শুরুতে অন্য একটি প্রসঙ্গ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সাকিব আল হাসানকে অসঙ্গত আচরণের জন্য কঠোর শাস্তি দিয়েছে। এত কঠোর যে এর মধ্য দিয়ে তার খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি ঘটার আশংকা করছেন অনেকে।
একজন খেলোয়াড় যখন তার ক্রীড়া নৈপুণ্যের জন্য সেলিব্রেটি হয়ে ওঠেন, তখন দেশের মানুষ তাকে অকুণ্ঠ ভালোবাসা দেয়, তরুণরা তাকে রোল মডেল হিসেবে নিয়ে অনুকরণ করতে থাকে। সাকিব আজকের বাংলাদেশে সেই মাপেই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এই সাফল্য তার ব্যক্তিগত অর্জন তাতে সন্দেহ নেই। তবে তার পেছনে তার প্রশিক্ষক, দেশের ক্রীড়া ব্যবস্থাপকবৃন্দ, ক্রীড়া সাংবাদিক, তার সতীর্থবৃন্দ, সর্বোপরি অনুরাগী দর্শক এবং দেশের সাধারণ মানুষের অবদানকে খাটো করে দেখা যাবে না। সাকিব বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব করেছেন, আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে বহু বড় আসরে অংশ নিয়েছেন, বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার হয়েছেন, তার কাছ থেকে আমরা অবশ্যই সংযত, শোভন ও অনুকরণীয় আচরণ প্রত্যাশা করব। দুর্ভাগ্যবশত, বিভিন্ন সময় তাকে নিয়ে এমন কিছু খবর কাগজে এসেছে, যা একজন বিশ্বমানের ক্রীড়াবিদের কাছ থেকে মোটেই প্রত্যাশিত নয়।
তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করে যে ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। আমি ক্রীড়াবিদ নই, ক্রীড়া বিশেষজ্ঞও নই। তবে একজন উৎসাহী দর্শক। বিশেষ করে দেশের ছেলেরা যখন বিদেশের মাটিতে ক্রিকেট খেলে এবং ভালো খেলে, তখন টেলিভিশনের সামনে ঠায় বসে থাকি। সাকিবের ব্যাপারে বিসিবির সিদ্ধান্তটা আমার মতে লঘুপাপে গুরুদণ্ড হয়েছে।
বিসিবি অবশ্যই শৃংখলার স্বার্থে যে কোনো ক্রীড়াবিদকে শাস্তি দেয়ার অধিকার রাখে। কিন্তু সাকিবের মতো একজন খেলোয়াড়কে এ ধরনের শাস্তি দেয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দিক বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। সত্য বটে, কোনো একজন খেলোয়াড়ের একক নৈপুণ্যের চেয়ে দলগত সাফল্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে সব দলেই, বিশেষ করে ক্রিকেটে, ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের কোনো বিকল্প নেই। এখানে দু-একজনের ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দলকে এগিয়ে নেয়, দলের অন্যদের প্রেরণা ও সাহসের জোগান দেয়। সেই বিবেচনায় বর্তমান সময়ে যে কোনো দলের জন্য সাকিবের মতো একজন খেলোয়াড়ের উপস্থিতি নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিসিবির সিদ্ধান্ত যেভাবে নেয়া হয়েছে এবং যেভাবে তা ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে মনে হয়েছে, সাকিব যেমন রাগ বা অভিমানের বশবর্তী হয়ে তার কোচের সঙ্গে কথা বলার সময় সীমা লংঘন করেছেন, তেমনি বিসিবিও যেন ক্ষমতা ও অথরিটির প্রমাণ রাখার জন্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত কঠোরতা প্রদর্শন করেছে। টিভিতে বিসিবি সভাপতির বক্তব্যে ক্রোধ এবং ক্ষমতার বড়াই যেভাবে প্রকাশ পেয়েছে, তা ছিল লক্ষ্য করার মতো। তরুণ খেলোয়াড়দের প্রতি বিসিবির মনোভাব হতে হবে ছেলেমেয়েদের প্রতি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মতো। কঠোরতা থাকবে, কিন্তু ক্রোধ বা প্রতিহিংসা নয়।
সাকিব তার আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে গিয়ে বলেছেন, বাড়িতে আব্বুর সঙ্গে রাগ করে যদি বলি দুই দিন ভাত খাব না, সেটা বাইরের লোককে জানাতে হবে কেন? এখানে তিনি তার কোচকে আব্বুর সঙ্গে তুলনা করেছেন। তার এই সরল অভিব্যক্তিকে বিসিবি কোনো মূল্য দেয়নি।
সাকিবের মতো একজন খেলোয়াড়কে ছয় মাস বসিয়ে রাখা হলে বা দেড় বছর অন্য কোনো দেশের বড় আসরে খেলার সুযোগ না দিলে তার ফর্ম ধরে রাখা দুঃসাধ্য হতে পারে। সেটা দেশের ক্রিকেটের জন্যও শুভ হবে না। সে ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের একমাত্র নক্ষত্রটির পতনের দায় বিসিবিকে বহুদিন বহন করতে হবে।
সাকিবের আচরণকে যেমন সমর্থন করা যায় না, তেমনি বিসিবির এমন রুদ্রমূর্তি ধারণ করাকেও স্বাভাবিক বলা যায় না। দেশের মানুষ তাদের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। বিষয়টির পুনর্বিবেচনা আবশ্যক।
এবার আমরা আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয়ে যাব।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ভাগ্যবতী মহিলা। তিনি বিশাল ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন, সে জন্য নয়। তিনি ভাগ্যবতী এ জন্য যে, বাংলাদেশ সফরে এসে তিনি শাদীর পহেলা রাতেই বিড়াল মারতে সক্ষম হয়েছেন। এ যেন- ভিনি, ভিডি, ভিসি! তিনি এলেন, দেখলেন ও জয় করলেন।
কী জয় করলেন? আমাদের ক্ষমতাসীন জোট সরকার এবং প্রধান বিরোধী জোট, এই দুই পক্ষকে একসূত্রে গাঁথার প্রয়াসে পশ্চিমের বিভিন্ন শক্তিমান রাষ্ট্রের ঝানু কূটনীতিকরা বারবার গলদঘর্ম হয়েছেন. কিন্তু শেষ পর্যন্ত খালি হাতে বিদায় নিয়েছেন। অতীতে ভারতের কোনো সরকারি নেতা ঢাকা সফরে এসে আমাদের রাজনীতির এই দুই জোটের যুগপৎ হাসিমুখ দেখতে পেয়েছেন, ইতিহাস তেমন সাক্ষ্য দেয় না। সুষমা এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া- দুজনেই তাকে খুশি করার জন্য প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। মেহমানের জন্য বাজার-সদাই করেছেন। অতঃপর দুজনেই পরস্পরের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছেন সুষমাজির কাছে। স্কুলের বাচ্চারা যেমন করে নালিশ জানায় মুরব্বিদের কাছে। সুষমাজিও তার মুরব্বিয়ানার ঠাট বজায় রেখে দুজনকেই খুশি করে রেখে গেছেন (সেই খুশি দুজনেরই কথাবার্তায় উপচে পড়েছে)।
আমাদের সরকারি দলটি ভারতের কংগ্রেস দলের সঙ্গে তার সুসম্পর্কের বিষয় কখনও চাপা রাখেনি। কংগ্রেসও তার প্রতিদান দিতে কার্পণ্য করেনি। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে-পড়ে কংগ্রেসের বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থান ক্ষমতাসীন দলের ডুবন্ত তরীটিকে ভাসিয়ে রাখার ক্ষেত্রে লাইফ সাপোর্টের কাজ করেছে। দুর্ভাগ্যবশত আওয়ামী লীগকে তীরে পৌঁছে দিতে সক্ষম হলেও কংগ্রেস নিজে ভয়াবহ ভরাডুবির সম্মুখীন হয়েছে। সেই পরাজয়ের মাতম ঢাকার ক্ষমতাসীন শিবিরে প্রতিধ্বনিত হবে, সেটাই স্বাভাবিক।
৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগাভাগির সময় ভারতের নেতারা বলেছেন, পাকিস্তান মুসলমানদের জন্য, কিন্তু ভারতের দরজা সবার জন্যই খোলা। সেই ভারতে ধর্মনিরপেক্ষ কংগ্রেসের পরিবর্তে হিন্দুত্ববাদী বিজেপির ক্ষমতায় আসা এবং এমন বিপুলভাবে আসা, স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এটা কি কেবলই ইনকাম্বেন্সি ফ্যাক্টর? ক্ষমতাসীন দলের ওপর নাখোশ সাধারণ মানুষের সাময়িক ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ? নাকি ভারতীয় জনমানস অবশেষে ধর্মনিরপেক্ষতা বিসর্জন দিয়ে হিন্দুত্ববাদকে চূড়ান্তভাবে বরণ করে নিল? অতঃপর বিজেপি কি তার দলের বিঘোষিত ম্যান্ডেট অনুযায়ী ভারতকে হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলবে? এই দুশ্চিন্তা মোটেই অমূলক নয়।
আমাদের ক্ষমতাসীন জোটের নেতারা ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেন ধর্মীয় আবেগ নিয়ে। ভারতের জনগণ ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে, সেটা তারা সহজভাবে নিতে পারেন না। অপরদিকে মুসলমানের রক্তে হোলিখেলার অভিযোগ আছে যার বিরুদ্ধে, তেমন একটি দলের প্রতিবেশী দেশে ক্ষমতায় আসা এ দেশের ইসলামপন্থীদের জন্যও খুশির বিষয় হতে পারে না। কিন্তু গরজ বড় বালাই।
আমাদের ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী ক্ষমতাসীনরা এখন স্পষ্টত গেরুয়া বসন ও ত্রিশূলধারীদের সঙ্গে হাত মেলাবার পথ খুঁজছেন। অপরদিকে ক্ষমতায় যাওয়ার উদগ্র বাসনায় উদগ্রীব বিরোধী জোটের নেতারা হাওয়া বুঝে আগে থেকেই নানা পথে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করে আসছেন। দুদিন আগেও তারা যে হাতে রক্তের দাগ দেখেছেন, সেই হাতে হাত মেলাতে উপযাচক হয়ে সাক্ষাৎ প্রার্থনা করেছেন (পাঁচটি জামদানি শাড়ি কি সেই রক্তের দাগ মুছে দেয়ার জন্য যথেষ্ট হবে?)।
একটা জায়গায় সম্ভবত উভয় পক্ষেরই হিসাবে একটু ভুল হয়ে গেছে। পরিণত কূটনীতিতে ক্ষমতার হাতবদল ঘটলেই বিদেশনীতি রাতারাতি বদলে যেতে পারে না। মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে বিদেশনীতি নির্ধারিত হয় দীর্ঘমেয়াদে, সরকার পরিবর্তনে যার কিছু বাহ্যিক রঙ বদল হলেও মৌলিক কাঠামো অপরিবর্তিত থেকে যায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজকর্ম কূটনৈতিক ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই এগিয়ে যায়। পূর্ববর্তী সরকারের কোনো আন্তর্জাতিক কমিটমেন্ট, নতুন সরকারের পছন্দনীয় না হলেও হঠাৎ করে তা পরিবর্তন করা যায় না। একতরফা প্রেম কিংবা সর্বাবস্থায় যুদ্ধংদেহি মনোভাব, কোনোটাই এ ক্ষেত্রে রীতিসিদ্ধ নয়।
সেটাই লক্ষ্য করা যায় মোদি সরকারের আচরণে। দলের নেতাদের প্রাক-নির্বাচনী হম্বিতম্বি নির্বাচন-পরবর্তী নীতিনির্ধারণে এখনও প্রতিফলিত হতে দেখা যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য সেটা স্বস্তির বিষয়। অপরদিকে সেটাই হয়েছে বিরোধী জোটের চরম অস্বস্তি ও হতাশার কারণ।
দিল্লি সম্ভবত উপলব্ধি করছে, কংগ্রেস-কানেকশনের কারণে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত আওয়ামী সরকারের কাছ থেকেই অধিক সুবিধা আদায় করা সহজ হতে পারে। তারা ভাবতে পারেন, দেশের ভেতরে জনসমর্থন যত কম থাকবে, যত বেশি বিতর্কিত হবে, এই সরকার ততই বেশি নতজানু হবে (আমাদের ক্ষমতাসীনরা সিংহাসনের সুরক্ষায় সবকিছুই করতে পারেন, সেটা তারা ভালোভাবে অবগত আছেন। ভারতকে ট্রানজিট দিলে বিনিময়ে বাংলাদেশ কোনো প্রকার ট্রানজিট ফি পাবে কি-না, সে প্রশ্ন উঠলে বর্তমান সরকারের একজন শক্তিমান নীতিনির্ধারক বলেছিলেন, ছিঃ, ছিঃ, তাতে বন্ধুত্বের অবমাননা হবে। এমন একতরফা প্রেমিককে গলাধাক্কা দেবেন, মিঃ মোদিকে তেমন বেরসিক মনে হয় না)।
অপরদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটও যে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশের মানুষের সমর্থনের চেয়ে বিদেশের পৃষ্ঠপোষকতার দিকে বেশি দৃষ্টি রাখে, সে ব্যাপারে কোনো রাখঢাক নেই। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর তারা জনতার আদালতে না গিয়ে দেশে দেশে পৃষ্ঠপোষকতা খুঁজে বেড়িয়েছেন। সর্বশেষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র সোজাসাপ্টা বলে দিয়েছেন, তারা ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক চান (হিলারি ক্লিনটন তো আরও আগেই ভারতকে এই অঞ্চলের মসনবদারী দিয়ে গেছেন)। আমাদের সরকারি দল ও বিরোধী দলগুলোর জন্য এটা কি যুক্তরাষ্ট্রের দিকনির্দেশনা? এখন যারা ক্ষমতায় আছেন এবং যারা আগামীতে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর, উভয় পক্ষের সার্বজনীন সুষমা-পূজার মধ্য দিয়ে কি সেটাই ফুটে উঠেছে?
এই সফরে ১৩ বছরের কম ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের ভিসা প্রদানে নমনীয়তার বিষয়টি ছাড়া আর কোনো কিছুই স্পষ্ট হয়নি। তা সত্ত্বেও এই সফরকে সফল বলা হচ্ছে।
সফল তো বটেই। ভারতের জন্য।
সুষমাজি বলে গেছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ভারত নাক গলাবে না। এ বক্তব্যকে অনেকে আক্ষরিক অর্থে নিয়েছেন। ক্ষমতাসীন দল এতে আশ্বাসের ইঙ্গিত দেখছে। তাদের সমর্থক বুদ্ধিজীবীরা এর মধ্যে বর্তমান সরকারের প্রতি ভারতের শুভেচ্ছার নিদর্শন দেখছেন। এ নিয়ে তারা টেলিভিশনে গদগদ হয়ে কথা বলছেন এবং সংবাদপত্রের পাতা ভরিয়ে চলেছেন।
জানতে ইচ্ছা হয়, এক দেশের নেতা কি অন্য দেশে বেড়াতে এসে বলবেন যে, আমরা তোমাদের দেশে নাক গলাব? নাক গলাতে হলে কোনো রাষ্ট্র কি ঘোষণা দিয়ে তা করবে? (ভারতের নাক এ দেশে ইতিমধ্যেই এতটা প্রবিষ্ট হয়ে আছে যে, এখন সেটা টেনে বের করতে গেলে রক্তাক্ত হয়ে যাবে না?)।
তাছাড়া আমাদের এখানে অন্যের নাক গলাবার প্রয়োজন হবে কেন? আমরা কি নিজেরাই কার আগে কে গিয়ে বিদেশীদের নাকের ডগায় বসতে পারি, সেই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত নই?
জনমনে এখন মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন : দেশের দুই বড় জোট এত সহজে বিজেপি, তথা চরম ধর্মান্ধ আরএসএসের কাছে আত্মসমর্পণ করার পর বাংলাদেশের আগামী দিনের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি কী হবে?
বর্তমান সরকারি দল ভারতে তার বন্ধু সরকার থাকতেও সামান্যতম ছাড় আদায় করতে পারেনি, কেবল দিয়েই গেছে। এখন কী হবে আল্লা মালুম। অপরদিকে এতকাল যারা ভারতের সঙ্গে এই অসম সম্পর্ক নিয়ে উচ্চকণ্ঠ ছিল, দিল্লির নতুন শাসকদের প্রতি তারাও শুরুতেই নতজানু। (ব্র“টাস্ , তুমিও!!)
আমরা যাচ্ছি কোথায়?
ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশী : রাজনীতিক, চেয়ারম্যান, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি), ভূ-রাজনীতি ও উন্নয়ন গবেষক
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন