|
জসিম উদ্দিন
|
|
হত্যার বিচার হয় না সন্ত্রাসের জনপদে
29 May, 2014
ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামের সম্ভাব্য হত্যাকারী ও এর পেছনের ইন্ধনদাতারা চিহ্নিত হয়েছেন। পুলিশ চুপ থাকলেও আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত অন্য বাহিনী র্যাব তাদের ধরপাকড় চালাচ্ছে। অভিযানে অংশ নেয়া সন্ত্রাসীদের সবাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যম সারির নেতা। ফেনী আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জয়নাল হাজারী ও বর্তমান নেতা নিজাম হাজারীর মধ্যে চরম বাগি¦তণ্ডা এ হত্যার কু উদঘাটনে সহায়ক হয়েছে। জয়নাল হাজারী খোলাসা করে জানিয়ে দিয়েছেন নিজাম হাজারীর সাথে বিরোধের পরিণতিতেই এই খুন হয়েছে। খুনিদের শেষ পর্যন্ত বিচার হওয়া নিয়ে কেউ আশ্বস্ত নয়। একই উপজেলার আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক হত্যার কোনো বিচার হয়নি।
জয়নাল হাজারীর যোগ্য উত্তরসূরি যে নিজাম, তিনি তার প্রমাণ ইতোমধ্যে চমৎকারভাবে রেখে চলেছেন। একরাম হত্যার পর সবচেয়ে বেশি বিুব্ধ হয়েছেন ফুলগাজী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। তারা সবাই একরামের ঘনিষ্ঠ। তারা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়েছেন, ব্রিজ উপড়ে যোগাযোগ বন্ধ করে কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, এক দিনের হরতাল পালন করেছেন। স্পষ্ট হয়ে গেছে সরেজমিনে কারা কিলিং মিশনে ছিল। শিবলু, জাহিদ, আদেল ও মিস্টারের সাথে হত্যার দিন ও তার আগের দিন নিজাম নিয়মিত যোগাযোগ করেছেন। অভিযুক্তদের মোবাইল কললিস্ট পরীক্ষা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। সেই ফুলগাজী আওয়ামী লীগ হঠাৎ চুপসে গেল। নিজামকে দাওয়াত দিয়ে ফুলগাজীতে এনে তার দায়মুক্তির জন্য বিভিন্ন যুক্তিতর্ক তুলে ধরা হয়েছে।
ফুলগাজী আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে নিজামের পক্ষে সাফাই গাওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনের পর একটি মানববন্ধন আয়োজন করা হয়। নিজাম সেখানে জোরালো ভাষায় একরাম হত্যার বিচারের দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের বিচার অবশ্যই হবে। হত্যাকারীরা যত প্রভাবশালী হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’ সংবাদ সম্মেলনে ফুলগাজী আওয়ামী লীগকে বলতে বাধ্য করা হয় যে, নিজামের সাথে ফুলগাজী আওয়ামী লীগের কোনো দ্বন্দ্ব নেই। সম্ভবত একরামের সাথে চলা নিজামের দীর্ঘ দিনের বিরোধের দিকে এ ইঙ্গিত করা হয়েছে। বাস্তবতাকে কখনো কথার ফুলঝুরি দিয়ে আড়াল করা যায় না। একরামের সাথে বিরোধের জের ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত নালিশ গেছে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠকও করেছেন। বিষয়টি সবার কাছে স্পষ্ট যে, একরামকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছে নিজাম।
উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রতিশ্রুতিশীল নেতা আবদুল আলীম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন। তিনি বলেন, ‘একরাম হত্যার বিষয়টি নিয়ে একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। মিডিয়া অবান্তর তথ্য ছাপিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।’ পঠিত বক্তব্যটি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতার মুখ থেকে বের হলেও কার্যত এগুলো জেলা আওয়ামী লীগের বক্তব্য। নিজাম হাজারী এবং ফেনী আওয়ামী লীগ এ বক্তব্যই ক’দিন ধরে দিয়ে আসছে। ফুলগাজী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের চিন্তাভাবনা এমন হলে তারা নিজামের বিচার চেয়ে স্লোগান দিতেন না।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি আলীম জনপ্রিয়। ফেনী আওয়ামী লীগের যে চরিত্রের কারণে জেলাটি সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে সারা দেশে পরিচিতি পেয়েছে, সে সন্ত্রাসী আচরণের সাথে তার চরিত্রের মিল নেই। এলাকায় সাধারণ মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করে একজন দানশীল হিসেবে তিনি নিজের ভাবমর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছেন। পরিচিতির জন্য তাকে আওয়ামী লীগের পদপদবি ব্যবহার করতে হয়নি। ক্ষমতাসীন দলে তিনি বেশি পুরনো নন। এই দলে যোগদান তার ভাবমর্যাদাকে কিছুটা ুণœ করলেও এর দ্বারা স্থানীয় আওয়ামী লীগ উপকৃত হয়েছে। আওয়ামী লীগে যোগদান করায় সাবেক উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হকের শূন্যতা পূরণ হয়েছে।
নিজামের পক্ষে বলতে গিয়ে ফুলগাজী আওয়ামী লীগকে আরো কতগুলো মিথ্যা বলতে হয়েছে। মানববন্ধন করে নিজাম ফেনীর দিকে রওনা হলে পেছন থেকে ফুলগাজী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সব উল্টে যান। তারা নিজামের ফাঁসি চেয়ে আবারো স্লোগান দেন। এ ব্যাপারে আলীমকে সংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এসব স্লোগান যারা দিচ্ছেন তারা আওয়ামী লীগের কেউ নন। সাধারণ জনতার ব্যানারে বিএনপি-জামায়াত ও মিনার সমর্থকেরা এমন স্লোগান দিচ্ছেন। এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে ফুলগাজী আওয়ামী লীগের নেতারা সন্ত্রাসের জনপদ ফেনীর আওয়ামী লীগ নেতাদের চাপ সামলিয়েছেন। একরাম হত্যার দায় থেকে প্রভাব খাটিয়ে নিজাম যদি আবার ফেনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেন, তাহলে ফুলগাজী আওয়ামী লীগের নেতারা নিজামের ছায়া পাবেন। কিন্তু নিজাম যদি নিজে বাঁচতে না পারেন, তাকে সহযোগিতা করার জন্য ফুলগাজী আওয়ামী লীগ চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে ফেনী দেশে পরিচিতি পেলেও ফুলগাজী একটি শান্তিপূর্ণ উপজেলা। জয়নাল হাজারীর আমলে হাজারী বাহিনীর সশস্ত্র সন্ত্রাস ফুলগাজী পর্যন্ত কমই বিস্তৃত হয়েছে। ফুলগাজীর আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে ফেনীর মারমুখী রাজনীতির কোনো মিল নেই। ফুলগাজী আওয়ামী লীগ একরাম হত্যার বিচারে শক্ত অবস্থান নিতে পারলে দলটির স্থানীয় নেতা আলীমের ভাবমর্যাদা বৃদ্ধি পেত। রাজনীতির ক্ষেত্রে খুনিদের বিরুদ্ধে আপসহীন ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার সুযোগ পেতেন তিনি। নিজাম এ যাত্রায় রক্ষা পেলে উপজেলা যুগ্ম সম্পাদক জাহিদের অবস্থান সংহত হবে। তাদের কাছে ফুলগাজী আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে। একরামের অনুপস্থিতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা জাহিদের মাধ্যমে পূরণ করা হবে। এখন যারা নিজামের পক্ষে অবস্থান নিলেন তারা গুরুত্ব হারাবেন। এ উপজেলায় সন্ত্রাসের বিস্তার ঘটবে তখন।
এ উপজেলার আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হককে দলটি ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরপরই হত্যা করা হয়। সেই হত্যাকাণ্ড নিয়ে এতটা হইচই হয়নি। মিডিয়ায় খবরটি সেভাবে আসেনি। একরামের মতো প্রকাশ্য রাজপথে সে ঘটনাটি ঘটেনি। হত্যাকারীরা গোপনীয়তা অবলম্বন করে সফল হয়েছে। সে হত্যাকাণ্ডে গোলাবারুদ ব্যবহার হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, তাকে ঢাকায় একটি হোটেলে এনে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়। তবে এবারের মতো তখনো স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অভিযুক্তদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করেছিলেন।
সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক এলাকায় জনপ্রিয় ছিলেন। ফুলগাজী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মভূমি। শ্রীপুর গ্রাম বেগম জিয়ার পৈতৃক নিবাস। এর লাগোয়া পাশের গোসাইপুর গ্রামে জন্ম আজিজুল হকের। খালেদা এখান থেকে বিপুল ভোটে সব সময় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। খালেদা জিয়ার সাথে নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করতে পারে এমন ব্যক্তি এ এলাকায় দেখা যায়নি। বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে দাঁড়িয়ে কখনো হারেননি। ঢাকা, বগুড়া যেখান থেকেই দাঁড়িয়েছেন, বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ের রেকর্ড খালেদা জিয়ার। ফেনী-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থেকে তিনি গড়ে তিন গুণ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হন। ফেনী-১ আসনের নির্বাচনের একটি লক্ষণীয় দিক ছিল খালেদা জিয়া বাড়ির পাশে গোসাইপুর কেন্দ্রে কখনো জয়ী হতে না পারা। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা আজিজুল হকের জনপ্রিয়তা এর প্রধান কারণ। মরহুম আজিজুল হকের জনপ্রিয় ভাবমর্যাদা আওয়ামী লীগের ভোটবাক্সকে সমৃদ্ধ করেছে। প্রতিদান হিসেবে তিনি দলের ষড়যন্ত্রকারীদের শিকার হয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও নেতৃত্বদানের মধ্যে দিয়ে আজিজুল হকের সেই ভাবমর্যাদা গড়ে ওঠে। এরশাদ ক্ষমতাসীন থাকাকালে তার সরকারের প্রতিমন্ত্রী জাফর ইমামের সাথে লড়াই করে এলাকায় টিকে থাকতে হয়েছে তাকে। জাফর ইমামের সেই কুখ্যাত টাইগার বাহিনী আজিজুল হককে দাবিয়ে দিয়ে এলাকার নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি। দীর্ঘ ২১ বছর ধরে তিনি প্রতিকূল রাজনীতি মোকাবেলা করে এলাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাব জারি রাখেন। দল ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে জনপ্রিয় এই নেতাকে হত্যা করা হয়। তৎকালীন সরকার মামলা এগিয়ে নিতে আগ্রহী হয়নি। দীর্ঘ দেড় যুগ পার হয়ে গেলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কিছুই হয়নি।
এখন ফেনী আওয়ামী লীগের পরামর্শ আসে ঢাকা থেকে। প্রধানমন্ত্রীর কাছের কয়েকজন লোক ফেনী আওয়ামী লীগের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। এ পরামর্শদাতারা জয়নাল হাজারী যুগে ফেনীতে ঢোকার সুযোগ পাননি। জয়নাল হাজারী ফেনী ছাড়া হওয়ার পেছনে এ বঞ্চিতদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে। হাজারী এখন ঢাকায় নির্ভয় জীবনযাপন করছেন। কিন্তু তাকে ফেনীতে যেতে দেয়া হয় না। প্রশ্ন হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে কেন তার বিচারের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। আর যদি তিনি নির্দোষ হন কেন তাকে এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। সন্ত্রাসের অভিযোগ এনে ঢাকার উপদেষ্টারা হাজারীকে ফেনী থেকে তাড়িয়েছেন। গত পাঁচ বছরে গড়ে ফেনীতে আরো বেশি সন্ত্রাস হয়েছে। তাহলে এই বহিরাগতরা ফেনীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কতটুকু উন্নতি করতে পারলেন? সে বিচারে হাজারী আমল ভালো ছিল। এখন ফেনীর এই সন্ত্রাসের দায় ঢাকায় বসে থাকা উপদেষ্টারা নেবেন কি? যেমন অভিযোগ মাথায় বয়ে বেড়াতে হচ্ছে জয়নাল হাজারীকে।
একরাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি বিএনপির মিনার চৌধুরী সাক্ষাৎকারে এক উপদেষ্টার বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘নিজাম হাজারী ও আলাউদ্দিন নাসিমরা এক ঢিলে দুই পাখি মারার চিন্তা করেন। একরাম আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। নির্বাচনের আগে আমাদের দু’জনের মধ্যে কিছু উত্তেজনাও ছিল।... একরাম হত্যার পরিকল্পনাকারীদের ধারণা, প্রকাশ্যে কেন্দ্র দখল করে আমার বিজয় ছিনিয়ে নেয়ায় তার ওপর আমার ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষও সেটা বিশ্বাস করবে। এমন একটা ধারণার ওপর ভিত্তি করে নিজেরা বাঁচতে আমাকে মামলার প্রধান আসামি করা হয়। অথচ একরামের ভাই আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে চাননি। নাসিম সাহেব প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করেন। তিনি একরামের পরিবারকে জানান, মিনারকে প্রধান আসামি করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে। আর যেদিন একরামকে হত্যা করা হয় নিজাম হাজারী সেদিন আলাউদ্দিন নাসিমের বাসায় ছিলেন। সেদিন কেন তিনি সেখানে ছিলেন। ফুলগাজী এলাকায় আমাদের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজে নির্বাচন করে থাকেন। অনেক সময় উপ-নির্বাচনে তিনি ওই আসন ছেড়ে দেন। সে ক্ষেত্রে আমিই বিএনপির অন্যতম প্রার্থী। কিন্তু আমি রাজনীতির মাঠে থাকলে নাসিম সাহেব সুবিধা করতে পারবেন না। কারণ নাসিম সাহেবও ওই এলাকা থেকে ভবিষ্যতে এমপি নির্বাচন করার স্বপ্ন দেখছেন।’
ফেনীর রাজনীতির সাথে একজন মন্ত্রীও যুক্ত হয়েছেন। তিনি অনেক ভালো ভালো কথা বলছেন। কিন্তু হত্যা খুনের রাজনীতি বন্ধে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেননি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতি মাসে ফেনী আওয়ামী লীগ থেকে মাসোয়ারা নেয়ার অভিযোগ আলোচিত হচ্ছে। মাসোয়ারার যে বিশাল পরিমাণ, চোখ ছানাবড়া হয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। একরাম হত্যার সাথে এসব বাণিজ্যের কোনো সম্পর্ক নেই এমন বলার সুযোগ কোথায়।
একরাম হত্যার বিচার নিয়ে তার ভাই মন্তব্য করেছেন, ‘একটি মামলা করার তাই করেছি।’ যাদের ভাগ বাটোয়ারার বলি একরাম হয়েছেন তারা রাঘববোয়াল। হত্যাকারীদের বিচার হলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। আজিজুল হকের হত্যাকারীদের মতো এক দিন একরামের হত্যাকারীরাও মুক্ত হয়ে যাবেন। এমনটাই ঘটার সম্ভাবনা বেশি। আর পরিবর্তন আসবে না সন্ত্রাসের জনপদ ফেনীতে। চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে চরিত্রের পরিবর্তন হবে। আগে (খল) নায়ক ছিলেন জয়নাল হাজারী। এখনো রয়েছেন ‘হাজারী’ তবে আগের ‘জয়নালের’ জায়গায় এখন বসবে ‘নিজাম’। এরপর হয়তো আসবে অন্য কোনো ‘হাজারী’।
(নয়া দিগন্ত)
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন