কে কিছুই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের অবস্থা অতীব সঙ্গিন। প্রকল্প শেষ তো দূরের কথা, নিয়মিত মেরামতের অভাবে মূল রাস্তাই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। এর প্রভাব এসে পড়েছে মধ্য ঢাকার অন্যান্য রাস্তার ওপর। ফলে যানজট অসহনীয় পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে।
পত্রপত্রিকার খবর থেকে বোঝা যাচ্ছে, নির্মাণকারী ঠিকাদারি সংস্থাগুলো ঠিকমতো রাস্তার মেরামত-সংরক্ষণ এবং নির্মাণকাজ করছে না। প্রকল্পের শুরু থেকে কঠোর পরিধারণ এবং নজরদারির অভাবে প্রথম দিকে প্রস্তুতি গ্রহণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আয়েসী শ্লথগতি, মাঝপথে গাছাড়া ভাব এবং পরবর্তী সময়ে বেপরোয়া আচরণ লক্ষ করা গেছে। মেরামত বা নির্মাণকাজের পরিবর্তে তারা আইনজ্ঞ এবং কৌশলীদের সহায়তায় কাজ বন্ধ রেখে আর্থিক সুবিধা বাগিয়ে নিতে তৎপর রয়েছে। জনগণ, বিশেষ করে পথচারী ও যান্ত্রিক বাহনের যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় আনছে না। এ ক্ষেত্রে কার্যাদেশপত্র বা চুক্তিপত্রে উল্লিখিত নির্দেশ এবং শর্তাবলির দুর্বলতা বেরোখা ঠিকাদারি সংস্থাকে যথাসময়ে কাজ না করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। কার্যাদেশপত্র জারি বা চুক্তি স্বাক্ষরের পূর্বে নিবিড়তা ও সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যাবশ্যকীয়; আমাদের সরকারি, আধা সরকারি সংস্থার কর্মকর্তাদের সেরূপ দৃষ্টিভঙ্গি ও পারদর্শিতা আছে বলে মনে হয় না। ফলে ফাঁক-ফোকরবিশিষ্ট দুর্বল চুক্তি বা কার্যাদেশপত্র যথাসময়ে কাজ সম্পন্ন করার পথে বড় রকমের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
প্রায়ই শোনা যায়, জরুরি মেরামতের নামে বিভিন্ন রাস্তায় ঠিকাদারের মাধ্যমে নতুন করে কাজ হচ্ছে। সে অজুহাতে রাস্তাঘাটের যান চলাচল বন্ধ থাকছে, জনদুর্ভোগ বাড়ছে। কয়েক মাস পর দেখা যায়, সে মেরামত কোনো কাজে আসেনি। আবার বড় বড় গর্ত। যান চলাচল ব্যাহত। শুধু টাকার শ্রাদ্ধ। কাজের মান নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি। নিয়ন্ত্রণ করার ইচ্ছা বা ক্ষমতা কোনোটিই প্রকৌশলীদের ছিল বলে মনে হয় না। আসলে সব সমস্যার মূল বোধ হয় এখানেই। বর্তমান পরিবেশে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ন্যায়ানুগ পদ্ধতিতে যোগ্য, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, পারদর্শী ঠিকাদার নিয়োগ বোধ হয় আর সম্ভব হয় না। প্রভাবশালী ব্যক্তি-গোষ্ঠীর চাপে অযোগ্য, অনভিজ্ঞ এবং সামগ্রিকভাবে অদক্ষ, সামর্থ্যহীন ঠিকাদার কাজ পেয়ে যায়। যথাসময়ে কাজ সম্পন্ন করার যোগ্যতা বা মানসিকতা কোনোটিই এদের নেই। এরা হয় কাজ ফেলে রাখে অথবা অন্য কোনো ঠিকাদারের কাছে কাজ বেচে দেয়। প্রভাবশালী ব্যক্তি-গোষ্ঠীর সুকঠিন আশ্রয়ে থাকার কারণে এদের ওপর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী-কর্মকর্তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা, তাড়াতাড়ি কাজটি সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করতেও কর্মকর্তারা ভয় পায়।
সমস্যার গভীরতা আন্দাজ করা যায় অবশেষে হতাশ যোগাযোগমন্ত্রীর অসহায় শিশুসুলভ আর্তির তীব্রতা থেকে। মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগ ফ্লাইওভার কাজের অচলাবস্থা দেখে বিক্ষুব্ধ মন্ত্রী হুমকি দিয়েছেন- এবার তিনি কিন্তু ঠিকাদারি সংস্থার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ করবেন। দাপুটে মন্ত্রীর একি অসহায় অভিব্যক্তি! পার্লামেন্টারি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট নির্দেশ এবং বিধিবিধান কর্তৃক আরোপিত নিষেধাজ্ঞা না থাকলে মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত সব নির্বাহী বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা মাননীয় মন্ত্রীর। এখানে অন্য কারো কাছে নালিশ বা ফরিয়াদ জানানোর প্রয়োজন নেই। তার পরও রাস্তায় দাঁড়িয়ে অসহায় দাপুটে মন্ত্রী যখন হাত উঁচিয়ে নালিশ করার আশ্বাস দেন, তখন বলতে ইচ্ছা করে, 'রাস্তায় এত গর্ত কেন? আয় ভাই আমরা সবাই মিলে এ গর্ত ভরে ফেলি।'
লেখক : সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন