|
ড. সা'দত হুসাইন
|
|
জবাবদিহির বিচিত্র রঙ্গ
28 Jun, 2014
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া আমার কয়েক বিঘা কৃষিজমি রয়েছে। অন্য অংশীদাররা তাদের জমি বিক্রি করে দিয়েছে। পৈতৃক সম্পত্তির প্রতি আবেগাশ্রিত অনুভূতি থাকায় আমার অংশটুকু বিক্রি করিনি। নিজে সরাসরি চাষাবাদ না করলেও গভীর উৎসাহ নিয়ে দূর থেকে চাষাবাদের কাজ তত্ত্বাবধান করে আসছি। সুযোগ পেলেই সরেজমিন জমিতে গিয়ে চাষবাসের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে থাকি।
আশির দশকের শেষ দিকে কুমিল্লা বার্ডের মহাপরিচালক থাকাকালে নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলার চাষাবাদ পদ্ধতির বিরাট তারতম্য জাজ্বল্যমানভাবে আমার চোখে ধরা পড়ে। বার্ডের সম্প্রসারণ কর্মসূচির সুফল হিসেবে কুমিল্লার কৃষকরা প্রগতিশীল, নিবিড় চাষে অভ্যস্ত ও প্রয়োজন অনুযায়ী কঠোর পরিশ্রমী। নোয়াখালী জেলায় তেমন কোনো সম্প্রসারণকর্ম হয়নি। এ জেলার, বিশেষ করে চরাঞ্চলের চাষিরা সেকেলে মানসিকতায় আবদ্ধ। নতুন কোনো পদ্ধতি গ্রহণ করতে আগ্রহী নয়; কিছুটা কর্মবিমুখ। কুমিল্লার জমিতে বছরে তিন ফসল আবাদ করা হতো, আর নোয়াখালীর চরাঞ্চলে মাত্র একটি ফসল আবাদ করা হতো। ফলত কুমিল্লার 'ক্রপ ইনটেনসিটি' তখনকার দিনে ছিল ২.৫৪, আর নোয়াখালীর চরাঞ্চলে তা ছিল বড়জোর ১ থেকে ১.২০। জমির উর্বরাশক্তি বাড়ানো কিংবা চাষের 'নিবিড়তা' বাড়ানোর জন্য নোয়াখালীর চাষিদের কোনো উৎসাহ ছিল না। তারা মান্ধাতার আমলের চাষাবাদ পদ্ধতিতে চাষ করে যে সামান্য ফসল পেত, তা দিয়েই কায়ক্লেশে কোনোরূপে কালাতিপাত করতে পছন্দ করত। জীবনের চাহিদা ছিল অতীব সীমিত।
জবাবদিহির বিচিত্র রঙ্গ
আমাদের বর্গাচাষি ও তাদের আশপাশের লোকজনের সঙ্গে ব্যক্তিগত পর্যায়ে আলাপ করে আমার মনে হয়েছে যে আমার পক্ষে এককভাবে বুদ্ধি-পরামর্শ-উপদেশ দিয়ে তাদের উন্নত চাষাবাদের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হবে একটি দুরূহ কাজ। অসম্ভব কাজও বলা যেতে পারে। এ ছাড়া চাষাবাদ ও সম্প্রসারণকাজে আমার জ্ঞান-অভিজ্ঞতা নিতান্ত সীমিত হওয়ায় তাদের অনেক প্রশ্নের সদুত্তর দেওয়া আমার পক্ষে প্রায়ই সম্ভব হতো না। তাই আমি ঠিক করলাম, বার্ডের বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির সুযোগ্য সহকর্মীদের নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। আমরা যদি সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তাদের প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে পারি, তবে তারা উন্নত চাষের পক্ষে উদ্বুদ্ধ হবে।
কর্মসূচি প্রণয়ন করে একদিন আমরা সদলবলে সুবর্ণচরে উপস্থিত হলাম। আমাদের বর্গাদার ও তাদের আশপাশের লোকজন আলোচনায় যোগ দিল। আমাদের আলোচনার মূল ইস্যু ছিল সুবর্ণচরের চাষিরা কেন তাদের চাষাবাদ এক ফসলে সীমিত রাখছে? কেন তারা বছরে দুই বা ততোধিক ফসল উৎপাদন করছে না? জমির মালিকরা নানা সমস্যার কথা উল্লেখ করল। আমাদের সহকর্মীরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে তাদের প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তাদের প্রশ্নের জবাব দিলেন। তাদের সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে পরামর্শ দিলেন। মোটামুটিভাবে দেখা গেল, একাধিক ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যার কথা বলা হচ্ছে, তার বাস্তব সমাধান অসম্ভব কিছু নয়। অর্থাৎ একাধিক ফসল উৎপাদন না করার জন্য তারা যেসব কৈফিয়ত দিচ্ছে, তা যুক্তিতর্কের ধোপে টিকে না। অবশেষে একজন মালিক, যতদূর মনে পড়ে তার নাম কাদের সেরাং, দাঁড়িয়ে বলল, যত দিন সরকারের নীতি ও কর্মকৌশল শতভাগ চাষিদের পক্ষে গৃহীত না হবে, তত দিন ওই অঞ্চলে একাধিক ফসল উৎপাদন সম্ভব নয়। আমরা তখন বললাম যে সরকারের নীতি-কৌশল পরিবর্তন করা আমাদের আওতার বাইরে। এ ব্যাপারে বর্তমান পর্যায়ে আমাদের কিছু করণীয় নেই। তবে সেরাংয়ের কথা আমরা মনে রাখব। তারাও যেন আমাদের কথা ও পরামর্শ মনে রাখে।
আমার এ গল্পের অবতারণার উদ্দেশ্য হচ্ছে, এ অঞ্চলের লোকজন কাজ না করার জন্য, নিজের ব্যর্থতা আড়াল করার জন্য, নিজের দোষ বা অপরাধ ঢাকা দেওয়ার জন্য বিচিত্র সব অজুহাত উপস্থাপন করতে পারে, যার সঙ্গে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান পদ্ধতি বা যুক্তিশাস্ত্রের নীতিমালার কোনো মিল নেই। যেমন উন্নত চাষের পক্ষে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, অভিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ ব্যক্তিদের পরামর্শ পাশ কাটিয়ে কাদের সেরাং সরকারি নীতির ওপর দোষ চাপিয়ে নিজেদের অলসতা, প্রচেষ্টা-বিমুখতা ও মানসিক জড়তাকে যৌক্তিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছে। কিছু সস্তা জনপ্রিয় স্লোগান দিয়ে হয়তো এ কৈফিয়তের পক্ষে কিছুটা জনমতও সৃষ্টি করা যাবে। কিন্তু নিবিড় বিশ্লেষণে এ ধরনের কৈফিয়ত গ্রহণযোগ্য হবে বলে মনে হয় না। এসব কৈফিয়ত দিয়ে শুধু কুতর্কের পসরা সাজানো যায়।
জবাবদিহি নিশ্চিত করার সবচেয়ে কার্যকর ও সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান হিসেবে মনে করা হয় জাতীয় সংসদকে। রেডিও-টেলিভিশনের মহাপরিচালক থাকার সুবাদে প্রেস গ্যালারিতে বসে লম্বা সময় ধরে সংসদের কার্যধারা পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ আমার হয়েছিল। তখন দেখেছি মাননীয় মন্ত্রীদের অনেক জটিল ও সময়বিশেষে বিব্রতকর প্রশ্ন করা হয়। মাননীয় মন্ত্রীরা তাতে একটুও ঘাবড়ান না। তাঁরা তাঁদের সুবিধামতো করে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যান। সে উত্তরের সঙ্গে প্রশ্নের যথার্থ সম্পর্ক থাকুক বা না থাকুক, তাতে তাঁদের কিছু যায় আসে না। অনেক সময় উত্তরদাতা ধান ভানতে শিবের গীত গান। কিন্তু যেহেতু সংসদে সরকারি দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকে, তাই প্রয়োজনবোধে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা তুমুল হাততালি দিয়ে মন্ত্রীর উত্তরকে সমর্থন জানান। বিরোধীদলীয় সদস্যদের আর বলার কিছুই থাকে না। আসলে কোনো বিষয়ে যখন মাত্র দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠী থাকে ও তাদের বক্তব্য একেবারে বিপরীতমুখী হয় তখন কোন পক্ষের বক্তব্য সত্য বা যৌক্তিক তা নিরূপণ করার উপায় থাকে না। সমর্থকদের সংখ্যা ও বক্তব্যের সরবতাই এখানে প্রাধান্য পেয়ে থাকে। রাজনীতির পরিবৃত্তে, রাজনৈতিক ধারার অপরাধ বা ব্যর্থতার জন্য ক্ষমতাবানদের তাই কোনো দিন জবাবদিহি করতে হয় না। রাজনৈতিক অঙ্গনে বা সময় বিশেষে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে হৈচৈ শোনা যায় মাত্র।
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও এ ধারার খুব একটা পরিবর্তন ঘটে বলে মনে হয়নি। প্রায় প্রতিটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় একটি বা দুটি ক্ষমতা চক্র (Racket) গড়ে ওঠে। সংস্থাপ্রধান ও সংস্থার সচিবালয়ের যোগসাজশে তারা সংস্থার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে সুযোগ-সুবিধার সিংহ ভাগ হাতিয়ে নেয়। সংস্থার সভাসমূহে জোটবদ্ধভাবে জোরালো বক্তৃতা রেখে তারা তাদের অনুকূলে নেওয়া সংস্থাপ্রধানের সিদ্ধান্তসমূহকে যৌক্তিক ও ন্যায়ানুগ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। সাধারণত ক্ষমতাধর কয়েকটি বৃহৎ দেশ ও তাদের তাঁবেদার কিছু ক্ষুদ্র দেশের প্রতিনিধি সমন্বয়ে এ চক্রটি গড়ে ওঠে। কেউ প্রতিবাদ করতে চাইলে কারসাজির মাধ্যমে তারা সফলভাবে সে প্রতিবাদের মোকাবিলা করে। প্রাসঙ্গিক একটি অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ছে। একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের সদস্য হিসেবে আমি বোর্ডের ষাণ্মাসিক সভায় উপস্থিত ছিলাম। সভার কর্মপত্রে দেখলাম, কোনো এক সদস্য দেশের একজন কর্মকর্তাকে সংস্থার মহাপরিচালক তাঁর একক সিদ্ধান্তবলে একটি সু-উচ্চ পদে নিয়োগ দিয়েছেন। নিয়োগটি যে সম্পূর্ণরূপে অস্বচ্ছ ও প্রশ্নবিদ্ধ গোপন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা ভদ্র ভাষায় এর প্রতিবাদ জানাব বলে মনস্থির করলাম। আলোচ্যসূচিটি উপস্থাপন করে মহাপরিচালক নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তাঁর দেশের চাকরি থেকে অবমুক্ত করে তাঁর সংস্থায় চাকরি করার সুযোগদানের জন্য সে দেশ ও দেশের সরকারকে উচ্ছ্বসিতভাবে অভিনন্দন জানালেন। পূর্ব পরিকল্পিত (?) ছক অনুযায়ী তাঁবেদার দেশগুলোর প্রতিনিধিদের বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হলো। তাঁরা সমস্বরে মহাপরিচালকের সিদ্ধান্ত সমর্থন করে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দেশকে প্রশংসার জোয়ারে ভাসিয়ে দিলেন। তাঁদের বক্তৃতা শেষ হলে মনে হলো অসংঘটিত অবস্থায় এখন এ নিয়োগের প্রতিবাদ জানানো হবে অর্থহীন, অকার্যকর। সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে সুচতুরভাবে জবাবদিহির বিষয় পাশ কাটিয়ে গেলেন মহাপরিচালক।
দু-তিন দশক ধরে দেশের শাসনকাজে জবাবদিহির একটি নতুন কৌশল পরিলক্ষিত হচ্ছে। আগেও দেখেছি, এখনো দেখছি, শাসকদল তাদের ব্যর্থতার জন্য সরাসরি ও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলের ওপর দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়। নব্বইয়ের দশক থেকে 'গণতান্ত্রিক' সরকার প্রবর্তিত হওয়ার পর জবাবদিহির আরো একটি কৌশল দেখতে পাচ্ছি। বিরোধী দলকে সরকারের অংশ হিসেবে অভিহিত করে সরকারের যাবতীয় ব্যর্থতার দায়ভার বিরোধী দলকেও বহন করার জন্য বলা হচ্ছে। বিরোধী দল কেন সরকারের অপকর্ম বা ব্যর্থতার দায়ভার বহন করবে, তা বোধগম্য নয়। মজার ব্যাপার হলো, বর্তমান বা পূর্ববর্তী বিরোধী দলগুলোকেও এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট বক্তব্য রাখতে দেখিনি। আমার জানামতে, শুধু একজন সংসদ সদস্য সুস্পষ্টভাবে জানিয়েছিলেন যে বিরোধী দল সংসদের অংশ, কিন্তু সরকারের অংশ নয়। সরকার বলতে মূলত মন্ত্রিসভাকে বোঝায়। সরকার সম্পর্কে একটি অস্পষ্ট সংজ্ঞা তৈরি করে বাংলাদেশের সরকারগুলো তাদের কর্মকাণ্ডে জবাবদিহির বিষয়টি মোটামুটি সার্থকভাবে এড়িয়ে গেছে। অন্ততপক্ষে এ ব্যাপারে তারা একটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পেরেছে।
জবাবদিহির আরো একটি নতুন ধারা লক্ষ করছি। দায়িত্বপ্রাপ্ত যে ব্যক্তি তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন, তিনি সুন্দর ভাষায় বক্তব্য রাখছেন যে এ কাজটি করা খুবই সমীচীন হবে এবং তিনি এ কাজ করার জন্য উদগ্রীব। তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি। কাজটি করা যদি সমীচীন হয় ও তিনি তা করার জন্য যদি আগ্রহী হন, তবে কাজটি কেন করছেন না, সে ব্যাপারে কিন্তু তিনি কিছুই বলছেন না। জবাবদিহি বলতে সুউচ্চ স্তরে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিরা একটি শ্রুতিমধুর বা সুবচনে মোড়ানো দুর্বোধ্য বক্তব্য রাখাকে বুঝিয়ে থাকেন। সে বক্তব্যের যৌক্তিকতা বা যথার্থতা সম্পর্কে তাঁরা মাথা ঘামান না। আমাদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কৃতিতে এ নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন আছে বলেও মনে হয় না।
জবাবদিহির সঙ্গে ক্ষমতায় অধিষ্ঠানের বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা জবাবদিহির আওতায় আসতে চান না। তাঁরা কোনো প্রকার কৈফিয়ত দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ব্যতিরেকে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পছন্দ করেন। এককভাবে কোনো ধরনের কমিটি, কমিশন ছাড়া, কারো কাছে কৈফিয়তের অবকাশ না রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার একটা আনন্দ আছে। ক্ষমতাবানরা এ আনন্দ বিসর্জন দিতে চান না, এ আনন্দকে তাঁরা ক্ষমতার একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে মনে করেন। জবাবদিহির বাধ্যবাধকতা ছাড়া এককভাবে নেওয়া সিদ্ধান্ত যে অবধারিতভাবে নিকৃষ্ট হবে, তা নয়। তবে এ অবস্থা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে ধীরে ধীরে তা নিকৃষ্টমানে পর্যবসিত হবে; বিকৃত ও দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। অতএব, মানসম্পন্ন ও দুর্নীতিমুক্ত সিদ্ধান্তের জন্য শেষ পর্যন্ত জবাবদিহি নিশ্চিতকরণের বিকল্প নেই।
প্রহসনমূলক জবাবদিহির খেলা শুধু শ্রম, সময় ও অর্থ বিনাশ করে। এর অবসান ঘটাতে হবে। জবাবদিহির ব্যবস্থা হতে হবে সত্যিকারভাবে অর্থবহ ও দুর্নীতি সংহারক। জনগণ ও সমাজের কল্যাণ চাইলে আমাদের সে ধরনের ব্যবস্থা উদ্ভাবন ও প্রচলন করতে হবে।
লেখক : সাবেক মন্ত্রিপরিষদসচিব ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন