|
জসিম উদ্দিন
|
|
আগে স্বীকার পরে প্রতিকার
03 Sep, 2014
রাজধানীতে মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকী হত্যা ও মগবাজারে তিন খুনের ঘটনাকে ‘তেমন সিরিয়াস কিছু না’ বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। জনগণকে উদ্বিগ্ন না হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
আরেকটু ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, মাওলানা ফারুকী হত্যা ও মগবাজারের তিন খুনের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকেরা যেভাবে আমাকে প্রশ্ন করছেন, আসলে এগুলো তেমন সিরিয়াস কিছু না। এগুলো হঠাৎ করে হয়ে থাকে। অপরাধীদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা হবে। শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। প্রতিমন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন, মাওলানা ফারুকীর খুনের আলামত দেখে মনে হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ড কোনো সাধারণ ছিঁচকে সন্ত্রাসী করেনি, এগুলো পেশাদার সন্ত্রাসী করেছে। মগবাজারের ঘটনা রেলের জমির দখল নিয়ে হয়েছে। যে সন্ত্রাসী এটা করেছে, তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রীর এ ব্যাখ্যা প্রকৃতপক্ষে তার বক্তব্যের বিরুদ্ধেই যুক্তি তুলে ধরছে। এগুলো যে আইনশৃঙ্খলা অবনতিজনিত তা তিনিই স্পষ্ট করে বললেন, শুধু দায় এড়িয়ে যেতে চাইছেন। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এ ধরনের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে কোনোভাবে মানুষের উদ্বেগ দূর হতে পারে না।
গুম নিয়েও তিনি একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। বিষয়টিকে তিনি অনেক হালকা করে দেখেছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইলিয়াস আলী এবং একই দলের মহানগরীর নেতা চৌধুরী আলম গুম হয়েছেন। সাবেক একজন সংসদ সদস্যকে প্রকাশ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উঠিয়ে নেয়ার পর তার আর কোনো খোঁজ নেই। ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতাকর্মীও গুমের শিকার হয়েছেন। তাদের আত্মীয়স্বজন সেই অভিযোগ করেছেন। মিডিয়ায় তা গুরুত্বসহ প্রকাশ হয়েছে। আইন ও সালিস কেন্দ্রের হিসাবে, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ৯৫ জন বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। গুম-খুনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। সেখানে মন্ত্রী এ বিষয়টিকে এভাবে দেখতে পারেন না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী সব সময় আজগুবি কথাবার্তা বলে থাকেন। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটি একটি রেওয়াজ হয়ে গেছে। অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এত কঠিন একটি দায়িত্ব নিয়ে নির্দ্বিধায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। তারকা সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচার নিয়ে তার প্রতিশ্রুতি কেবলই কথার কথা হয়ে থেকেছে। ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ‘ঝাঁকুনি তত্ত্ব’ দিয়ে জাতির উপহাসের পাত্র হয়েছেন। তার সময়ের প্রতিমন্ত্রী সব সময় গরম গরম কথা বলে গেছেন, কিন্তু কাজের কিছুই তিনি করতে পারেননি। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের সময় অব্যাহতভাবে ক্রমাবনতি হয়েছে। বিশেষ করে খুন, গুম ও বল্গাহীন সন্ত্রাসের সাথে বিচারবহির্ভূত হত্যা গোটা জাতিকে নিরাপত্তাহীন করেছে। বরাবরই দায় এড়িয়ে গেছেন সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রীরা। এ দায়িত্বহীনতা নাগরিকদের শঙ্কা ও হতাশা বৃদ্ধি করেছে।
নারায়ণগঞ্জের সাত হত্যাকাণ্ড অনেক রহস্যের জাল খুলে দিয়েছিল। সরকার চাইলে এ হত্যাকাণ্ডের পর গুপ্তহত্যা শূন্যে নিয়ে আসতে পারত। ওই হত্যার ঘটনা আড়াল করতে গিয়ে খুনিদের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে আরো কয়েকজনকে। তারা একেবারে সাধারণ মানুষ। তারা কোনো পক্ষের ছিলেন না। গুম করার কৌশল প্রয়োগ করা হয়েছিল সাত লাশের ওপর। তাদের পেট চিরে ভারী বস্তু বেঁধে পানিতে তলিয়ে দেয়া হয়। ঘাতকদের ইচ্ছা এবার পূরণ হয়নি। হয়েছে সৃষ্টিকর্তা যা চেয়েছেন তাই। সারা দেশে খুন-গুমের যে মিছিল ক্রমেই দীর্ঘতর হচ্ছিল, নারায়ণগঞ্জের ঘটনাটি সেসব ঘটনার রহস্যের ঘেরাটোপ উন্মোচন করে দিয়েছে। সাথে সাথে যদি ক্ষমতসীন সরকার এগিয়ে আসত তাহলে গুম-খুন নিঃসন্দেহে কমে যেত। বরং অপরাধীদের আড়াল করার প্রাথমিক প্রচেষ্টা আরো একটি নিকৃষ্ট হত্যাকাণ্ডকে উৎসাহিত করল। ওই ঘটনায় মাত্র একজন মানুষ প্রাণ হারালেও সেটির বর্বরতা ও নৃশংসতা বিশ্বসম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যানকে গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। প্রথমে গাড়ির গতিরোধ করে গুলি করা হয়। এরপর জানালার কাচ ভেঙে তাকে উপর্যুপরি কোপানো হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য পেট্রল ঢেলে গাড়িসুদ্ধ তাকে পুড়িয়ে দেয়া হয়। নারায়ণগঞ্জের একজন কমিশনারকে নিরাপদে হত্যা করতে কয়েক হালি মানুষকে মেরে ফেলা হয়। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পরও গড়িমসি করা হয়। নজরুল অপহরণের পরপরই যদি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্ক উদ্যোগ নেয়া হতো, তিনিসহ অনেকের প্রাণ বেঁচে যেত। তাদের লাশ উদ্ধারের পর গড়িমসি না করে তৎক্ষণাৎ অপরাধীদের পাকড়াও করা হলে ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যানের খুনিরা এমন নৃশংসতার সাহস পেত না। অপরাধীদের সাথে সাথেই গ্রেফতার করে আইনের আশ্রয়ে নিলে একরাম হত্যার পরিকল্পনাকারীরা এমন জঘন্য কাজ থেকে সরে আসত নিশ্চয়ই।
এরপর যেন অনেক দিন চার দিকে নীরবতা। তারপর হাই-প্রোফাইল বা আলোচিত হত্যার ঘটনা হলো চ্যানেল আইয়ের উপস্থাপক মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকী হত্যা। তবে এই নীরবতা তারকা মানুষ হত্যার ক্ষেত্রে চলেছে, সাধারণের প্রাণ হরণ অব্যাহত রেখেছিল খুনিরা। গুম খুন এবং বেওয়ারিশ লাশের মিছিল প্রকৃতপক্ষে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে। তাদেরকে হয়তো আমরা একজন মানুষ হিসেবে গণ্য করছি না। একেকটি পচা-গলা লাশ হয়ে তাই তারা পত্রিকার ভেতরের পাতার সংবাদ হিসেবে আসছে। পত্রিকার পাঠক কিংবা টিভির দর্শক-শ্রোতারা সেটিকে মানুষ নয়, অগুরুত্বপূর্ণ লাশ হিসেবে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। লাশের মিছিলে কাকে গুরুত্ব দেয়া হবে। প্রতিবেদকের অনুভূতিও ভোঁতা হয়ে গেছে। তাই সেলিব্রেটি কেউ না হলে কলম সেভাবে নড়ে ওঠে না। টিভি ক্যামেরাম্যানও বেশি উৎসাহ পান না।
একটি জাতীয় পত্রিকা খবর দিয়েছে, ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জ থেকে ৫০ দিনে ৩৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এটি সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনা। এর মধ্যে ১৭টি লাশ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। এগুলোর পরিচয় মেলেনি। কিভাবে তাদের মৃত্যু হলো, হত্যা নাকি দুর্ঘটনা, কোথা থেকে এলোÑ সবই অজানা। বেওয়ারিশ হিসেবে ১৭টি লাশ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম দাফন করেছে। লাশগুলো যারা দেখেছেন তাদের ধারণাÑ এগুলো গুপ্তহত্যা ও গুমের শিকার।
একই পত্রিকা গুম দিবস উপলক্ষে করা একটি বিশেষ প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছে, সাড়ে চার বছরে ২১৩ জন নিখোঁজ। আইন ও সালিস কেন্দ্রে (আসক) থেকে এ পরিসংখ্যান নিয়েছে তারা। শিরোনামের নিচে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর মতামত সেঁটে দিয়েছে পত্রিকাটি। তার মতে, ৫০ থেকে ৬০ ভাগ গুমের খবর সঠিক নয়। কেরানীগঞ্জে ৫০ দিনে যতগুলো বেওয়ারিশ লাশ পাওয়া গেছে তা থেকে অনুমান করা যায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত নন। তার ধারণা সত্য থেকে অনেক দূরে। এমনকি আসক এর পরিসংখ্যানও সে হিসেবে অনেক নগণ্য। মাত্র ৫০ দিনে দেশের একটি মাত্র উপজেলায় যদি ৩৫টি লাশ পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে পুরো দেশের চিত্র কী হবে। পুরো বছরে সে সংখ্যা নিশ্চয়ই আরো অনেক বেশি হবে।
এর মধ্যে ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম হিরুদের মতো আরো কত মানুষ হাওয়া হয়ে গেছে তার কোনো হিসাব নেই। ক’জন গুম হওয়া ব্যক্তি পরিসংখ্যানের আওতায় আসতে পেরেছেন? গত সাড়ে চার বছরে ২৯১ জনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আসক এ সংখ্যা প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ছাড়া পেয়েছেন ২৪ জন। বাকি ২১৩ জন নিখোঁজ থাকার ব্যাপারেও প্রশ্ন তুলছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। প্রকৃতপক্ষে বেওয়ারিশ লাশ পাওয়ার যে পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে, তাতে বোঝা যায় গুম বা নিখোঁজ হয়ে যাওয়াদের সংখ্যা আরো বেশি হবে। সেটা এমনকি আসকের দেয়া পরিসখ্যান থেকেও সংখ্যায় অনেক বেশি হবে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিছু দুর্বল যুক্তি তুলে ধরেছেন। একটি পত্রিকাকে এর ব্যাখ্যা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমি আগে ভাবতাম গুম কেন হয়। এখন দায়িত্বে এসে দেখছি, অনেক কারণেই হয়। ধরেন, কেউ অনেক টাকা দেনাদার হলে তিনি গুম হয়ে যান। সম্প্রতি একটি স্কুলের নারীশিক্ষককে গুম করা হয়েছে বলে তার স্বজনেরা আমার কাছে আসেন। আমি সব জায়গায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, ১৫ বছর আগের পুরনো প্রেমিকের সাথে চলে গেছেন তিনি। অথচ তার শিশুসন্তান রয়েছে। পত্রিকায় এগুলো গুম হিসেবে ছাপা হয়। আমরা দেখেছি, গুমের যেসব পরিসংখ্যান ছাপা হয়, তার ৫০ থেকে ৬০ ভাগ ঠিক নয়। দু-একটা যে এ রকম ঘটনা ঘটে না, তা নয়। কিন্তু অঙ্কটা এ রকম বড় নয়।’
একটি উপজেলায় ৫০ দিনে যে বেওয়ালিশ লাশ পাওয়া গেল তাই প্রমাণ করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভুলের মধ্যে রয়েছেন। শত শত মানুষের খুন-গুম হয়ে যাওয়া ঘটনাকে দু-একজন বলে আত্মপ্রসাদ লাভ করা যাবে, কিন্তু সমস্যা সমাধানের পথে তিনি এগোতে পারবেন না। অপরাধের বিস্তৃতি ও গভীরতার ব্যাপারে যদি যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে তিনি ব্যর্থ হন তাহলে খুন-গুম আমাদের নিয়তি হয়ে হত্যার মিছিলকে কেবল দীর্ঘতর করবে। প্রতিটি হত্যা, খুন ও গুম এ ধরনের আরো হত্যা, খুন ও গুমকে উৎসাহিত করতে থাকবে।
স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে গেলে সেটি গুম হিসেবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় বলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অভিযোগ করেন। পুরাতন প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গিয়ে একজন রাজনৈতিক কর্মী গুমের খবর হবেন, এমন চিন্তা করা যায় না। মন্ত্রী যে প্রেমিকার উদাহরণ দিয়েছেন, সেটা প্রকৃতপক্ষে গুমের ঘটনা হিসেবে খবরের কাগজে না আসার সম্ভাবনা বেশি। প্রতারকেরা আত্মগোপনে গিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়। এ ব্যতিক্রম ঘটনা উদাহরণ হতে পারে না। মন্ত্রীর এ মন্তব্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের হতাশা ও দুঃখ বাড়াবে। এতে করে তার দায়িত্বশীলতা কোনোভাবেই বৃদ্ধি পায় না।
আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস ২০১৪ উপলক্ষে ‘স্বজনদের ব্যথা-গুম, খুন ও নির্যাতন আর না’ শীর্ষক একটি সম্মেলন আয়োজন হয় ঢাকায়। গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের নিয়ে ‘মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটি’ নামের একটি সংগঠন এর আয়োজন করে। সেখানে পিতৃহারা সন্তানদের আহজারি, সন্তানহারা মায়েদের কান্না সম্মেলনের পরিবেশ ভারী করে তোলে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাদের পাশে এসে দাঁড়ালে তার ভিন্ন উপলব্ধি হতো নিশ্চয়ই।
বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা সব সময় যেন লাশ ফেলার ভাগাড় হয়ে থাকছে। অন্য কোথাও থেকে মানুষকে হত্যা করে এখানে এনে ফেলে দেয়া হয়। সরকার আসে-যায়, কিন্তু এ অপরাধীদের ধরতে ততটা উদ্যোগী হয় না। তাই গুমের পরিসংখ্যান ভারী হয়।
হত্যা-গুমের কু উদঘাটনে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যদি আন্তরিক হন, এ স্পটটিকে টার্গেট করতে পারেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি এ এলাকায় বিশেষ দৃষ্টি দেয় খুন-গুমের চক্রগুলোকে খুঁজে বের করা কঠিন হবে না। বাগাড়ম্বর দিয়ে পরিস্থিতিকে হালকা করার চেষ্টা না করে এ উদ্যোগ নিতে পারেন আমাদের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। এর মাধ্যমে তিনি গুম-খুনবিরোধী একটি জাতীয় শুদ্ধি অভিজান শুরু করতে পারেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন