জনগণের অর্থ ব্যয়ে নাম ফোটানোতে কার লাভ?
10 Sep, 2014
প্রকৃতির নিয়ন্ত্রণক মহান আল্লাহ তায়ালার সৃষ্ট অথবা মানুষের সৃষ্ট যেকোনো বিষয়ে শীর্ষে থাকা ব্যক্তি বা বস্তুর তথ্য ১৯৫৪ সাল থেকে গিনেস বুক অব রেকর্ডে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক বস্তুর ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানের বিষয়টি দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া অনেকটা অপরিবর্তনশীল; কিন্তু মানুষের সৃষ্ট বস্তুর ক্ষেত্রে প্রতিনিয়তই পরিবর্তন ঘটছে। একজন মানুষ বা একদল মানুষ কোনো বিষয়ে কৃতিত্বের শীর্ষে পৌঁছে। পরবর্তী গিনেস বুক অব রেকর্ডে ঠাঁই পেলেও যখন অপর একজন বা অপর একদল সেটিকে অতিক্রম করে তখন শীর্ষস্থান অর্জনকারীর নামেরও পরিবর্তন ঘটে।
আমাদের বাংলাদেশ পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ, সবচেয়ে জনবহুল দেশ হওয়ায় এ দু’টি বিষয়ে এখনো গিনেস বুক অব রেকর্ডে বাংলাদেশের স্থান শীর্ষে। তা ছাড়া বাংলাদেশের কোনো এক লোকসঙ্গীত শিল্পী কোনো এক বছর সর্বাধিক সংখ্যক সঙ্গীত অ্যালবাম প্রকাশ করায় গিনেস বুক অব রেকর্ডে স্থান পেয়েছিলেন।
কিছ ুদিন আগে বাংলাদেশ ২৭ হাজার ১১৭ ব্যক্তি সমন্বয়ে পৃথিবীর সবচেযে বড় মানব জাতীয় পতাকা সৃষ্টি করে গিনেস বুক অব রেকর্ডে নিজের নাম ঠাঁই করে নিয়েছিল; কিন্তু পরে দু’মাসেরও কম সময় ব্যবধানে পাকিস্তান ২৯ হাজার ৪০ ব্যক্তি সমন্বয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মানব জাতীয় পতাকা সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে গিনেস বুক অব রেকর্ডে নিজেদের অবস্থান পুনরুদ্ধার করে। বাংলাদেশের মানবজাতীয় পতাকা সৃষ্টির যাবতীয় ব্যয়ভার বহুজাতিক মোবাইল কোম্পানি ‘রবি’ বহন করে, যদিও সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
একসাথে একই সময়ে একই স্থানে সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার রেকর্ডটি ছিল ভারতের। ভারতের সাহারা-ইন্ডিয়া পরিবারের উদ্যোগে এক লাখ ২১ হাজার ৬৫৩ জন ভারতীয় একই স্থান থেকে একসাথে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করে গিনেস বুক অব রেকর্ডে স্থান পেয়েছিল। ভারত এ রেকর্ডটি করার পর আমাদের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় একই স্থান থেকে সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার রেকর্ড সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়। এ উদ্যোগটির মূল উদ্দেশ্য ছিল সর্বাধিক সংখ্যক লোকের অংশগ্রহণে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে গিনেস বুক অব রেকর্ডে স্থান করে নেয়া।
একই স্থান থেকে সর্বাধিক সংখ্যক লোকের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার উদ্যোক্তা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় হলেও এর আয়োজনের দায়িত্ব দেয়া হয় বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ফোর থট পিআরকে। এ উদ্যোগটির সার্বিক দায়িত্ব সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় পালন করলেও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেয়া হয় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে। এ কাজটি সমাধানের জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের নির্দিষ্ট তহবিল থেকে ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করে এবং এটি সংশ্লেষে সরকারের আরো ৪০ কোটি টাকা ব্যয় হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সংস্থা অনুদান হিসেবে নগদ ও সামগ্রীর মাধ্যমে সাহায্যের হাত প্রশস্ত করে। উদ্যোক্তা, আয়োজক ও ব্যবস্থাপকদের পরিকল্পনা অনুযায়ী তিন লাখ লোকের অংশগ্রহণে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয় এবং সে অনুযায়ী তিন লাখ লোকের জন্য ক্যাপ, ব্যাগ ও খাবার বাক্সের ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিটি খাবার বাক্সের ভেতর রুটি, বিস্কুট, জুস, খাবার স্যালাইন, প্যারাসিটামল ও এন্টাসিড ট্যাবলেট রাখার ব্যবস্থা করা হয়। খাবার সরবরাহের দায়িত্ব পায় ‘ক্যাপ্টেনস বেকারি’।
আয়োজক সংস্থা ফোর থট পিআরের বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, এটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। পরিচালক হিসেবে ফোর থট পিআরে ছিলেন আলী যাকের ও তার স্ত্রী সারা যাকের। এ আলী যাকের আবার বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিকের চেয়ারম্যান; যার পরিচালক হিসেবে রয়েছেন তার স্ত্রী সারা যাকের। ফোর থট পিআর বিষয়ে অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, এ প্রতিষ্ঠানটি বিতর্কিত বহুজাতিক কোম্পানি এশিয়া এনার্জি বা জিসিএম রিসোর্সের হয়েও কাজ করেছে। সর্বাধিক সংখ্যক লোকের অংশগ্রহণে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার আয়োজনে ফোর থট পিআর বিজ্ঞাপনী সংস্থা হিসেবে কাজ করে আর্থিকভাবে যে লাভবান হয়েছে এ বিষয়ে কারো মধ্যে কোনো দ্বিমত নেই। ফোর থট পিআরের আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার অর্থ দাঁড়ায় সংস্কৃতিমন্ত্রীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সরাসরি লাভবান হয়েছে।
ফোর থট পিআরের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের লাভজনক পদ। দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানের অনুচ্ছেদ নং ১৪৭(৪) এ উল্লেখ রয়েছে যে- রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, নির্বাচন কমিশনার এবং সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্যদের ক্ষেত্রে অনুচ্ছেদটি প্রযোজ্য। এ অনুচ্ছেদটির (৩) দফায় বলা হয়েছে- এ অনুচ্ছেদ প্রযোজ্য হয় এরূপ কোনো পদে নিযুক্ত বা কর্মরত ব্যক্তি কোনো লাভজনক পদ কিংবা বেতনাদিযুক্ত পদ বা মর্যাদায় বহাল হবেন না কিংবা মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যযুক্ত কোনো কোম্পানি, সমিতি বা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় বা পরিচালনায় কোনোরূপ অংশগ্রহণ করবেন না; তবে শর্ত থাকে যে, এ দফার উদ্দেশ্য সাধনকল্পে ওপরের প্রথমে উল্লিখিত পদে অধিষ্ঠিত বা কর্মরত রয়েছেন, কেবল এ কারণে কোনো ব্যক্তি অনুরূপ লাভজনক পদ বা বেতনাদিযুক্ত পদ বা মর্যাদায় অধিষ্ঠিত বলে গণ্য হবেন না।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ নং ১৪৭ এর দফা (৩) ও (৪) অবলোকনে স্পষ্ট প্রতিভাত যে, সরকারের একজন মন্ত্রী পদে বহাল থাকাকালীন ওই লাভজনক পদ ছাড়া সরকারি বা বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো লাভজনক পদে বহাল থাকতে পারবেন না। আলোচ্য ক্ষেত্রে দেখা যায়, সংস্কৃতিমন্ত্রী মন্ত্রী পদে বহাল থাকাকালীন শুধু যে তার মালিকানাধীন বিজ্ঞাপনী সংস্থা ফোর থট পিআরের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে বহাল ছিলেন তাই নয় বরং ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিজের প্রতিষ্ঠানকে আয়োজনের দায়িত্ব দিয়ে সরাসরি ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। এ বিষয়ে সংস্কৃতিমন্ত্রীর অবস্থান তিনি মন্ত্রী পদে যোগদানের আগে শপথবাক্য পাঠপূর্বক যে বিষয়গুলো ব্যক্ত করেছিলেন তা থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত। একজন মন্ত্রীকে শপথ নেয়ার সময় অপরাপর বিষয়ের পাশাপাশি প্রতিশ্রুতি দিতে হয় যে, তিনি সংবিধানের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান করবেন এবং ভীতি বা অনুগ্রহ, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হয়ে সবার প্রতি আইন অনুযায়ী যথাবিহিত আচরণ করবেন।
সংস্কৃতিমন্ত্রী তার নিজের মালিকানাধীন বিজ্ঞাপনী সংস্থা ফোর থট পিআরকে সর্বাধিক সংখ্যক লোকে অংশগ্রহণে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার আয়োজনের যে দায়িত্ব দিয়েছিলেন তাতে দেখা যায় তিনি তার স্বপঠিত শপথের ব্যত্যয়ে অনুরাগের বশবর্তী হয়ে নিজ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটিকে দায়িত্বটি দিয়েছেন।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ নং ১৪৭(৩) এর বিধানটি সুস্পষ্ট হওয়ায় একজন মন্ত্রীর পক্ষে মন্ত্রী পদে বহাল থাকাকালীন অপর কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের লাভজনক পদে বাহল থাকার কোনো সুযোগ নেই।
গত ২৬ মার্চ, ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে তিন লাখ লোকের অংশগ্রহণে একই সময়ে একই স্থান থেকে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল দুই লাখ ৫৬ হাজার ৬৮১ জন যা ভারতের সাহারা-ইন্ডিয়া পরিবারের উদ্যোগে আয়োজিত একই সময়ে একই স্থান থেকে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা থেকে দ্বিগুণেরও বেশি।
শেরেবাংলা নগরের জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সর্বাধিক সংখ্যক লোকের উপস্থিতিতে একই সময় একই স্থান থেকে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার অপরাপর সদস্য, পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শ্রেণীপেশার কর্ণধারেরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি প্রত্যক্ষ করার জন্য সে সময় গিনেস বুক অব রেকর্ড সংস্থাটির কর্মকর্তারাও আমাদের রাজধানী শহর ঢাকায় উপস্থিত ছিলেন। একই সময় একই স্থান থেকে সর্বাধিক লোকের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বিষয়ে গিনেস বুক অব রেকর্ড সংস্থাটির যে বিধান রয়েছে তা হলো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ৯৫ শতাংশের বেশি মানুষ কণ্ঠ না মিলালে এটি রেকর্ড হিসেবে বিবেচিত হবে না। গিনেস বুক অব রেকর্ড সংস্থার কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত থেকে এবং হেলিকপ্টারে চড়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার অনুষ্ঠানটি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, বাংলাদেশ একই স্থান থেকে একই সময়ে সর্বাধিক সংখ্যক লোকের অংশগ্রহণে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার রেকর্ডধারী। তবে তারা তাদের এ সিদ্ধান্তটি তাৎক্ষণিক জানায়নি। বিভিন্নভাবে পর্যবেক্ষণের পর তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহপূর্বক যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বিধায় অনেক সময় আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত প্রদান করতে বেশ কিছু দিন সময় লেগে যায়। আলোচ্য ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মানব জাতীয় পতাকা সৃষ্টি করে রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ যে গিনেস বুক অব রেকর্ডে ঠাঁই পেয়েছিল তার স্থায়িত্ব ছিল দু’মাসেরও কম। যদিও এ বিষয়ে আয়োজনের ব্যয়ভার বহুজাতিক মোবাইল কোম্পানি বহন করেছিল তারপরও কথা থাকে, যে রেকর্ডের স্থায়িত্ব ক্ষণস্থায়ী সে রেকর্ডের পেছনে অর্থব্যয় কতটুকু যৌক্তিকÑ তা সে অর্থ বহুজাতিক কোম্পানির তহবিল থেকে যাক অথবা সরকারের কোষাগার থেকে।
একই সময় একই স্থান থেকে সর্বাধিক লোকের অংশগ্রহণে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার রেকর্ডটি ছিল ভারতের। এটি আয়োজনে যে অর্থ ব্যয় হয়েছিল তার সম্পূর্ণটুকু বহন করেছিল ভারতের সাহারা-ইন্ডিয়া পরিবার; কিন্তু এ বিষয়ে আমাদের রেকর্ড গড়ার ক্ষেত্রে যে অর্থ ব্যয় করা হয়েছে তার প্রায় বেশির ভাগের যোগান দেয়া হয়েছে সরকারি কোষাগার থেকে এবং এতে আয়োজনের দায়িত্ব পালন করে অনুষ্ঠানটির উদ্যোক্তা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর প্রতিষ্ঠান সরাসরি লাভবান হয়েছে। এ বিষয়ে যে রেকর্ডটি বাংলাদেশ গড়েছে সে রকর্ডটি ভাঙার বিষয়ে মানব সৃষ্ট জাতীয় পতাকার রেকর্ডের অনুরূপ ইতোমধ্যে ভারত ও পাকিস্তান উদ্যোগ নিয়েছে এবং ধারণা করা যায় নিকট ভবিষ্যতে এ দু’টি দেশের যেকোনো একটি দেশ আমাদের রেকর্ডটিকে অতিক্রম করে যাবে। ভারত ও পাকিস্তান এ দু’টি বিষয়ে রেকর্ড সৃষ্টির ব্যাপারে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের কাজে লাগিয়েছে। আমরা মানব জাতীয় পতাকা সৃষ্টির ক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের কাজে লাগালেও জাতীয় সঙ্গীতের ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছি। ক্ষণকালের জন্য গিনেস বুক অব রেকর্ডে নাম উঠানোর আয়োজনে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে তাতে আমাদের মতো সমস্যাসঙ্কুল দেশে জনগণের বস্তুগত লাভ না হয়ে থাকলেও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রীর ব্যক্তিগত মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান লাভবান হয়েছে। এ লাভ দিয়ে মন্ত্রী আত্মতৃপ্ত হলেও তা ক্ষণস্থায়ী বিধায় কোনোভাবেই দেশের আপামর জনগণের আত্মতৃপ্তির কারণ নয়। তাই রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থ ব্যয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন পরিহারই উত্তম।
লেখক : সাবেক জজ; সংবিধান ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন