|
গাজীউল হাসান খান
|
|
উপজেলা নির্বাচন ও দল পুনর্গঠন নিয়ে বিএনপির নতুন সংকট
01 Apr, 2014
চতুর্থ দফার উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দেশে একটি চরম হতাশার ভাব নেমে এসেছে। ভোট ডাকাতি, সহিংসতা ও নির্বাচন কমিশনের গাফিলতির যে অভিযোগ উঠেছে, তাতে দেশের জনগণ ও গণমাধ্যম অত্যন্ত সমালোচনামুখর হয়ে উঠেছে। চতুর্থ দফা নির্বাচনে বিএনপির দুজনসহ সহিংসতায় চারজন প্রাণ হারিয়েছে। জাল ভোট প্রদানসহ বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে কর্তব্যরত বিরোধী প্রতিনিধিদের জোরপূর্বক বের করে দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু তাতেও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা কোনো তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেননি বলে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। তা ছাড়া চতুর্থ দফা নির্বাচনে সরকারি দলের সমর্থকদের সহিংসতার মাত্রা যে সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল তার সচিত্র প্রতিবেদন বেশ কয়েকটি পত্রপত্রিকায় ইতিমধ্যে ছাপা হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ দূতাবাস। অথচ সরকার বলছে, নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। প্রথম দুই দফার নির্বাচনে শান্তিশৃঙ্খলা মোটামুটি সন্তোষজনক পর্যায়ে থাকলেও তৃতীয় দফা থেকে তা ক্রমে ভেঙে পড়তে দেখা যায়। সরকারি দলের মুখপাত্র বলেছেন, প্রথমদিকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের কারণে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ফলাফল আশানুরূপ না হলেও তৃতীয় দফা নির্বাচন থেকে সে অবস্থা তারা কাটিয়ে উঠেছেন। আর বিএনপি, জামায়াত ও অন্যরা বলছে সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা। বিরোধী শিবির বলছে, প্রথম দুই দফায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিজেদের বিপর্যয় দেখে সরকারি দল তৃতীয় দফা নির্বাচন থেকে ভোট ডাকাতি, বিভিন্ন কারচুপি ও সহিংসতার আশ্রয় নিতে থাকে ব্যাপক থেকে ব্যাপকতরভাবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সব দেখেশুনেও নীরব দর্শকের ভূমিকা নিতে বাধ্য হয়েছিল। এ অবস্থায় ভোট বর্জন ছাড়া বিরোধী প্রার্থীদের কাছে আর বিকল্প কোন পথ খোলা রয়েছে? তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বিরোধী দলগুলো এখন তাদের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে আবার কঠোর অবস্থানে যাওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেছে।
উপজেলা নির্বাচন ও দল পুনর্গঠন নিয়ে বিএনপির নতুন সংকট
তথ্যাভিজ্ঞ মহলে এ ব্যাপারে একটি ধারণা ক্রমেই বদ্ধমূল হচ্ছে যে বিরোধী দলকে যদি সরকার সহ্যই করতে না পারে, তাহলে আর গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের কথা বলে লাভ কী? একদলীয় শাসন কিংবা কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, আচরণ ও পরমতসহিষ্ণুতার নীতি-নৈতিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটানো যায় না। এ অবস্থায় আগাম নির্বাচন কিংবা জাতীয় পর্যায়ে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলে লাভ কী হবে? নির্বাচনকালীন সরকার এবং বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা যদি জনগণের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা কিংবা আস্থার ভাব তৈরি করতে না পারে, তাহলে ভোটাররা কেন ভোটকেন্দ্রে যাবে? অনেকে ভেবেছিলেন, উপজেলা নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে বর্তমান নির্বাচন কমিশন তাদের আইনি ব্যবস্থাকে আরো সুদৃঢ় ও মজবুত করে ভবিষ্যৎ জাতীয় নির্বাচনকে যথাসম্ভব প্রভাবমুক্ত, অবাধ ও নিরপেক্ষ করার প্রয়াস পাবে, কিন্তু তা হলো না। সেই পুরনো বিতর্কই আবার জাতীয় পর্যায়ে সজীব হয়ে উঠছে, কোনো দলীয় সরকারের অধীনে বর্তমানে দেশের কোনো সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হতে পারে না। বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের সে উপলব্ধিগত অবস্থান পরিবর্তনের দায়িত্ব ছিল কার? ভোটারবিহীন এক তামাশার নির্বাচন বর্তমান আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার নিজেদের জাতির ওপর চাপিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সে নির্বাচন পশ্চিমা গণতান্ত্রিক বিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। বরং বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিপন্ন বলে সর্বত্র অভিযোগ উঠেছে। তাহলে সে গ্রহণযোগ্যতা ও জনগণের প্রশ্নবিদ্ধ আস্থা নিয়ে দেশে কী উন্নয়ন করবে সরকার যে তারা সরকারের সব অপকর্মই ভুলে যাবে?
বর্তমান সরকারের জনপ্রিয়তা যাচাই করার কোনো পরিমাপযন্ত্র কারো কাছেই নেই। তবে সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচন থেকে শুরু করে বিভিন্ন একতরফা আইনি ব্যবস্থা জারি করে সরকার যে একদলীয় শাসনের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে, তাতে কোনো বিতর্ক নেই। এ অবস্থা চলতে থাকলে একদিন বিরোধী দলের প্রয়োজন হবে না, জনগণ স্বেচ্ছায় মাঠে নেমে আসতে বাধ্য হবে। সে কারণেই হয়তো বাংলাদেশ সফরে আসা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের চার সদস্যবিশিষ্ট সংসদীয় দলের নেতা জ্য ল্যামবার্ট বলেছেন, সরকারকে জনগণের কথা শুনতে হবে, নতুবা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়বে এবং দেশে যে অরাজকতা সৃষ্টি হবে, তা বর্ধিত পুলিশ বাহিনী কিংবা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়েও সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না। সরকার ও বিরোধী দল যা ভাবতেও পারেনি, দেশে তেমনই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এ দেশে যে সব কিছুই সম্ভব, তার প্রমাণ আমাদের অতীত ইতিহাস। যেকোনো নির্বাচনে সরকারের সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভূমিকা, নির্বাচন কমিশনের কার্যকারিতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব কিছুর ঊধর্ে্ব উঠে কাজ করার মধ্যেই নিহিত রয়েছে দেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ। দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করার চাবিকাঠি। এগুলো পাশ কাটিয়ে সরকার কিংবা বিরোধী দল সাময়িকভাবে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে পারলেও দেশে একটি টেকসই, দীর্ঘস্থায়ী ও সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। বর্তমান অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারী ব্যবস্থার মধ্যে কয়েক পা এগোতে পারলেও আবার বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ১০ পা পিছিয়ে আসতে বাধ্য হবে। তাতে পরিস্থিতি দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কার দিকে বারবার ঠেলে দিতে পারে। তাতে সম্ভাবনাময় এ দেশটির প্রতি বিদেশিরা ক্রমেই তাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিকসহ সব আস্থা হারিয়ে ফেলতে পারে।
দেশে বিরাজমান পরিস্থিতির জন্য বিএনপি নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক জোট কোনোভাবেই দায়ী নয়, এ কথা বলা ঠিক হবে না। ভোটারবিহীন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হলে দেশের কী হবে, সেটা অন্তত একটি বিশাল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির আগেভাগেই ভেবে দেখা উচিত ছিল। তারা তা করেনি। তারা ভেবেছিল তাদের কিছুই করতে হবে না। জনগণ এক শক্তিশালী গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। যে রকম শক্তিশালী গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে একটি সরকারের পতন ঘটানো যায়, কিংবা একটি সাধারণ নির্বাচন ঠেকানো যায়, তেমন সাংগঠনিক শক্তি বিএনপির মোটেও ছিল না। নিকট অতীতের রাজনৈতিক আন্দোলনগত মাঠ-ময়দানের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যায়, সেখানে বিএনপি, ছাত্রদল কিংবা যুবদলের উপস্থিতি বিস্ময়কর রকম কিছু ছিল না। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের ধারণা, আন্দোলনগতভাবে অন্যের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীলতা বিএনপিকে এক চরম বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। তার পরিণতি এখন ক্রমেই বিএনপিকে ভোগ করতে হচ্ছে। বিএনপি নেতা-নেত্রীকে- বেগম খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে নিম্নপর্যায়ের নেতারা পর্যন্ত, এখন বিভিন্ন অভিযোগে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো থেকে শুরু করে জেলে ঢোকানো হচ্ছে। এ অবস্থায় এখন বিএনপি মন দিয়েছে সাংগঠনিকভাবে উপজেলা থেকে ওপরের দিকে দলকে ঢেলে সাজানোর দিকে। ছাত্রদল থেকে বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃত্বে পরিবর্তন আনার জন্য। উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য একটিই। ভবিষ্যতে দেশব্যাপী জোরদার গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা। বিএনপি এত দিনে উপলব্ধি করতে পেরেছে যে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কিংবা নিষ্ক্রিয় ও গণবিচ্ছিন্ন নেতৃত্ব দিয়ে মাটি কাঁপানো গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা যায় না। বয়োবৃদ্ধ বিএনপি নেতা-নেত্রী কিংবা ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব ছাত্রনেতাদের দিয়ে দেশব্যাপী গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা যায় না। কারণ আন্দোলনের সময় তাদের মাঠে-ময়দানে পাওয়া যায় না। অধিকাংশ বয়োবৃদ্ধকে পাওয়া যায় রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালের বেডে। মূল দল কিংবা তার বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃত্বে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার আবশ্যকতা ছিল ক্ষমতায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারে মেয়াদ শেষ হওয়ার অন্তত ছয় মাস আগে। কিন্তু তা হয়নি। ঢাকা লন্ডন করতে করতেই বিএনপি সময় পার করে দিয়েছে। তারপর এখন ঢাকা মহানগর কমিটি পুনর্গঠনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে এক নতুন বিতর্ক। বিগত আন্দোলনে কার কী ভূমিকা ছিল এবং কাকে আন্দোলনের মাঠে দেখা গেছে, আর কাকে দেখা যায়নি, কে কতবার গ্রেপ্তার হয়েছে, সেটাও বিভিন্নভাবে বিবেচনায় আনা হচ্ছে। তাতে পারস্পরিকভাবে রেষারেষি সৃষ্টি করা ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত এবং এমনকি জাতীয় পার্টির মধ্যে রাজনীতিগতভাবে যেকোনো সিদ্ধান্তের জন্য সবাই তাকিয়ে থাকে এক ব্যক্তির মুখের দিকে। দলীয় প্রধানের দিকে থাকে সবার দৃষ্টি নিবদ্ধ। কোনো দলে যেন আর কারো কোনো সাংগঠনিক ভূমিকা নেই। কোনো দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের কোনো নূ্যনতম চর্চা নেই। জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচনী এলাকার দলীয় নেতা-কর্মী নয়, মনোনয়ন দেওয়া হয় কেন্দ্র থেকে। এক ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর সব কিছু নির্ভর করে। বিভিন্ন পর্যায়ে দলীয় নেতা-নেত্রী নির্ধারণের দায়িত্বও অনেকটা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে দলনেতা বা নেত্রীর হাতে। এমনকি ছাত্রসংগঠনের নেতা-নেত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তার ব্যত্যয় ঘটতে দেখা যায় না। ১৬ বছর পর বিএনপির সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ৮ ডিসেম্বর ২০০৯ সালে। তাতে শেষ পর্যন্ত দলের যে কেন্দ্রীয় কমিটি বা নেতৃত্ব ঘোষণা করা হয়েছে, এতে কোনো মানসম্পন্ন পরিবর্তন সাধিত হয়নি বলে দলের ৬৪.৪ শতাংশ মনে করে। দলের পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে ডেইলি স্টারের এক জরিপ থেকে উল্লিখিত এ তথ্যটি পাওয়া গেছে। দলের ব্যাপক নিবেদিতপ্রাণ কর্মী যদি বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের জনপ্রিয় নেতা-নেত্রীদের নির্বাচিত করতে না পারে, তাহলে আন্দোলনের সময় অন্যের ডাকে তারা ছুটে যাবে কেন? অথবা জাতীয় নির্বাচনে তাদের সমর্থন নেই, তেমন প্রার্থীকে ভোট দেবে কেন? কিংবা তার জন্য মাঠে নামবেই বা কেন? তা ছাড়া যেখানে প্রকাশ্যে মনোনয়ন বাণিজ্য চলছে, সেখানে পয়সা ছাড়া কোনো প্রার্থীর জন্য গ্রামেগঞ্জে কিংবা শহরে নগরে কর্মীরা কাজই বা করবে কেন?
এখন রাজনীতিতে বিশ্বব্যাপী আগের সে অবস্থা আর নেই। জনগণ ও দলীয় নেতা-কর্মীরা আগের চেয়ে অনেক বেশি অধিকার ও রাজনীতিসচেতন হতে বাধ্য হচ্ছে, নতুবা তাদের কোনো ফায়দা হয় না। এটা যেমন বেকারদের জন্য কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সত্য, তেমনি স্থানীয় উন্নয়ন ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তা ছাড়া রাজনীতির ক্ষেত্রে বিএনপিকে তার নিজের দলের আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচির দিকে অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে। কারণ রাজনৈতিকভাবে লক্ষ্যচ্যুত দলের পক্ষে নিজ গন্তব্যে পেঁৗছা কখনোই সম্ভব হয় না। তাতে দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হতে বাধ্য এবং তার সঙ্গে সঙ্গে দলের প্রতি জনসমর্থনও বিনষ্ট হয়। ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি একাই দেশের ৪৬ শতাংশ ভোট পেয়ে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছিল। সে সাফল্যের মূলে ছিল দেশের জনগণের সিদ্ধান্ত ও সমর্থন এবং নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীদের দেশব্যাপী ব্যাপক কর্মতৎপরতা। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আপামর জনগণ এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের দলের প্রতি সে মমত্ববোধ, আস্থা ও সম্পৃক্ততা ফিরিয়ে আনতে হবে। সে জন্য প্রয়োজন দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে দলীয় নেতা-কর্মীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ও কর্মতৎপরতা। এটি যেকোনো গণ-আন্দোলন ও নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একইভাবে প্রযোজ্য।
লেখক : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক
(কালের কণ্ঠ, ০১/০৪/২০১৪)
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন