এটা সর্বজনবিদিত যে ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও গোত্রীয় দ্বন্দ্ব এবং আফ্রো-এশীয় আরব-রাষ্ট্রগুলোর নীতিগত ও আদর্শগত অনৈক্যের কারণে ফিলিস্তিনি সমস্যা সমাধানে গত ৬৫ বছরের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। ফিলিস্তিনের দুটি প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সম্প্রতি স্বাক্ষরিত 'ঐক্যের সরকার' (government of unity) চুক্তির পর থেকে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে যে ফিলিস্তিনের ঐক্যের সরকার কি আদৌ বাস্তবায়িত হবে? প্রথমেই আমরা সাম্প্রতিক চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতের দিকে দৃষ্টিপাত করব।
ফিলিস্তিনের প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস ও ফাতাহ গত ২৩ এপ্রিল একটি নজিরবিহীন ঐক্যচুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি স্বাক্ষরের দিন থেকে পরবর্তী পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে পিএলও এবং হামাস নেতারা একটি জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলসহ মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত পশ্চিম ইউরোপীয় বৃহৎ শক্তিবর্গের অসন্তুষ্টি সত্ত্বেও ফিলিস্তিনের প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীদ্বয়ের সাম্প্রতিক ঐক্যবন্ধন নিঃসন্দেহে ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে।
আমার এ মতের সঙ্গে যাঁরা দ্বিমত পোষণ করেন, তাঁদের যুক্তি হলো সুদূরপ্রসারী লক্ষ্যে দীর্ঘ পরিকল্পনার মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে ইসরায়েলি রাষ্ট্র সৃষ্টি করে মধ্যপ্রাচ্যে যে মহাবিভীষিকা তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্য রাষ্ট্রগুলো প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছে, তাদের সমর্থন ছাড়া ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানের কোনো সম্ভাবনা নেই। নিঃসন্দেহে এ বক্তব্য অত্যন্ত শক্তিশালী ও বাস্তবসম্মত। ফিলিস্তিন সমস্যাকে অন্য আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলোর সঙ্গে একই দৃষ্টি, একই বৈশিষ্ট্য ও একই মানদণ্ডে বিচার করলে এমন মতামত দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায়-ই নেই। ফিলিস্তিন সমস্যাটি এ কারণে অন্যান্য আন্তর্জাতিক ঘটনার সঙ্গে পৃথক যে এর নেপথ্যে রয়েছে একটি জাতি ও দেশের জনগণের 'আদি বসতি' ও 'ভিটাবাড়ি' থেকে তাদের উচ্ছেদ করে ওই জনগণকে হত্যা বা বিতাড়িত বা আহত করে তাদের ভূমি দখল করে পৃথিবীর একটি ভবঘুরে, বিচ্ছিন্ন, আশ্রয়-বঞ্চিত ভাসমান জাতিগোষ্ঠীর জন্য নির্বিঘ্ন আবাস ভূমি গঠন ও সেই আবাস ভূমিকে আধুনিক জাতি-রাষ্ট্রের সব বৈশিষ্ট্য কৃত্রিমভাবে যুক্ত করে ওই ভাসমান জাতির জন্য একটি রাষ্ট্র গঠন প্রক্রিয়া।
পৃথিবীর জাতি-রাষ্ট্রের ইতিহাস বেশি দিনের নয়। ১৬১৮ সালে শুরু হয়ে ৩০ বছর ধরে চলা ইউরোপের খ্রিস্টান রাজা-বাদশাহ, রাজকুমার-রাজকুমারীদের প্রাসাদ-সংঘর্ষের জের ধরে ১৬৪৮ সালে যে 'ওয়েস্টফালীয় চুক্তি' হয়, তারপর থেকে আধুনিক আন্তর্জাতিক সম্পর্কে জাতি-রাষ্ট্রের ধারণার জন্ম হয়। ধারণাটি নিরেট ইউরোপীয়, পাশ্চাত্য বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। দুর্ভাগ্যবশত পরবর্তী সময়ে ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন ও উপনিবেশবাদের কারণে এ ইউরোপীয় রাষ্ট্র-তত্ত্বটি কোনোরকম বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়া অ-ইউরোপের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। সমকালীন আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি সাড়া জাগানো তাত্ত্বিক কার্ল মার্ক্স নানা কারণে রাষ্ট্রের এ ইউরোপীয় ধারণা প্রত্যাখ্যান করে 'রাষ্ট্র ধারণা উবে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়বে' (states with wither away) বলে তাঁর থিসিস উপস্থাপন করেছিলেন। ইউরোপীয় রাষ্ট্র-ধারণার নানা অনিয়ম, সীমাবদ্ধতা ও অপ্রযোজ্যতা সত্ত্বেও ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদী ও উপনিবেশবাদীরা সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদের জোরে সেই অপ্রযোজ্য রাষ্ট্রধারণায় আন্তর্জাতিকতা ও বিশ্বজনীনতার বৈশিষ্ট্য নির্বিঘ্নে যুক্ত করে অ-ইউরোপীয় ভূখণ্ডেও সেই ধারণা চাপিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। ধন্যবাদ ইউরোপীয় রাষ্ট্রতাত্ত্বিক, লেখক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, রাষ্ট্রপরিচালক ও রাজনীতিবিদদের, যাঁরা অ-ইউরোপীয় রাষ্ট্রতাত্ত্বিক, লেখক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, রাষ্ট্রপরিচালক ও রাজনীতিবিদদেরও সেই ধারণা গলাধঃকরণে বশ করতে সক্ষম হয়েছেন। অ-ইউরোপে কৌটিল্য, কনফুসীয়, বৌদ্ধীয়, ইসলামীয় নানা সমৃদ্ধ, উন্নত, প্রগতিশীল রাষ্ট্রধারণা মাত্র এক-দুই শতাব্দীর মধ্যে ভেঙে খান খান হয়ে গেল, আফ্রো-এশিয়ায় শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র ব্যবস্থাগুলো সাম্রাজ্যবাদের আঘাতে জর্জরিত হলো, রাষ্ট্রিক-সামাজিক স্থাপনাগুলো চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেল!
আফ্রো-এশিয়ার আরব ভূখণ্ডে যে পরিশীলিত, স্বস্তিময়, সমৃদ্ধিময় ও শান্তিময় রাষ্ট্র, সমাজ ও রাষ্ট্রিক ব্যবস্থা বিরাজিত ছিল, সাম্রাজ্যবাদের ছোবলে তা নিঃশেষিত হয় এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর ইউরোপীয় মডেলে রচিত বিশ্বব্যবস্থা প্রণয়নের মাধ্যমে আফ্রো-এশিয়ায় সেই সুখময়, সমৃদ্ধিময় রাষ্ট্রিক ব্যবস্থার মূলোৎপাটন হয়।
ফিলিস্তিন সমস্যার নেপথ্যে রয়েছে সাম্রাজ্যবাদী, উপনিবেশবাদী ইউরোপীয়দের যুদ্ধোত্তর প্রজন্ম, যারা হব্স ((Hobbes)), মেকিয়েভেলি, থুসিডা ইডসের ক্ষমতাকেন্দ্রিক শাসনতত্ত্ব, স্বার্থান্ধ ধান্ধাবাজতত্ত্ব দ্বারা পরিচালিত। সেই উপনিবেশবাদী কর্তৃত্বগিরির ধারক ও বাহক ইউরোপীয়দের মুকুটমণি ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত স্যার হেনরি ম্যাকমোহন এবং মক্কার মীরজাফর শেরিফ হোসেনের মধ্যে সম্পাদিত গোপন চুক্তির ফলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর আরব রাজনীতির মানচিত্র তৈরি হয়। অপরদিকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ইহুদিদের মুকুটমণি ডক্টর থিওডোর হারজেন ইহুদি ধর্মের (Judaism) সঙ্গে ইউরোপীয় স্বার্থান্ধ ধান্ধাবাজতত্ত্ব যুক্ত করে ইহুদিবাদের রাজনৈতিক সংস্করণ (Jionism) প্রণয়ন করেন। এ-জাতীয় আরো অনেক কর্তৃত্ববাদী কৌশল অবলম্বন করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ওই মহাযুদ্ধে ব্রিটিশ ও মিত্রপক্ষকে অর্থনৈতিক, প্রযুক্তি ও ধারণাগত সহযোগিতা প্রদান করে বিশ্বের ইহুদিরা বর্তমান ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনের গোপন চুক্তিগুলো সম্পাদন করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে সাম্রাজ্যবাদীরা যে বিশ্বব্যবস্থা তৈরি করে বিশ্বশান্তি রক্ষার পরিকল্পনা করে, তা এতই বৈষম্যমূলক ও অশান্তিময় ছিল যে মাত্র দুই দশক পার না হতেই আবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। বিখ্যাত বাস্তববাদী তাত্ত্বিক ই এইচ কার (Carr) এ দুই দশককে তাই যুদ্ধবিরতি হিসেবে অভিহিত করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে সাম্রাজ্যবাদীরা আবার তাদের মন-মত অনুযায়ী যুদ্ধোত্তর বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলে। এ প্রক্রিয়ার পাশাপাশি নতুন বিশ্বব্যবস্থায় সাম্রাজ্যবাদীদের সঙ্গে ইহুদিবাদীদের গোপন চুক্তি অনুযায়ী মধ্যপ্রাচ্যে তাদের সুদূরপ্রসারী স্বার্থ ও লক্ষ্য বাস্তবায়নে ইহুদিদের আবাসভূমি হিসেবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের সূত্রপাত করে। আজ অবধি সেই ইসরায়েল রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, শক্তিময়তা, স্থায়িত্বের জন্য সাম্রাজ্যবাদীদের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর প্রজন্ম, যারা মর্গেনথু (Morgenthau), কার, ওয়ালজ (Waltz)), গিলপিন (Gilpin) প্রমুখ বাস্তববাদী রাষ্ট্রতাত্ত্বিকদের অনুসারী, তাঁরা সার্বিক সহযোগিতা সরবরাহ করে আসছেন। বাস্তববাদী পাশ্চাত্য শক্তিগুলো কোনোভাবেই মধ্যপ্রাচ্যে তাদের স্বার্থ রক্ষাকারী ইসরায়েলকে দুর্বল করার বা নিরাপত্তাহীন করার পরিবেশে নিক্ষেপ করবে না। পাশ্চাত্য শক্তির দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ও লালিত-পালিত ইসরায়েল রাষ্ট্র তাই সর্বদাই পাশ্চাত্যের সহযোগিতা পাবে- এটিই ঐতিহাসিক সত্য।
উপরিউক্ত ঐতিহাসিকতার চুলচেরা বিশ্লেষণ করলে আমরা বুঝতে পারি, ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে পাশ্চাত্য কখনো অকপট হবে না, অস্থির হবে না। ফিলিস্তিন সমস্যা জীবিত থাকলেই তাদের লাভ। একটি স্থিতিশীল ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র ইসরায়েলের ভূ-রাজনৈতিক শত্রু। সে কারণে ইসরায়েলকে শক্তিশালী করতে কেবল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকে রুখতে চাইবে সাম্রাজ্যবাদীরা।
এ অবস্থায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের জন্য প্রয়োজন ফিলিস্তিনের সিসাঢালা জাতীয় ঐক্যের। একমাত্র নির্ভেজাল জাতীয় ঐক্যই কেবল ফিলিস্তিনকে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশে অবদান রাখবে। দুর্ভাগ্যবশত শোষিত-বঞ্চিত ফিলিস্তিনিরা বেশ দ্বিধাবিভক্ত। তাদের মধ্যে রয়েছে সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে 'স্বাধীনতার উপঢৌকন' অর্জনের খায়েশিরা, রয়েছে বামপন্থী তাত্ত্বিকরা, রয়েছে স্বাধিকার আন্দোলনের অকুতোভয় বিপ্লবীরা। এরা মূলত দ্বিধারায় বিভক্ত- হামাস ও ফাতাহ। ফাতাহর অনুসারীরা বেশ কৌশল করে পাশ্চাত্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা যে কত 'ঘুমের ঘোরে', তা হয়তো সম্প্রতি তারা ঠাওর করেছে। তবে হামাস সর্বদা ফিলিস্তিনি জাতীয়তা, জাতীয়তাবাদ, আরববাদ ও ফিলিস্তিনি সামাজিক-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিনের জন্য আপসহীন সংগ্রাম করে আসছে। তাদের প্রতি পাশ্চাত্য খুব নাখোশ। হামাসকে তাই পাশ্চাত্য 'সন্ত্রাসী' হিসেবে অভিহিত করে আসছে।
মাঝেমধ্যে হামাস ও ফাতাহ ঐক্য গড়ার প্রত্যয় জানিয়েছে, এক সুরে গানও গেয়েছে। কিন্তু জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বহুমুখী ষড়যন্ত্রের মুখে হামাস-ফাতাহ-এর ঐক্যপ্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বারবার। সবশেষে গত ২৩ এপ্রিল তারা যে ঐক্যের সরকার (government of unity) গঠনে মৈত্রীচুক্তি স্বাক্ষর করেছে, তার ভবিষ্যৎ কী, এ মুহূর্তে তা বলা মুশকিল। তবে এটুকু বলা যায় যে অন্তত ফিলিস্তিনের প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষগুলো ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে। যদি এ ঐক্যের চেতনা সুদৃঢ় হয়, তাহলে আমি নিশ্চিত যে ফিলিস্তিনিরা অচিরেই স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনে সক্ষম হবে। পারস্য আরবের অবিসংবাদিত জননেতা মরহুম আয়াতুল্লাহ খোমেনি একবার আরব নেতাদের বলেছিলেন : 'তোমরা প্রত্যেকে এক বালতি পানি এনে ইসরায়েলের ওপর ঢেলে দাও, ইসরায়েল ডুবে যাবে।' আমি নিশ্চিত এ মহান রাষ্ট্রনায়ক, রাষ্ট্রচিন্তক, আরব-পারসিক নেতা আরব-ঐক্যের কথা বলেছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত ফিলিস্তিনকে ঘিরে আরব রাষ্ট্রগুলো বহুধাবিভক্ত। স্বয়ং ফিলিস্তিনিরাও কয়েক ধারায় বিভক্ত।
ইতিহাস এ ক্ষণে ফিলিস্তিনের ওপর যে গুরুদায়িত্ব চাপিয়ে দিচ্ছে, তা হলো তাদের ইস্পাতকঠিন জাতীয় ঐক্য। সেই সঙ্গে আরব রাষ্ট্রগুলোও নিশ্চয়ই ফিলিস্তিনের সঙ্গে সঙ্গে ফিলিস্তিন-সংক্রান্ত বিষয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-দ্বিমতগুলো কমিয়ে আনবে। পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত স্তিমিত হলেই কেবল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা নিশ্চিত হতে পারে। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাস্তববাদী ওবামা 'হামাস-ফাতাহ'-এর ঐক্য চুক্তির খবরে খুব কষ্ট পেয়েছেন। ইসরায়েল তো চলমান শান্তিপ্রক্রিয়া প্রত্যাখ্যান করার স্পর্ধা দেখিয়েছে। সব বৈরিতাকে জয় করতে হবে ফিলিস্তিনিদের। তাদের ঐক্যসুরে বিশ্বকে জানাতে হবে ইসরায়েলের অবৈধতার কথা, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রগঠনের আন্তর্জাতিকতা ও বাধ্যবাধকতার কথা। কেবল তাদের ঐক্যসুরই তাদের স্বাধীনতা এনে দেবে, পাশ্চাত্যের উপহার হিসেবে কখনো সে স্বাধীনতা অর্জিত হবে না।
লেখক : অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন