জেদ পূরণের মূল্য কত?
11 Apr, 2014
১৯৭১ সালে স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা বাংলাদেশ বিভিন্ন চড়াই-উতরাইয়ের মাধ্যমে দারিদ্র্য অতিক্রম করে একটি আশাব্যঞ্জক পর্যায়ের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হতে পারলেও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কাক্সিত অগ্রযাত্রা বারবার ব্যাহত হয়েছে। এ সময়কালের মধ্যে আমাদের যতটুকু অর্জন, তাতে রাজনীতিকদের মুখ্য ভূমিকা পালনের কথা থাকলেও বাস্তবে সে ভূমিকা পালন করে চলেছেন এ দেশের কৃষক, পোশাক কারখানার শ্রমিক এবং প্রবাসে কর্মরতরা। এই তিন শ্রেণী-পেশার মানুষের অনন্য অবদানের কারণে আজ আমরা বলতে গেলে- খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন, পোশাকপণ্য উৎপাদন ও রফতানিতে সক্ষমভাবে প্রতিযোগী ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে অন্য সব খাতকে পেছনে ফেলে এর ভাণ্ডার ক্রমান্বয়ে ঊর্ধ্বমুখিতার দিকে ধাবিত করে চলেছি।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামোয় জন-আকাক্সার প্রতিফলনে গঠিত প্রতিনিধিত্বশীল সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব লাভ করে থাকে। সরকারের মূল কাজ সঠিক নেতৃত্ব ও পরিকল্পনার সমন্বয়ের মাধ্যমে দেশের সার্বিক কল্যাণ ও মঙ্গলের লক্ষ্যে আত্মনিবেদিত হয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা। প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের পরিবর্তন ঘটলেও তা কোনোভাবে উন্নয়নকে ব্যাহত করে না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল, জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা এবং শোষণমুক্ত সমাজ বিনির্মাণ। স্বাধীনতার ৪২ বছর পর পেছন ফিরে তাকালে আমরা দেখতে পাই, প্রকৃত গণপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার ও শোষণমুক্ত সমাজ থেকে আমরা এখনো বহু দূরে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী ’৭৩-এর প্রথম সংসদ, ’৭৯-এর দ্বিতীয় সংসদ, ’৮৬-এর তৃতীয় সংসদ এবং ’৮৮-এর চতুর্থ সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই চারটি সংসদ নির্বাচনের কোনোটিতেই প্রধান বিরোধী দল তাদের জনসমর্থন অনুযায়ী কাক্সিত আসন পায়নি। অপর দিকে ক্ষমতাসীন দল জন-আকাক্সার বিপরীতে কাক্সিত আসন থেকে অনেক বেশি আসন পায়। প্রথম ও দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নিশ্চিতভাবে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে বিজয়ী হতো। কিন্তু দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের অভিপ্রায়ে উভয় দল নির্বাচন দু’টি প্রভাবিত করে। তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় ক্ষমতাসীন জাতীয় পার্টির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল আওয়ামী লীগ। এ নির্বাচনে বিরোধী আওয়ামী লীগের সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভে বিজয়ের সম্ভাবনা বেশি ছিল, কিন্তু আওয়ামী লীগের বর্তমান দোসর এরশাদ নির্বাচনটিকে এমনভাবে প্রভাবিত করেছিলেন যে, নির্বাচনে শুধু আওয়ামী লীগ পরাভূত হয়নি, বরং জাতীয় পার্টির দুই-তৃতীয়াংশ আসন লাভ নিশ্চিত করা হয়েছিল। এরশাদের সামরিক শাসনকে বৈধতা দেয়ার জন্য সে নির্বাচনে জাতীয় পার্টির দুই-তৃতীয়াংশ আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ অত্যাবশ্যক ছিল। চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ- এই দুই বড় দল অংশ না নিলেও আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জাসদ অংশগ্রহণ করে ‘গৃহপালিত’ বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে নির্বাচনটিকে বৈধতা দেয়। উপরি উক্ত চারটি সংসদের কোনোটিই সংসদের জন্য নির্ধারিত মেয়াদ, পাঁচ বছর পূর্ণ করতে পারেনি।
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হয় না, এই বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াত- এ তিন দল এবং কিছু ক্ষুদ্র দলের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচন জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে একজন কর্মরত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা প্রশ্নাতীত হলেও নির্বাচনে পরাভূত আওয়ামী লীগনেত্রী সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ এনে সমগ্র দেশবাসীকে হতবাক ও বিস্মিত করেছিলেন। পঞ্চম সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবির প্রশ্নে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত সংসদ থেকে পদত্যাগ করলে ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন ওই তিনটি দলসহ প্রায় সব দলের বর্জনের মুখে একতরফাভাবে অনুষ্ঠিত হয়। ’৯৬-এর ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত, ষষ্ঠ সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র দুই পক্ষকালের কাছাকাছি। এ সংসদ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইনটি পাস করেই অবলুপ্ত হয়ে যায়। উল্লেখ্য, পঞ্চম সংসদে সংবিধানে সংশোধনী এনে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস করার মতো দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ক্ষমতাসীন বিএনপির ছিল না। তাই ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন একতরফা হলেও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়কের বিল পাসের জন্য ওই নির্বাচনে বিএনপির দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করা ছিল অত্যাবশ্যক।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সপ্তম ও অষ্টম সংসদ নির্বাচনে অব্যবহিত পূর্ববর্তী ক্ষমতাসীন দল বিজয়ী হতে না পারায় যথাক্রমে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অষ্টম সংসদের মেয়াদ অবসান-পরবর্তী পর্যায়ে নিজ নিজ পছন্দের ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান করতে চাইলে কোনো ধরনের ঐকমত্যের অনুপস্থিতিতে আকস্মিকভাবে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানরূপে আবির্ভূত হন। সে সময়কার তত্ত্বাবধায়কবিরোধী আওয়ামী লীগের আন্দোলন সেনাসমর্থনে সফলতা লাভ করে এবং পরবর্তী সেনাসমর্থিত অসাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আবির্ভাব ঘটায়। সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ তথা দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে এবং সেই নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে ৩০টি আসনের সীমাবদ্ধতায় অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয়।
নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় হলেও আওয়ামী লীগপ্রধান অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারলেন, পরবর্তী সংসদ অর্থাৎ দশম সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হলে তার দলের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করা সম্ভব হবে না। এ উপলব্ধি থেকে তার একক ইচ্ছায় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা একতরফাভাবে বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে দশম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক ব্যবস্থা চূড়ান্ত করা হয়। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সূচনালগ্ন থেকেই এর বিপক্ষে অবস্থান নেয় এবং সংসদে তাদের সদস্য নগণ্য বিবেচনায় বিল পাসের ক্ষেত্রে কার্যকর বাধা প্রদানে অপারগতায় সার্বিক কার্যক্রমে অনুপস্থিত ছিল।
আমাদের সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, সরকারের সার্বিক ক্ষমতা বিবেচনায় তাকে সর্বময় বললে অত্যুক্তি হবে না। আমাদের বড় দু’টি দলের প্রধান তিনবার করে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার গৌরব অর্জন করে একচ্ছত্রভাবে সরকারপ্রধান হিসেবে ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন। তারা উভয়ে দলীয় প্রধান হিসেবেও দলীয় যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘ দিন ধরে এককভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। উভয়ে পর্যায়ক্রমিকভাবে সরকারপ্রধান এবং অব্যাহতভাবে দলীয়প্রধানের দায়িত্ব পালনের কারণে সরকার ও দলের যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের অভিমতই চূড়ান্ত, দীর্ঘ দিন ধরে এটাই পরিলক্ষিত হয়ে আসছে।
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আওয়ামী লীগপ্রধান যেমন অনড়, ঠিক তেমনি এর বিপরীতে দলীয় সরকারপ্রধান ছাড়া অন্য যেকোনো গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার পরিচালিত হওয়ার বিষয়ে বিএনপিপ্রধান অনড়। আওয়ামী লীগপ্রধান দীর্ঘ দিন ধরে দাবি করে আসছিলেন, নবম সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তার শাসনামলে অনুষ্ঠিত সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হওয়ায় দলীয়প্রধান হিসেবে তার অধীনে দশম সংসদ নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে। যেকোনো কারণেই হোক, প্রধান বিরোধীদলীয় নেত্রী ও তার জোটভুক্ত দলগুলো প্রধানমন্ত্রীর এ আশ্বাসে আশ্বস্ত হতে পারেননি। তাদের আশ্বস্ত না হওয়া যে যথার্থ ছিল, তা দেশবাসী দশম সংসদ নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছে।
এ কথাটি অনস্বীকার্য যে, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা এবং জনগণের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব সরকারের ওপর ন্যস্ত। দশম সংসদ নির্বাচন দলীয় বা নির্দলীয় সরকারের অধীনে হওয়ার বিষয়ে গত দুই বছরের অধিক কাল ধরে যে আন্দোলন-সংগ্রাম চলে আসছিল, তাতে জীবন ও সম্পদের যে হানি ঘটেছে তার দায় মূলত যিনি আগের নির্বাচনব্যবস্থা বাতিল করে নতুন ব্যবস্থার অধীন নির্বাচনের পথ সুগম করেছেন, তার ওপর বর্তায়।
দশম সংসদ নির্বাচনটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন, একতরফা, ভোটারবিহীন ও প্রহসনমূলক হওয়ায় এটি অভ্যন্তরীণভাবে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে এবং আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়নি। এ কারণে নির্বাচনটির গ্রহণযোগ্যতা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। নির্বাচনপরবর্তী সময়ে আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীসহ নগণ্যসংখ্যক রাষ্ট্রের সরকারপ্রধান নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাশ্চাত্যের প্রভাবশালী রাষ্ট্রের সরকারপ্রধানেরা নির্বাচনটি প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় অভিনন্দন জানানো থেকে বিরত রয়েছেন এবং অদূরভবিষ্যতে জানাবেন, এমন সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না।
আমাদের প্রধানমন্ত্রী ‘গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখার’ কথা বলে যে অবস্থায় দশম সংসদ নির্বাচনটিকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে গেছেন তাতে অন্য কিছু নয়, তার জেদেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। একই ধরনের জেদ বিরোধীদলীয় নেত্রীর ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হলেও দেশের অর্থনীতি ও যানমালের যে ক্ষতি হয়েছে তাতে উভয়ের দায়িত্ব সমরূপ নয়। এখন প্রশ্ন, নেহায়েত জেদ পূরণ করতে গিয়ে অর্থহীন একটি নির্বাচন পরিচালনায় যে অর্থ ব্যয় হয়েছে, তা সমেত অর্থনীতি ও যানমালের ক্ষয়ক্ষতির দায়ের মূল্য কত? আর এ দায় কে বহন করবে?
আমরা মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও জনমানুষের আকাক্সার পরম অভিব্যক্তির গণতন্ত্র আজ দেশের দু’টি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব- বিশেষত ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ইচ্ছার নিকট বন্দী। তাই আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র আর গণতন্ত্র নেই। এটি ইচ্ছাতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। ভবিষ্যতে হয়তো ইচ্ছাতন্ত্র নামেই নতুন ধরনের শাসনপদ্ধতি উদ্ভাবিত হবে। আর পৃথিবীর অন্যান্য দেশ যেখানে গণতন্ত্র সফলতা পাবে না, তারা হয়তো আমাদের ইচ্ছাতন্ত্রটিকেই দেশ শাসনের পদ্ধতি হিসেবে বেছে নেবেন।
দেশের যেকোনো দুর্যোগে স্থিতিশীলতা ও অর্থনীতি ব্যাহত হলে সার্বিকভাবে যে ক্ষতি হয়, এর দায় কোনো বিশেষ দল বা দলনেতা বহন না করে সমগ্র জনগোষ্ঠীকে বহন করতে হয়। বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ দশম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে দেশের জনগণের কোনো ভূমিকা না থাকলেও এর মাধ্যমে সৃষ্ট অর্থনীতি ও জানমালের ক্ষতির দায় জনগণকেই বহন করতে হচ্ছে।
একজনের জেদ পূরণ করতে গিয়ে তার দায় যদি জনগণকে বহন করতে হয় তাদের মতো দুর্ভাগা অন্য কোনো দেশে আছে কি না তা খুঁজে পাওয়া ভার। তাই জেদ পূরণের মূল্য অপূরণীয় হলেও দেশের স্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সব দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমাদেরকে এমন একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা উদ্ভাবন করতে হবে, যা শুধু প্রতিটি সরকারের মেয়াদ অবসানে একই পদ্ধতি অনুসৃত হওয়ার নিশ্চয়তাই দেবে না, অধিকন্তু নির্বাচনের স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতাকে কোনোভাবেই ক্ষুন্ন করবে না।
সাবেক জজ, সংবিধান ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন