|
মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার
|
|
যে বার্তা দিয়ে গেল রমনা বোমা হামলার রায়
30 Jun, 2014
প্রায় ১৪ বছর পর রমনার বটমূলে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের বোমা হামলা মামলার রায় নিম্ন আদালত কর্তৃক প্রদান করা হয়েছে গত ২৩ জুন। এই রায়ে আটজনের ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদ-। রায়টি দীর্ঘদিন পরে হলেও বাঙালি জাতি এবং বাঙালি সংস্কৃতির ধারক-বাহক সব সংগঠন এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। তবে এখনো এই রায়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে অনেক সময়ের ব্যাপার। এবং এই রায় কবে কার্যকর হবে তা সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। কারণ এটি উচ্চ আদালতে যাবে এবং আসামিপক্ষের আপিল নিষ্পত্তির পরই কার্যকর হবে। বিচারের দীর্ঘসূত্রতার কারণে বিচারের মূল উদ্দেশ্যই অনেক সময় ব্যাহত হয়ে যায়। বোমা হামলাটি কোনো রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ওপর ছিল না। এই হামলা ছিল বাঙালির মূল প্রেরণা ও জাতিসত্তার ওপর আঘাত। যারা এ আঘাতটি করেছে তাদের শাস্তি হলো। তাদের পরিচয়ই এখন বলে দেয় তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সে সময় সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে একটি প্রচ- নেতিবাচক বার্তা দিয়েছিল। এ প্রসঙ্গে আমি আমার একটি নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা বলতে চাই। আমি ওই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রোড আইল্যান্ড স্টেটে নিউপোর্ট নামক নগরীতে আমেরিকার অন্যতম নেভাল ঘাঁটিতে একটি প্রশিক্ষণে ছিলাম। আমাদের সঙ্গে মোট ২২টি দেশের ৩২ জন প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন। প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর অফিসার, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মীরা এবং বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তারাও ছিলেন। টাইম জোনের পার্থক্যের কারণে বাংলাদেশে ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল সকালে যখন ঘটনাটি ঘটে তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সময় ছিল সন্ধ্যা। যার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে আমরা এ খবরটি জানতে পারিনি। পরের দিন সকালে যথারীতি আমরা প্রশিক্ষণ ক্লাসে যাই। আমাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে ছিলেন অশ্রা রাইস্তি নামের লিথোনিয়ার একজন মহিলা আইনজীবী। ক্লাস শুরু হওয়ার আগেই সকালে আমার সঙ্গে অশ্রার দেখা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞাসা করলেন তোমাদের দেশে কি জঙ্গিবাদের ভয়ানক উত্থান ঘটতে যাচ্ছে? আমি যেহেতু ঘটনা জানি না তাই আমি কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে যাই। আমার অবস্থা বুঝে অশ্রা বললেন তুমি কি জান না যে তোমাদের দেশে গতকাল একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ওপর ভয়াবহ বোমা হামলা ঘটেছে এবং সেখানে অনেক মানুষ হতাহত হয়েছে। বিষয়টি আমার জানা না থাকলেও সঙ্গে সঙ্গে ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানের কথা মনে হয় এবং অশ্রার থেকে আরো বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি। আমার প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একদল জঙ্গি বোমা হামলা চালিয়েছে এবং সেখানে বেশ কিছু লোক হতাহত হয়েছে। তিনি আমার কাছে আক্রমণকারীরা কারা হতে পারে এবং কেন কী উদ্দেশ্যে তারা আক্রমণ করেছে তা জানতে চান। যেহেতু আমি এই খবর জানি না তাই তাকে আমি সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর তখন দিইনি। তবে এই ঘটনার আগে যশোরের উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, খুলনা আহম্মদিয়া মসজিদের বোমা হামলা এবং পল্টন ময়দানে সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলার প্রেক্ষাপটে আমি আমার ধারণা থেকে তাকে বলার চেষ্টা করি, হয়তো বা এই হামলাটি একটি ধর্মান্ধ উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠী দ্বারা হতে পারে। তাদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে একটি তাদের মতে একটি ধর্মীয় খেলাফত রাষ্ট্রে পরিণত করা। পরে আমি বাংলাদেশে টেলিফোন করে এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করি এবং যতটুকু জানতে পারি তা নিয়ে পরবর্তী সময়ে আমাদের প্রশিক্ষণার্থী অনেকের আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক আলোচনা হয়। তাদের অনেকেরই মতামত ছিল এ রকম যে, এই ধর্মান্ধ জঙ্গিগোষ্ঠীকে যদি কঠোর হস্তে বাংলাদেশ দমন করতে না পারে তাহলে এটি শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয় গোটা অঞ্চলের জন্য একটি ভয়াবহ বিপদ সংকেত হবে। কারণ এই জঙ্গিরা পরবর্তী সময়ে আফগাস্তিান ও পাকিস্তানে যেসব ধর্মান্ধ জঙ্গি এবং তালেবানরা আছে তাদের সঙ্গে একটি সংযোগ স্থাপন করে সমগ্র অঞ্চলে এই ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে। সেদিন আমি আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলেছিলাম যে তোমাদের এটি নিয়ে বড় আশঙ্কার কারণ নেই। যেহেতু বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ উদার, গণতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের অনুসারী।
সেদিনের সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখন যে রায়টি হলো এবং রায়ে আদালতের যে পর্যবেক্ষণ তা যদি পর্যালোচনা করি তাহলে আমরা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারব কারা এই হামলাকারী এবং তাদের মূল উদ্দেশ্যই বা কি। আদালত তার রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, এটি কোনো রাজনৈতিক মামলা নয়, বাঙালি জাতির ঐতিহ্য পয়লা বৈশাখ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের ওপর এই বর্বরতম আক্রমণটি চালানো হয়েছিল। ওই আক্রমণে নিহত ব্যক্তিরা সাধারণ মানুষ। ওই অনুষ্ঠানে কোনো নির্দিষ্ট দল, মত, গোষ্ঠী বা ধর্মের লোকজন ছিল না। জাতি, ধর্ম, বর্ণ গোষ্ঠী নারী-পুরুষ, ছোট-বড়, নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ওই অনুষ্ঠানে সমবেত হয়েছিল। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও আতঙ্ক সৃষ্টি করাসহ দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে কলুষিত তথা সাংস্কৃতিকচর্চা বন্ধ করার জন্য এই বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। আদালত আরো বলেছেন, হামলাকারীদের এই কাজ নিঃসন্দেহে নৃশংস, নির্মম, বর্বর, জঘন্য ও ক্ষমার অযোগ্য। আদালতের এই পর্যবেক্ষণে বাঙালি জাতির দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটেছে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৩ বছর সংগ্রাম করে এবং ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষের জীবনের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলাম। এই সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য আদর্শ ছিল বাঙালি জাতিসত্তা এবং তার হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যই হবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার অন্যতম অনুপ্রেরণার উৎসস্থল। সাংস্কৃতিক শক্তি একটি জাতির সবচেয়ে বড় শক্তি। তাই আমরা দেখেছি পাকিস্তানি শাসকরা কখনোই বাঙালি সংস্কৃতি এবং বাঙালি পরিচয় বহন করে এ রকম শিল্প-সাহিত্যকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন। গত শতকের ষাটের দশকে পাকিস্তান সরকার তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে রবীন্দ্রনাথকে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সে চেষ্টা সফল হয়নি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ৭২-এর সংবিধানে রাষ্ট্রের অন্যতম মূলনীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙালি জাতীয়তাবাদ। কিন্তু ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা-ের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান সংবিধানের ব্যাপক ব্যবচ্ছেদ ঘটান। যার মাধ্যমে বাঙালি জাতীয়তাবাদকে সংবিধান থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। ৭২-এর সংবিধানে ধর্মীয় রাজনৈতিক দল বা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল। জিয়াউর রহমান ৭২-এর সংবিধান সংশোধনের ফলে বাংলাদেশে ধর্মীয় রাজনীতির উত্থান ঘটে। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পর নিষিদ্ধ হওয়া এবং পলাতক জামায়াতে ইসলামী আবার বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ পায়। এই জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের দ্বারা গঠিত রাজাকার, আলবদর বাহিনী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৭১ সালে যুদ্ধ করেছিল। এই জামায়াত মওদুদীবাদে বিশ্বাসী। তারা বাঙালি সংস্কৃতি, বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শের বিরুদ্ধে এই জামায়াতের অবস্থান। স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরও জামায়াত এই অবস্থান থেকে সরে আসেনি। ৭৫-এর পর থেকে এ পর্যন্ত জামায়াতের রাজনৈতিক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণে বোঝা যায় তারা বাঙালি সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আদর্শের বিরুদ্ধে এখনো সংগ্রামরত। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রায় শতাধিক বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এই জঙ্গি সংগঠনগুলোর যেসব নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের মাধ্যমে জানা যায়, এরা সবাই কোনো একসময় জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। সুতরাং এটা বোঝা যায়, এই জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিভিন্ন নাম হলেও তাদের সবার উদ্দেশ্য ও আদর্শ এক ও অভিন্ন। তাদের সবার রাজনৈতিক উৎসাহের মূল জায়গা হলো জামায়াতে ইসলামী। তাই বাংলাদেশকে জঙ্গিমুক্ত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শভিত্তিক একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করতে হলে সব রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনকে এক হয়ে বোমা হামলা ও গ্রেনেড হামলার বিচার যাতে দ্রুত হয় এবং দায়ী ব্যক্তিরা যেন সর্বোচ্চ শাস্তি পায় তার পক্ষে দাঁড়াতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও এটি সত্য যে, বাংলাদেশে বর্তমান রাজনৈতিক বিভাজনের কারণেই এই জঙ্গিবাদের বিচার বিলম্বিত হচ্ছে এবং তাদের সমূলে উৎখাত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। আমরা যদি একটু পেছনে ফিরে তাকাই তাহলে দেখতে পাব এই রমনা বটমূলের বিচার কেন এত বিলম্বিত হলো। ঘটনাটি ঘটে ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল। ২০০১ সালের অক্টোবর মাসে ক্ষমতায় আসেন জামায়াত-বিএনপি জোট। এই সময়ে মন্ত্রিসভায় জামায়াতের দুজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী, একজন মতিউর রহমান নিজামী এবং আরেকজন আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ মন্ত্রী হন। রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার প্রধান আসামি এবং হরকতুল জেহাদ নেতা মুফতি হান্নান বিএনপি এবং জামায়াতের আশ্রয়-প্রশ্রয় এবং তত্ত্বাবধানে সারা দেশে ডালপালা ছড়াতে সক্ষম হয় (দ্য ডেইলি স্টার ২৪ জুন ২০১৪)। যেহেতু জামায়াতের গর্ভে এই জঙ্গিদের জন্ম তাই দেখা যায় ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল সময়ের মধ্যে এই বোমা হামলার তদন্তের কোনো অগ্রগতি হয় না। বরং দেখা গেছে, এই বোমা হামলার প্রধান আসামি মুফতি আবদুল হান্নান প্রকাশ্যে ঘুরে বেরিয়েছে এবং তার নেতৃত্বে পরবর্তী সময়ে আরো বোমা হামলা ঘটেছে। ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের শাহজালাল মাজারে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর বোমা হামলা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা কিবরিয়ার ওপর গ্রেনেড হামলা। এসব হামলার মূল আসামি মুফতি আবদুল হান্নান এবং তার পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় এই ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। রমনা বটমূলে বোমা হামলার আরেক অন্যতম ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামি মাওলানা তাজউদ্দিন, যিনি বিএনপি সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই। তিনি ২০০৬ সালের শেষের দিকে সরকারের সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে পাকিস্তানে চলে যায় বলে পত্রিকার খবরে প্রকাশ। সুতরাং এই ধর্মান্ধ জঙ্গিগোষ্ঠীর কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে হলে অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপিকে জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে এবং সব রাজনৈতিক দল অন্তত এই একটি ইস্যুতে এক প্লাটফর্মে এসে ৭১-এর পরাজিত শক্তি জামায়াতের রাজনীতি চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। একই সঙ্গে এই ধর্মান্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী যেন বাংলাদেশের বৃহত্তর সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে তাদের মধ্যে আশ্রয়-প্রশ্রয় না পায় সেজন্য মিডিয়া এবং সুশীল সমাজকে তৎপর ও সোচ্চার হয়ে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। তবে এ কথাও সত্য, বোমা-গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে তাদের শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। আমরা দেখেছি ২০০১ সালের এই জঘন্যতম ভয়াবহ বোমা হামলার পরও পরবর্তী সময়ে বাংলার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানগুলোতে আরো ব্যাপকভাবে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ বেড়েছে। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান এখন শুধু ঢাকাতেই সীমাবদ্ধ নয়। সেটি এখন সারা দেশের আনাচ-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে প্রমাণ হয়, বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম নিজেদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে সব অপশক্তিকে পরাজিত করার জন্য বদ্ধপরিকর।
Source: ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন