|
গাজীউল হাসান খান
|
|
বিএনপির আন্দোলনের হুমকি ও সাংগঠনিক প্রস্তুতি প্রসঙ্গে
24 Jul, 2014
নেতৃত্বের প্রশ্নে বিভিন্ন ব্যক্তিকে নিয়ে দলের ভেতরে নানা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কিংবা কোন্দল থাকলেও শেষ পর্যন্ত বিএনপির ঢাকা মহানগর কমিটি ঘোষিত হয়েছে। এটি অবশ্যই একটি উল্লেখযোগ্য সাম্প্রতিক ঘটনা। এক-এগারো-পরবর্তী সময়ে বিএনপির বিভিন্ন অবিমৃষ্যকারী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে দলকে বিভিন্ন স্তরে নতুনভাবে সংগঠিত করার চিন্তাকে অবশ্যই একটি অত্যন্ত গঠনশীল উদ্যোগ হিসেবে সাধুবাদ জানাতে হয়। কারণ শক্তিশালী সংগঠন ছাড়া গণ-আন্দোলন কিংবা নির্বাচন কোনো ক্ষেত্রেই কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসতে পারে না। আন্দোলনের কর্মসূচি দেবে বিএনপি আর তাকে সাফল্যমণ্ডিত করবে জামায়াত-শিবির, সেটা তো হতে পারে না। বিএনপির রাজনীতিকে চাঙ্গা করতে হলে কিংবা দেশব্যাপী রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নতুনভাবে গণজোয়ার সৃষ্টি করতে হলে নিজেদের সংগঠনের শক্তিশালী গণভিত্তির কোনো বিকল্প নেই। সে কারণেই ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের পর পরই বিএনপির উচিত ছিল অন্যান্য কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি অত্যন্ত জরুরিভাবে সংগঠনের দিকে মনোযোগ দেওয়া। বিএনপির নেতা-নেত্রীদের তখন সম্যক উপলব্ধি ঘটা উচিত ছিল, কী কারণে তারা আওয়ামী লীগের ঘোষিত একতরফা নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। বিএনপির দুর্বল দলীয় নেতৃত্ব তখন জনগণকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছিল, সেটা জামায়াত নেতাদের বাঁচানোর জন্য আন্দোলন ছিল, না নির্বাচনকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে সূচিত। কারণ দেশব্যাপী সর্বত্র তখন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরাই রাজপথ-জনপদ দখল করেছিল। বিএনপির যেখানে ক্ষমতা ছাড়ার আগেই অর্থাৎ এক-এগারো-পূর্ববর্তী সময়ে অথবা অবশ্যই আওয়ামী লীগ ঘোষিত গত সাধারণ নির্বাচনের আগে দলকে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সব স্তরে সংগঠিত করার তাগিদ ছিল, সেটা না করে বিদেশি দূতাবাসে ধরনা দেওয়াসহ দেশীয় রাজনীতিতে বিভিন্ন দৈব-দুর্বিপাকের আলামত দেখতে শুরু করেছিল। এ অবস্থায় শেষ পর্যন্ত দলের ঢাকা মহানগর কমিটি ঘোষণাকে অবশ্যই একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বলে স্বীকার করতেই হবে। এখন এর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন থানা থেকে জেলা পর্যন্ত সর্বত্র বিভিন্ন মৃতপ্রায় কমিটিগুলোকে পুনর্গঠিত করতে না পারলে শুধুই ঢাকা মহানগর কমিটি দিয়ে লঙ্কা জয় করা যাবে না।
বিএনপির আন্দোলনের হুমকি ও সাংগঠনিক প্রস্তুতি প্রসঙ্গে
আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে ওপর থেকে নেতৃত্ব চাপিয়ে দেওয়ার সংস্কৃতি এখনো শেষ হয়ে যায়নি। এবং সেটা থেকেই দেখা দেয় সমূহ রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপ, দুর্নীতি এবং সব প্রকার সামাজিক অনাচার। দলের ভেতরে গণতন্ত্রের চর্চা না থাকলে এবং দলীয় নেতারা স্থানীয়ভাবে গণতন্ত্রের ভিত্তিতে নির্বাচিত না হলে গণতান্ত্রিক সংগঠনের কথা না বলাই ভালো। বাংলাদেশের প্রধান দুটি দলের ভেতরে কোথাও গণতন্ত্র খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত দুষ্কর হবে। দলের সর্বোচ্চ নেতা-নেত্রীদের ইচ্ছা কিংবা পছন্দ অনুযায়ীই সংগঠনের বিভিন্ন স্তরে নেতা-নেত্রী বাছাই করা হয়। এবং সে কারণেই দলের ভেতরে গণতন্ত্রের চর্চা দেখা যায় না, জবাবদিহিতার লেশ মাত্র খুঁজে পাওয়া যায় না। ছাত্রসংগঠন, যুবসংগঠন এবং এমনকি মূল দলও দুর্নীতির অভয়ারণ্যে পরিণত হয়। শেষ পর্যন্ত দুর্নীতিবাজ রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জনগণের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়ে। কোনো খুন, ধর্ষণ কিংবা লুটপাটের সঙ্গে আজকাল আর চোর-ডাকাতদের খুঁজে পাওয়া যায় না। পাওয়া যায় বিভিন্ন দল ও তাদের অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন নেতা-কর্মীদের। এ ধরনের রাজনৈতিক সংগঠন কিংবা কর্মকাণ্ড জনগণের কাম্য হতে পারে না। সে কারণেই দেখা যায় ক্ষমতায় যাওয়ার দুই-তিন বছরের মধ্যেই বিভিন্ন প্রভাবশালী দল তাদের জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলতে। এক টার্মের বেশি কাউকেই খুব বেশি ক্ষমতায় আসতে দেখা যায় না। জোরালো সাংগঠনিক অবস্থা না থাকলেও এবং এমনকি দুর্বল প্রার্থী দেওয়া সত্ত্বেও প্রধান বিরোধী দল জনগণের নেতিবাচক ভোটে বিজয় ছিনিয়ে নেয়। তারপর আবার তাদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা এবং একই পরিণতি ঘটতে দেখা যায়। ক্ষমতাসীন অবস্থায় এরা মনে করে দল গোল্লায় যাক, সময় বয়ে যাচ্ছে, সাধ্যমতো যা পারো বানিয়ে নাও। এটা তো কোনো সভ্য দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতি হতে পারে না। এক-এগারো নিয়ে যত বিতর্কই থাক, তাদের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে আবির্ভূর্ত হওয়ার মূল কারণগুলো তো কোনো মতেই উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। খুন, ধর্ষণ, লুটপাট এবং বিভিন্ন অরাজকতামূলক যেসব কর্মকাণ্ড এখন দেশে ঘটছে তাকে কী আগের চেয়ে ভালো বলা যায়। কোথায় গণতন্ত্রের চর্চা, আর কোথায়ই বা মানবাধিকার? তা হলে কী বলব, এক-এগারো মোটেও অযৌক্তিক ছিল না?
বর্তমান রাজনীতির কঠোর সমালোচকরা বলেন, এত দিন বিএনপি ভেবেছিল, এত পরিশ্রম করে সংগঠন করার প্রয়োজন কী? আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার থেকে কোনো মতে একটা নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি আদায় করতে পারলে বিএনপিকে আর কে ধরে রাখে। জনগণ যেভাবে খেপে আছে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে কোনো সমালোচনামূলক প্রচারভিযানেরও প্রয়োজন হবে না। বিএনপি এমনিতেই ক্ষমতায় চলে যাবে। কী প্রয়োজন রাজপথে গণ-আন্দোলনের। তাই তারা নাকি অনেকে অর্থাৎ বিএনপির কিছু কিছু কেন্দ্রীয় নেতা আমাদের রাজনীতিতে দৈব-দুর্বিপাকের আবির্ভাব ঘটুক, সেটাই কামনা করছিলেন। তাহলে আন্দোলন কিংবা সংগঠন কোনোটারই আর প্রয়োজন হবে না। বিএনপি আবার অন্তত পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতাসীন হলে অনেকের 'মনোস্কামনা' পূর্ণ হবে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রে বিশ্বাসী কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছে এটা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। স্বাধনীতার ৪২ বছরেও আমরা যদি দেশটিতে একটা গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা কায়েম করতে না পারি এবং রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, দুর্নীতি, লুটপাট ও সামাজিক অনাচারের মূলোৎপাটন করতে না পারি, তাহলে আর মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বড় বড় কথা বলে লাভ কী? একটি দুর্নীতিগ্রস্ত ও পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর জন্য কিছুটা অবকাঠামোগত উন্নয়ন সভ্যতা অর্জনের কোনো মাপকাঠি হতে পারে না। গণতান্ত্রিক অধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সভ্যতা অর্জন ব্যক্তি স্বার্থ কিংবা ব্যক্তি চেতনা নয়, সম্মিলিত সমাজ ও রাষ্ট্রীয় সুদূরপ্রসারি চেতনার ওপর নির্ভর করে। সে কারণেই রাজনৈতিক চেনতা বিকাশের জন্য গণতন্ত্রের চর্চা অত্যাবশ্যক। তার জন্য চাই বিভন্ন স্তরে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন। সেখানে ওপর থেকে কিছু চাপিয়ে দিলে চলবে না। জনগণকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে হবে। স্থানীয়ভাবে তাদেরকেই তাদের সঠিক প্রতিনিধি কিংবা নেতা নির্বাচন করতে দিতে হবে। নতুবা আধিপত্যবাদী কিংবা স্বৈরাচারী কায়দায় দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। যারা এগুলো পাশ কাটিয়ে চলতে চায় তারা পরোক্ষভাবে 'এক টার্মের' রাজনীতিকেই প্রমোর্ট করে।
মন্ত্রী, এমপি ও সচিবসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত করার আইনি অধিকার লাভের কারণে কোনো সরকার কিংবা রাজনৈতিক দলের নেতারা আগের মতো আর সহজে পার পেয়ে যেতে পারবেন না। দুর্নীতি, লুটপাট ও অবৈধ আয় কিংবা সম্পদ লাভের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে এখন আর অসম্ভব বলে কিছু থাকবে না। ক্ষমতায় থাকাকালে সংঘটিত দুর্নীতিমূলক বিষয়াদি ক্ষমতা থেকে বিদায় নিলেও তদন্ত হবে। দেশের গণতন্ত্রমনা ও সৎ নাগরিকদের উচিত, দুদকের মতো প্রতিষ্ঠানকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করা। দেশে এখন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআইবি) এবং সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) মতো প্রতিষ্ঠান একটি দুর্নীতিমুক্ত সমাজ এবং নাগরিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে। তারা এখন বিভিন্ন ইস্যুতে যথেষ্ট সোচ্চার। সুতরাং রাজনীতিকে যারা অবৈধ উপায়ে অর্থ-সম্পদ উপার্জনের একটি বিরাট উৎস বলে এত দিন মনে করত, তাদের এখন হুঁশিয়ার হওয়ার সময় এসেছে। এত দিন সরকার বিরোধী দলের (বিএনপি) দুর্নীতি, অর্থপাচার এবং লুটপাটের বিচার করার কথা সোচ্চারভাবে বলেছে; কিন্তু কতটুকু করতে পেরেছে তার কোনো পরিষ্কার হিসাব নেই। এ অবস্থায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান বলেছেন, তিনি সরকারের 'দুর্নীতির শ্বেতপত্র' তৈরি করেছেন। ঈদের পর অর্থাৎ তাঁদের সরকারবিরোধী আন্দোলনের আগে তিনি তা প্রকাশ করবেন। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর এবং বিশেষ করে ব্যাংক লুটের ঢাকা থেকে পাওয়া তথ্য তিনি লন্ডনে গ্রন্থনা করেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু এর পাশাপাশি বিশেষভাবে কথা উঠেছে আন্দোলনের বিষয়টি নিয়ে। রাজনৈতিক তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, ঈদের পর যখনই হোক যেকোনো আন্দোলনে যাওয়ার আগে বিএনপির উচিত হবে দলকে বিভিন্ন স্তরে পুনর্গঠিত করা। বিভিন্ন থানা কিংবা জেলা পর্যায়ে অতীতের মৃতপ্রায় অথবা দুর্বল কমিটি নিয়ে আন্দোলনে যাওয়ার অর্থ হবে আবার জামায়াত-শিবিরের ভরসায় থাকা। অভিযোগ উঠেছে, জামায়াত-শিবির নাকি বিএনপি ও তার বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনে রাজনৈতিকভাবে আপাতত আশ্রয় নিয়েছে। তারা জামায়াত নেতাদের মুক্তির ব্যাপারে আন্দোলনের প্রশ্নে আবার বিএনপির ওপর চাপ সৃষ্টি করে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যেতে পারে। তাই বিএনপির বিভিন্ন থানা ও জেলা কমিটি এবং এমনকি অঙ্গসংগঠনের পুনর্গঠনের পর আন্দোলনের লক্ষ্য নিয়ে পরিষ্কার একটি ধারণা দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
দেশব্যাপী মূল দল ও তার অঙ্গসংগঠনগুলোকে শক্তিশালীভাবে পুনর্গঠনের আগে আন্দোলনে যাওয়ার অর্থ হবে আন্দোলনের ভরাডুবি ডেকে আনা। দেশের ভেতরে গণতন্ত্রের প্রকৃত চর্চা থাকলে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরাই বলে দেবে আন্দোলনের জন্য কোনটি সঠিক নয়। নতুবা আন্দোলনের ব্যাপারে তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত সঠিক নাও হতে পারে। তা ছাড়া আন্দোলনের ব্যাপারে সরকারকে বারবার হুমকি দিতে থাকলে তারাও বসে থাকবে না। বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অসংখ্য মামলা রয়েছে। সেসব মামলা কোর্টে উত্থাপন করে একে একে অনেককেই গ্রেপ্তার করা হতে পারে। সে জন্যই সংগঠনকে শক্তিশালী করলে নতুন নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবে। আরো একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, অবিলম্বে বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল ডাকা। ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভর না করে গণতান্ত্রিক আদর্শের ওপর ব্যাপকভাবে দলকে গড়ে তুললে এবং দলের ভেতরে গণতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত রাখলে দুর্নীতি, লুটপাট, অপরাজনীতি এবং দুর্বৃত্তায়নের সুযোগ কমে আসবে। জবাবদিহিতার পরিধি বাড়তে থাকবে। বিএনপির সামনে এখন সংগঠনকে মজবুত করার বিরাট সুযোগ এসেছে। তাই সামনের আন্দোলন কিংবা নির্বাচনের জন্য সংগঠনই হবে তার নির্ভরযোগ্য শক্তি। আর এ নির্দিষ্ট সময়ে সংগঠন জোরদার করতে না পারলে রাজনৈতিক কৌশলগত চাপের মুখে বিএনপির অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ারও আশঙ্কা থেকে যায়। কারণ বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও তাঁর পুত্র তারেক রহমানের জন্য এ সময়টি কোনোভাবেই অনুকূল নয়। তা ছাড়া মামলা ঝুলে আছে আরো অনেক প্রবীণ নেতার বিরুদ্ধে। সহসা এ অবস্থার পরিবর্তন হবে না বলেই কি আন্দোলনের ডাক? তাহলে আন্দোলনে যাওয়ার আগে সার্বিক সাংগঠনিক অবস্থাটা একবার খতিয়ে দেখা উচিত।
লেখক : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন