|
আব্দুল কাইয়ুম
|
|
'আমি লাল সবুজের দেশ তুমি সূর্যোদয়ের দেশ'
02 Jun, 2014
'একই বৃন্তে শাপলা আমি/তুমি সাকুরা/সুখে দুখে মিলে আছি/বন্ধু আমরা/তোমার এই বন্ধন/হবে নাকো শেষ/আমি লাল সবুজের দেশ/তুমি সূর্যোদয়ের দেশ।' না, এটি কোনো বাঙালি গায়কের গান বা কবির কবিতা নয়। এটি জাপানি নাগরিক তাকিও উজাওয়ার গাওয়া একটি গান। উজাওয়া যখন গানটি গত ২৮ মে টোকিওর আকাসাকা রাজপ্রাসাদে আমাদের কয়েকজনকে তাঁর ছোট্ট গিটার বাজিয়ে শোনালেন, তখন রাজপ্রাসাদের ওপরের তলায় তাঁর কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তুতি নিচ্ছেন চার দিনের সরকারি সফর শেষে টোকিও ত্যাগের। মাঝপথে তিনি কিছু সময় কাটাবেন টোকিওতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে। নিচে অন্য আর একটি কক্ষে তাঁর মালপত্র গোছানো হচ্ছে। তাকিও উজাওয়া জাইকার একজন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে বাংলাদেশে কয়েক বছর কাটিয়েছেন, শিখেছেন বাংলা, মনে করেন, বাংলাদেশ তাঁর দ্বিতীয় আবাসভূমি। বাংলাদেশে তাঁর বন্ধুরা তাঁর নাম দিয়েছেন চান্দু ভাই। চান্দু ভাই এখন টোকিওর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় অধ্যাপনা করেন। আমাদের মনে করিয়ে দিলেন, তিনি বিয়ে করেননি বলে যেন মনে করা না হয় তিনি এখনো কম বয়সী একজন তরুণ। কাছে গিয়ে জানতে চাই, কেন বিয়ে করেননি? তাঁর সোজাসাপটা উত্তর, জনসেবা করতে করতে সময় পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় সফরে জাপান আসছেন, সে জন্য তাঁর প্রাসাদে ডাক পড়েছে। যদি প্রধানমন্ত্রীর কোনো কারণে বাংলা জানা মানুষের প্রয়োজন হয়? আমাদের চান্দু ভাই এক কথায় রাজি। শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এখনো জাপানের সাধারণ মানুষের কাছে একটি পরিচিত নাম। বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় তাঁকে নিয়ে সে দেশে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন অস্কারবিজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা ওসিমা। জানতে চাই, উজাওয়া বাংলাদেশি মেয়ে বিয়ে করবেন কি না? তাঁর চেহারাটা একটু লাল হয়ে ওঠে। মুখে হাসির ঝিলিক খেলে যায়। বলেন বাংলাদেশি মেয়েরা খুব ভালো। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ আবদুল মালেক দায়িত্ব নিলেন তিনি নিজে চান্দু ভাইয়ের জন্য বাংলাদেশে কন্যা খুঁজবেন। আমি নিশ্চিত, যত দিন এ বিষয়ে একটি সুরাহা না হচ্ছে, তত দিন চান্দু ভাই অপেক্ষা করবেন।
'আমি লাল সবুজের দেশ তুমি সূর্যোদয়ের দেশ'
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার জাপানে এটি তৃতীয় রাষ্ট্রীয় সফর। প্রথমটি হয়েছিল ১৯৯৭ সালে, পরেরটি ২০১০ সালে। ১৯৯৪ সালে তিনি বিরোধী দলের নেতা হিসেবে প্রথমবার জাপান সফর করেছিলেন। এবারের শেখ হাসিনার জাপান সফরটি নানা কারণে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে জাপানে সফর করেন। এর আগে তিনি পশ্চিমবঙ্গ আর মস্কো সফর করেন। জাপান সফরে সন্তান হিসেবে সঙ্গী হয়েছিল শেখ রেহানা ও শেখ রাসেল। এবার প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ১০০ জনের ওপর, যাঁর অর্ধেকেরও বেশি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি। ছিলেন না পরিবারের কেউ। ব্যবসায়ীরা সবাই নিজ খরচে জাপান গেছেন। সাংবাদিক গেছেন জনাদশেক। তাঁদের মধ্যে দু-তিনজন ছাড়া সবাই নিজ খরচে। বাকিরা সবাই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের শীর্ষ পর্যায়ের স্টাফ আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা। আছেন তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বে কর্তব্যরত ব্যক্তিরা। এর আগে বাংলাদেশ থেকে যতজন সরকারপ্রধান জাপান সফর করেছেন, তাঁরা সবাই তারকাখচিত হোটেলে থেকেছেন। এবার শেখ হাসিনার থাকার ব্যবস্থা হয়েছে জাপানের দুটি রাজকীয় অতিথিশালার একটি আকাসাকা রাজপ্রাসাদে। ১৯০৯ সালে নির্মিত আকাসাকা রাজপ্রাসাদে একসময় ক্রাউন প্রিন্স থাকতেন, যা বর্তমানে রাজকীয় অতিথিশালা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই অতিথিশালার প্রথম অতিথি ১৯৭৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড। আকাসাকা প্রাসাদে তিনটি জি-৮ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে এপেক সম্মেলন। প্রাসাদের চারপাশের নিরাপত্তা বেষ্টনী অনেকটা হাইটেক। আমাদের দেশের মতো অসংখ্য পুলিশ আর নিরাপত্তা কর্মকর্তা চোখে পড়ে না। প্রবেশকারীদের কাছে থাকে একটি ছোট ব্যাজ। ওটা থাকলেই যে কেউ প্রবেশ করতে পারে প্রাসাদে। সেটি যদি অননুমোদিত হয়, তাহলে ঘটে যেতে পারে বিপত্তি। ফেরার সময় আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আমার কাছে বারবার জানতে চাইছিলেন, আমার ব্যাজটা ফেরত দিয়েছি কি না। তা না হলে তাঁদের অনেক ঝক্কি পোহাতে হবে। এ ব্যাপারে আমি বেশ সতর্ক।
এটি শেখ হাসিনার সরকারপ্রধান হিসেবে তৃতীয় জাপান সফর হলেও এই সফর নানা দিক দিয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ভারত ছাড়া ১৯৭১ সালে যে কটি দেশ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সরাসরি সহায়তা করেছে, এর মধ্যে জাপান অন্যতম। সে সময় জাপানের স্কুলশিশুরা তাদের পকেট-খরচ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ভারতের শরণার্থী শিবিরে অবস্থানরত বাংলাদেশি শরণার্থীদের জন্য সাহায্য পাঠিয়েছে। সাধারণ জনগণ ও সরকারের সহমর্মিতা তো ছিলই। একাধিক আন্তর্জাতিক ফোরামেও জাপান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেছে। জেনারেল ইওয়াচি ফুজিওয়ারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বার্মা ফ্রন্টে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। পরে তিনি জাপান সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা অফিসার ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি ঠিকই জানতেন বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধাদের কী ধরনের সাহায্য-সহায়তা প্রয়োজন। তিনি নিজ উদ্যোগে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহারের জন্য বেতারযন্ত্র পাঠিয়েছিলেন। তাঁরা সবাই বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। শেখ হাসিনা ২৫ তারিখ রাতে এই বন্ধুদের জনাকুড়িকে আকাসাকা প্রাসাদে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নৈশভোজে। এসেছিলেন সবাই। আরো এসেছিলেন ওই অঞ্চলের গভর্নর কিইজো হামাদা। জেনারেল ফুজিওয়ারা ১৯৮৬ সালে প্রয়াত হয়েছেন। ফুজিওয়ারার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন তাঁর নাতনি ড. কানা তোমিজাওয়া। ড. তোমিজাওয়ার বাবা জেনারেল হিকারু তোমিজাওয়া জাপান সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে অবসর নিয়ে টোকিওতেই থাকেন। ভোজের আগের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করলেন একাত্তরে আমাদের মুক্তিসংগ্রামে জাপানের জনগণের অসামান্য অবদানের কথা। বলতে ভুললেন না, জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী ও চিরদিনের বন্ধু। বললেন, জাপানের মতো বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষ যদি বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে না দাঁড়াত তাহলে বাঙালির মুক্তির জন্য যুদ্ধ আরো কঠিন হতো। তিনি সবাইকে মনে করিয়ে দিলেন, সব বাধাবিপত্তি দূরে ঠেলে তিনি একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার শুরু করেছেন এবং তা তিনি শেষ করবেন। শেখ হাসিনার টেবিলে ছিলেন জেনারেল ফুজিওয়ারার স্ত্রী আর তাঁর নাতনি ড. তোমিজাওয়া। শেখ হাসিনা তোমিজাওয়াকে তাঁর ঢাকায় গাওয়া বাংলা গানটি সবাইকে শোনাতে অনুরোধ করলেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ যখন মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বিদেশি অতিথিদের সম্মাননা জানায়, তখন ড. তোমিজাওয়া তাঁর দাদির সঙ্গে বাংলাদেশে এসেছিলেন। ড. তোমিজাওয়া একটু ইতস্তত করে বললেন, তিনি গাইবেন এক শর্তে, তাঁর সঙ্গে সবাইকে গাইতে হবে। তিনি সেই বহুল প্রচারিত 'আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলার গান গাই' শোনালেন। শেখ হাসিনাসহ আমরা সবাই তাঁর সঙ্গে বেসুরো গলায় গলা মেলালাম। সেদিনের সন্ধ্যাটি ছিল সত্যিকারের অর্থে একটি সোনাঝরা সন্ধ্যা। আমার পাশে বসেছিলেন জাইকার প্রেসিডেন্ট ড. আকিহিকো তানাকা। ড. তানাকা মন্তব্য করলেন, বাঙালির মতো এত পরিশ্রমী জাতি তিনি কম দেখেছেন। একটু রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে আর সুশাসন নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশ হয়ে উঠতে পারে উন্নয়নশীল বিশ্বের একটি রোল মডেল। এর সঙ্গে দ্বিমত করার কোনো অবকাশ নেই।
প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফর নানা দিক দিয়ে আগের যেকোনো বারের চেয়ে সফল। আনুষ্ঠানিক কর্মসূচির শুরুতেই ২৬ তারিখ সকাল ৯টায় আকাসাকা প্রাসাদের বিশাল প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাপানের যৌথ বাহিনী গার্ড অব অনার দিল। গার্ড পরিদর্শন করলেন দুই প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন গোটা পঞ্চাশেক স্কুলশিশু আর বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের ১২ জন প্রতিনিধি। শুরুতেই সেনাবাহিনীর ব্যান্ডে দুই দেশের জাতীয় সংগীত। বিদেশে একটি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে 'আমার সোনার বাংলা' শুনতে কার না ভালো লাগে? রাতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সরকারি বাসভবনে রাষ্ট্রীয় ডিনার। শুরুতেই অর্কেস্ট্রায় সংগীতের মূর্ছনা। ডাইনিং রুমে ঢুকতেই এক স্বর্গীয় পরিবেশে বেজে উঠল 'ধনধান্য পুষ্পভরা।' সে আর এক অনুভূতি। আমন্ত্রিত অতিথি সর্বসাকল্যে ১০০ হবে। ডিনারের মাঝপথে শেখ হাসিনা তাঁর সফরসঙ্গীদের পরিচয় করিয়ে দিলেন। আমার সামনে এসে বললেন, 'তিনি শিক্ষক, পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী জানতে চান কী নিয়ে লিখি? বলি শিক্ষা, রাজনীতি, সমসাময়িক ঘটনা। মন্তব্য করেন, নিশ্চয়ই খুব ব্যস্ত মানুষ। আমাদের প্রধানমন্ত্রী হাসেন। কত ব্যস্ত বা ব্যস্ত না তা কি আর বলা যায়!
এখানেও এই সফরে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে একাধিক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও এমওইউ স্বাক্ষরিত হলো। জাপান আগামী চার থেকে পাঁচ বছর মেয়াদে বাংলাদেশে সহজ শর্তে বিভিন্ন প্রকল্প খাতে প্রায় ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেবে। অন্যান্য সহায়তা বাবদ আরো ১.২ বিলিয়ন ডলার পাওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। জাপানে উচ্চশিক্ষার জন্য জাপানি বৃত্তি বাড়বে। আর ১৯৭২ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত, ৪০ বছরে জাপান থেকে বাংলাদেশ পেয়েছে ১১.২২ বিলিয়ন ডলার। প্রধানমন্ত্রী জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন বাংলাদেশে বিভিন্ন বড় অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের। জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। ২০২০ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব অলিম্পিক। সেই সময়ের নির্মাণকাজে প্রয়োজন হবে অনেক শ্রমিকের। প্রধানমন্ত্রী বলতে ভোলেননি সেই শ্রমিকের একটি বড় উৎস হতে পারে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ অঙ্গীকার করেছে জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য আমাদের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে ৪০টি প্লট রিজার্ভ রাখা হবে। এ ছাড়া জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য দুটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে। তবে একটা কথা বলে রাখা ভালো, আর্থিক সহায়তা পাওয়াটা বড় কথা নয়, তা ব্যবহার করার সক্ষমতা অজর্নই বড় কথা। এই জায়গায় বাংলাদেশের করার আছে অনেক কিছু।
বিদায়ক্ষণে প্রধানমন্ত্রীকে বাঙালিদের দেওয়া এক সংবর্ধনায় অনেক প্রবাসী বাঙালি ব্যক্তিগতভাবে এসে জানালেন, জাপানিরা দুর্নীতির ব্যাপারে খুবই স্পর্শকাতর। জানাতে ভুললেন না, এক পদ্মা সেতুর দুর্নীতির কথিত ষড়যন্ত্রে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সুনামের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। তাদের বলি, এই ষড়যন্ত্র আবিষ্কারে বাংলাদেশেরও একটি মহল খুব সূক্ষ্মভাবে জড়িত ছিল, যা এখন পরিষ্কার। তারা মনে করিয়ে দেয়, শুরু থেকেই এ ব্যাপারে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। একটি কথা না বললেই নয়, জাপানে বাংলাদেশের দূতাবাসে কর্মরত তরুণ বাঙালি অফিসাররা এই সফর সফল করার জন্য রাতের ঘুম হারাম করেছিলেন। তাঁদের সেই পরিশ্রম বৃথা যায়নি। তবে জাপানে অবস্থানরত বাঙালিদের দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটির প্রতি আরো একটু বেশি নজর দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। ২৮ তারিখ মধ্যরাতে টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরে অবস্থানরত বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ বিমানে ওঠার আগে সবাইকে হাত নেড়ে যখন বললাম, 'সাইওনারা', তখন মনটা একটু তো ভারি হয়ে গিয়েছিলই। তবে আশা করছি, চান্দু ভাইয়ের সঙ্গে আবার দেখা হবে, এই বাংলাদেশে, হয়তো নতুন কোনো পরিবেশে!
লেখক : সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন