বছর তিনেক আগে কলকাতার বিভিন্ন প্রাম্তে, বড় বড় সড়কের ধারে, প্রশস্ত হোর্ডিং জুড়ে আচানক এক বিজ্ঞাপনে ভেসে উঠতে থাকেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়৷ বিষন্ন মুখচ্ছবি৷ চোখে বিন্দু বিন্দু জল৷ মুখের সামনে, কখনও নিচে, কোথাও ছবির ওপরে, চওড়া হরফে রহস্যময় প্রশ্ন- বাঙালির চোখে জল কেন? সচিত্র বিজ্ঞাপনটি দেখে গোড়ার দিকে মনে হচ্ছিল– জাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে, বাংলা ভাষার দুর্দশা নিয়ে জনপ্রিয় লেখক বুঝি চিম্তিত, অশ্রুসিক্ত৷ এরকম ভাবনার কারণ, ঠিক ওই সময়েই– বাংলার হালহকিকত, পঠনপাঠনে ইংরেজির ক্রমবর্ধমান দাপট, বাঙালির ঔপনিবেশিক খোঁয়াড়েপনা, খিচুড়ি বাক্যালাপকে ঘিরে প্রায়ই তাঁর আক্ষেপ ঝরে পড়ত৷ বলতে শোনা যেত, ‘ইদানীং আমাকে কান্নারোগ পেয়ে বসেছে৷ বাংলাভাষা আদৌ কি বেঁচে থাকবে?’ বাংলাদেশে গেলেও নাকি ভাষা-উদাসীন ভারতীয় বাঙালি বা বাঙালি ভারতীয়দের নিয়ে নেতির স্বরে আপশোস করতেন৷
সুনীলের জাতি আর ভাষাপ্রীতি, প্রখর স্বাভিমান সংশয়ের ঊধের্ব৷ দেশপ্রেমও সময়ের অনেক ওপরে৷ উদার, আমৃত্যু ভারতমনস্ক এমন আত্মীয় সচরাচর দেখা যায় না৷ কিন্তু ভবিষ্যতের বাঙালি আর বাঙালির ভবিষ্যৎ নিয়ে জীবনের সীমাম্তে দাঁড়িয়ে সংক্রামক হামলায় কেন এত কাতর, এত সজল হয়ে উঠেছিলেন তিনি? এ কি তাঁর চেপে রাখা, দীর্ঘমেয়াদি মারণরোগের অব্যক্ত, অস্পষ্ট প্রতিক্রিয়ার ভিন্নতর বহিঃপ্রকাশ? না অন্য কোনও অবরোধ বোধের লক্ষণ?
মৃত্যুচিম্তায় কাবু হওয়ার মতো লোক ছিলেন না সুনীল৷ ৮০ সাল থেকে গুরুতর অসুখের মুখ ঢেকে ঘুরে বেড়িয়েছেন৷ বিশেষ কাউকে জানতে দেননি৷ মাঝে মাঝে বাইরে চিকিৎসা করিয়ে হাসতে হাসতে ফিরে আসতেন৷ পঞ্চাশ, ষাট আর সত্তর দশকের দামাল কবি এই শতাব্দীর দুই দশক পেরিয়ে, শেষ লগ্নেও অপরাজেয় হয়ে রইলেন৷ তাঁর স্নেহধন্য আমাদের অনেকের নিত্যদিনের অভ্যাসে এই স্মৃতি, এসব স্মৃতি অনির্বাণ শিখার মতো জ্বলতে থাকবে, প্রাণিত করবে তারুণ্যের ব্যতিক্রমকে৷ তবু কয়েকটি প্রশ্ন নিরুত্তর থেকে গেল৷ বাঙালি আর বাংলার কোন বেদনাক্রাম্ত ছবিতে এক ধরনের অনিশ্চয়তা, তীব্র খরার আগাম দাহ অনুভব করছিলেন কৃত্তিবাস গোষ্ঠীর প্রধানতম অশ্বারোহী? বাঙালির অতীত আর বর্তমান কি এতটাই রিক্ত, শূন্যতাবোধে আক্রাম্ত বলে মনে হচ্ছিল তাঁর? জাতির সুদৃঢ় ভিত, ঐতিহ্য এবং উনিশ ও বিশ শতকের বাঙ্ময় অংশটির ‘অপরিবর্তনীয় সত্যকে বদলে দেবার’ অঙ্গীকার কি তাঁর দৃষ্টিকে এড়িয়ে যাচ্ছিল? নানাভাবে, নানা ক্ষেত্রে অদ্বিতীয় এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম নরগোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ নিয়ে মনের কিনারে, বাইরেও জন্ম নিচ্ছিল সংশয়? না দুনিয়ার চতুর্থ বৃহৎ ভাষার যথাযথ অবস্হান নিয়ে ৯০ শতাংশ বাঙালির মতো সন্দিগ্ধ ছিলেন তিনিও? ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে, জাতির সংখ্যাগত বিস্তার নিয়ে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন– তিরিশ কোটি হবে কিনা, জানি না৷ আমাদের সবসময় বাড়িয়ে বলা অভ্যাস৷ ‘তবে বিশ্বে আমরা অম্তত ২৫ কোটি৷’ –হ্যাঁ, এই সোজাসাপ্টা জবাবে সংশয় নেই কিন্তু তাঁর জানা তথ্য কতটা নির্ভুল আর দ্বিধাহীন– বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে৷
আমাদের মনে হয়, তথ্য প্রমাণিত
প্রমাণিত তথ্য আর খসড়া হিসেব পেশ করে আমাদের অঙ্গীকারের গভীরকে ছুঁয়ে আমরা বলতে পারি, বলতে চাই– উদ্বেগের কারণ নেই৷ গ্রহণশীলতায়, গ্রহণযোগ্যতায় বাংলা ভাষা এতটাই শক্তিমান এবং বাঙালির জাতিগত ভিত্তি এতই সুদৃঢ় যে, সে একসঙ্গে চলতে চায়৷ বলতেও চায় আমি অভিন্ন, অখণ্ড. রাষ্ট্রীয় পরিচয় যাই হোক না কেন আমার সত্তা, আমার সংস্কৃতি, আমার অদ্বিতীয়তা অবিভাজ্য৷ লোকায়ত ধর্মপ্রবাহ আর জনবিন্যাসের সমতা নিয়ে, বহুস্রোতা ঐতিহ্য নিয়ে বাঁচতে চাই৷ এটাই আমাদের জাগ্রত চেতনার সঙ্কল্প, মর্মের একাম্ত লক্ষ্য৷ এখানে ঘা দিলে জ্বলে ওঠে দ্রোহ, গড়ে ওঠে একুশের অথবা উনিশের মহান গণজাগরণ৷
বাঙালি কেন অদ্বিতীয়, একটু বিশদভাবে বলা দরকার৷ জল আর জলসম্পদে, সমগোত্রীয়তায়, মেধাশক্তির বিন্যাসে, সৃজনশীলতার পাগলপনায়, আবেগে, ভাবাবেগে এবং আত্মঘাতী অম্তর্বিরোধে এরকম আরেকটা জাতি বিশ্বে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর৷ জমি, জল আর জনসম্পদে, গোত্রীয় সমতায় তার অতুলনীয় সমৃদ্ধির কথা– এক অসাধারণ বক্তৃতায় সম্ভবত প্রথম উল্লেখ করেছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক৷ নির্মোহ, নির্মেদ, আবেগরহিত প্রজ্ঞা৷ বলেছিলেন, উন্নত জাতিগুলির মধ্যে এরকম ভাগ্যবান, আশীর্বাদপুষ্ট জনগোষ্ঠী খুবই বিরল৷
বলতে দ্বিধা নেই, বাঙালির জাতিগঠনের নির্দিষ্ট কালসীমা নির্ণয় করা কঠিন৷ আমরা বলে থাকি বটে, জাতির ইতিহাসের বয়স অম্তত ৫ হাজার বছর৷ আমাদের দেহে, দেহের স্রোতে– উত্তর, পশ্চিম ও উত্তর-পূর্ব থেকে আগত বহু জনগোষ্ঠীর রক্ত, ভাষা, অভ্যাস, সংস্কৃতি কবে, কোন অখ্রিস্টীয়-খ্রিস্টীয় শতাব্দী থেকে এসে জড়ো হতে শুরু করে এবং বঙ্গীয় সমতটে গড়ে তোলে স্বতন্ত্র, একমুখী জাতিগঠন-প্রক্রিয়া– এ সব বিষয় এখনও অপ্রমাণিত৷ হ্যাঁ, অস্পষ্ট নৃতাত্ত্বিকতার ভিত্তিতে এরকম জাতিসত্তার নির্মাণের সূত্র ও সময় নির্ধারণ প্রায় অসম্ভব৷ গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডোটাসের প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যায়, বহুমাত্রিক আরব ঐতিহাসিকদের কিছু কিছু কৌতূহলে, সহস্র আরব্য রজনীর গল্পে– বঙ্গ, মামুলাকাতুল বঙ্কল (বঙ্কলদের দেশ) উল্লেখ থাকলেও বাঙালির জাতিতথ্যের মানচিত্র বড় বেশি অস্পষ্ট৷ সংখ্যাবিভ্রাট নিয়ে আত্মবিস্মৃত জাতির নৃবিজ্ঞানী ও সমাজবিজ্ঞানীদের বিশেষ উদ্বেগ আছে বলে মনে হয় না৷ আজও খণ্ডিত জাতির অপেক্ষাকৃত অগ্রসর অংশটি এতটাই বিভ্রাম্ত, দিশেহারা যে, সমাজকে রাষ্ট্রীয় আর জাতি পরিচয়ের তফাত বোঝাতে তারা পুরোপুরি ব্যর্থ৷ তবে, জাতিগর্বের উগ্রতা ভাল লক্ষণ নয়৷ আবার অম্তর্নিহিত শক্তিকে উপেক্ষা করাও অসঙ্গত৷
নৃতাত্ত্বিক পরিচয়ে দ্বিতীয়, সংখ্যায় চতুর্থ
নিরঙ্কুশ নৃতাত্ত্বিক পরিচয়ে বাঙালি অবশ্যই দু’নম্বর৷ চীনের মান্দারিনদের পরেই তার আসন৷ নিজের জনশক্তি নিয়ে গর্বের সঙ্গে আমরা ভিন্ন ভিন্ন স্বরে, পরস্পরবিরোধী তথ্য দিতেই অভ্যস্ত৷ জনসংখ্যাবিদ আর ভাষাবিজ্ঞানীরা জাতির গুরুত্বপূর্ণ, উৎসাহব্যঞ্জক এ-শক্তি নিয়ে কতটা সচেতন– এ নিয়ে সংশয় আছে৷ অথচ আমাদের ভেতরে ও বাইরে, বাঙালির সংখ্যাগত গুরুত্ব এবং জাতিসত্তার দিগ্বিদিক জানার আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে৷ পরিসংখ্যানবিদ্যা, ইতিহাস, বিজ্ঞান, গণমাধ্যম– এরকম বহু উৎস খুঁজে, এই মুহূর্তে একটি খসড়া হিসেব তৈরি করা সম্ভব হয়েছে৷ তা হল এই যে– এক, ২০০০ সালে বঙ্গসম্তানদের সংখ্যা ছিল ২৬ কোটি৷ ১৪ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৩ কোটি৷ কিন্তু এদের সবাই সামাজিক নৃবিজ্ঞানের সংজ্ঞায় বাঙালি নয়৷ দৈনন্দিন অভ্যাসে তারা বাংলায় কথা বলে, বসবাস প্রধানত বঙ্গীয় সমতটে এবং স্পর্শকাতরতায় বঙ্গসম্তান বনে গেছে৷
বিশ্বের ১০০টি জনগোষ্ঠীর নৃতাত্ত্বিক উৎস আর ভাষা ব্যবহারের বিস্তার খতিয়ে দেখা গেছে, সিনো-তিব্বতি বলে পরিচিত ৮৫.০০ কোটি চীনা মান্দারিন ভাষায় কথা বলে৷ তাদের জাতীয় উপজাতীয় পরিচয় এক নয়৷ ইন্দো-ইউরোপিয়ান রোমানি (রোমান্স) স্প্যানিশ ভাষীর সংখ্যা ৪১.৫০ কোটি৷ ইন্দো-ইউরোপিয়ান-জার্মানিক বংশোদ্ভূত প্রমিত ইংরেজি ও উপভাষা ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩৩.৫০ কোটি৷ বিশ্ব জুড়ে যারা ইংরেজি অথবা স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলে, তাদের বড় অংশই স্প্যানিশ অথবা ইংরেজ নয়৷ কিন্তু ৮৫ শতাংশ বাঙালির রক্তে, দৈহিক গঠনে, মুখের জবানে ভাষা ও নৃবিজ্ঞানের একই প্রবাহ বইছে৷ এদিক থেকে বিশ্বে আমাদের জাতি অবশ্যই দ্বিতীয়৷ তার মানে, নৃতাত্ত্বিকতার নিরিখে বাঙালি উল্লেখিত দুই জনগোষ্ঠীর চেয়ে অনেক অনেক বড়৷
হ্যাঁ, সংখ্যাগত সমস্যাটি খুবই জটিল৷ তবু নানা সূত্র আর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, যে জনশক্তি বাংলা বলে, বুঝতে পারে, তাদের সংখ্যা এরকম– বাংলাদেশে ১৮ কোটি৷ পশ্চিমবঙ্গে ৯.৭০ কোটি৷ আসামে ১.৬০ কোটি৷ ত্রিপুরায় ৩০ লক্ষ৷ ঝাড়খণ্ডে একক সংখ্যাগুরু, ১ কোটিরও বেশি৷ বৃহত্তর দিল্লির তথ্য মেলেনি, কিন্তু দ্বিতীয় বৃহৎ জনগোষ্ঠী৷ দিল্লি-সহ ভারতের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে আছে অম্তত ১ কোটি৷ বিদেশে বাংলাদেশি ও বাঙালি ভারতীয় ১.১০ কোটি৷ এই হিসেব জড়ো করলেই বাংলাভাষীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২.৮০ কোটি৷ ইংরেজিভাষীর চেয়ে ৭০ লাখ কম৷ অর্থাৎ ভাষা ব্যবহারে বাংলা চতুর্থ৷ আগেই বলেছি, জাতিসত্তার নৃতাত্ত্বিক সংজ্ঞায় ইংরেজ বা আদি স্প্যানিশরা বাঙালির চেয়ে অনেকানেক দুর্বল৷ তবু, যেহেতু একসময় তারা ছিল ঔপনিবেশিক শক্তি, বাণিজ্য আর রাষ্ট্রশক্তির যৌথ সাহায্যে ইউরোপ ও এশিয়া, আফ্রিকা, আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়ে, সে জন্যে তাদের কথ্য ও লিখিত ভাষার প্রয়োগের দ্রুত প্রসার ঘটে যায়৷ বিশ্বায়নের তথাকথিত বিজ্ঞাপন আজও তাদের শক্তি জোগাচ্ছে৷ এখানে বাংলাদেশকে বাদ দিলে বাঙালি এখনও বিশ্বমুখী হয়ে ওঠার প্রশ্নে দ্বিধাগ্রস্ত৷ তাদের মেধা ও জনশক্তির চেনা পরাজয়ের এটাও আরেক কারণ৷ নৃতাত্ত্বিক পরিচয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আর ভাষা ব্যবহারে চতুর্থ জাতি হয়েও কোণঠাসা৷ জনবলকে বোঝা না ভেবে আশীর্বাদ বলে যেদিন আমরা বুঝতে শিখব, তার জনশক্তির যথাযথ প্রয়োগ শুরু করব, যেদিন মেধাশক্তির সঙ্গে হাত মেলাবে নিষ্ঠা আর আলস্যবর্জিত পরিশ্রম, যেদিন ‘আমরা’ আর ‘ওরা’-র বিভাজন থেকে মুক্ত হবে আমাদের রাজনীতি, আমাদের সামাজিক আচরণ– সেদিন বিশ্বের দ্বিতীয় এ জাতিসত্তা আর চতুর্থ জনশক্তি অবশ্য, অতি অবশ্যই বিস্ময় হয়ে উঠবে৷ আস্তিকতার এই পরম বিশ্বাস সত্য হোক, সত্য হোক কর্ম আর মননের জয়৷
ইতিহাসের নির্দেশ
প্রসঙ্গত আরও তিনটি কথা৷ এক, সংখ্যার দিক থেকে যে জাতি এত বড়, নৃতাত্ত্বিকতার দৃষ্টিতে বিশ্বে আসন যার দুই নম্বর এবং এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ জনগোষ্ঠী– বিধাতা অথবা মানব প্রকৃতির অর্পিত সুশীল দায়িত্ব তাকে পালন করতেই হবে৷ দুই, বিশ্বে কোথাও, কোনও একক ভাষায় এত সংখ্যক মুসলিম কথা বলে না৷ এটা সাম্প্রদায়িক গৌরব নয়, নিয়তির সুনির্দিষ্ট ইঙ্গিত৷ ইতিহাসেরও অপরিহার্য আকাঙ্খা৷ অতএব এই মহান জাতিকে, ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, মৌলবাদের বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে, সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঘরে-বাইরে লাগাতার লড়তে হবে, লড়তেই হবে৷ এটা তার নৈতিক কর্তব্য৷ এখানে গাফিলতি, উদাসীনতা মানেই নিজের বিপর্যয় ডেকে আনা৷ ভেদাভেদের অস্পষ্ট, ক্ষীণ চিহ্নকে বিশাল আয়তনের ফাটল বানিয়ে তোলা৷ তৃতীয়ত, ফরাসি, আরবি, ইংলিশ, রুশ, স্প্যানিশ, মান্দারিন যদি জাতিসংঘের ব্যবহারিক ভাষা হতে পারে, তা হলে প্রায় ৩৩ কোটির বঙ্গভাষাকে এই গুরুত্ব নয় কেন? এই অধিকার অর্জন করতেই হবে৷ বাংলাদেশ তথ্য ও যুক্তি-সহ দাবিটি পেশ করেছে৷ আসুন, সবাই একসঙ্গে সরব হই৷ কন্ঠে মেলাই কন্ঠ৷ সকলের সৌভাগ্য, ৫ জুন ২০১৪, ভারতীয় সংসদে এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত সদস্যদের গরিষ্ঠ অংশ বাংলায় শপথবাক্য পাঠ করলেন৷ এটা অবশ্যই ঐতিহাসিক নির্দেশ এবং বাঙালির ইচ্ছার জয়৷
বাহারউদ্দিন: কলকাতার বিশিষ্ট সাংবাদিক
Source: নতুনবার্তা
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন