হাসপাতাল মালিকদের সামাজিক দায়বদ্ধতা কোথায়?
31 Aug, 2014
একজন মানুষের সুন্দর ও সাবলীল জীবনের জন্য সুস্বাস্থ্য অপরিহার্য। মানুষ যতই বিত্তশালী হোক, সুস্থতা ছাড়া জীবন উপভোগ সম্ভব নয়। আর এ কারণেই স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল প্রবাদটি দেশের শিক্ষিত-অশিক্ষিত নির্বিশেষে সব মানুষের কাছে অতি পরিচিত। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে ৫টি মৌলিক উপকরণের প্রয়োজন তার মধ্যে চিকিৎসা অন্যতম। যে কোনো দেশের নাগরিকদের জন্য মৌলিক উপকরণের নিশ্চয়তা প্রদান রাষ্ট্রের কর্তব্য। চিকিৎসাসহ অপর চারটি মৌলিক উপকরণ যথা- অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয় ও শিক্ষা মৌলিক বা মানবাধিকারের অন্তর্ভুক্ত। অধিকাংশ রাষ্ট্র মৌলিক অধিকার রক্ষার বিষয়ে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করে থাকে। ধনী রাষ্ট্রের তুলনায় অপেক্ষাকৃত দরিদ্র রাষ্ট্রগুলোর পক্ষে যখন এ ৫টি মৌলিক অধিকারের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেয়া সম্ভব হয় না, তখন দেখা যায় এ অধিকারগুলোকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। অধিকার ও নীতির মধ্যে পার্থক্য হল- প্রথমোক্তটি লংঘিত হলে তা বলবৎ বা কার্যকর করার জন্য মামলা রুজু করার অধিকার সংরক্ষিত থাকে, অপরদিকে শেষোক্তটি লংঘনের ক্ষেত্রে জনমত ও সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করে তা কার্যকর করার প্রয়াস নেয়া হয়।
স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য চিকিৎসা গ্রহণ অত্যাবশ্যক। জনসাধারণ যেন বিনামূল্যে বা সুলভে চিকিৎসাসেবা পায় সে বিষয়ে প্রতিটি রাষ্ট্রই সচেষ্ট থাকে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোয় দেখা যায়, একটি দলের চিকিৎসানীতি নির্বাচনে বিজয়ের ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রায় সব রাষ্ট্র চিকিৎসাসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ভর্তুকি প্রদান করে থাকে। রাষ্ট্রের আর্থিক ভিত যত শক্তিশালী হয়, ভর্তুকির হারও সে হারে ঊর্ধ্বমুখী থাকে।
বাংলাদেশ দরিদ্র রাষ্ট্র হলেও এ দেশটির স্বাস্থ্যসেবা জনমুখী। দেশে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা ইউনিয়ন অবধি বিস্তৃত। প্রতিটি থানা ও জেলা পর্যায়ে যেসব সরকারি হাসপাতাল রয়েছে, তাতে জটিল অস্ত্রোপচারসহ আধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও চিকিৎসকদের উদাসীনতা ও আন্তরিকতার অভাবে এবং হাসপাতালগুলোকে কেন্দ্র করে মহলবিশেষের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে প্রায়ই দেখা যায়, জনসাধারণ এসব হাসপাতাল থেকে কাক্সিক্ষত মানের চিকিৎসাসেবা লাভে বঞ্চিত হচ্ছে। এ বঞ্চনার কারণেই আমাদের দেশে প্রতিটি থানা ও জেলা শহরে বিপুলসংখ্যক বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। এসব বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের চিকিৎসাসেবার মান নিয়ে প্রশ্নের অন্ত নেই। দেশের চিকিৎসকরা রোগীদের যথাযথ সময় দিয়ে পরীক্ষা করেন না এবং সঠিকভাবে রোগ নির্ণয়ে সফলতা দেখাতে পারেন না- এ ধরনের অভিযোগে বিত্তবানদের অনেকে চিকিৎসাসেবা নিতে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতসহ সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডের উদ্দেশে পাড়ি জমান। বিদেশে চিকিৎসা নিতে গিয়ে আমাদের দেশের কিছুসংখ্যক লোক যে পরিমাণ কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অপচয় করেন, তা দেশের স্বার্থের জন্য হানিকর। উল্লেখ্য, ভারত, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে যে মানের চিকিৎসকদের কাছ থেকে আমাদের দেশের রোগীরা চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকেন, আমাদের দেশের চিকিৎসকরাও সমান মানসম্পন্ন, কিন্তু তাদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য হল হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় ত্র“টি।
আমাদের দেশে অতীতে ব্যক্তি উদ্যোগে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেয়ার মানসে একাধিক আধুনিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ হাসপাতালগুলোর মধ্যে অন্যতম হল কুমোদিনী হাসপাতাল। এ হাসপাতালে এখনও রোগীরা স্বল্প ব্যয়ে চিকিৎসাসেবা লাভ করে থাকেন। অতীতে যারা হাসপাতাল স্থাপন করেছিলেন, তাদের মধ্যে কোনো ধরনের ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য ছিল না। মানবসেবাই ছিল তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য।
দেশে মানসম্মত হাসপাতাল নেই। এ কারণে আমাদের দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক রোগীকে বিদেশ গিয়ে যেন চিকিৎসা নিতে না হয়- এ লক্ষ্য সামনে রেখে দেশের কিছু শীর্ষ ব্যবসায়ী সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বিগত দুযুগে বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল গড়ে তুলেছেন। এসব হাসপাতাল মালিকদের দাবি ভারত, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডের সমমানের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়, দেশের এসব অত্যাধুনিক হাসপাতাল থেকে তার চেয়ে অনেক কম ব্যয়ে সমপরিমাণ চিকিৎসাসেবা পাওয়া যায়, যদিও তাদের এ দাবির সঙ্গে দেশবাসীর অনেকেই ভিন্নমত পোষণ করেন।
আমাদের দেশে এসব অত্যাধুনিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে একটি দেশের সরকারের পক্ষে যেসব সহায়তা দেয়া প্রয়োজন, আমাদের সরকার এর চেয়ে বেশি সহায়তা দিয়েছে বললে অত্যুক্তি হবে না। এসব অত্যাধুনিক হাসপাতালের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের যন্ত্রাংশ ও আসবাবপত্র আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক মওকুফ ছাড়াও হাসপাতাল মালিকদের নির্ধারিত মেয়াদের জন্য আয়কর রেয়াত দেয়া হয়েছে। শুল্ক মওকুফ ও আয়কর রেয়াত দেয়ার পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল, রোগীদের উন্নত চিকিৎসাসেবা নেয়ার জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অপব্যয় করে যেন বিদেশ যেতে না হয়। এসব অত্যাধুনিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পরও প্রতিবছর যে বিপুলসংখ্যক রোগী উন্নত চিকিৎসাসেবা নেয়ার জন্য বিদেশ যাচ্ছেন তাতে প্রতীয়মান হয়, এ হাসপাতালগুলো অত্যাধুনিক হওয়া সত্ত্বেও বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেয়া রোধের ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না।
সব দেশের বিত্তবানদেরই সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। এ সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বিভিন্ন দেশে বিত্তবানরা দাতব্য উদ্দেশ্যে চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য জনহিতকর কাজে অর্থ ব্যয় করে থাকেন।
আমাদের অত্যাধুনিক হাসপাতালগুলোর মালিকদের সবাই বিত্তবান এবং আর্থিক বিবেচনায় সমাজের উঁচু স্থানে তাদের অবস্থান। দেশের জনসাধারণের মধ্যে সহযোগিতা ও সহমর্মিতার ভাব বেশ প্রবল। তাই যে কোনো দুর্যোগে দেখা যায়, নিজ স্বার্থের দিকে না তাকিয়ে বিপন্নের সহায়তায় সাধারণ মানুষ সর্বাত্মক ঝাঁপিয়ে পড়েন। সাধারণ মানুষের এরূপ সহায়তা প্রত্যক্ষ করা গেছে ৮৮র বন্যা, ৯১র জলোচ্ছ্বাস, ২০০৭-এর সিডর ও ২০০৯-এর আইলা নামক ঘূর্ণিঝড়, নিমতলীর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড এবং রানা প্লাজা ধসের সময়। উপরোক্ত প্রতিটি দুর্যোগে জনমানুষ যেভাবে সাহায্যের হাত প্রশস্ত করেছিল, তাতে বিশ্ববাসী অভিভূত হয়েছিল। নিমতলী ও রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় যারা অগ্নিদগ্ধ ও আহত হয়েছিলেন, তাদের তাৎক্ষণিক উন্নত চিকিৎসাসেবার প্রয়োজন ছিল। উন্নত চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য রাজধানী ঢাকা শহরস্থ সরকারি পর্যায়ের সব আধুনিক হাসপাতাল এবং মধ্যমমানের কিছু বেসরকারি হাসপাতাল সার্বিকভাবে এগিয়ে এলেও অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের সঙ্গে লক্ষ্য করা গেছে, অত্যাধুনিক হাসপাতালের কোনোটিই উন্নততর চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য এগিয়ে আসেনি। এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, অত্যাধুনিক এসব হাসপাতাল এগিয়ে এলে সংকটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসার সমস্যা কিছুটা হলেও লাঘব হতো এবং হয়তো দু-একজনের জীবন রক্ষা করা যেত।
দেশের ও জাতীয় দুর্যোগের সময়ে যদি অত্যাধুনিক হাসপাতালগুলো ব্যবসায়িক ক্ষতির চিন্তা করে সমস্যার প্রতি কর্ণপাত না করে হাত গুটিয়ে বসে থাকে, সে ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধের অনুপস্থিতি তাদের কোনো ধরনের পীড়া না দিলেও দেশবাসীকে ব্যথিত ও মর্মাহত করে।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে খ্রিস্টান মিশনারিরা কয়েকটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছে। এসব হাসপাতালে আশপাশের ও দূরদূরান্তের মানুষ সাধারণ চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি জটিল রোগের চিকিৎসাসেবা পেয়ে থাকে। ধর্মীয় উদ্দেশ্যে দান করা অর্থ দ্বারা এসব হাসপাতালের ব্যয়ভার নির্বাহ করা হয়। এসব হাসপাতালে এমন কিছু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন, যারা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিনা বেতনে বা স্বল্প বেতনে চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য নিজ দেশ থেকে বহু দূরে অবস্থান করে ত্যাগের মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন। সৌদি আরবভিত্তিক মুসলমানদের একটি সংগঠনও এ ধরনের একটি হাসপাতাল পরিচালনা করছে। আমাদের স্বনামধন্য চিকিৎসকরা এখনও নিজেদের এরূপ চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য সেভাবে প্রস্তুত করতে পারেননি।
আমাদের অত্যাধুনিক হাসপাতালগুলোয় সাধারণ ও জটিল রোগের চিকিৎসা নিতে গিয়ে জনসাধারণকে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়, তা দেশের অধিকাংশ রোগীর পক্ষে বহন কর দুরূহ হয়ে দাঁড়ায়। যে কোনো ব্যক্তি জটিল রোগে আক্রান্ত হলে তার জীবনাশংকা দেখা দেয়। আর তখন তার স্ত্রী-পুত্র ও আত্মীয়-স্বজন নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী তার রোগ নিরাময় এবং যথাযথ চিকিৎসার জন্য অর্থ ব্যয়ে কোনো ধরনের দ্বিধা করেন না। জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর দেশের ও দেশের বাইরে অত্যাধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে গিয়ে নিজেদের সঞ্চিত অর্থ খুইয়ে এবং আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে ধারকর্জ করে আর্থিকভাবে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছেন এমন অসংখ্য কাহিনীর সঙ্গে দেশবাসীর অনেকেই পরিচিত। কিন্তু এসব পরিবারের অসহায়ত্বে অত্যাধুনিক হাসপাতাল মালিকদের মানবিক মূল্যবোধ দ্বারা তাড়িত হয়ে সহমর্মী হতে খুব কমই দেখা গেছে। এমনও শোনা যায়, রোগীর মৃত্যুর পর তাকে ইনজেকশন দেয়া হয়েছে- স্বজনদের কাছে এ কথা বলে হাসপাতালের বিলের অংক স্ফীত করা হয়েছে। আবার রোগীর মৃত্যু হওয়া সত্ত্বেও শুধু বাড়তি বিলের আশায় লাইফ সাপোর্টে রাখার কাহিনীও অজানা নয়। এসবই করা হচ্ছে ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি থেকে। অত্যাধুনিক হাসপাতালের মালিকরা এসব বিষয়ে অবহিত থাকা সত্ত্বেও এর প্রতিকারে কার্যকর ভূমিকা রাখছেন, এমনটি দেখা যাচ্ছে না।
সম্প্রতি ঢাকার একটি অত্যাধুনিক হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর পর বকেয়া বিল না দিতে পারায় অসহায় ও বিপন্ন পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনীহা এ দেশের সব শ্রেণীপেশার মানুষের হৃদয় ও বিবেককে স্পর্শ করলেও তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মালিকের মধ্যে কোনো ধরনের সহানুভূতির ভাব জাগ্রত করতে ব্যর্থ হয়েছে। লাশ পেতে অসহায় ও বিপন্ন পরিবারটিকে সহায়তার জন্য পুলিশ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী উদ্যোগ নিলেও ক্ষমতাধর মালিকের ব্যবসায়িক মনোবৃত্তির কাছে সে উদ্যোগ সফলতা পেতে অনেক বিলম্ব হয়। এ সময় অসহায় ও বিপন্ন পরিবারটির মানসিক অবস্থা কেমন ছিল, তা একমাত্র ভুক্তভোগীর পক্ষেই অনুধাবন করা সম্ভব।
আমাদের ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী কারও মৃত্যুর পর তার দাফনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা উত্তম। এ ক্ষেত্রে হাসপাতাল মালিকের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উভয়ের অনুপস্থিতি দুর্ভাগ্যজনক। একজন ব্যক্তি ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগ করে লাভ করবে এতে দোষণীয় কিছু নেই। কিন্তু ব্যবসা করতে গিয়ে কোনো ব্যক্তি যদি বিবেকহীনের মতো আচরণ করেন, তবে তা ব্যক্তির পাশাপাশি তার ব্যবসাকেও কলুষিত করে। আমাদের সমাজে বসবাসরত প্রত্যেক ব্যক্তির কমবেশি সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। আর যারা আর্থিকভাবে খুব বেশি সচ্ছল, তাদের দায়বদ্ধতা অন্যদের চেয়ে অধিক। অত্যাধুনিক হাসপাতালের মালিকের আলোচ্য ঘটনাটির কাছে মানবতা ও মনুষ্যত্ব হার মানলেও এ ধরনের হাসপাতালের মালিকরা তা উপলব্ধি করতে পেরেছেন, এমনটি ভাবার অবকাশ এখনও সৃষ্টি হয়নি। আর যতদিন তা না হবে ততদিন তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার অবস্থান কোথায় থাকবে, সেটা তারা বুঝতে অক্ষম হলেও দেশবাসী বুঝতে সক্ষম।
ইকতেদার আহমেদ : সাবেক জজ; সংবিধান, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন