|
মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান
|
|
ঈদ-পরবর্তী আন্দোলনের খবর নেই
10 Aug, 2014
আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাস মতে জন্ম-মৃত্যু একমাত্র পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালার হাতে। কখন কার জন্ম হবে তা যেমন আগেভাগে নিশ্চিত করে বলা যায় না, তেমনি মৃত্যুর দিনক্ষণও কেউ নির্দিষ্ট করে বলতে পারে না। তবে আমরা যেমন যে কোনো শিশুর জন্মের খবর শুনে আনন্দিত হই তেমনি পরম শত্রুর মৃত্যুর খবর ছাড়া কোনো মানুষের মৃত্যুর খবর শুনে সব মানুষই কম-বেশি ব্যথিত ও দুঃখিত হয়। আপনজনের মৃত্যুর খবরে কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়, সেখানে কারও আনন্দ উৎসবের তো প্রশ্নই ওঠে না। তারপরেও যদি কেউ আপনজনের মৃত্যুর দিনে আনন্দ উৎসব করে তাহলে তাদের কেউ স্বাভাবিক মানুষ বলবে বলে মনে হয় না। জন্মদিন পালন আমাদের সংস্কৃতিতে আগে ছিল না। গ্রাম-বাংলায় এর প্রচলন না থাকলেও বর্তমানে বিদেশি সংস্কৃতির প্রভাবে উঠতি বড়লোক ও একশ্রেণীর অাঁতেলের মধ্যে জন্মদিন পালনের প্রবণতা দেখা যায়। বিশেষ করে একানব্বই-উত্তর বাংলাদেশে জন্মদিন নিয়ে নতুন এক রাজনীতির প্রচলন শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশের একটি লিখিত সংবিধান রয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই সংবিধানের অনেক ধারা-উপধারার সঙ্গে একমত নই কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত না আমি আমার মতো করে সংবিধান সংশোধন বা পরিবর্তন করতে পারব ততদিন এই সংবিধান অমান্য করার কোনো অধিকার বা ক্ষমতা আমার নেই। সংবিধান পরিবর্তন বা সংশোধনের দাবি তোলার অধিকার অবশ্যই সবার আছে কিন্তু সংবিধান অমান্য করার কোনো অধিকার কোনো নাগরিকের নেই। হয়তো ব্যক্তি স্বাধীনতার দোহাই তুলে আমি সংবিধানের কোনো ধারা অমান্য বা অবজ্ঞা করতে পারি কিন্তু সেই সঙ্গে আমাকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ানো বা শাস্তি পাওয়ার ঝুঁকিও নিতে হতে পারে। অতীতে আমাকে ভয় পাওয়ার মতো অবস্থা হয়তো সরকারের ছিল, যার জন্য সরকার বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি বা দেখাতে সাহস করেনি; কিন্তু এখন সেই অবস্থা বিরাজমান আছে কিনা তা আজকে আমাদের বৃহত্তর স্বার্থে ভেবে দেখা উচিত।
বর্তমান সরকার ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছে। কেন এবং কী কারণে সরকার ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস করেছে তা বিশ্লেষণ করার প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করি না। জাতি হিসেবে ১৫ আগস্ট অবশ্যই জাতীয় শোক দিবস এবং তা অস্বীকারকারী কোনো কুলাঙ্গার এদেশের নাগরিক হতে পারে না। আমরা যারা বিএনপি করি বা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার অনুসারী বলে দাবি করি তাদের সঙ্গে ১৫ আগস্টের শোক দিবসের কোনো বিরোধিতা নেই। জিয়ার উত্থান হয়েছিল ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ এর পরে। জেনারেল জিয়া ১৫ আগস্টের আগের সরকারের অধীনে অনুগত সেনা উপ-প্রধান ছিলেন এবং তৎকালীন ঘটনা প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে যার প্রশাসনিক, সাংগঠনিক বা রাজনৈতিক কোনো ক্ষমতাই ছিল না। ১৫ আগস্টের ঘটনার জন্য বিশেষ করে তখনকার নৈরাজ্যকর অবস্থার জন্য তৎকালীন জাসদ বা তাদের জঙ্গি নেতারা বা ওই সময় যারা ডুগডুগি বাজানোর বা মার্কিন তোষামোদির রাজনীতি করেছে অথবা যেসব অকর্মণ্য সামরিক ও বেসামরিক কর্তাব্যক্তিরা বড় বড় পদে আসীন ছিল তাদের দায়ী করা যেতে পারে। দায়ী করা উচিত আওয়ামী লীগের সেসব বেইমান নেতাকে যারা বঙ্গবন্ধুর রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে সেদিন সরকার গঠন করেছিল বা নীরব থেকে সরকার গঠনে সহায়তা করেছিল।
শহীদ জিয়া যেমন ছিলেন না মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কোনো ব্যক্তি বা শক্তি, তেমনি ছিলেন না ১৫ আগস্টের শোক দিবসের বিরুদ্ধের কোনো পক্ষ। ১৫ আগস্টের ঘটনা প্রবাহের ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বরে জিয়া সেনাপ্রধানের পদ ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেন ভারত ও আওয়ামী লীগের পক্ষের খালেদ মোশাররফ সফল হতে পারলেন না তার সঠিক জবাব দেওয়ার জন্য বর্তমান সরকারের তথ্যমন্ত্রী স্বয়ং এখনো উপস্থিত আছেন। তা ছাড়া খালেদ মোশাররফের ব্যর্থতার সব দালিলিক প্রমাণ তো কর্নেল তাহেরকে যারা নির্দোষ প্রমাণ করেছেন তাদের কাছেই আছে। ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরের দুটি অংশ- ভোর ৫টার আগে এবং পরে। ৭ নভেম্বরের ভোর ৫টার আগের নায়ক-ঘটক কারা ছিলেন, কারা খালেদ মোশাররফসহ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন অফিসারকে হত্যা করেছিল, কারা 'সৈনিক-জনতা ভাই ভাই' স্লোগান দিয়ে সারা ঢাকা শহর প্রকম্পিত করেছিল তার জীবন্ত সাক্ষী মাননীয় তথ্যমন্ত্রী সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য এখন যথাস্থানেই আছেন। ৭ নভেম্বরের ভোর ৫টার পরের নায়ক ঘটক অনেকেই বেঁচে না থাকলেও চাক্ষুষ সাক্ষী সাবেক অনেক সেনা অফিসার ও সৈনিকের অভাব হবে বলে মনে হয় না। সেদিন যারা গৃহবন্দী জিয়াকে মুক্ত করে ইতিহাসের মহানায়ক বানিয়েছিলেন সেসব জিয়াভক্ত অনেকেই এখনো বেঁচে আছেন, হয়তো তারা জিয়া পরিবার কর্তৃক অবহেলিত হওয়ার কারণে নীরব হয়ে গেছেন। ৭ নভেম্বর ভোর ৫টার পরে ইতিহাসের মহানায়ক জিয়ার জন্ম যিনি বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড় করিয়েছিলেন, কাজেই জিয়া ১৫ আগস্টের শোক দিবসের বিপক্ষে ছিলেন না এবং থাকতে পারেন না। জিয়ার যেমন ছিল অগণিত সাফল্য তেমনি ছিল কিছু ব্যর্থতা বা প্রতিকূলতা। জিয়া কখনোই মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিলেন না কিন্তু জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে গিয়ে অনেক অমুক্তিযোদ্ধা এমনকি মুক্তিযুদ্ধবিরোধীকে তার পতাকার পেছনে সারিবদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এবং সর্বোপরি ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনের লক্ষ্যে ও সময়ের দাবিতে তার নেওয়া পদক্ষেপ সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছিল। কিন্তু জিয়া-উত্তর বিএনপির নেতৃত্ব সে ধারা অব্যাহত রাখতে পারেনি, উল্টো জিয়ার থেকে বড় হতে গিয়ে ইতিহাসের ভিলেনে পরিণত হতে চলছেন। চরম বাস্তবতা জিয়া-উত্তর বিএনপির নেতৃত্ব ভুলে যেতে বসেছে, যেসব মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জিয়ার পতাকার পেছনে দাঁড়িয়েছিল তারা জিয়ার আদর্শের ধারক ও বাহক ছিল না, এমনকি তারা জিয়ার নেতৃত্বও মেনে নেয়নি। ওইসব মুক্তিযুদ্ধবিরোধী তাদের জীবন ও সম্পদ বাঁচানোর জন্য জিয়ার কাছে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু ইতিহাস কি নির্মম, ওই আশ্রিতরা শুধু জিয়াকেই খেয়ে ফেলেনি, জিয়ার আদর্শ, জিয়ার দল, জিয়ার পরিবার সব কিছুই আজকে গিলে খেয়েছে। গত প্রায় ৩৯ বছরে বঙ্গবন্ধুকন্যা চরম ত্যাগ-তিতিক্ষা, ধৈর্য, সাহস, জ্ঞান, বুদ্ধি, মেধা ও যুগোপযোগী মেধাপূর্ণ রাজনীতির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও তার আদর্শকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত ও জাগরিত করেছে সেখানে জিয়ার উত্তরাধিকারীরা অসৎ সঙ্গ ও পরামর্শে জিয়াকে ভিলেনে নামিয়ে আনতেই যেন বেশি সচেষ্ট।
আজকে আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই- জিয়া কখনোই ১৫ আগস্টের শোক দিবসের বিপক্ষের রাজনীতি করেননি। জিয়া কখনোই বঙ্গবন্ধুবিরোধী শক্তি ছিলেন না। জিয়া বঙ্গবন্ধুর বিকল্প নেতৃত্ব বা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে এককভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। অনেকের মতো জিয়াউর রহমানও ছিলেন ১৫ আগস্টে অসহায়ত্বের শিকার, যার গ্লানি অনেকের মতো তিনিও আমৃত্যু বয়ে বেড়িয়েছেন। অনেক সুযোগসন্ধানী জিয়ার এই ব্যর্থতার সুযোগ নিয়েছে এবং জিয়ার পরিবারের ক্ষমতার লোভের কারণে এখনো নিচ্ছে। যেসব সুযোগসন্ধানী ও কায়েমী স্বার্থবাদী জিয়ার পরিবারের বর্তমান অবস্থার সুযোগ নিয়ে জিয়ার নামে বিভিন্ন কল্পকথা লিখে বা বলে জিয়াকে বঙ্গবন্ধুর বিকল্প হিসেবে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা করে শহীদ জিয়াকে ইতিহাসের ভিলেনে নামিয়ে আনছে এবং পাশাপাশি জিয়ার পরিবারকে চিরতরে ধ্বংস করে দেওয়ার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তবায়নে সর্বাত্দক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আজকে জাতীয়তাবাদী শক্তির চরম দুর্ভাগ্য হলো- জিয়ার পরিবার অন্ধ এবং অসৎ মোসাহেবদের সঙ্গে তাদের গভীর সম্পর্ক ও সর্বোপরি অতিমাত্রায় চাটুকারপ্রিয়।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়া বেঁচে থাকতে এবং জিয়া-উত্তর ১৯৯১ সালের আগ পর্যন্ত ১৫ আগস্টে তার পরিবারের কোনো সদস্যের জন্মদিন পালনের কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই বা ওই সময় ওই তারিখের কোনো জন্মদিনের উৎসবে অংশগ্রহণকারী কোনো হতভাগার নামও কারও জানা নেই। তবে ১৯৯১ সালের ১৫ আগস্ট থেকে কীভাবে জিয়ার পরিবারে জন্মদিনের উৎসব পালন শুরু তার বিস্তারিত বিবরণ ও মুখরোচক আলোচনা করতে পারবেন বৃহত্তর বরিশালের একজন প্রভাবশালী সাবেক সংসদ সদস্য, যিনি জিয়া পরিবারের সাবেক একজন ঘনিষ্ঠ সহচর এবং যিনি জিয়া পরিবারের অনেক পারিবারিক ইতিহাসের সাক্ষী। সাধারণ মানুষও বিশ্বাস করে না এবং বিএনপির সিনিয়র নেতাসহ অনেকেই ১৫ আগস্ট জিয়ার পরিবারের কারোর জন্মদিন তা বিশ্বাস করে না। তবে হয়তো চাটুকাররা তাদের কায়েমী স্বার্থে বিশ্বাস করলেও করতে পারে। ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করলে কোনো সচেতন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন বিবেকমান মানুষ সেখানে ভিড় করবে না, কাজেই তাতে চাটুকাররা অতিরিক্ত সুযোগ পেয়ে যাবে এবং নেত্রীর কৃপা পেয়ে ধন্য হবে। বাস্তবতা অনুধাবন করার জন্য ম্যাডামের কাছে আবারও চরম ঝুঁকি নিয়ে নিবেদন করছি- দলের, নেত্রীর নিজের, তার পরিবারের ও শহীদ জিয়ার আদর্শের স্বার্থে সর্বোপরি জাতীয়তাবাদী শক্তির এবং বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের বৃহত্তর স্বার্থে এ বছর থেকে ১৫ আগস্টের জন্মদিনের উৎসব এমনকি একা একা ঘরেও কেককাটা থেকে বিরত থাকার জন্য। এতে সবার মঙ্গল হবে। বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার বা সম্মান করলে বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রেক্ষাপটে জাতি অনেক বেশি লাভবান হবে। রাজনীতি জিদ, হিংসা বা হানাহানির বিষয় নয়- ধৈর্য, আদর্শ এবং জনকল্যাণকামিতা রাজনীতিতে অনেক বেশি ইতিবাচক। প্রতিপক্ষকে আপন করতে পারা রাজনীতির সেরা কৌশল।
ঈদের পরে আন্দোলনের ডাক যে তেমন কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই দেওয়া হয়েছে তা অপ্রিয় সত্য হিসেবে জনগণের সামনে চাউর হয়ে গেছে। ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের ভার উত্তোলনের ক্ষমতা অর্জনে সিঙ্গাপুর গমন, ২০ মহাদলীয় জোটের মহা মহা নেতার রাজধানী ছেড়ে গ্রাম-গ্রামান্তরে প্রজা বিলাসে ব্যস্ত সময় ক্ষেপণ, ঈদে ভূরিভোজ ও কোলাকোলিতে ক্লান্ত শরীর দেবতাকে প্রয়োজনীয় বিশ্রাম দান, সরকারদলীয় অতি উৎসাহী চাটুকারদের হাঁকডাকে মনে কিছুটা আতঙ্ক এবং ১৫ আগস্টে কেককাটা নাকি এবার থেকে অন্য কিছু কাটা শুরু হয় তা দেখার জন্য বুদ্ধিমানের ধৈর্য ইত্যাদি কারণে আন্দোলন শুরু হতে সময় যে আরও কিছুটা লাগবে তা সচেতন জনগণ আগেই বুঝে নিয়েছে। তবে আন্দোলনের পটভূমিকা সৃষ্টির জন্য এক নেতা ইতিমধ্যেই রেডিমেড বক্তৃতা দিয়েই দিয়েছেন- 'আর যদি একটি গুলি চলে তাহলে আমরাও গুলি চালাব এবং সেদিন থেকেই আন্দোলন শুরু হয়ে যাবে।' এখন অপেক্ষা কবে সরকার গুলি চালায়। কাজেই আন্দোলন শুরু হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে তা বোঝা যাচ্ছে!
বিএনপির এখন আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই কিন্তু চরম বাস্তবতা হলো- আন্দোলন করার মতো সাংগঠনিক ক্ষমতা এ মুহূর্তে বিএনপির নেই। এ চরম সত্যটি অনুধাবনে বিএনপির নেত্রীর যত দেরি হবে বিএনপি তত বেশি দুর্বল হবে। যে বলিষ্ঠতা নিয়ে ঢাকা মহানগর বিএনপি পুনঃঘটিত করা হয়েছে, সেরকম বলিষ্ঠতা নিয়ে বাংলাদেশের সব জেলা, উপজেলা, নগর, মহানগর ও গ্রাম কমিটিগুলোকে পুনঃগঠিত, নেতৃত্বে নতুন পুরনো সংমিশ্রণ করে পরিবর্তন, মহাসচিব নিয়োগ, স্থায়ী কমিটি পুনঃবিন্যাস, দ্বিমুখী কেন্দ্র বন্ধ, প্রয়োজনে তারেক রহমানের ওপর একক কর্তৃত্ব প্রদান এবং দলের দুর্নীতিবাজদের সরিয়ে দলের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। মানুষ পরিবর্তন চায়। জনগণ রাজনীতিতে নীতি ও আদর্শ দেখতে চায়। দুর্নীতিবাজদের শাস্তি চায়। জনগণ হাসিনা-খালেদার বিকল্প খুঁজে না। জনগণ দুই নেত্রীকেই চায়, কারণ তারা ছাড়া অন্য কেউ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। দুই নেত্রী ছাড়া গ্রহণযোগ্য কোনো নেতা-নেত্রীও নেই। তাই জনগণ প্রতি পাঁচ বছর অন্তর নির্বাচনের মাধ্যমে পরিবর্তন চায়। পরিবর্তন চায় দলের কাঠামোতে। জনগণ দলের মধ্যে গতিশীল নেতৃত্ব চায়। প্রবীণ-নবীনের প্রতিযোগিতা দেখতে চায়। দেখতে চায় দুই নেত্রীই তাদের দলে এবং যখন সরকারে থাকবে তখন সরকারে কঠোর হাতে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করতে পারছেন। দেশ খারাপ লোকে ভরে যাচ্ছে, ওদেরকে কঠোরভাবে দমন করতে না পারলে ভবিষ্যতে বিপদের সম্ভাবনা আছে। সবাইকে আরও সাবধান হওয়া উচিত। আন্দোলন কিন্তু শুরু হয়ে গেছে।
লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন