|
মো. আবদুর রশীদ
|
|
প্রতিরক্ষা বাজেট : প্রশ্ন ও প্রত্যাশা
09 Jun, 2014
অর্থমন্ত্রীর দুই লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার উচ্চাভিলাষী বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে ১৪ হাজার ৬২৩ কোটি টাকা; যা গত বছরের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি। এবারের বাজেটে রয়েছে ৬৭ হাজার ৫৫২ কোটি টাকার এক বিশাল ঘাটতি। এই ঘাটতি বাজেটের মধ্যে সামরিক খাতে বড় ব্যয় করার যৌক্তিকতা নিয়ে সুধীসমাজের অনেকেই প্রশ্ন তুলে থাকেন। প্রতিরক্ষা ব্যয় নিয়ে সংসদে কোনো আলোচনা দেখা যায় না এবং কোনো জনবিতর্ক হয় না বলে জনমনে কমবেশি বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। জাতীয় নিরাপত্তার সনাতনী চিন্তা থেকে প্রতিরক্ষা ব্যয়কে জনসম্পৃক্ততা থেকে দূরে রাখা হয়েছে; যার পক্ষে খুব যুক্তি আছে বলেও মনে হয় না। জনগণের টাকা কিভাবে খরচ হবে ও প্রত্যাশিত ফল জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার পরিপূরক কি না, তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হলে প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওপর জনআস্থার ভিত্তিই মজবুত হবে।
আমাদের বাজেটের দিকে তাকালে দেখা যায়, ১৯৮৮ সালে প্রতিরক্ষা বাজেট ছিল এক হাজার ৪.৫ কোটি টাকা; যা ২০১১ সালে ১২ গুণ বেড়ে দাঁড়ায় ১২ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকির ধরন, মাত্রা ও পরিমাণ বৃদ্ধি পেলেও ঝুঁকির অনুপাতে সক্ষমতা তৈরিতে এই বর্ধিত প্রতিরক্ষা ব্যয় কিভাবে সামরিক শক্তির ভারসাম্য সৃষ্টি করছে, তা জনগণের কাছে অনেকটাই অজানা। যদিও প্রতিরক্ষা ব্যয় আমাদের জিডিপির শতকরা ১.০ থেকে ১.৩ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ আছে। যা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সামরিক ব্যয়ের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। প্রতিরক্ষা বাজেটের কলেবর বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা ও খাতভিত্তিক অগ্রাধিকারগুলো উন্মুক্ত আলোচনায় এলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জায়গায় অহেতুক প্রশ্ন উত্থাপন বন্ধ হবে।
প্রতিরক্ষা বাজেট : প্রশ্ন ও প্রত্যাশা
অভ্যন্তরীণ ও বহির্শক্তির চিহ্নিত ঝুঁকি মোকাবিলা, শান্তিরক্ষী কর্তব্যে নিজস্ব সক্ষমতা তৈরিসহ দেশের নিরাপত্তার বলয় গড়ে তোলার কৌশল প্রতিরক্ষানীতিতে উল্লেখ করে সরকারি নীতি প্রকাশনা হিসেবে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করাটা অনেক দেশেই চালু আছে। প্রতিরক্ষানীতি একটি ধারণাপত্র, যেখানে প্রতিরক্ষার স্ট্র্যাটেজিক রূপকল্প দেওয়া থাকে। কিন্তু অনেকেই মনে করেন, প্রতিরক্ষানীতিতে সামরিক ক্রয় থেকে শুরু করে অস্ত্রের ধরন, সংখ্যাসহ সব খুঁটিনাটি বিষয় লেখা থাকে। আবার অনেকেই ধারণা করেন, প্রতিরক্ষানীতির অবর্তমানে প্রতিরক্ষা বাজেট গতিহারা হয়ে পড়ে, জন্ম দেয় অস্বচ্ছতা ও তৈরি করে দুর্নীতির ঝুঁকি, যা অনেকাংশেই সত্য না হলেও জনগণের প্রত্যাশার কারণে প্রতিরক্ষানীতি থাকাটা বাঞ্ছনীয়। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষানীতির খসড়া প্রণীত হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করা হয়নি।
সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামোর পরিবর্ধিত রূপ, অস্ত্র ও সমরসজ্জার ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও কৌশল নিয়ে 'ফোর্সেস গোল ২০৩০' নামের একটি রূপকল্প তৈরি হয়েছে। পাঁচ বছর মেয়াদি চারটি পর্বে কার্যকর করার এই পরিকল্পনাপত্রের ওপর ভিত্তি করে সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি উদ্দেশ্যে বাজেট বরাদ্দ করা হচ্ছে বলে ধারণা করা যায়। প্রতিরক্ষা বাহিনীতে এরই মধ্যে যুক্ত হয়েছে বেশ কিছু অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র। সেনাবাহিনীতে এসেছে এমবিটি ২০০০ ট্যাংক, বিটিআর ৮০ এপিসি, সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি, লোকেটিং রাডার, ট্যাংকবিধ্বংসী মিসাইল, হেলিকপ্টারসহ আধুনিক অনেক সমর সরঞ্জাম। বিমানবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে নতুন যুদ্ধবিমান ও বিমানবিধ্বংসী মিসাইল, রাডার এবং নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে মিসাইলযুক্ত ফ্রিগেট, বিমান ও হেলিকপ্টার। এসব যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জাম কেনার জন্য অর্থের সংস্থান প্রতিরক্ষা বাজেটে প্রাক্কলিত, না বন্ধু দেশের সহযোগিতার সুযোগী ব্যবহার তা অনেক ক্ষেত্রেই স্বচ্ছ নয়।
সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জাম আন্তর্জাতিক অস্ত্র বাজার থেকে কেনা আমাদের সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতার কারণে বেশ দুষ্কর। যুদ্ধাস্ত্র সংগ্রহের ক্ষেত্রে আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল হওয়ার কারণেই চীন ও অধুনা রাশিয়া সরবরাহকারী দেশের তালিকার শীর্ষে রয়েছে। বন্ধুপ্রতিম দেশের কাছ থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে ও সুদবিহীন বা স্বল্পসুদে প্রদত্ত ঋণের সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ যুদ্ধাস্ত্রের চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করে থাকে। গত বছর বাংলাদেশ রাশিয়ার কাছ থেকে এক বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র কেনার জন্য একটি ঋণসুবিধা গ্রহণ করে। এ ছাড়া চীনের কাছ থেকে যুদ্ধবিমান, ফ্রিগেট ও ট্যাংকসহ অনেক যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করে। এসব ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ বিতর্কের চেয়ে কূটনৈতিক উদ্যোগ ও কার্যকারিতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীতে থাকার কারণে তার সক্ষমতাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু যুদ্ধাস্ত্র সংগ্রহ করেছে। যার ফলে শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে। এখানে উল্লেখ যে গত তিন বছরে শান্তিরক্ষা কাজে নিয়োজিত হয়ে বাংলাদেশ প্রায় পাঁচ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা আয় করেছে।
সামরিক বাহিনীর অস্ত্র ক্রয় ও ব্যয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়ে জনবিতর্ক না থাকার কারণে গত বছর লন্ডন শাখা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল দুর্নীতির একটি বড় ঝুঁকির কথা তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে। যার পেছনের যুক্তিগুলো মূলতই আবর্তিত হয়েছে সংসদে অথবা সংসদীয় কমিটিতে সামরিক বাজেটের ওপর প্রকাশ্য কোনো আলোচনা না হওয়াকে কেন্দ্র করে। সামরিক বাহিনীর আধুনিকীকরণ, পরিবর্ধন, সাংগঠনিক কাঠামোর সংস্কার ইত্যাদি সংসদে আলোচিত না হওয়াটা উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বেশি দেখা যায়। বাংলাদেশ এর ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশে এই আলোচনাটা করার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে প্রায়ই দাবি করা হয়ে থাকে। অনেকেই মনে করেন, এই আলোচনা হলে সামরিক বাহিনীর বিষয়ে স্বচ্ছতা তৈরি ও দুর্নীতির শঙ্কামুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। অনেকেই মনে করেন, সামরিক বাহিনীর বিষয়গুলো নিরাপত্তার অজুহাতে সংসদে আলোচনা না করা গেলে সংসদীয় কমিটির বৈঠকগুলোতে আলোচনা হতে পারে। এখানে একটি বিষয় অনেকেই একমত যে প্রতিরক্ষা কৌশল ও সামরিক বাহিনীকে সজ্জিত করার জন্য একটি প্রকাশিত প্রতিরক্ষানীতি থাকা উচিত। গত সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকারে প্রতিরক্ষানীতি তৈরির অঙ্গীকার ছিল। একটি খসড়া প্রতিরক্ষানীতি ইতিমধ্যে প্রণীত হয়েছে বলে জানা যায়। যা সরকারের ঘোষিত নীতি আকারে এখনো প্রকাশিত হয়নি। সামরিক বাহিনীকে কিভাবে সজ্জিত করা হচ্ছে, কোন ঝুঁকিগুলোকে জাতীয় ঝুঁকির আওতাধীন করা হচ্ছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা থেকে আমাদের সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির দিকনির্দেশনা সম্পর্কে জনগণের সম্যক ধারণা নেই। এ কারণে সত্য ও অসত্য তথ্যাদির বিভ্রান্তিকর উপস্থাপন অনেক সময়ই রাষ্ট্রীয় স্বার্থের অনুকূলে থাকে না।
এ কারণে প্রতিরক্ষানীতি ও বাজেটে বরাদ্দকৃত সামরিক খাতের ব্যয়ের রূপকল্পে নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়, এমন তথ্য বাদ দিয়ে প্রকাশ করলে জনগণের বিভ্রান্তি দূর হবে। সামরিক বাহিনীর সাজসরঞ্জাম কেনার জন্য বাহিনীর অভ্যন্তরে নীতিমালাগুলো অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও একক সিদ্ধান্তের বিপদ থেকে মুক্ত রাখার জন্য ক্রয়সংক্রান্ত বিভিন্ন কমিটি কার্যকর আছে। কিন্তু তাদের সিদ্ধান্তগুলো জনসমক্ষে নিরাপত্তার কারণে প্রকাশ করা হয় না। গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো রাষ্ট্রীয় স্বার্থবান্ধব কি না তা যাচাই করার জন্য জনবিতর্ক হলে একদিকে স্বচ্ছতা তৈরি হবে, অন্যদিকে আস্থা বাড়বে।
সামরিক বাহিনীর যুদ্ধাস্ত্র ও গোলাবারুদ ব্যতিরেকে অন্যান্য ক্ষেত্রে ক্রয় সম্পাদিত হয় আন্তর্জাতিক বা দেশীয় টেন্ডারের মাধ্যমে। সেখানে স্বচ্ছতার বিষয়টি প্রচলিত ক্রয়বিধি দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হতে দেখা যায়। অস্ত্র সম্ভার ক্রয়ের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক টেন্ডারের ব্যবহার প্রচলিত নয়। এখানে অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ বা প্রতিষ্ঠান ও অস্ত্র ক্রয়কারী দেশ বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতাভিত্তিক চুক্তি হয়ে থাকে। প্রতিটি দেশের অস্ত্রের প্রকারভেদ আলাদা, তাই দামও দেশভিত্তিক। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকে প্রযুক্তি হস্তান্তর, প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রসম্ভার রক্ষণাবেক্ষণের অনেক শর্ত। যার ফলে যুদ্ধাস্ত্রের দাম তুলনাভিত্তিক না হয়ে সমঝোতাভিত্তিক এবং মধ্যস্বত্বভোগীরা সক্রিয় থাকে, যা দুর্নীতির ঝুঁকি বাড়ায়। রাষ্ট্রীয়ভাবে সমঝোতা হলে ঝুঁকি কমে যায়। ইদানীং ক্রয়কৃত অস্ত্রসম্ভার, যার মধ্যে একটি বড় অংশ চীন থেকে কেনা হয়েছে। এ ছাড়া ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, রাশিয়া, ইউক্রেন থেকেও যুদ্ধ সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হয়েছে, যা নিয়ে তেমন বিতর্ক ওঠেনি। রাশিয়ার সঙ্গে এক বিলিয়ন ডলার অস্ত্র ক্রয় চুক্তির যৌক্তিকতা নিয়ে আমাদের মিডিয়াতে যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনাগুলোও প্রাতিষ্ঠানিক আলোচনার সমার্থক না হলেও জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে অনেক ক্ষেত্রেই ভূমিকা রেখেছে। সমাজের বিভিন্ন মহলের মতামত উঠে এসেছে এবং সার্বিক বিবেচনায় এগুলোকে কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবেই দেখা হয়েছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আলোকে আন্তদেশীয় ঋণ, চুক্তি বা সমঝোতা স্মারকগুলোকে কিভাবে বিশ্লেষণ করা হবে, তা নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো রূপরেখা নেই। যার ফলে সামরিক খাতের বাজেট নিয়ে বেশি বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এই বছরের বাজেটে সামরিক খাতের বরাদ্দের প্রস্তাব গত বছরের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি হলেও বিশেষ পরিবর্তন দেখা যায়নি। বাংলাদেশের নতুন ৯৫ হাজার বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকা যুক্ত হওয়ায় এর সম্পদ রক্ষার জন্য আরো অধিক সামরিক শক্তির প্রয়োজন হলেও বাজেট প্রস্তাবনায় কোনো উল্লেখ নেই। যদিও বাংলাদেশ এরই মধ্যে দুটি সাবমেরিন কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। নৌ-শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি কক্সবাজারে নতুন যুদ্ধবিমানসমৃদ্ধ একটি বিমানঘাঁটি স্থাপিত হচ্ছে; কিন্তু বাজেট থেকে এটা বোঝার কোনো সুযোগ নেই।
প্রতিরক্ষা বাজেটের একটি বড় অংশ খরচ হয়ে যায় বেতন-ভাতা, রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রশিক্ষণ খাতে। যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জাম কেনার অংশটা ছোট হয়ে আসে। বাজেটে কোন খাতে কত বরাদ্দ করা হলো, তা জনগণ জানতে না পারার কারণে বেশি প্রশ্নের জন্ম হয়। প্রতিরক্ষা বাজেট নিয়ে জনবিতর্ক বা আলোচনার ক্রমবর্ধমান দাবি বিবেচনায় নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বের করাটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা ও প্রচলিত পদ্ধতির নিরিখে বাংলাদেশেও আলোচনার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া উচিত। নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখে মানুষের সাধারণ ঔৎসুক্য মেটাতে খোলামেলা আলোচনা প্রশ্ন ও প্রত্যাশাকে এক করতে পারবে।
লেখক : সামরিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং ইনস্টিটিউট অব কনফ্লিক্ট, ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (আই ক্লডস) নির্বাহী পরিচালক
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন